ইনসাইড বাংলাদেশ

যেভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় সুশীলরা

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৯ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail যেভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় সুশীলরা

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের বাংলাদেশ সফরের পর সুশীলরা এখন উল্লসিত। তারা মনে করছে, তারা ক্ষমতার সিঁড়ি পেয়ে গেছে। ক্ষমতায় যাওয়ার টানেলের আলো দৃশ্যমান বলেও সুশীল সমাজের কেউ কেউ উল্লাস প্রকাশ করছেন। এ উল্লাস দেখা যায় সুশীল সমাজ নিয়ন্ত্রিত দুটি প্রথম শ্রেণীর দৈনিকে। একটি বাংলা এবং একটি ইংরেজি, এই দুইটি দৈনিকে এ নিয়ে সম্পাদকীয় লেখা হয়েছে এবং তাতে বলা হয়েছে যে, মিশেলের যে প্রস্তাব তা অগ্রাহ্য করলে তাতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। অন্যদিকে, দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম তার থার্ড ভিউতে বলেছেন যে, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের পরামর্শগুলো খুব ইমর্পোটেন্ট, এগুলো বাস্তবায়ন করুন। তিনি তাঁর কলামে এটিও বলেছেন, যেকোনো সরকারই আত্মসমালোচনার জন্য ক্ষমতা হারায়নি। এই বক্তব্য গুলো থেকে বুঝা যায় যে, সুশীলরা যেভাবে প্রত্যাশা করেছিলো ঘটনা সেভাবেই ঘটেছে। সুশীলরা এখন ক্ষমতার টানেলে প্রবেশ করেছে। ক্ষমতায় যাওয়ার পথের সন্ধান তারা পেয়েছে বলেই কেউ কেউ মনে করছেন। কিভাবে সুশীলরা ক্ষমতায় যেতে চায়? সুশীল সমাজের একাধিক প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে দেখা গেছে, তারা পাঁচটি সিঁড়ি অতিক্রম করে ক্ষমতার মসনদে বসার পরিকল্পনা করছে।

এই ৫টি সিঁড়ির প্রথমটি হলো, দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে জনমনে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করা। দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে ইতোমধ্যে সুশীল সমাজ প্রচন্ডভাবে মাঠে নেমেছে এবং বিরামহীনভাবে তারা বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট ভয়ঙ্কর হয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি কথাবার্তা গণমাধ্যমে বলছে। সরকার যে বিপুল পরিমাণ টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রের অনুমতি দিয়েছে সেই সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনগুলো এখন সুশীল সমাজের পদভারে মুখরিত। তাদের কথাই এখন প্রধান শিরোনাম হিসেবে দেশের প্রায় সব মূলধারার গণমাধ্যমে উঠে আসছে। যদিও বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে উন্নত বলছে। এমনকি, গতকালও বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের কোনো খাদ্য সংকট হবেনা। কিন্তু সুশীলরা যেকোনো ভাবেই বাংলাদেশকে অসুস্থ বানানোর এক মিশনে নেমেছেন। লক্ষণীয় যে, সুশীলরা বারবার করে বলছেন যে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট দৃশ্যমান হবে আগামী দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে। অর্থাৎ নির্বাচনের আগে দেশ রসাতলে, এই একটি আওয়াজ যেন সর্বব্যাপী হয় তার নিশ্চিত করার কাজ করছে সুশীল সমাজ।

সুশীল সমাজের দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো, সবগুলো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। বিএনপির সঙ্গে সুশীলদের কথাবার্তা হচ্ছে। বিএনপিকে তারা কিছু না করে নির্বাচন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এখন জাতীয় পার্টির সঙ্গেও সুশীলদের কথা হয়েছে এবং জাতীয় পার্টি এখন ভিন্ন সুরে কথা বলছে। জিএম কাদেরের সঙ্গে একাধিক সুশীল প্রতিনিধি এমনকি ড. ইউনূসের কথা বলার খবর পাওয়া গেছে এবং তারা জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য বলেছে। সুশীলদের কৌশল হলো দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে এই নির্বাচনে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। তার ফলে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিকভাবে নানারকম স্যাংশন এবং চাপ আসতে পারে।

ক্ষমতায় যাওয়ায় সুশীলদের তৃতীয় সিঁড়ি হলো যে, তারা যেকোনো মূল্যে মানবাধিকার পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত করতে চায়। বাংলাদেশের মানবাধিকার গভীর সংকটে, গুম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা মানবাধিকারের বক্তব্যগুলো দীর্ঘদিন ধরে সুশীলরা যেটা দিচ্ছিলো তা এখন পুঞ্জিভূত হয়েছে মিশেল ব্যাচেলেটের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে। সুশীলরা মনে করছে যে, জাতিসংঘ যে পরামর্শগুলো দিয়েছে, সেই পরামর্শ সরকার গ্রহণ করবে না। আর সরকার যদি এই পরামর্শগুলো গ্রহণ না করে, সেক্ষেত্রে সুশীলরাই লাভবান হবে। তখন জাতিসংঘ বাংলাদেশের ওপর নানা রকম চাপ প্রয়োগ করা অব্যাহত রাখবে। যেটি সরকারকে নির্বাচনের আগে বিব্রত করবে।

চতুর্থত, রাজনৈতিক সহিংসতা। দেশে যেন একটা রাজনৈতিক সহিংসতা তৈরি হয়, সেজন্য সুশীলদের নিয়ন্ত্রিত রাজনীতিবিদদেরকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে। তারা নানা রকম কথাবার্তা, বিতর্ক তৈরি করে রাজনৈতিক উস্কানি দেয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, বিরোধী দল যদি আন্দোলন করতে চায় তাদেরকে বাধা দেওয়া হবে না। কিন্তু সুশীলদের যে নেটওয়ার্ক সে নেটওয়ার্কে তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড গুলোকে অব্যাহত যদি রাখে, তাহলে ভবিষ্যতে যে আওয়ামী লীগ-বিএনপির রাজপথে লড়াই হবে না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।

পঞ্চম, নির্বাচন ভণ্ডুল এবং ক্ষমতা আহরণ। সুশীলদের ক্ষমতা আহরণের শেষ ধাপ হলো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা। যদি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ না করে এবং নির্বাচনের আগে যদি সহিংসতা দানা বেঁধে ওঠে, তাহলে জাতিসংঘ হস্তক্ষেপ করবে এবং তখনই সুশীলদের ক্ষমতায় যাওয়ার দরজা খুলে যাবে বলে সুশীল সমাজ মনে করছে। এই পরিকল্পনায় এগুনো সুশীলদেরকে সরকার কিভাবে হারাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেলেন অপহৃত সেই দেলোয়ার

প্রকাশ: ১০:৪৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হব, এমনটা কখনোই ভাবিনি। তাই শুধু এটুকুই বলব, আমি মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি। জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। 

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মিরপুরে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুরে একটি ছাত্রী হোস্টেলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯)। তিনি মিরপুর বাংলা কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী ছিলেন।

জানা গেছে, রাদিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।

মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলি করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।

মুনতাসির রহমান নামে একজন ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস একজন ট্রান্সউইমেন। হোস্টেলের ৬ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এটা আত্মহত্যা নয়, এটা হত্যা। এর পিছনে দায়ী পরিবার, সমাজ, দেশে বিরাজমান ট্রান্সফোবিয়া, ঘৃণা, হয়রানি, আক্রমণ। এর দায় আপনাদের নিতে হবে।

এদিকে, মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে।

জানা গেছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মিরপুর ১০ মহুয়া মঞ্জিল ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ৬তলা থেকে ছাত্রী রাদিয়া লাফিয়ে নিচে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিরপুর মডেল থানার এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, রাদিয়া তেহরিন ব্যতিক্রম হোস্টেলে থেকে মিরপুর বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আজকে ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ছয়তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যান রাদিয়া। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণসহ বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্রান্সজেন্ডার নারী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৫ প্রার্থীর জয়

প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে  চেয়ারম্যান হিসেবে সাতজনসহ বিভিন্ন পদে মোট ২৬ জন  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

সোমবার প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের তথ্য জানান।

ইসির কর্মকর্তারা জানান প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান; বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান; কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান; কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান; রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান; কাউখালীতে (রাঙ্গামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান; চুয়াডাঙ্গার ডামুড়হুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা।

প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে সোমবার ভোটের মাঠ থেকে সরে যান ১৯৮ জন প্রার্থী।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৮৫ উপজেলার ভোট হবে চার ধাপে।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপি একরামুলকে বহিষ্কারের দাবি জেলা আওয়ামী লীগের

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা।

মঙ্গলবার (, ২০২৪ এপ্রিল) জয়পুরহাট জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে 'জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি'র মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সেলিম রেজা বলেন, তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এ  ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন ভুয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে এবং মীমাংসার নামে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ আদায় করছে। এসব সংগঠন থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ইতিহাস। ১৯৭৫ এর আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করা ছিল ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত।


 অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা। কমিশনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন 

সভায় আরও উপস্থিতি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম ও উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন