ইনসাইড বাংলাদেশ

বরগুনায় মাসব্যাপী শিশু মেলা শুরু

প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail বরগুনায় মাসব্যাপী শিশু মেলা শুরু

বরগুনা জেলা জুড়ে পুঁথিপাঠ, লোকজ সঙ্গীত ও বাশিঁর সূরের মূর্ছনায় কবিতাবৃত্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী  শিশু আনন্দ মেলা।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন বরগুনা -১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু এমপি। 

জানা যায়, করোনা অতিক্রান্ত শিশুদের বিনোদন ও বরগুনা প্রেসক্লাবের চতুর্থ তলায় অডিটোরিয়াম নির্মাণের লক্ষে এ মেলার আয়োজন করেছে ঐতিহ্যবাহি বরগুনা প্রেসক্লাব। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, বরগুনার জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান,  জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবীর,  পুলিশ সুপার মোঃ আবদুস সালাম, বরগুনার পৌরসসভার মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম।
 
বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সনজিব দাস বলেন, বরগুনায় শিশুদের বিনোদনের জন্য কোনো পার্ক নেই। করোনার মধ্যে প্রায় তিনবছর শিশুরা স্কুলেও যেতে পারেনি।  আমরা করোনা অতিক্রান্ত শিশুদের বিনোদনের জন্য এ মেলার আয়োজন করেছি। এর পাশাপাশি মেলার আয়ের টাকায় বরগুনা প্রেসক্লাবের চতুর্থ তলায় অডিটোরিয়াম নির্মান করা হবে। আমরা জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহায়তায় মেলাটি আয়োজন করেছি। 

বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ বলেন, শিশুদের বিনোদনের পাশাপাশি মাসব্যাপি আমাদের আয়োজনে মুলত লোকজ সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।  বাউল ও জারি সারি   ও পালাগান,  যাদু, কৌতুক অভিনয়, মঞ্চ নাটকসহ হারিয়ে যাওয়া নানা ধরণের লোকজ সংস্কৃতির তুলে ধরবো। আমরা আশা করি ভিন্নধর্মী এমন মেলা সবার মাঝে সাড়া ফেলবে।

বরগুনা   মাসব্যাপী   শিশু মেলা   শুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কিভাবে নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেই পরিষ্কার হবে সব

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন। দেশে ফেরার পরেই আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, সরকার কি বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আনার জন্য কোনো উদ্যোগ নেবেন কিনা? 

প্রতিবার নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে গণভবনে চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া সেই চায়ের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেন। আর ২০১৮ নির্বাচনে ড. কামাল হোসেন যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করতে চান তখন সেই আলাপের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে তিনি বৈঠক করেন এবং এই বৈঠকের মাধ্যমেই সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালে। এবার যদিও এখন পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে সংলাপের কোন সম্ভাবনা দেখছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে বিভিন্ন মহল মনে করছেন, এখনো চমকের অনেক কিছু বাকি আছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে এই ব্যাপারে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনের আগে তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আহ্বান জানাবেন এবং সকল দলকে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করবেন। কারণ আন্তর্জাতিকভাবে তিনি প্রমাণ করতে চাইবেন যে, সরকার একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে আন্তরিক এবং সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে এই নির্বাচন করার ব্যাপারে আগ্রহী। এই প্রমাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী কি উদ্যোগ নেন সেটি দেখার বিষয়।

নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারেও এক ধরনের অস্পষ্টতা রয়েছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে থাকা সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কথা বলেছিলেন এবং সেই সরকারে বিএনপিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় দেওয়ারও প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় বিএনপি ওই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। বরং তারা নির্বাচন বর্জনের পথে হাঁটে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরকে রেখেছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অবশ্য তিনি কোনো নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করেননি। বরং যে সরকার ছিল সেই সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারে পরিণত হয়েছিল। এবার প্রধানমন্ত্রী কি করবেন? 

ইতিমধ্যে একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি সংসদে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ইঙ্গিত করেছেন। তবে তা চূড়ান্ত নয়। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর আসলে নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারটি চূড়ান্ত হবে। এটি নির্ভর করবে নির্বাচনে কারা অংশগ্রহণ করছে, কিভাবে নির্বাচন হচ্ছে তার ওপর। এখন পর্যন্ত নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে সরকারের লোকজনই ধোঁয়াশার মধ্যে আছেন। তারা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে নির্বাচনকালীন সরকার কিভাবে হবে এটি চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কিছুটা বিভ্রান্ত। তাদের কেউ কেউ মার্কিন সমালোচনা করছেন আবার কেউ কেউ এই ভিসা নীতি বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব কিভাবে বিএনপির বিপক্ষে তা যুক্তি তর্ক দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তবে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। তিনি ইতিমধ্যে এ সম্পর্কে কিছু কিছু বার্তা দিয়েছেন। তিনি যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করছেন তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য তিনি কথা বলছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেসম্যানদের সাথেও কথা বলেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই বিষয়টি এখন পর্যন্ত গণমাধ্যমে আসেনি। সবকিছু মিলিয়ে মার্কিন নীতি কি হবে আগামী নির্বাচনের আগে তা প্রধানমন্ত্রী আসার পরেই পরিষ্কার হবে। আর এই সমস্ত বিষয়গুলো পরিষ্কার হলেই আগামী নির্বাচন কিভাবে হবে এবং নির্বাচনে বিরোধী দলের আন্দোলন, বাধা কিভাবে সরকার অতিক্রম করবে ইত্যাদি বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

নির্বাচন   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   লন্ডন   আন্দোলন   নির্বাচনকালীন সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ, যা বললেন পিটার হাস

প্রকাশ: ০৮:১৯ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের বিষয়ে সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে একটি চিঠি দিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। সেই চিঠির জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার জন্য তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

সাংবাদিকদের অধিকার ও সংবাদমাধ্যমের মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগের বিষয়েও একই ধরনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে। পিটার হাস বলেন, ‘এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যেকোনো সরকারের সমালোচনামূলক মতামত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, আমরা আমাদের নীতির যেকোনো উপাদানে জনসাধারণের প্রতিফলনকে স্বাগত জানাই’। 


সম্প্রতি দেশের একটি চ্যানেলে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মন্তব্য ‘মিডিয়াও মার্কিন ভিসানীতির আওতায় আসতে পারে’ বিষয়ে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনামের চিঠির জবাবে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

শনিবার সম্পাদক পরিষদ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব জানানো হয়। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম এতে স্বাক্ষর করেন। ২৪ সেপ্টেম্বর প্রচারিত সেই সাক্ষাতকারে পিটার হাস বলেছিলেন, আমরা ভিসানীতিটি ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে প্রয়োগ করছি। এটি সরকার, বিরোধী দল, আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ, মিডিয়ায় থাকা যে কারো বিরুদ্ধেই হতে পারে।  এই বছরের ২৪ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করে এবং ২২ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয় যে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

২৭ সেপ্টেম্বর পিটার হাসের কাছে ই-মেইলে পাঠানো চিঠিতে মাহফুজ আনাম বলেন, মিডিয়ার ভিসা বিধিনিষেধ নিয়ে উল্লিখিত মন্তব্য নিয়ে তার মনে ও সম্পাদক পরিষদের সদস্যদের মনে কিছু প্রশ্ন জেগেছে বলেই তিনি লিখছেন। সত্যি বলতে, এই মন্তব্যটি আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে এবং তাই এর ব্যাখ্যার জন্য অনুরোধ করা হলো। 

জবাবে পিটার হাস লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। যারা এর বিরুদ্ধে কথা বলবে এবং যারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করতে চায় তাদের জন্য মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করবে। তিনি স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে উল্লেখ করে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব প্রত্যেকের- ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়ার।

হাস বলেন, ‘সবাই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটিকে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তাদের নিজ নিজ ভূমিকা পালন করার অনুমতি দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেনের বিবৃতিটি স্পষ্ট যে, নীতিটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে বিশ্বাস করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য। ’

পিটার হাস যোগ করে বলেন, এর মধ্যে যে কেউ মিডিয়াকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখার ব্যবস্থা নেয় তারাও অন্তর্ভুক্ত। 

সম্পাদক পরিষদ   পিটার হাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশ: ০৬:২৫ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

১৩ দিন যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা। স্থানীয় সময় শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসির ডুলাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে লন্ডনের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের (বিএ-২৯২) বিমানটি ছেড়ে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ডুলাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, ডা. মাসুদুর রহমান, হাজি এনাম, আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহানারা রহমান, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের দলীয় নেতাকর্মীরা এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

লন্ডনে চার দিনের এই যাত্রাবিরতিতে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাজ্য সফরকালে লন্ডনে সোমবার প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায়ও যোগ দেবেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছান। ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগদানের পর নিউইয়র্ক থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ৪ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।

লন্ডন   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কখন কেন আরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন যেকোনো ব্যক্তির উপর যে কোন সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। গত ২৪ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যে ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয় তা ইতোমধ্যে কার্যকর শুরু হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর কয়েকজনের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ম্যাথিউ মিলার সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, যেকোনো সময় যেকোনো ব্যক্তির উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আবার প্রয়োগ করা হতে পারে। 

কেন কিভাবে কখন এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে এই সম্পর্কে কূটনৈতিক সূত্র থেকে খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। একাধিক কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেকোন সময় ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করতে পারে। কেন এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হতে পারে? সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে নুতন ভিসা নীতি যেটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘোষণা করা হয়েছে তা ৫টি কারণে যেকোনো ব্যক্তির উপর প্রযোজ্য হতে পারে:

১. তিনি যদি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হতে পারে এমন কোনো বক্তব্য রাখেন: ধরা যাক কেউ বললেন যে, বিএনপি আসুক না আসুক নির্বাচন হবেই। নির্বাচন ঠেকানো যাবে না। আগামী নির্বাচনেও আমরা জয়ী হবো। এই এ ধরনের বক্তব্য দিলে তা নতুন ভিসা নীতিমালার আওতায় আসতে পারে এবং ওই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।

২. কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান করে: ধরা যাক কোন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা বা উর্ধ্বতন সরকারি আমলা কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা অথবা বিচার বিভাগের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যদি এমন কোনো কর্মকান্ড করেন যা একটি বিশেষ দলকে বা ক্ষমতাশীল দলকে সমর্থন করে কিংবা যার ফলে ক্ষমতাসীন দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাভবান হয়, সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

৩. নির্বাচন কমিশন যদি যথাযথ ভূমিকা পালন না করে: নির্বাচন কমিশন যদি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে যথাযথ ভূমিকা পালন না করে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন বা ক্ষমতাশীল দল বা অন্য কারোর পক্ষে কাজ করছেন, সেক্ষেত্রে তার জন্য ভিসা নীতি প্রযোজ্য হতে পারে। 

৪. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ করে বা কোনো রাজনৈতিক দলের উপর চড়াও হয়, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার বাধাগ্রস্ত করার জন্য কাজ করে তাহলে সেক্ষেত্রে তার উপরও যেকোন সময় ভিসানীতি আরোপ করা হতে পারে।

৫. যদি বিরোধী পক্ষকে দমন করা হয়: বিরোধী পক্ষের উপর যদি দমন নীতি পরিচালনা করা হয়, যে সমস্ত দমন নীতির কারণে তারা নির্বাচনে যেতে অনাগ্রহী হয়ে ওঠে এবং তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করা হয়, সেক্ষেত্রেও মার্কিন ভিসা নীতি আরোপ করা হতে পারে। 

এই সমস্ত কারণে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হতে পারে বলে বিভিন্ন কূটনীতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে। 

কিভাবে ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে? 

সাধারণত এ ধরনের অভিযোগ প্রাপ্তির পর মার্কিন দূতাবাস এ ধরণের কোনো ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর এ ব্যাপারে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত করে, সত্যতা যাচাই করে। প্রকৃত অর্থে এ ধরনের বক্তব্য তিনি দিয়েছেন কিনা এবং এই ধরনের বক্তব্যের ফলে নির্বাচন কিভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে, সেটি যাচাই বাছাই করেন এবং যাচাই বাছাই করার পর যদি এই ধরনের বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ভিসা নিতে প্রয়োগ করা হয়।

কখন ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে?

যখন এই অভিযোগ প্রমানিত হবে যে ওই ব্যক্তি বা ওই প্রতিষ্ঠান এমন কোনো কর্মকান্ড করেছেন, বক্তব্য রেখেছেন বা কোনো বিষয়ে এমন কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন যে ওই প্রতিক্রিয়ার কারণে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্থ হতে পারে, তাহলে তার জন্য এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিক ভাবেই প্রয়োগ করা হবে।

ভিসা নিষেধাজ্ঞা   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিএমপির নতুন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন হাবিবুর রহমান

প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নতুন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির হেডকোয়ার্টার্সে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

ডিএমপি জানিয়েছে, সুদীর্ঘ ৩২ বছর ৮ মাসের চাকরি জীবনের ইতি টেনে অবসরজনিত ছুটিতে যাচ্ছেন সদ্য বিদায়ী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। আজ ডিএমপিতে দায়িত্ব হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তার দীর্ঘ চাকরি জীবনের কর্মযজ্ঞ।

একই সময়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩৬তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান। তিনি বিদায়ী কমিশনার কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

ডিএমপি আরও জানায়, বিদায়ী ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে আনুষ্ঠানিকভাবে রীতি অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা ফুলের রশি দিয়ে গাড়ি টেনে বিদায় জানান।

কমিশনারের বিদায়ের সময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন। এর আগে বিদায়ী কমিশনারকে বিদায়ী সালাম দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সুসজ্জিত একটি চৌকস দল।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিরাজাম মুনিরা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে হাবিবুর রহমানকে ডিএমপির কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়।

এর আগে বিসিএস ১৭তম ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ডিএমপি সদর দপ্তরের ডিসি, ঢাকা জেলার এসপি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এবং পুলিশ সদর দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

হাবিবুর রহমান ১৯৬৭ সালে গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। পুলিশের নানা সংস্কার কাজের পাশাপাশি নেতৃত্বসুলভ আচরণের জন্য তিনি বাহিনীতে প্রসংসনীয়। ক্রীড়া সংগঠক ছাড়াও মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে।

ডিএমপি   হাবিবুর রহমান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন