ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করলো পেনি ফর মেনি

প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২২


Thumbnail বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করলো পেনি ফর মেনি

সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা পেনি ফর মেনি। বন্যা দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার, নিরাপদ পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করেছে সংস্থাটি।

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকায় অসহায় প্রায় ২০০০ বানভাসি মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে।

ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির সমন্বয় করেন পেনি ফর মেনি'র সভাপতি জিসান রেহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ফজসালসহ সংস্থাটির অন্যান্য সদস্যরা।

পেনি ফর মেনি'র সভাপতি জিসান রেহমান বলেন, “যে অঞ্চলটি তার বাসিন্দাদের জন্য স্বর্গের মতো ছিলো সেটি এখন সৃষ্ট বন্যার কারণে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা তাহিরপুর, মধ্যনগর, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং অন্যান্য এলাকায় চারদিনের সফরে প্রায় ২০০০ জনের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। আমরা সত্যিই আনন্দিত যে আমরা আমাদের দেশের মানুষের কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়াতে পেরেছি।”

পেনি ফর মেনি'র সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ফজসাল বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বন্যা দুর্গত মানুষের কোনো বিকল্প নেই। তারা তাদের জীবনের জন্য লড়াই করছে। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে সেই মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।”

পেনি ফর মেনি বন্যা দুর্গতদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় কোরবানির কার্যক্রম পরিচালনা করার ঘোষণা দেয়। একই সাথে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর তাদের আরও কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানিয়েছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২

প্রকাশ: ১০:১৩ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কোদলধর এলাকার হিমালয় পেট্রোল পাম্পের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারাকান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

 

 

বিস্তারিত আসছে...


সড়ক দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে পৃথক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী এলাকা ও পাঁচবিবি রেলস্টেশন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, ক্ষেতলাল উপজেলার আটিদাশড়া গ্রামের আকবরের ছেলে জনি ও নীলফামারীর সৈয়দপুর এলাকার জয়নাল আবেদিনের ছেলে সেলিম হোসেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী তুলশীগঙ্গা নদীর সেতুর নিচে জনি নামে একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে তার মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারনা সেতু থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হতে পারে।

অন্যদিকে, ট্রেনে করে বাড়িতে ফিরছিলেন সেলিম নামে একজন। পথে পাঁচবিবি রেল স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রা বিরতি দিলে তিনি ট্রেন থেকে থেকে আখের রস খেতে যান। এরপর লাইন পার হওয়ার সময় অপর দিক থেকে আসা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়।


পৃথক দুর্ঘটনা   ট্রেনের ধাক্কা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১

প্রকাশ: ০৯:৫৭ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলার কানাইপুরের তেতুলতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত। আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় বাস-পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে চারজন সহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই ছিলেন পিকাপভ্যানের যাত্রী।

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, এ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।


সড়ক দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুবাইয়ের পথে নাবিকরা, শিগগির ফিরছেন দেশে

প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে মুক্ত করতে টানা এক মাস ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার, জাহাজ মালিকসহ, সংশ্লিষ্টরা। অবশেষে সেই চেষ্টা সফল হলো। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহসহ জাহাজটির ২৩ নাবিক। এজন্য দিতে হয়েছে মুক্তিপণ। কিন্তু কত টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত হলো এমভি আব্দুল্লাহ, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে চান না জাহাজ মালিকপক্ষের কেউই।

তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যথাযথ নিয়ম মেনেই মুক্ত করা হয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ। তবে সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, লেনদেন হওয়া মুক্তিপণের পরিমাণ ৫০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছে সোমালিয়ার গণমাধ্যম দ্য ডেইলি সোমালিয়া। দুই জলদস্যুর বরাত দিয়ে রোববার একই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এদিকে নাবিকদের মুক্তির খবরে স্বস্তি ফিরেছে ২৩ নাবিকের পরিবারে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজটি মুক্ত করা হয়েছে। এটি এখন আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে। সেখানে পণ্য খালাস করবে, আর নাবিকরা দেশে ফিরে আসবে শিগগির’।

এদিকে রোববার (২৪ এপ্রিল) সকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘টাকা-পয়সা কিংবা মুক্তিপণের সঙ্গে আমাদের কোনো ইনভলভমেন্ট নেই। টাকা দিয়ে জাহাজ ছাড়িয়ে আনা হয়েছে, এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখাচ্ছেন, এসব ছবির কোনো সত্যতা নেই। ছবিগুলো কোথা থেকে আসতেছে, কীভাবে আসতেছে, সেটা আমরা জানি না। আমরা তাদের (জলদস্যু) সঙ্গে নেগোসিয়েশন করেছি দীর্ঘদিন। এখানে মুক্তিপণের কোনো বিষয় নেই। আমাদের আলাপ-আলোচনা এবং বিভিন্ন ধরনের চাপ আছে। সেই চাপগুলোও এখানে কাজে দিয়েছে।’

তবে, কতজন ফিরবেন দেশে, এখনো আসেনি সিদ্ধান্ত সোমালিয়ান দস্যুদের হাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত ২৩ নাবিকই এমভি আব্দুল্লাহর সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথে রয়েছেন। আগামী ১৯ কিংবা ২০ এপ্রিল জাহাজটি আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এর পরই জানা যাবে, মুক্ত নাবিকদের মধ্যে কারা কারা জাহাজে থাকবেন এবং কারা আবুধাবি থেকে দেশে ফেরত আসবেন।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আবুধাবির আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর পর সিদ্ধান্ত হবে, মুক্ত নাবিকদের মধ্যে কারা জাহাজে থাকতে চান, কারা চান না। যারা আবুধাবি থেকে দেশে ফিরতে চাইবেন তাদের যাবতীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেশের আনা হবে।’

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা ২৩ নাবিক দেশে ফিরবেন বিমানযোগে। জাহাজটি আরব আমিরাতের দুবাই যাওয়ার পর সেখান থেকেই বিমানে উঠবেন তারা।

জলদস্যুদের কবল থেকে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হওয়ার আগেই নাবিকরা কে কোথা থেকে সাইন অফ (জাহাজের কর্ম থেকে অব্যাহতি) করবেন, তার তালিকা চূড়ান্ত করে রাখে জাহাজের মালিকপক্ষ। তাদের নির্দেশে এ ব্যাপারে ক্যাপ্টেনকে একটি তালিকাও দিয়েছেন নাবিকরা। সেই তালিকায় জাহাজের ২৩ নাবিকের মধ্যে ১৮ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকে সাইন অফ করবেন বলে জানিয়েছেন।

বাকি পাঁচজন জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে সাইন অফ করবেন বলে জানিয়েছেন। তার পরও নাবিকদের সবাইকে দুবাই থেকে এক যোগে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে জাহাজটির মালিকপক্ষ।

কেএসআরএম গ্রুপের ডিপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান রাহাত জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল; কিন্তু এর সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা হয়।

তিনি আরও জানান, মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিককে বিমানে চট্টগ্রামে নেওয়া হবে। চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা ফিরবেন স্বজনদের কাছে। আর উদ্ধার হওয়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ যাবে দুবাইয়ে। সেখানে ওই জাহাজে যোগ দেবেন নতুন নাবিকরা।

যেভাবে পৌঁছানো হয় টাকা মুক্তিপণ হিসেবে ডলারভর্তি তিনটি বস্তা পেয়ে জিম্মি ২৩ নাবিককে মুক্ত করে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ত্যাগ করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। গত শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি তারা ছেড়ে দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেএসআরএম গ্রুপের ডিপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান রাহাত।

জলদস্যুদের এক আবদিরাশিদ ইউসুফ রয়টার্সকে বলে, আমাদের কাছে দুই রাত আগে মুক্তিপণের অর্থ এসেছে। সেগুলো জাল কি না, তা পরীক্ষা করে দেখেছি। তারপর আমরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে সরকারি বাহিনীকে এড়িয়ে চলে যাই। সব নাবিকসহ জাহাজ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ডেইলি সোমালিয়া বলছে, মার্চে ভারত মহাসাগরে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর মুক্তি জন্য জলদস্যুরা ৫০ লাখ ডলার নিয়েছে বলে জানা গেছে। জলদস্যু পালিয়ে গেছে এবং পান্টল্যান্ড বাহিনী তাদের ধরতে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিন দিন বিলম্বে ঈদ এসেছে নাবিকদের ঘরে অক্ষত অবস্থায় সব নাবিকের মুক্তি পাওয়ার খবর শুনে জিম্মি থাকা নাবিকদের পরিবার এখন আনন্দে উদ্বেলিত। ঈদের তিন দিন পরই যেন প্রকৃত ঈদ আনন্দ এসেছে তাদের ঘরে। জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা আতিকুল্লাহ খানের মা শাহনুর আক্তার বলেন, ‘ঈদের তিন দিন পরেই যেন ঈদ এসেছে আমাদের ঘরে। আমার ছেলেসহ সবাই অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেয়েছে, এই খবর শোনার পর ভালো লাগছে সব। তারা এখন নিরাপদে দেশে ফিরলে টেনশন থেকে মুক্তি পাব।’

মালিকপক্ষের সংবাদ সম্মেলন এমভি আব্দুল্লাহ

এদিকে জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে অবস্থিত কেএসআরএম ভবনে সংবাদ সম্মেলনে করে জাহাজের মালিকপক্ষ। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) শাহরিয়ার জাহান রাহাত জাহাজটিকে ২৩ নাবিকসহ দস্যুমুক্ত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘পুরো ঘটনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোরভাবে মনিটর করেছেন। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এমভি আব্দুল্লাহকে উদ্ধারে বিদেশি যুদ্ধজাহাজ অভিযান চালাতে চেয়েছিল; কিন্তু আমরা বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চেয়েছি। আমাদের কাছে নাবিকদের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। যে কারণে আমরা অভিযানে সম্মত ছিলাম না। আমাদের সরকার কুইক রেসপন্স করেছে। পুরো ঘটনায় সাংবাদিকরা সহযোগিতা করেছে। আশা করছি, ১৯-২০ এপ্রিল জাহাজটি আমিরাত পৌঁছাবে। এরপর নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, জাহান মণির সময় আমাদের জ্ঞানের অভাব ছিল। তখন উদ্ধারে সময় বেশি লেগেছিল। এবার জাহাজ দস্যুদের কবলে পড়ার পর থেকেই আমরা জাহাজের লোকেশন ট্র্যাক করতে থাকি। যোগাযোগ শুরুর পর প্রতিদিনই দস্যুদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। গত দুদিন আগে আমাদের দাবি অনুযায়ী প্রত্যেক নাবিকের ভিডিও নিয়েছি। মুক্তিপণের প্রতিটি কাজ আইনগতভাবে করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে করা হয়েছে। কত ডলার সে বিষয়টি আমরা নানা কারণে বলতে পারছি না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সোমালিয়া, কেনিয়ার নিয়ম মানতে হয়েছে।

আবারও জলদস্যুদের হামলার শঙ্কা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরার পথে আবারও জলদস্যুদের কবলে পড়ার শঙ্কায় এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি স্পেন ও ইতালির নৌবাহিনীর স্কর্টে ভারত মহাসাগরের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ অতিক্রম করতে যাচ্ছে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’। সোমালীয় জলদস্যুদের অন্য কোনো গ্রুপ হামলা চালানোর শঙ্কায় এ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান মেরিন বিশেষজ্ঞরা।

কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) শাহরিয়ার জাহান রাহাত জানান, ‘ছয়টি যুদ্ধ জাহাজ ঘিরে রেখেছে এমভি আব্দুল্লাহকে। তারাও একটি মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। আমাদের মতো চারটি দেশের নৌবাহিনীর তাগিদ ছিল, যাতে তাড়াতাড়ি ওই ইস্যুটা সমাধান করা যায়। এ কারণে আল্লাহর রহমতে আমরা এ ইস্যুটা দ্রুত সমাধান করতে পেরেছি।’

কেএসআরএমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, আমেরিকার একটা কন্ডিশন আছে, একটি ডলার নিতে হলেও তাদের সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। ওটা আমাদেরও নিতে হয়েছে। এ ধরনের ইন্টারন্যাশনাল কাজে তাদের অনেক অ্যাসোসিয়েটের সমন্বয় করতে হয়।


কেএসআরএম গ্রুপ   এমবি আব্দুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনিকে দল থেকে অব্যাহতি

প্রকাশ: ১০:১৯ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হওয়ার পর তাকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত অব্যাহতির জন্য দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। ঈদের আগে ওই সুপারিশ পাঠানো হলেও বিষয়টি জানা যায় আজ ১৫ এপ্রিল। 

বড় মনির বিরুদ্ধে ঢাকার তুরাগ থানায় গত ২৯ মার্চ ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন এক নারী। এতে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। যে কারণে তাকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেয় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগ। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন এক নারী। পরে ভুক্তভোগী আত্মহত্যা করেন।

জানা গেছে, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বড় মনিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তা ছাড়া তার সই করা একটি চিঠি দলের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযমের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে পাঠানো হয়েছে। গত ৭ এপ্রিল এ চিঠি পাঠানো হয় বলে নেতারা আজ জানিয়েছেন।

দলীয় সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গোলাম কিবরিয়ার এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দলীয় ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং এ কারণে টাঙ্গাইলের সাধারণ জনগণ দলের প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ করছে। এমতাবস্থায় টাঙ্গাইল জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং সুনাম ও ভাবমূর্তি বজায় রাখার নিমিত্তে গোলাম কিবরিয়া বড় মনিকে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো এবং চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য আপনার নিকট সুপারিশ করা হলো। ’

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ সোমবার বলেন, ঈদের আগে দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে গোলাম কিবরিয়াকে চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সুপারিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পাওয়া যায়নি।

গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের ভাই। তার বিরুদ্ধে নতুন করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চলতি বছরের মার্চে। গত ২৯ মার্চ মধ্যরাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক কলেজ ছাত্রী। এর পর তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে রাতভর নানা নাটকীয়তা শেষে আসামিকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে অভিযোগ নেয় তুরাগ থানা পুলিশ।

গণমাধ্যমকে ভুক্তভোগী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র ধরে গত দুই মাস আগে বড় মনির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরার জমজম টাওয়ারে তাদের প্রথম দেখা হয়। এদিন রাতে আবারও রেস্টুরেন্টে দেখা করার কথা বলে ভুক্তভোগীকে তুরাগ থানাধীন প্রিয়াঙ্কা সিটিতে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে যান বড় মনি। সেখানেই তাকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করা হয়।

ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকে বলেন, উনি (বড় মনি) আমাকে অস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমি বারবার উনার কাছে মাফ চেয়েছি, যাতে আমার কোনো ভুল থাকলে আমাকে মাফ করে দেয়। তবু রেহাই মেলেনি।

৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও যে ভবনে ঘটনা, সেটির সিসিটিভি ক্যামেরাও জব্দ করে। তবে, ধর্ষণ মামলা দা‌য়েরের পরদিন থেকেই আত্ম‌গোপ‌নে র‌য়ে‌ছেন বড় ম‌নি।

এর আগে ২০২২ সালেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল টাঙ্গাইলের বড় মনির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ ছিল, গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনি ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগী।

পরে ওই নারী একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। আদালতের নির্দেশে ওই সন্তানের ডিএন এ পরীক্ষা করা হয়। এতে বলা হয়, ওই সন্তানের জৈবিক পিতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনি নন। এর কয়েক মাস পর ওই নারী আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে ওই নারীর বড় বোন লুনা মির্জা তার ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ পাল নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

একই বছরের ১৮ নভেম্বর বিকালে টাঙ্গাইল শহরের বোয়ালী এলাকা থেকে বড় মনিরের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলার ওই বাদীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আওয়ামী লীগ   বড় মনি   ধর্ষণ মামলা   টাঙ্গাইল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন