ইনসাইড বাংলাদেশ

নীলফামারীতে জমি দখলের অভিযোগ নাকচ চেয়ারম্যানের

প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail নীলফামারীতে জমি দখলের অভিযোগ নাকচ চেয়ারম্যানের

নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নির্দেশে জমি দখল অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে অভিযোগের বিষয়
অস্বীকার করেছে চেয়ারম্যান।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নীলফামারী জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ইটাখোলা সিংদই ফকির পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মশিউর রহমান শাহ ফকির।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ ফকিরের নির্দেশে অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তিদের নিয়ে গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর ভোরে আমার জমি দখল করে সেখানে কলাগাছ ও নতুন বাড়ীঘর নির্মাণ করে। ঘটনা জানার পর সেখানে গিয়ে দেখি কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি চেয়ারম্যানের ভাইদের সহযোগীতায় বাড়ীঘর নির্মাণ করছে। আমি তাতে বাধা দিতে গেলে আমাকে আঘাত করে ও ছোড়া দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এমত অবস্থায় আমি ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এজাহার দায়েরের পরামর্শ দেয়।’

সংবাদ সম্মেলনে মশিউর রহমানের চাচা আমির আলী শাহ্ধসঢ়; ফকির, আবু বক্কর সিদ্দিক, শাহিনুর আলী, মশিউর রহমানের ভাই সাদ্দাম আলী, আরাফাত আলী, আব্দুল লতিফ, নুর আলোম ও হাবিবুল্লাহ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

তবে অভিযোগে বিষয় অস্বীকার করে ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ ফকির বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বাড়ীর জমি-জমা নিয়ে আজকে যারা সংবাদ সম্মেলন করলো সে জমি তাদের পূর্ব পুরুষেরা আমাদের বাপ-চাচাদের দলিল করে দেয়। যার দলিল আমাদের কাছে আছে। আর গতকালকের যে জমি দখলের ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না আর আমি সেখানে উপস্থিতও ছিলাম না। আমাকে উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার নামে সংবাদ সম্মেলন করেছে মশিউর রহমান।

তিনি বলেন, মশিউর রহমান সব-সময় আমার বিরুদ্ধে লেগেই থাকে। আমাকে নির্বাচনে হারানোর জন্যে সে আমার প্রতিদ্বন্ধি হয়ে ভোটে দাড়িয়ে ১৫০ ভোট পেয়ে হেরে যায়। ভোটে হারার পর আবার আমার পিছনে লাগছে । আমি যে তার কি ক্ষতি করেছি জানি না। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

নীলফামারীতে   জমি দখলের   অভিযোগ নাকচ   চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাড্ডা জোনের এসি হলেন রাজন কুমার সাহা

প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করেছেন রাজন কুমার সাহা। এরআগে তিনি ডিএমপির তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে রাজন কুমার সাহাসহ সাত কর্মকর্তাকে বদলি করেন। এদের মধ্যে দুইজন উপ কমিশনার (ডিসি), তিনজন অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) এবং দুইজন সহকারী কমিশনার (এসি) পদ মর্যদার কর্মকর্তা রয়েছেন। 

রাজন কুমার সাহা ৩৬তম বিসিএসের বাংলাদেশ পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। রাজন সাহা রতনদিয়া রজনীকান্ত সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইআইটি বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি ৩৬তম বিসিএস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন ও পুলিশ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। ২০২০ সালে দেশে করোনা মহামারিতে তিনি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উড়োজাহাজে চড়ার শখ পূরণ হলো ফ্লাইটে উঠে পড়া জুনায়েদের

প্রকাশ: ১০:০৮ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

অবশেষে ফ্লাইটে উঠার স্বপ্ন পূরণ হলো ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে ফ্লাইটে উঠে পড়া শিশু জোনায়েদ মোল্লার (১২)। তার সেই শখ পূরণ করেছে ওয়ালটনের শো–রুম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজা।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতায় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজে পর্যটন শহর কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছেন ওয়ালটন প্লাজার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা লিটন হাওলাদার ও শিশুটির চাচা ইউসুফ মোল্লা। কক্সবাজারের অভিজাত হোটেল ‘ওশান প্যারাডাইসে’ তাকে রাখা হয়েছে।

জোনায়েদ বলেন, উড়োজাহাজে উঠে আকাশে উড়তে পেরে অনেক ভালো লাগছে। এখানে (কক্সবাজার) এসেও খুব ভালো লাগছে। সাগর দেখলাম, সাগরের পাড় দিয়ে হাঁটছি। অনেক আনন্দ পেয়েছি।’

জোনায়েদের চাচা ইউসুফ মোল্লা বলেন, ‘ভাতিজার কারণে আমিও প্রথম বিমানে উঠতে পারছি। ওয়ালটন প্লাজা আমাদের ঢাকা থেকে কক্সবাজারে নিয়ে আসছে। এখানে অভিজাত হোটেলে রাখছে। ভালো রেস্টুরেন্টে খাইয়েছে।’

এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাবেষ্টনী পেরিয়ে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে উঠে পড়েছিল শিশুটি। রাত সোয়া তিনটার দিকে ওই ফ্লাইটের উড্ডয়নের কথা ছিল। শিশুটিকে ফ্লাইটের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কেবিন ক্রু তাকে তার আসনে বসতে বলেন। তখন শিশুটি জানায়, মা-বাবা তার সঙ্গে নেই। কার সঙ্গে উড়োজাহাজে উঠেছে জানতে চাইলেও সে বলতে পারছিল না। তার সঙ্গে পাসপোর্ট, টিকিট ও বোর্ডিং পাসও ছিল না।

পরে বিমানবন্দর থানা-পুলিশ শিশুটিকে আটক করে। ১৩ সেপ্টেম্বর শিশুটিকে পরিবারের হেফাজতে দেয় পুলিশ। এ ঘটনার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ১০ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে রংপুরে যোগ দিলেন এডিসি হারুন

প্রকাশ: ০৯:৫৪ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

রংপুর রেঞ্জে যোগ দিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পেটানোর ঘটনায় আলোচিত ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। গতকাল বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) তিনি রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে হাজিরা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) পংকজ চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাময়িক বরখাস্ত) হারুন বুধবার আমাদের অফিসে যোগদান করেছেন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর সাময়িক বরখাস্ত হওয়া রমনা জোনের সাবেক এডিসি হারুনকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। আদেশের এক সপ্তাহ পর তিনি সেখানে গেলেন।

উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর নারীঘটিত একটি ঘটনায় শাহবাগ থানা হেফাজতে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্মমভাবে প্রহরের ঘটনায় প্রথমে পিএমও উত্তর বিভাগে বদলি করা হয় হারুন অর রশিদকে। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে তাকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে পুলিশ সদরদপ্তর।

এদিকে দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় ডিএমপি গঠিত তদন্ত কমিটি আরও তিন দিন সময় পেয়েছে। যা আগামী রোববার শেষ হচ্ছে। এডিসি হারুন ও সানজিদা আফরিনের ঘটনায় ডিএমপির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল।

এডিসি হারুনকাণ্ডে ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে থানায় ধরে এনে নির্যাতন করেন তৎকালীন এডিসি (সাময়িক বরখাস্ত) হারুন অর রশিদ ও থানা পুলিশের সদস্যরা।


এডিসি হারুন   রংপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্যাংকে ঢুকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাই, দুই পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানীর পল্টনের একটি বেসরকারি ব্যাংকে ঢুকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে আগে থেকে ক্লোজড হয়ে থাকা দুই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন, কনস্টেবল মাহাবুব ও কনস্টেবল আসিফ এবং হৃদয়, মঞ্জু ও সোহেল।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে আইএফআইসি ব্যাংকের পল্টন শাখায় এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে আইএফআইসি ব্যাংকের পল্টন শাখায় ২০ লাখ টাকা জমা দেওয়ার জন্য আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে একজন ব্যবসায়ীর কর্মচারী আজিম উদ্দিন লাইনে দাঁড়ান। দুপুর ২টার দিকে পুলিশের পোশাক পরা দুই ছিনতাইকারী আজিম উদ্দিনকে টেনেহিঁচড়ে ব্যাংকের বাইরে নিয়ে আসে। পরে তারা ওই ভুক্তভোগীর কাছ ২০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পল্টন থানা পুলিশ ও ডিবি মতিঝিল বিভাগের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ব্যাংকের সামনের রাস্তার ফুটপাত থেকে হৃদয় নামের এক হকার ও তার সহযোগী মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডেমরা পুলিশ লাইনে ক্লোজড থাকা পুলিশের দুই সদস্য কনস্টেবল মাহাবুব ও কনস্টেবল আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপর দুই পুলিশ সদস্যের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাসাবো থেকে মোটরসাইকেলসহ সোহেল নামে এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সোহেলের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের বাকি ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে  ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ছিনতাইয়ের সঙ্গে দুজন পুলিশ কনস্টেবল জড়িত ছিল। তাদেরও গ্রেপ্তার  করা হয়। সিভিলে থাকা তিন ব্যক্তি টাকার বিষয়ে ওই দুই পুলিশকে তথ্য দেয়। এরপর ইউনিফর্ম পরা দুই পুলিশ কনস্টেবল ব্যাংকে ঢুকে ওই ব্যক্তিকে বাইরে নিয়ে আসে। তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পল্টন থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং ছিনতাই হওয়া ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।


পুলিশ   ছিনতাই  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাহলে কি আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষন দল পাঠাবে না। আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে তারা এ তথ্য জানিয়েছে। যদিও চিঠিতে বলা হয়েছে বাজেট সংকটের কারনে তারা বাংলাদেশ পর্যবেক্ষন দল পাঠাবে না। কিন্তু কিছুদিন আগেও একটি প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষন দল বাংলাদেশ সফর করে গেছে এবং তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমন এক সময় নির্বাচন পর্যবেক্ষন দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল যখন তাদের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করা হয়। ওই প্রস্তাবে বাংলাদেশে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয় এবং অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে যে দণ্ড দেয়া হয়েছে সেই দণ্ড মওকুফের জন্য দাবী করা হয়। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাণিজ্যিক সুবিধা হ্রাস করারও হুমকি রয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ওই প্রস্তাবে।

প্রশ্ন উঠেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাব এবং আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত কি পরিপূরক? এই দুটো মধ্যে কি কোন সম্পর্ক রয়েছে?

কোন কোন কূটনীতিক মনে করে যে সম্পর্ক থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে এই সিদ্ধান্ত একটি বার্তা দেয় যে আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে না। অথবা নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে না। এছাড়া আরেকটি কারণ থাকতে পারে যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মনে করছে যে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনই হবে না।

বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানারকম টানাপোড়ন আছে, অনিশ্চয়তা আছে। বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। এরকম একটি পরিস্থিতিতে সরকার সংবিধান সমুন্নত রাখার জন্য যেকোন প্রকারে নির্বাচন করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার ব্যাপারেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি ভিন্ন ধরণের ব্যাখ্যা আছে।

আওয়ামী লীগ বলছে, যদি ভোটারদের উপস্থিতি ভাল হয়, ভোটাররা সতস্ফুর্তভাবে ভোটে অংশগ্রহণ করে তাহলে সেটিই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এই লক্ষ্যে সরকার বিএনপি ছাড়াই একটি উৎসবমুখর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষন দল কি এরকম একটি বার্তা পেয়েছে? তারা কি মনে করছে বাংলাদেশে একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে যে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। এ কারণেই এই নির্বাচন পর্যবেক্ষন অর্থহীন? এটি নিয়ে কূটনীতিক অঙ্গনে নানামুখী আলোচনা চলছে।

আবার অন্যদিকে বিএনপি বলেছে যে, এবার ২০১৪’র মত নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। যদি শেষ পর্যন্ত একতরফা নির্বাচন করার উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার তাহলে তাকে প্রতিহত করা হবে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে তারা ভিসানীতি প্রয়োগসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন।

এই সবকিছু মিলিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যে, যদি শেষ পর্যন্ত একতরফা নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচঙ্কে স্বীকৃতি দেয়া বা সেই নির্বাচন পর্যবেক্ষন করাকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তিসংগত মনে করছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে এরকম কোন তথ্য আছে যে নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা এবং উত্তেজনা এমন পর্যায়ে যাবে যে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনই হবে না। কাজেই নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য অর্থ ব্যয় অপ্রয়োজনীয়।

তবে কূটনীতিকরা বলছেন, ব্যাপারটি আসলে এমন নয়। নির্বাচন পর্যবেক্ষনের ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত তাদের নিজস্ব। এখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এই অর্থনৈতিক সংকটে সবচেয়ে বড় আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ইউরোপের কিছু দেশ অন্যতম। আর এ কারণেই খরচ বাঁচাতে তারা আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষন দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন