ইনসাইড বাংলাদেশ

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের খবরদারি কেন সরকার হজম করছে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস একের পর এক বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে বক্তব্য রেখে চলেছেন। গত বুধবার আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন, সুশাসন, গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলার পর গতকাল তিনি আবার কথা বলেছেন। ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে তিনি বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন, র‍্যাব ইত্যাদি নিয়ে বিভিন্ন রকম কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এখানে পিটার ডি হাস বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনেক মন্তব্য করেন। বাংলাদেশে বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রেডরিক-এবার্ট-স্টিফটুং এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে তিনি যেভাবে খবরদারি করেছেন তাতে অনেকেই বিস্মিত।

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক শুধু বলেছেন যে, বাংলাদেশের ব্যাপারে জেনে বুঝে তথ্য নিয়ে কথা বলা উচিত। আইনমন্ত্রী এটিও বলেছেন যে, তিনি যে সমস্ত বক্তব্যগুলো রাখছেন তা সঠিক নয়। অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সম্প্রতি বলেছেন যে, সব রাষ্ট্রদূত মিলে তত্ত্বাবধায়কের দাবি করলেও এ দাবি মেনে নেয়া হবে না।  কিন্তু কতগুলো মৌলিক প্রশ্ন সরকার এড়িয়ে যাচ্ছে। একজন রাষ্ট্রদূত একজন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার পদ। একজন রাষ্ট্রদূত এসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে এ ধরনের কথাবার্তা বলতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বাংলাদেশে ২০০৮ সালের আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের এরকম খবরদারি দৃশ্যমান ছিল। বিশেষ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে তারা সরাসরি খোলামেলা কথাবার্তা বলতেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের সঙ্গে তারা দেখা-সাক্ষাৎ করতেন এবং রাজনীতিবিদরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা করতে গিয়ে ধন্য হয়ে যেতেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত যেন সরকারের ওপর সরকার। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ পাওয়াটাই যেন অনেকের কাছে সৌভাগ্যের ব্যাপার প্রতিপন্ন হত। কিন্তু ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আস্তে আস্তে দেশকে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলেন এবং পাশাপাশি বিদেশিদের খবরদারি বন্ধের জন্য লাগাম টেনে ধরেন। আর তার এই দক্ষ কূটনীতির কারণেই মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের বেপরোয়া কথাবার্তা খানিকটা বন্ধ হয়। এই সময় যে সমস্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতরা এসেছিলেন তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বেশি কথা বলতেন না। এই ধারা চলমান ছিল রবার্ট মিলার পর্যন্ত। কিন্তু মিলারের পর পিটার ডি হাস এসেই যেন কথার বাঁধ ভাঙা জোয়ার শুরু করেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলছেন। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী একজন রাষ্ট্রদূতের সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন এবং শিষ্টাচারের মধ্যে চলতে হয়। কিন্তু পিটার ডি হাস প্রায় ক্ষেত্রেই শিষ্টাচার লঙ্ঘন করছেন বলে অনেকে মনে করছেন। প্রশ্ন উঠেছে যে, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই ভূমিকা নিয়ে কেন সরকার আপত্তি করছে না? অন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতরা সামান্য কিছু করলে তাদেরকে পররাষ্ট্র দপ্তরে তলব করা হয় এবং নানা রকম বিষয়ে সতর্ক করা হয়। কিন্তু মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ক্ষেত্রে এটা করা হচ্ছে না কেন?

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বিশ্ব বাস্তবতার কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের প্রধান দাতা না হলেও অনেক কিছুর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বাংলাদেশ নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক সময়ে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে যদি তলব করা হয় বা তাকে যদি সতর্ক করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে হয়তো এই সমস্ত প্রতিহিংসামূলক ব্যবস্থাগুলো আরও বাড়বে। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এরকম কোনো পদক্ষেপ নিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি পাল্টা ব্যবস্থা নেয়, সেটা বাংলাদেশের জন্য বিপদজনক হতে পারে। তাছাড়া রপ্তানি বাণিজ্য বিশ্ব ব্যাংক আইএমএফ এর ওপর নির্ভরশীলতা এবং জাতিসংঘের শান্তি মিশনে সবকিছুর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বাংলাদেশ কিছুটা হলেও নির্ভরশীল। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ কোনো আগ্রাসী কূটনীতিতে যেতে চায় না। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বক্তব্যগুলো হজম করে কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রকে সীমারেখার মধ্যে থাকার নীতি নেই সরকার এগুচ্ছে বলে সরকারি সূত্রগুলো বলছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জামালপুরে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জামালপুরে ‘সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত

‘সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জামালপুরে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। 

 

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে শহরের ফৌজদারী মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে পরিবেশ অধিদপ্তর। র‌্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

 

পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শীতেষ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউর রহমান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা, জামালপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুকুমার সাহা, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইউসুফ আলীসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

 

এ সময় বক্তারা বলেন, উচ্চ মাত্রায় শব্দ দূষণের ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়। হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনবহুল স্থান ও নিরিবিলি এলাকায় অযথা শব্দ দূষণ পরিহার করার আহবান জানান বক্তারা।     


সুস্থ পরিবেশ   স্মার্ট বাংলাদেশ   আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নীলফামারীতে ‘হিট স্ট্রোক’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নীলফামারীতে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ‘হিট স্ট্রোক’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠান

নীলফামারী সরকারী মেডিকেল কলেজের আয়োজনে জনসচেতনতা মূলক ‘হিট স্ট্রোক’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্বে করেন নীলফামারী সরকারী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আবু রায়হান মোঃ সুজা-উদ-দৌলা। 

 

অনুষ্ঠানে হিট স্ট্রোক রোধে করণীয়, চিকিৎসা ও প্রস্তুতি বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করেন মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এএসএম রেজাউল করিম।

 

সেমিনারে জানানো হয়, তাপদাহে ‘হিট স্ট্রোক’ থেকে রক্ষা পেতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। চা, কফি পান করা থেকে এড়িয়ে চলা ভালো। চা, কফির ক্যাফেইন আপনাকে ডিহাইড্রেটেড (পানি শূন্য) করে ফেলতে পারে। ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের পোশাক পরিধান করতে বলা হয়।

 

এছাড়াও বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একান্তই বের হওয়ার প্রয়োজন হলে ভারি কাজ এড়িয়ে চলা, ঘন ঘন বিরতি এবং বিশ্রামের জন্য ছায়া বা শীতল জায়গা খুঁজতে এবং ছাতা ব্যবহার করার কথা বলা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান, নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আবু বিন হাজ্জাজ ও সহকারী পরিচালক আরিফুজ্জামান, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন নীলফামারী ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলিপ কুমার রায় ও নীলফামারী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম।


হিট স্ট্রোক   সেমিনার   দিকনির্দেশনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও বৃষ্টি চেয়ে পাবনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

অতি তীব্র তাপদাহ, সাথে কড়া রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পাবনাসহ সমগ্র দেশের সাধারণ মানুষ। অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে আম, লিচু ও ফসল । তীব্র এই গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে পাবনায় সালাতুল ইসতিসকা অর্থাৎ বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করা হয়েছে।

 

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় পাবনা দারুল আমান ট্রাস্টের ক্যাম্পাসে খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন পাবনাবাসী। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

 

নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পাবনা ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ও মসজিদে আত তাকওয়ার পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুস শাকুর।

 

তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে দেন এবং তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

 

নামাজ ও দোয়ায় ছাত্র-যুবকসহ শহরের আশপাশের শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। 

 

মাওলানা আব্দুস শাকুর বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এটা যৌক্তিক একটি কারণ। আমরা যে পরিস্থিতিতেই থাকি না কেন মালিকের কাছে ধর্ণা দেবো তিনি যেন রহমত বর্ষণ করেন। এজন্য আমরা আল্লাহর কাছে দয়া ভিক্ষা চাইছি। রাসুলের সুন্নাহ অনুযায়ী আমরা মাঠে এসেছি, আমাদের অপরাধ স্বীকার করলাম। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম, ক্ষমা চাইলাম। আমরা আশা রাখি আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে মাফ করে দিবেন এবং তিনি দয়া করে পরিবেশকে আবার সুন্দর করে দিবেন।’


তীব্র তাপদাহ   ইসতিসকার নামাজ   বৃষ্টির আশা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছয় দিনের সফরে থাইল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:১৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ১টা ৮ মিনিটে ব্যাংকক ডং মিউয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে, সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪০৩ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।

এ সফরে তিনি থাইল্যান্ডের রাজা-রানি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনে যোগ দেবেন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এ সফরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা, শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা-বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও মুক্তবাণিজ্য–সংক্রান্ত সম্মতিপত্র সইয়ের কথা রয়েছে।

ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


সরকারী সফর   থাইল্যান্ড   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশ: ০১:১২ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail অভিযুক্ত স্বামী আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ

ব্যাংক থেকে ৭ লাখ টাকা ঋণ তুলে না দেয়ায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের কুমিরগোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ আইরিন পারভীনকে (৪২) গলা টিপে ও মাছ কাটা বটি দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে তার অর্থলোভী পাষন্ড স্বামী আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ (৪৪)। এছাড়া প্রায় ১ মাস ধরে ৫ বছরের মেয়ে আবিদা আনজুমকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ছেচানিয়া আফতাব নগর নাছিমা পারভীন বিনা (৪৭) নামের বোন ও তার স্বামী আল আমিনের বাড়িতে আটকে রেখেছে। এরপর থেকে মায়ের জন্য রাতদিন কান্নাকাটি করে ৫ বছরের অবুঝ শিশু আবিদা আনজুম অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছে না।

 

অর্থলোভী আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের লাইব্রেরিয়ান ও চর বেলতৈল গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

 

এ ঘটনায় সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিক্ষিকা আইরিন পারভীন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ জেলহক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানি বাদীর লিখিত আবেদনটি আমলে নিয়ে আগামী ৭ মে আসামীদের সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে শিক্ষিকা আইরিন পারভীন জানান, প্রতারণার মাধ্যমে নিজেকে ঢাকার উত্তরার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ২০১২ সালের ১১ মে আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তাকে মারপিট ও নির্মম নির্যাতন করে বেতনের সমুদয় টাকা হাতিয়ে নিতেন। এরপর ঢাকার উত্তরায় জায়গা কেনার কথা বলে প্রতি মাসে বেতনের ১৮ হাজার টাকা করে ৫ বছরে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

 

এরপর ওই জায়গা দেখতে চাইলে বিদ্যুৎ ওই জায়গা দেখাতে পারেননি। ফলে তাকে টাকা দেয়া বন্ধ করা হয়। এছাড়া সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক থেকে ডিপিএসের ১ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৫ টাকা , জনতা ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও রূপপুরের বাড়িতে এক তলা পাকা বিল্ডিং নির্মাণের সময় স্বর্ণের গহণা বিক্রির টাকা ও সোনালি ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ তুলে নিয়েছেন। সোনালি ব্যাংকের ঋণের কিস্তি বাবদ প্রতি মাসে এখনও ১১ হাজার ৪০০ টাকা করে বেতন থেকে কেটে নেওয়া অব্যহত থাকা অবস্থায় আবারও  চর বেলতৈল গ্রামে জমি কেনার কথা বলে সোনালি ব্যাংক থেকে ৭ লাখ টাকা ঋণ তুলে দিতে চাপ দেয়।

 

এতে রাজি না হওয়ায় গত ২৮ মার্চ ভোরে আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ তাকে বেধরক মারপিট করে। এছাড়া গলাটিপে ও মাছকাটা বটি দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। এরপর বেধরক মারপিট ও নির্যাতন করে ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৯) ও মেয়ে আবিদা আনজুম (৫)কে আটকে রেখে তাকে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের রূপপুর পুরান পাড়ার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে তিনি ওইদিন সকালে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের চুনিয়াখালিপাড়া মহল্লার বাবা আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। এর ৭ দিন পর অসুস্থ হয়ে ছেলে আবু বকর সিদ্দিক কৌশলে পালিয়ে মায়ের কাছে চলে আসে।

 

অপরদিকে মেয়ে আবিদা আনজুমকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ছেচানিয়া আফতাব নগর গ্রামের বোন নাছিমা পারভীন বিনা ও তার স্বামী আল আমিনের বাড়িতে আটকে রেখে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে না দিলে একাধিক লোক মারফত ও মোবাইল ফোনে মেয়েকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।

 

তিনি আরও জানান, এ হুমকির ফলে আমি ও আমার পরিবার চরম আতংকের মধ্যে রয়েছি। তিনি তার ৫ বছরের শিশু কন্যা আবিদা আনজুমকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

তিনি আরও জানান, এ মামলা দায়েরের পর সোমবার রাতে দূর্বৃত্তরা আমার বাবার চুনিয়াখালি পাড়ার বাসভবনের নিচতলায় হামলা চালিয়ে একটি কক্ষের জানালার গ্লাস ভাংচুর করে ১০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এ হামলা ভাংচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে শাহজাদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, মারপিট, গলাটিপে ও বটি দা দিয়ে মারতে যাওয়ার ঘটনা দেড় বছর আগের। ২/১ মাসের মধ্যে এ ধরণের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া মেয়েকে আটকে রাখার ঘটনাও সত্য নয়। চুনিয়াখালি পাড়ার বাড়িতে হামলা জানালার গ্লাস ভাংচুরের সাথেও আমি জড়িত নই।  


হত্যা চেষ্টা   স্কুল শিক্ষিকা   অর্থ লোভী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন