শিশুদের করোনা টিকাদানের প্রথম দিন আজ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ২১ স্কুলে ১৮ হাজার ৭ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫টি স্কুলের ১৩ হাজার ৯৭২ জন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬টি স্কুলের ৪ হাজার ৩৫ শিশু টিকা পাবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যেসব স্কুলে টিকা দেওয়া হবে, সেগুলো হলো-আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোন-১, উত্তরা গার্লস হাই স্কুল জোন-১, পল্লবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-২, সেনপাড়া পর্বতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-২, আমতলী স্টাফ ওয়েলফেয়ার বিদ্যালয় জোন-৩, মহাখালী আব্দুল হামিদ দর্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-৩, হাজি ইউসুফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-৪, কিশলয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-৪, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-৫, বটমলি হোম বালিকা বিদ্যালয় জোন-৫, কুর্মিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-৬, দক্ষিণখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-৭, ফায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-৮, ডুমনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-১ ও সাতারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন ১০।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্কুলগুলো হলো নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-১, বঙ্গভবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-২, আজিমপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-৩, সুরিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-৪, করাতিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন-৫ ও মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
দ্বিতীয় ডোজ আট সপ্তাহ পর: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ডোজের আট সপ্তাহ বা ৫৬ দিন পর শিশুদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হবে। পাবে শিশুদের উপযোগী করে বিশেষভাবে তৈরি ফাইজার টিকা প্রতি ডোজে শূন্য দশমিক ২ এমএল পরিমাণ। টিকা নিতে হলে অবশ্যই সুরক্ষা ওয়েবপোর্টা বা অ্যাপের মাধ্যমে ৫-১১ বছর বয়সসীমার শিশুদের নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনে ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন নাম্বার ব্যবহার করতে হবে।
অধিদপ্তর আরও জানায়, যেসব শিশুর জন্ম সনদপত্র নেই, তাদের জন্মনিবন্ধন করাতে হবে। বিদেশি পাসপোর্টধারী শিশুদের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করার আগে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারিত ছকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। টিকার জন্য কেন্দ্রে টিকা নিবন্ধন কার্ড দেখাতে হবে। একইভাবে পরে স্কুল বহির্ভূত শিশুরাও টিকা পাবে।
মন্তব্য করুন
যুদ্ধের বাকি দিনগুলোর মতো এদিনও পাক বাহিনীর তাণ্ডবলীলা চলছিল। অন্যদিকে বাঙালীরাও তাদের যৎসামান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাক বাহিনীকে প্রতিহত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকায় নৃশংস গণহত্যার রেশ কাটেনি; শহর ছেড়ে গ্রামের পথে মানুষের ঢল। যারা পারছেন, সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। পথচারীদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে।
একাত্তরের ২৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে বিছিন্নভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাগুলি হয়। বৃহত্তর ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং সিলেটে মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় উদ্বেগে পড়ে হানাদারেরা।
সন্ধ্যায় ঢাকা সেনানিবাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে হেলিকপ্টারে করে তেজগাঁও বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। রাতে সামরিক বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে তাকে করাচি নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সহচর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ ঢাকা থেকে ফরিদপুর পৌঁছান।
২৯ মার্চ রাতে ঢাকায় একশর মত বাঙালি ইপিআর সদস্যকে পাকিস্তানি সেনারা প্রেসিডেন্ট হাউস থেকে তিনটি দলে ভাগ করে রমনা কালীবাড়ির কাছে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
১৯৭১ সালের এদিন রাত দেড়টার দিকে আইনসভার সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে কুমিল্লার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সেনারা। তাকে ও তার ছেলে দিলীপ কুমার দত্তকে আর কখনো পাওয়া যায়নি।
বিপ্লবী স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে ‘বিপ্লবী’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। এদিন স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে তিন বেলায় তিনটি অধিবেশন প্রচার করা হয়। মুক্তিকামী জনতার বাতিঘরের রূপ নেয় এই বেতার কেন্দ্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানি বিমান বাহিনী। হামলায় শহীদ হন একজন মুক্তিযোদ্ধা। সন্ধ্যায় মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশে নিহত হয় পাক বাহিনীর একটি দল।
মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভৈরব ও নরসিংদীর মধ্যে রেললাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
চুয়াডাঙ্গায় থেকে মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ইপিআর, আনসার, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বাহিনী কুষ্টিয়ায় পাকিস্তানি সেনাদের ওপর হামলা করে। পাকিস্তানি বাহিনী মর্টার, মেশিনগান নিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালালে মুক্তি বাহিনী তিনভাগে ভাগ হয়ে আক্রমণ চালায়।
মুক্তিযোদ্ধাদের সফল অভিযানে ৪০ জন পাকিস্তানি সৈন্য পাবনা থেকে গোপালপুরের পথে নিহত হয়। জীবিতদের অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে রাজশাহীর দিকে যাওয়ার পথে প্রাণ হারায়।
ময়মনসিংহে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল ব্যাটালিয়নের অফিসার এবং সৈনিকদের টাউন হলে একত্রিত করে বাংলাদেশের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মেজর কে এম সফিউল্লাহ।
পাকিস্তানি বাহিনী চট্টগ্রাম সেনানিবাসের বাইরে এসে মেডিকেল কলেজ ও নিকটবর্তী পাহাড়ে সমবেত হয়। সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তানিরা প্রথম আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনী সেই আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয়।
বিদ্রোহ মুক্তিযুদ্ধ সেনাবাহিনী
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
যুদ্ধের বাকি দিনগুলোর মতো এদিনও পাক বাহিনীর তাণ্ডবলীলা চলছিল। অন্যদিকে বাঙালীরাও তাদের যৎসামান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাক বাহিনীকে প্রতিহত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকায় নৃশংস গণহত্যার রেশ কাটেনি; শহর ছেড়ে গ্রামের পথে মানুষের ঢল। যারা পারছেন, সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। পথচারীদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।