ইনসাইড বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাংক কর্তৃক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধের পর যে যা মন্তব্য করেছিলেন

প্রকাশ: ০৪:২২ পিএম, ২৩ জুন, ২০২২


Thumbnail বিশ্বব্যাংক কর্তৃক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধের পর যে যা করেছিলেন

পদ্মা সেতু প্রকল্পের কথিত দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল বিশ্বব্যাংক। বন্ধ করেছিল অর্থায়ন। এর নিয়ে সে সময় কিছু মন্তব্য করেছিল কিছু কিছু ব্যক্তি।

(১) খালেদা জিয়া
১৭ অক্টোবর, ২০১১
স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন বাতিল করলো। 

২ জানুয়ারি, ২০১৮
ছাত্রদলের এক আলোচনায় বিএনপি নেত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখাচ্ছে সরকার। কিন্তু পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের আমলে হবে না। এ সেতু জোড়াতালি দিয়ে বানানো হচ্ছে। এ সেতুতে কেউ উঠবেন না। অনেক রিস্ক আছে। 

(২) ড. আকবর আলি খান
১ জুলাই, ২০১২
বিশ্ব ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের পক্ষে পরবর্তীতে ঋণ সহায়তা পাওয়া খুব দুষ্কর হয়ে পড়বে। যখনই কোনো দাতা সংস্থা কোনো নতুন প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী হবে, তারা দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশকে ভিন্ন চোখে দেখবে। সরকার যদি বিকল্প অর্থায়নে পদ্মা সেতু কাজ শুরু করে, তাহলে খরচ অনেক বেড়ে যাবে, কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে। 
(৩) বদিউল আলম মজুমদার
দুর্নীতি যে আমাদের পেছনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের উন্নয়নের ধারাকে নষ্ট করছে, এই ঘটনা তারই আরেকটি উদাহরণ। 

(৪) আলী আহসান মনসুর, নির্বাহী পরিচালক, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট
বিশ্ব ব্যাংকের অভিযোগকে ‘দুঃখজনক ঘটনা’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সুশাসনের অভাবে দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প আজ অনিশ্চয়তার মুখে।
 
(৫) ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি
বিকল্প উৎস হতে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা (দুর্নীতির অভিযোগের ওপর থেকে) দৃষ্টি সরানোর উপায় বলে মনে হতে পারে। যদি এই সিদ্ধান্ত সফলও হয় তাতেও সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে না। 

(৬) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
১০ জুলাই, ২০১২। 
বিশ্বব্যাংক সুনির্দিষ্টভাবে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে- প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী। 

(৭) এমকে আনোয়ার
নিজস্ব অর্থ দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার মতো ক্ষমতা বাংলাদেশের নাই। 

(৮) বিএনপি
২৩ জুলাই, ২০১২
অভিযোগ ওঠার ১০ মাস পরে যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগ এটাই প্রমাণ করে যে এই প্রকল্পে আসলেই দুর্নীতি হয়েছে। 

(৯) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
২৪ জুলাই, ২০১২
আবুল হোসেনের পদত্যাগ এটাই প্রমাণ করে যে দুর্নীতির সকল অভিযোগ সত্য। তিনি যদি আরও আগেই পদত্যাগ করতেন তাহলে (বিশ্বব্যাংক) ঋণচুক্তি বাতিল করতো না। 

(১০) ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি
এখন অনেক দেরি হয়ে গেলো। কয়েক মাস আগে বিশ্বব্যাংক যখন দুর্নীতির অভিযোগ আনলো তখনই (পদত্যাগ) হওয়া উচিত ছিল। 

(১১) ড. আকবর আলি খান
অনেক দেরিতে আসলো এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত, আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল।
 
(১২) খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য
২৮ জুলাই ২০১২। 
আবুল হোসেন কোন দেশপ্রেমিক নন, তিনি একজন নির্লজ্জ ব্যক্তি। তাই তিনি বিশ্ব ব্যাংকের অভিযোগ আসার ১০ মাস পরে পদ ছেড়েছেন। একজন দুর্নীতিবাজের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী এতদিন সাফাই গেয়েছেন। 

(১৩) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এএসএম হান্নান শাহ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য
শেখ হাসিনা একজন দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধানমন্ত্রী। তারও উচিত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। 

(১৪) অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, সাবেক ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আবুল হোসেন যদি দেশপ্রেমিক হয় তাহলে দেশপ্রেমিক নয় কে? তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন এটাই প্রমাণ করে যে জনগণের অর্থ আত্মসাৎকারীদের রাজনৈতিক দলে থাকার অধিকার রয়েছে। 

(১৫) মাহমুদুর রহমান মান্না
কেন প্রধানমন্ত্রী কাউকে দেশপ্রেমিক বলে সার্টিফিকেট দিতে হবে আর কেনইবা সেটা লন্ডন গিয়ে করতে হবে? প্রধানমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী যোগাযোগ মন্ত্রীর যদি আত্মসম্মানবোধ থাকতো তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার সাথে সাথেই তিনি পদত্যাগ করতেন। 

(১৬) বিএনপি
৬ ডিসেম্বর, ২০১২
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। 

(১৭) আলি ইমাম মজুমদার
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে দুদক নিজেদের দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। দুদক যদি নিজেদের দায়িত্ব পালন করতো তাহলে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতো না। উন্নয়ন সহযোগীদের পাশাপাশি দেশের জনগণও দুদকের কাছ থেকে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভূমিকা আশা করে।

(১৮) ড. সালেহ উদ্দীন, প্রাক্তন গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
নিজ অর্থায়নে সরকার পদ্মা সেতু করার যে পরিকল্পনা করেছে তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তবে সরকার ইচ্ছা করলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবে; কিন্তু শেষ করতে পারবে না। 

(১৯) আইনজীবী শাহদীন মালিক
পদ্মা সেতু দেশি অর্থায়নে হবে না, সম্ভব নয়। 

(২০) ড. আহসান এইচ মনসুর, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক
১ জুলাই, ২০১২
পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে পারলেও শেষ করার গ্যারান্টি থাকবে না। ... এই মুহূর্তে সরকার নিজস্ব অর্থে করতে গেলে ডলারের দাম আরও বেড়ে যাবে এবং টাকার মান ব্যাপকভাবে কমে যাবে। বাড়বে অযাচিত মুদ্রাস্ফীতি।’ 

(২১) ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সিপিডি, সম্মানীয় ফেলো
এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা প্রয়োজন, যা জোগান দিতে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ পড়বে। এর দায় সরকার এড়াতে পারবে না... তবে এজন্য তাদেরও ভয়ঙ্কর নতুন সমস্যায় পড়তে হবে।
 
(২২) অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিডি, সম্মানীয় ফেলো
এই মুহূর্তে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু শুরু করা হলে দেশের অন্যসব অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য যে কাজগুলো করা যেত সেগুলো আর হবে না।

পদ্মা সেতু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘শুধু দাবদাহে নয়, যেকোনো দুর্যোগে দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর পুলিশ’

প্রকাশ: ১২:৩৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শুধু তীব্র দাবদাহে নয়, দেশের যেকোনো দুর্যোগ দুর্বিপাকে বাংলাদেশ পুলিশ তার দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের পর তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ শুধু আইন-শৃঙ্খলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে করোনা পরিস্থিতি সবক্ষেত্রেই সবার আগে এগিয়ে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় তীব্র দাবদাহের মধ্যে নিজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করছে পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা চলবে ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। এবারই প্রথম জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ প্রতিযোগিতা। অংশ নিচ্ছেন সারা দেশের পুলিশ সদস্যরা।

এদিকে, আজ থেকে সারাদেশে আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। চলতি মাসে এর আগে দুই দফায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বাংলাদেশ পুলিশ   দায়িত্ব   পালন   বদ্ধপরিকর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে এআই

প্রকাশ: ১২:১১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

‘জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নীতিমালা-২০২৪’ নামে এই নীতিমালার একটি প্রাথমিক খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে, যা দ্রুত চূড়ান্ত হবে। গুজব ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে সরকার।

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের পথে অন্যতম বাধা মিথ্যাচার, গুজবসহ নানা ধরনের সাইবার অপরাধ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমান ডিজিটাল যুগে তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে জীবনযাত্রা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়েছে। এর অভিনব ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সব ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন আসছে। ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ই-মেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও কল, ইন্টারনেট চ্যাট ও অন্য প্রযুক্তির সাহায্যে তাত্ক্ষণিক যোগাযোগ কিংবা তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন করে সংযুক্ত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিবাচক কার্যক্রমের পাশাপাশি বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে। এআইয়ের নেতিবাচক কাজের সুযোগ নিয়ে সাইবার অপরাধীরা গুজব ছড়ানোসহ বিভিন্ন অপরাধ করছে। ফলে জাতীয় স্বার্থে এর নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, এআইয়ের নেতিবাচক ব্যবহার ও ঝুঁকি কমানোর জন্য সরকার একটি এআই আইন প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে সরকার ২০২০ সালে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল প্রণয়ন করেছে। সেই কৌশলের আলোকে এত দিন এআই সম্পর্কিত বিষয়গুলো পরিচালনা করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে চাহিদা ও গুরুত্ব অনুধাবন করে এআই নীতিমালা প্রবর্তন করতে যাচ্ছে সরকার। এই নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে, যার প্রাথমিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

এআই নীতিমালার প্রাথমিক খসড়ার শুরুতে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গতিশীল যুগে বাংলাদেশও এটি গ্রহণ করতে চায়।

কেননা এআই শিল্প, অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামের ওপর প্রভাব ফেলছে, যার ফলে বিভিন্ন সেক্টরজুড়ে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন ঘটছে। তাই সম্ভাব্য ঝুঁকি কমাতে এবং এআইকে কাজে লাগানোর জন্য একটি কৌশলগত নীতি কাঠামোর প্রয়োজন।

সংশ্লিষ্ট আইসিটি কর্মকর্তারা জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এআই নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে প্রাথমিক পর্যালোচনা, বিচার-বিশ্লেষণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করেছে। এর মধ্যে সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার এবং গণমধ্যম ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে একটি অংশীজন সভা হয়েছে। সভায় সবার কাছ থেকে মতামত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ, উদ্ভাবন, সম্প্রসারণ ও সমন্বয়সাধন—এই চারটি বিষয়কে ওই নীতিমালা প্রণয়নে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে পড়েছে। এই প্রযুক্তির পজিটিভ ও নেগেটিভ দুই ধরনের প্রভাবই রয়েছে। তবে আমাদের এখানে অপব্যবহার বেশি হচ্ছে, যে কারণে নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।’

খুব দ্রুত এআই নীতিমালা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ব্যাপ্তি অনেক। এর যেমন ভালো দিক রয়েছে, তেমনি খারাপ দিকও আছে। তবে এআই প্রযুক্তি নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই। আমরা এর সুবিধাগুলো গ্রহণ করতে চাই।’


সাইবার   অপরাধ   নিয়ন্ত্রণ এআই  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাপী সব যুদ্ধ বন্ধের উদাত্ত আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়া-ইউক্রেনসহ বিশ্বে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন, ‘ইসরায়েল-ইরান ও ফিলিস্তিনির মধ্যকার যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব’।

সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

এর আগে, গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছালে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান। সফর ও আলোচ্য সূচি থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাওয়ুহুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সঙ্গে থাকবেন। আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানা গেছে।


বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিশুরা, ইউনিসেফের উদ্বেগ

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা-ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলেছে, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। তাপপ্রবাহের ফলে বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে। এ সময় হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়।

সারা দেশে তাপপ্রবাহের মধ্যে শিশুরা  উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, “বাংলাদেশজুড়ে দুঃসহ তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। সারা দেশে এই অসহনীয় তাপমাত্রায় শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

 বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েটের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে।

এতে বলা হয়, "অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। হিট স্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় এই বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।'

শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকার ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানায় ইউনিসেফ।

 


তাপপ্রবাহ   উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকি   শিশুরা   ইউনিসেফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের যথা সময়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল বেলা ১১টায় সব বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের উপস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

নির্দেশনাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব ডিসি ও এসপিদের পাঠানো হয়েছে।

অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চার ধাপের তফসিল ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। 
আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে। 
আপিল নিষ্পত্তি ১৬ থেকে ১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে এবং ভোট ৫ জুন। এই ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।


ডিসি   এসপি   ইসি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন