ইনসাইড বাংলাদেশ

লোডশেডিং: বিএনপি বনাম আওয়ামী লীগ শাসনামল

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১১ জুলাই, ২০২২


Thumbnail লোডশেডিং: বিএনপি বনাম আওয়ামী লীগ শাসনামল

১৯৯৬ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ সরকার। রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ পেয়েছিল মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট। চাহিদা তুলনায় অপ্রত্যুল। ফলে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। সর্বপ্রথম আইন করে বেরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয় এবং বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দেওয়া। ফলশ্রুতিতে কয়েক বছরের মধ্যেই ১৬শ’ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াটে পরিণত হয়। যা আগের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ। 

২০০১ সাল। রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ক্ষমতায় এসে পরবর্তী ৫ বছরে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন এক মেগাওয়াটও বাড়াতে পারেনি সরকার। উপরন্তু উৎপাদন কমে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে এসেছে। উৎপাদন না বাড়ার কারণে দেশে বিদ্যুৎ সংকট তীব্র আকার ধারন করে। এভাবে চলতে থাকলে ২০০৫ সালের রমজান মাসে লোডশেডিংয়ের পরিস্থিতি আরও চরম আকার ধারন করে। ঢাকা শহর জুড়ে শুরু হয় লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। বিদ্যুৎ সংকটের সে সময় উৎপাদনের কোন উদ্যোগ না নিয়ে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছিল তারেক রহমান ও তার বন্ধুরা। দেশে যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনই ছিল না তখন নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে মাইলের পর মাইল বিদ্যুতের খাম্বা আর তার লাগানো হয়েছিল। একমাত্র বিদ্যুৎ খাতেই ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও অপব্যয় হয়েছে। অথচ সারাদেশে বিদ্যুৎই থাকত না। এমনকি ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়ও বিদ্যুৎ থাকত না। ধৈর্য্য সীমা ছাড়িয়ে অবশেষে ক্ষুব্ধ হয় আপামর জনতা। শুধু বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণেই ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে হত্যা করা হয় ২০ জন সরলপ্রাণ গ্রামবাসীকে। সেপ্টেম্বরে দেশের ৪০টি জেলার সাধারণ মানুষের ওপর একযোগে হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াতের পেটোয়া বাহিনী। এভাবেই হত্যা ও খুনের রাজত্ব কায়েম করে দেশকে নৈরাজ্যের অন্ধকারে ডুবিয়ে দেয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।

২০০৯ সাল। দিন বদলের সনদ নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সারাবিশ্বে তখন ভয়াবহ মন্দা। এই ভয়াবহ অবস্থাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলেন দিন বদলের সনদ ২০২১ ‘রূপকল্প’। নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিলেন ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। প্রতিশ্রুতি রেখেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ঘরে পৌঁছেছে বিদ্যুত। এখন গোটা দেশে মোট জনসংখ্যার ৯৯.৭৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। গত ২১ মার্চ দেশের বৃহত্তম ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের পর দেশের শতভাগ জনগণকে বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


চলবে...

বিএনপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে হজ্জযাত্রীদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্জযাত্রীদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জাকের হোসাইন-এর সভাপতিত্বে এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাহিদ রায়হান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন। 

প্রশিক্ষণে শহরের মারকাজ মসজিদের খতিব মাওলানা হারুন আল মাদানী ও চাটখিল ইসলামপুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা হেলাল উদ্দিন হজ্জের ধর্মীয় বিধি-বিধান, হজ্জের গুরুত্ব ও তাৎপর্য র্শীষক আলোচনা, হজ্জ যাত্রীদের সাধারণ করণীয়, হজ্জের প্রশাসনিক গুরুত্ব ও পালনীয়সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন। 

এ বছর লক্ষ্মীপুর থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪১৭ জন হজ্জযাত্রী রেজিষ্ট্রেশন করেছেন।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যান ইউনুছ

প্রকাশ: ০৬:৪২ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। 

সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা হতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

মন্ত্রণালয়ে উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮–এর ধারা-৭ অনুযায়ী মোহাম্মদ ইউনুছকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর মেয়াদে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে এ অফিস আদেশ জারি করা হলো।

আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ চট্টগ্রামের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুছ বর্তমান চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষের স্থলাভিষিক্ত হবেন। চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম জহিরুল আলম দোভাষের মেয়াদ আজ শেষ হয়েছে। তিনি দুই দফায় পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিলেন। নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম জহিরুল আলম দোভাষকে প্রথম দফায় ২০১৯ সালে দুই বছরের জন্য এবং ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এর আগে নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামকে ২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল দুই বছরের জন্য চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। এরপর আরও পাঁচ দফায় তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মোট ছয় দফায় সব মিলিয়ে ১০ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। শেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আবদুচ ছালাম।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ   মোহাম্মদ ইউনুছ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ

প্রকাশ: ০৫:৪১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কখনও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট, কখনও পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে গত চার বছরে ১৪টি বিয়ে করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুরের মো. আবু সাঈদ। ৩০ বছর বয়সী সাঈদ বিয়ের পর সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তার নামে একাধিক মামলা হলেও দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক তিনি।

জানা গেছে, বারার স্টুডিও’র দোকান থেকে ফটোশপে দক্ষ সাঈদের প্রতারণার প্রধান অস্ত্র টিকটক, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যে নারী প্রতিষ্ঠিত, অর্থ সম্পদ আছে সেই নারীদের টার্গেট করে সাঈদ টিকটক ও ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলত। সম্পর্কের পর বিয়ে করে। পরে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান সাঈদ। 

ছোট বেলা থেকেই ধূর্ত আবু সাঈদ ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি গুরুদাসপুরের একটি ক্লিনিকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় আটক হয়ে গত ৪ বছর এলাকা ছাড়া। তবে ফেসবুক ও টিকটকে কখনও পাইলটের পোশাকে, কখনও পুলিশের পোশাকে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। পরিবারের সঙ্গে গত চার বছরে দেখা করতে আসেননি সাঈদ। তবে বিভিন্ন সময়ে দূর-দূরান্ত থেকে আবু সাঈদের স্ত্রী পরিচয়ে অনেক নারী তার সন্ধানে আসে। গত ঈদুল ফিতরের দিন সাঈদের সন্ধানে টাঙ্গাইল থেকে এসেছিলেন স্ত্রী দাবি করা খাদিজা আক্তার সাবিনা নামে এক নারী।

২০১০ সালে জামালপুরের মাউশি এলাকার বৃষ্টি বেগমকে বিয়ে করেন আবু সাঈদ। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে। ২০১২ সালে রাজশাহী শহরের সংগীত শিল্পী রিয়াকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০১২ সালে পাবনার চাটমোহর এলাকার কবিতাকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০১৩ সালে ঢাকার সাথীকে বিয়ে করেনস তিনি। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট টাঙ্গাইল সদর উপজেলা খাদিজা আক্তার সাদিয়াকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর নাটোরের লালপুর উপজেলার শাপলা খাতুনকে বিয়ে করেন সাঈদ।

২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরার মিতাকে বিয়ে করেন আবু সাঈদ। ২০২২ সালে টাঙ্গাইল মধুপুরের আইরিন আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের সুমি আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৩ সালে ঢাকার সাভারের তিশা আক্তারকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোয়ামনিকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২১ সালে মানিকগঞ্জ জেলার রানীকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৪ সালে ১৩তম স্ত্রী বরিশালের প্রিয়াংকাকে বিয়ে করেন তিনি। ১৪তম স্ত্রী ঠাকুরগাঁওয়ের আনারকলিকে বিয়ে করে তার সঙ্গে গাজীপুরে সংসার করছেন আবু সাঈদ।

পঞ্চম স্ত্রী খাদিজা আক্তার সাবিনা জানান, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কমার্শিয়াল পাইলট পরিচয়ে প্রায় আড়াই বছর আগে টিকটকে আবু সাঈদের সঙ্গে তার পরিচয় হয় । তখন তিনি জানিয়েছিলেন তার বাবা-মা কেউ নেই, এতিমখানায় বড় হয়েছেন। এরপর পেমের পর ১৫ লাখ টাকা দেন-মোহরে আমাদের বিয়ে হয়। টাঙ্গাইল সদরে আমার একটি বিউটি পার্লার ও একটি এনজিও পরিচালনা করি। বিয়ের পর আবু সাঈদ আমার দুই বোন ও এক ভাতিজিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাঈদ ৩০ লাখ টাকা চান, আমরা তাকে সেই টাকা দেই। কয়েকদিন পর আমার কাছ থেকে আরও ১০ লাখ টাকা নেন তিনি। কিছুদিন পরে তিনজনকেই নিয়োগপত্র দেন এবং বলেন তিন মাস পর চাকরিতে যোগদান করতে হবে।

তিনি বলেন, একপর্যায়ে সাঈদের আসল ঠিকানা এবং তার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি। তবে সাঈদ বুঝতে পেরেছিল আমি সব জেনে গিয়েছি। এমনকি চাকরির জন্য যে নিয়োগপত্র দিয়েছিল সেগুলোও ভুয়া ছিল। এ কারণে আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান সাঈদ। তারপর থেকে তাকে খোঁজার চেষ্টা করেও পাইনি। এ সব ঘটনায় টাঙ্গাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে সাঈদের নামে মামলা করেছি। সাঈদের সন্ধান করতে গিয়ে তার আরও চার স্ত্রীর খোঁজ পাই আমি। তাদের সবার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। সবার কাছ থেকেই বিয়ের পর বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে সাঈদ পালিয়ে গেছে।

সাঈদের চতুর্থ স্ত্রী দাবি করা এক নারী বলেন, আমি কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে চাকরি করি। তিন বছর আগে আমাদের টিকটকে পরিচয় হয়। এনএসআই কর্মকর্তার পরিচয়ে সে আমার সঙ্গে কথা বলতো। এরপর প্রেম ও বিয়ে হয় আমাদের। বিয়ের পর চাকরি করে জমানো প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সে। তখন থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ। আজ পর্যন্তও তার সন্ধান পাইনি।

একই কথা জানিয়েছেন সাঈদের আরও পাঁচ স্ত্রী।

সাঈদের প্রতিবেশী মাসুদ রানা বলেন, সাঈদ ফটোশপে নিজের ছবি এডিট করে পাইলট, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তার পরিচয় দেয়। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পোশাক পরে ছবি তুলে তা ফেসবুক ও টিকটকে পোস্ট করত। এতে সুন্দরী মেয়েরা অল্প সময়ে তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে যায়।

সাঈদের বাবা সোহেল রানা বলেন, সাঈদের জন্য কোথাও মুখ দেখাতে পারিনা। লজ্জা হয়, মাঝে মাঝে মরে যেতেও মন চাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েরা তার সন্ধানে আসে এবং ছেলের বউ হিসাবে পরিচয় দেয়। কিন্তু সাঈদের সঙ্গে গত চার বছরে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। পাশের গ্রামে সাঈদকে বিয়ে দিয়েছিলাম। সেই ঘরে ২টি সন্তান রয়েছে। ওই মেয়েটা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় করেছে। কিন্তু সাঈদ না আসায় বউমা এখন বাবার বাড়িতে চলে গেছে।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে ‘অতি উচ্চঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশে মাসজুড়ে চলা টানা তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যগত উচ্চঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশের শিশুরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। 

ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চঝুঁকিতে’ রয়েছে শিশুরা। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে শিশুদের জন্য। বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। হিটস্ট্রোক ও পানি শূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো, উচ্চতাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তানদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান এই তাপপ্রবাহসহ জলবায়ু পরিবর্তনের আরও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়। অস্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় আমাদের আগে শিশু ও সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে রাখার প্রতি নজর দিতে হবে।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশব্যাপী বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও ক্রমে তা তীব্র থেকে অতি তীব্র হয়ে উঠেছে। এমনিতে এপ্রিল বছরের উষ্ণতম মাস; তবে অন্যান্য যেকোনো বছরের চেয়ে অনেক বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে এবারের মাসটি। অসহনীয় গরমে এক পশলা বৃষ্টির জন্য হাঁসফাঁস করছে জনজীবন।

তাপপ্রবাহ   ইউনিসেফ   শিশু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কিশোরীকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail কিশোরীকে ধর্ষণ ও অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্ত মামুন হালদার

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়ন থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণেরর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব উদয়কাঠি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সামসুল উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মামুন হালাদার (২৮) কে বাকেরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

 

এবিষয়ে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

 

জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রবি পুর গ্রামে মামুনের নিকটতম এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।

 

এঘটনায় নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর বাবা প্রথমে বানারীপাড়া থানায় সাধারণ ডাইরি করেন। পরে মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানারীপাড়া থানা পুলিশ বাকেরগঞ্জ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং মামুন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।


এবিষয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাইনুল ইসলাম জানান, মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে বরিশাল আদালতে প্রেরণ এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।


ধর্ষণ   অপহরণ   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন