মন্তব্য করুন
বান্দরবানের রুমায় কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট)
সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সদরদপ্তরসহ একটি গোপন প্রশিক্ষণ ক্যাম্প দখল করেছে
সেনাবাহিনী। এ অভিযানের সময় আইইডি (ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণে একজন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
আন্তঃবাহিনী
জনসংযোগ পরিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, বান্দরবানের রুমা
উপজেলার ছিলোপি পাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার
(১ জুন) সেনাবাহিনীর একটি
টহল দল কেএনএফের (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট)
সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সদর দপ্তরসহ একটি
গোপন প্রশিক্ষণ ক্যাম্প দখল করে।
কেএনএফের
প্রশিক্ষণ ক্যাম্প এলাকার আশেপাশে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা সেনা জোনের
একটি টহল দল গোয়েন্দা
তথ্যের ভিত্তিতে ওই ক্যাম্পের উদ্দেশে
যায়।
কেএনএফ
প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের কাছাকাছি পৌঁছালে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি পালিয়ে যায়।
তবে আনুমানিক সকাল ৯টা ২০
ঘটিকায় সেনা টহল দলটি
সন্ত্রাসী কর্তৃক বিক্ষিপ্তভাবে পুঁতে রাখা আইইডি (ইমপ্রোভাইসড
এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে আহত একজন সেনাসদস্যকে
আশঙ্কাজনক অবস্থায় হেলিকপ্টারে দ্রুততার সঙ্গে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক তুজাম (বয়স-৩০ বছর)
মারা যান।
সাধারণ
জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত দলের মাধ্যমে এ
ধরনের আরও সম্ভাব্য আইইডি
শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয়করণ প্রক্রিয়া
চলছে। দেশমাতৃকার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদ
সেনাসদস্যের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে সেনাবাহিনী প্রধান গভীর শোক প্রকাশ
করেছেন ও তার পরিবারের
প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
আইএসপিআর
জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা
বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার
পাহাড়ি জনপদে ক্রমাগত হত্যা, অপহরণ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ইত্যাদি মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করে চলেছে। তাদের
এই মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।
এর আগে, ১৬
মে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সুংসুয়াং পাড়া এবং রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার জারুলছড়ির
মাঝামাঝি এলাকায় কেএনএফের পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণ ও গুলিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর
দুই সৈনিক নিহত ও দুই কর্মকর্তা আহত হন।
এ ছাড়া গত ১২
মার্চ বান্দরবানের রুয়াংছড়ির খামতাং পাড়া ও রনিনপাড়া মধ্যবর্তী কাটাপাহাড় এলাকায় একটি
মেডিক্যাল টিমের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের প্রস্তুতিকালে কেএনএর অতর্কিত গুলিবর্ষণে
সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন নিহত এবং দুই সেনা সদস্য আহত হন।
মন্তব্য করুন
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাল্যবিয়ে এবং শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে। শিশুদের বোঝাতে হবে কোনটি ভালো আর কোনটি খারাপ। কোমলমতি শিশুদেরকে মৌলবাদ থেকে সুরক্ষা দিতে হবে। তারা যাতে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তাদের জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। কমিশন স্বতন্ত্র সংস্থা হিসেবে মানবাধিকার সুরক্ষা ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল ১১ টায় শিশুর প্রতি সকল ধরণের সহিংসতা বন্ধ করতে এবং বাল্য বিবাহ মুক্ত দেশ গড়তে শিশু কল্যাণে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এই সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠান নিম্নলিখিত বিষয়ে একযোগে কাজ করবে:-
১. দেশব্যাপী শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারের জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ২০১৮-২০৩০ এর ভিত্তিতে বাল্যবিবাহ মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ,
২. স্থানীয় পর্যায়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটিকে পূর্ণরূপে কার্যকর করা,
৩. বাল্য বিবাহপ্রবণ পরিবারের জন্য বিকল্প জীবিকার সুযোগ তৈরি করা,
৪. বাল্যবিবাহ মুক্ত গ্রাম, ইউনিয়ন, মহল্লা প্রতিষ্ঠা করা,
৫. শিশু আইন- ২০১৩ এর আলোকে অনতিবিলম্বে বিধিমালা প্রণয়ণ করা,
৬. বাল্যবিবাহ বন্ধে সরকারের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০৩০ এর কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, এবং
৭. শিশু অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে শিশুর জন্য আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানাবিধকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য রাখেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার। অনুষ্ঠানটিতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কান্ট্রি ডিরেক্টর সুরেশ বারলেট, সিনিয়র ডিরেক্টর- অপারেশন্স, চন্দন জেড গোমেজ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর (অ্যাডভোকেসি) নিশাত সুলতানা।
শিশু সহিংসতা বন্ধ মানবাধিকার কমিশন ওয়ার্ল্ড ভিশন চুক্তি
মন্তব্য করুন
পাথর
উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়েছে
দেশের একমাত্র দিনাজপুরের পার্বতীপুর মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল)। মধ্যপাড়া পাথর
খনি থেকে গত মে
মাসে ১ লক্ষ ৩৮
হাজার মেট্রিক টনের উপরে সর্বোচ্চ
পাথর উত্তোলন করে খনির বর্তমান
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া—ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)।
মধ্যপাড়া
পাথর খনি পরিচালনা, উৎপাদন
এবং উন্নয়নে জিটিসি’এর সাথে দ্বিতীয়
দফা চুক্তির পর গত মে
মাসে খনি থেকে মাসিক
উৎপাদনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাকে আবারো ছাড়িয়ে পাথর খনির উৎপাদন
ইতিহাসে পাথর উত্তোলনের আরো
একটি নয়া মাসিক রেকর্ড
গড়ল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি।
গত ২০০৭ সালের ২৫
মে পাথর খনির নিজস্ব
ব্যবস্থাপনায় উত্তোলন শুরু হয়। এক
পর্যায়ে ৫০০ কোটি টাকার
বেশি লোকশানের বোঝা নিয়ে খনিটি
বন্ধের উপক্রম হয়। ইতিপুর্বে এক
মাসের মধ্যে এতো পরিমান পাথর
উত্তোলন করা কখনোই সম্ভব
হয়নি। বর্তমান চুক্তির সময়কালে ধারাবাহিকভাবে প্রায় প্রতিমাসেই জিটিসি পাথর উত্তোলনের নিজেদের
গড়া রেকর্ড দিয়ে নতুন মাইল ফলক
স্থাপন করে বর্তমান সরকারের
প্রতিশ্রম্নত আর্থ সামাজিক উন্নয়নে
অবদান রেখে চলেছে।
বর্তমান
সরকার ইতিপূর্বে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন
ব্যবস্থাপনায় লোকসানে চলা পাথর খনিটিকে
লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে গত ২০১৩
সালের ২ সেপ্টেম্বর জার্মানীয়া—ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর সাথে খনি
কতৃর্পক্ষের ব্যবস্থাপনা, রক্ষনাবেক্ষন, উৎপাদন এবং পরিচালনা চুক্তি
হয়। জিটিসি খনির উন্নয়ন ও
উৎপাদনকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে পাথর
উত্তোলন শুরু করে এবং
প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদে
বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা, অসহযোগিতাসহ নানা প্রতিকূলতার মাঝেও
জিটিসি গত ২০১৮—২০১৯
অর্থ বছর থেকে টানা
৪ অর্থ বছরে খনিটিকে
লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে। যাহার ফলশ্রম্নতিতে
পাথর উত্তোলনে জিটিসি’র এই সফলতার
পর প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদ
শেষে জিটিসি’র সাথে নতুন
করে আবারো খনি কতৃর্পক্ষের ২০২১
সালে ২৮ সেপ্টেম্বরে ৬
বছরের জন্য চুক্তি হয়।
দ্বিতীয়
দফা চুক্তির প্রথম বছরে নির্ধারিত সময়ে
বাৎসরিক উত্তোলনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশী পরিমান
পাথর উত্তোলন করে জিটিসি তাদের
সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে
উৎপাদনের মাসিক এই নতুন নতুন
রেকর্ড সৃষ্টির ফলে খনিটি বর্তমানে
সরকারের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার ফলে বিপুল পরিমান
বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। এবং প্রত্যক্ষ ও
পরোক্ষভাবে খনি সংশ্লিষ্ট এলাকার
জনগণের অর্থনৈতিক এবং জীবন মানের
প্রভুত উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সহযোগি হিসেবে মধ্যপাড়া পাথর খনির অবদান
অব্যাহত রাখতে খনি সংশ্লিষ্ট সকলের
সহযোগিতা পেলে জামার্নীয়া—ট্রেস্ট
কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর মাধ্যমে মধ্যপাড়া
পাথর খনি দেশের অর্থনীতির
একটি মডেল হবে বলে
মনে করেন সংশ্লিষ্ট সচেতন
মহল।
পার্বতীপুরের
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী আবু দাউদ মুহাম্মদ
ফরিদুজ্জামান বলেন, গত চার বছর
থেকে খনিটি লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। লাভের এ ধারা অব্যাহত
থাকবে বলেও আশা প্রকাশ
করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
মার্কিন নতুন ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কাজে যারা বাধা দিবে- অবাধ, সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে যারা অন্তরায় সৃষ্টি করবে, ভোট কারচুপি করবে কিংবা ভোট জালিয়াতি করবে- তাদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দিবে না। শুধু তাদেরকেই নয়, তাদের সন্তান এবং পরিবারের সদস্যরাও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। এই ভিসা নীতি গত ২৪ মে ঘোষণার পর- বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই ভিসা নীতির ফলে প্রশাসনের এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যারা উচ্চ পদে আছেন- তারা শঙ্কিত হবেন এবং তারা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলকেই জয়ী করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। তাদের ব্যক্তিগত সুবিধা এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে তারা একটি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করবেন। আর এ কারণেই নতুন ভিসা নীতির ফলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ তৈরি হবে বলে অনেকে মনে করছেন।
তবে আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রকাশ্যে, উভয় দলই এই ভিসা নীতিকে সমর্থন জানিয়েছে এবং উভয় দলই এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য রাখছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভিসা নীতির পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের ঘুম হারাম হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ভিসা নীতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা দিলে তার ভিসা রহিত করা হবে। কাজেই এর ফলে বিএনপির আন্দোলনের আর কোনো সুযোগ নেই, তাদেরকে নির্বাচনে আসতেই হবে। অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই ভিসা নীতি সরকারে জন্য লজ্জাস্কর। এই ভিসা নীতির ফলে সরকারের সামনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।
এরকম পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। সরকার এই ভিসা নীতির ব্যাপারে প্রকাশ্যে যাই বলুক না কেন, বাস্তবে এর তাৎপর্য বিশ্লেষণ করছে এবং এর প্রতিক্রিয়া কি ধরনের হতে পারে - সেটিও বোঝার চেষ্টা করছে। এর আগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তিনটি দেশে একই রকম ভিসা নীতি জারি করেছিল। নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং উগান্ডায় এই ভিসা নীতি জারি করেছিল। যদিও সেই ভিসা নীতি খুব একটা কার্যকর হয়নি। এখন বাংলাদেশে সেটি হবে কি না, সেটি যেমন দেখার বিষয়, তেমনি সরকারে পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এই ভিসা নীতিতে কারা প্রভাবিত হতে পারে। কাদের ঘর-বাড়ি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাদের সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করে।
এই ধরনের ব্যক্তিদেরকে নির্বাচন কার্যক্রম এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হবে বলে জানা গেছে। যেমন বর্তমান মন্ত্রী পরিষদ সচিব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। নির্বাচনে তিনি প্রশাসনকে নেতৃত্ব দিবেন। মন্ত্রী পরিষদ সচিবের দুই সন্তানের কেউই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকে না বা এই মন্ত্রী পরিষদ সচিবের যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ঘর-বাড়িও নেই। একইভাবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জাল হোসেন মিয়ারও কেউ যুক্তরাষ্ট্রে থাকে না এবং তারও এ ধরনের কোনো বিষয়-সম্পত্তি যুক্তরাষ্ট্রে নেই বলে জানা গেছে। বর্তমানে যিনি পুলিশ প্রধান আছেন, ইতিমধ্যে তিনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন। কাজেই নতুন ভিসানীতি তার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। একইভাবে বর্তমানে র্যাবের যিনি প্রধান, তিনিও এই মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় আছেন। এই ভিসা নীতির ফলে তিনিও আক্রান্ত হবেন না।
যাদের সন্তান-সন্ততিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করে বা যাদের সেখানে ঘর-বাড়ি রয়েছে- এমন প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের তালিকা সরকার তৈরি করছে এবং তাদেরকে তাদের স্বার্থের জন্যই নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরকার দূরে রাখতে চায়। এরকম একটি তালিকা শীঘ্রই সম্পন্ন হবে বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দ্বিতীয় বাড়ি যুক্তরাষ্ট্র সরকার
মন্তব্য করুন
পাওনা ৪৭ হাজার টাকার জন্য নওগাঁয় অটোরিকশা চালককে জবাই করে হত্যার ১০দিন পর দুই হত্যাকারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও বটি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(১ জুন) দুপুর ২টায়
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক সংবাদ সম্মেলন
করে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা
হলেন- নওগাঁ শহরের বাসীন্দা নুর-এ-ইসলাম
ওরুফে সেজান (৩৫), রাব্বি সরদার
(২৩) এবং আতিকুর (৩৩)।
পুলিশ
সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক জানান- নওগাঁ
শহরের সুলতানপুর মহল্লার বাসীন্দা অটোরিকশা চালক অতুল কুমার
সরকার (৪০)। গত
২১ মে রাতের কোন
এক সময় তাকে জবাই
করে হত্যা করে অজ্ঞাতরা। ঘটনার
পর মরদেহ উদ্ধার করা সহ থানায়
মামলা হয়। পরে তথ্য
প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (৩১ মে) রাতে
ঢাকা থেকে নুর-এ
ইসলাম, জেলার বদলগাছী থেকে রাব্বি সরদার
এবং তাদের সহযোগীতাকারি আতিকুরকে শহরের দয়ালের মোড় বউ বাজার
থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময়
তাদের দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও বটি
এবং অটোরিকশার ৫টি ব্যাটারি উদ্ধার
করা হয়।
হত্যাকান্ডের
রহস্য উন্মোচন করে তিনি আরো
বলেন, অটোরিকশা চালক অতুল কুমার
সরকার এর নিকট থেকে
আসামী নুর-এ ইসলাম
ও রাব্বি সরদার ৪৭ হাজার টাকা
পাওনা ছিল। অতুল পাওনা
টাকা পরিশোধ করতে না পারায়
তার অটোরিকশার ব্যাটারি নেওয়ার কৌশল করে তারা
দুইজন। গত ২১ মে
রাতের কোন এক সময়
তারা দুইজন কৌশলে অটোরিকশা সহ অতুলকে শহরের
বাইপাস সড়কের একটি ইটভাটার কাছে
ডেকে নেয়। সেখানে নুর-এ ইসলাম তাকে
বটি দিয়ে গলায় আঘাত
করে। অতুলকে পেছনে থেকে রাব্বি ধরে
থাকলে ছুরি দিয়ে শরীরের
বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়।
এসময় তার মৃত্যু নিশ্চিত
করতে একটি ইট দিয়ে
মাথার পেছনে আঘাত করা হয়।
তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে অটোরিকশার পাঁচটি
ব্যাটারি নিয়ে তারা চলে
যায়।
ঘটনার
পর থেকে তারা দুইজন
পলাতক ছিলো। পরে তথ্য প্রযুক্তির
সহযোগীতায় ঘটনার ১০দিন পর তাদের গ্রেফতার
করা হয়। হত্যার কাজে
ব্যবহৃত বটি আতিকুর কিনে
নেওয়ায় তাকে সহযোগী হিসেবে
গ্রেফতার করা হয়।
মন্তব্য করুন
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাল্যবিয়ে এবং শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে। শিশুদের বোঝাতে হবে কোনটি ভালো আর কোনটি খারাপ। কোমলমতি শিশুদেরকে মৌলবাদ থেকে সুরক্ষা দিতে হবে। তারা যাতে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তাদের জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। কমিশন স্বতন্ত্র সংস্থা হিসেবে মানবাধিকার সুরক্ষা ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’
মার্কিন নতুন ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কাজে যারা বাধা দিবে- অবাধ, সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে যারা অন্তরায় সৃষ্টি করবে, ভোট কারচুপি করবে কিংবা ভোট জালিয়াতি করবে- তাদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দিবে না। শুধু তাদেরকেই নয়, তাদের সন্তান এবং পরিবারের সদস্যরাও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। এই ভিসা নীতি গত ২৪ মে ঘোষণার পর- বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই ভিসা নীতির ফলে প্রশাসনের এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যারা উচ্চ পদে আছেন- তারা শঙ্কিত হবেন এবং তারা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলকেই জয়ী করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। তাদের ব্যক্তিগত সুবিধা এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে তারা একটি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করবেন। আর এ কারণেই নতুন ভিসা নীতির ফলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ তৈরি হবে বলে অনেকে মনে করছেন।