ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রশাসন নিয়ে সরকারের উদ্বেগ বাড়ছে

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০১ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail প্রশাসন নিয়ে সরকারের উদ্বেগ বাড়ছে

যতই বিরোধী দলের আন্দোলন করছে, নির্বাচন নিয়ে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে এবং এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে ততই প্রশাসন নিয়ে সরকারের উদ্বেগ এবং অস্বস্তি বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা পুলিশ প্রশাসন, মাঠ প্রশাসন এবং সচিবালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে এখন বিভিন্ন রকম আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির সমাবেশ গুলোতে পুলিশ প্রশাসনের কিছু কিছু ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কোথাও কোথাও তারা অতি আক্রমণাত্মক হয়ে বিরোধী দলের ওপর চড়াও হচ্ছে এবং একটা পরিস্থিতি তৈরি করছে। কোথাও কোথাও বিরোধী দলকে লাঠি-বাঁশি ইত্যাদি নিয়ে সমাবেশ করার ক্ষেত্রে নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। আবার পুলিশ প্রশাসন অনেকের সঙ্গে বিএনপির এখন যোগাযোগ হচ্ছে, এমন তথ্য সরকারের হাতে আছে। পুলিশ প্রশাসন আগামীতে কি ধরনের ভূমিকা রাখবে সেটি এখন একটি বড় প্রশ্ন। অনেকেই অভিযোগ করেছে, পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে বেশকিছু বিএনপি-জামায়াতপন্থি লোক এখন সক্রিয় হয়েছেন এবং তারা বিরোধী দলের আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য নানা রকম তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করছেন। আর এই সমস্ত কারণেই বিএনপি এখন আগের চেয়ে বেশি আস্কারা পাচ্ছে।

পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠ প্রশাসনও আওয়ামী লীগের জন্য বড় মাথা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন স্থানের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে একজন ইউএনও'র পুরস্কারের পদক ভেঙে ফেলা, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বন্ধে কটূক্তি করা, অন্য জায়গায় ইউএনও'র সাংবাদিকদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা ইত্যাদি বিষয়গুলো আওয়ামী লীগকে ভাবিয়ে তুলেছে। আগামী নির্বাচনে এই সমস্ত ইউএনওরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে যে জেলা প্রশাসকদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেই নিয়োগ নিয়েও এখন নানামুখী কথাবার্তা হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে প্রশাসন কতটুকু নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে সে নিয়েও আওয়ামী লীগের অনেকের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।

বিশেষ করে জেলা প্রশাসক পদে পদায়নের ক্ষেত্রে বেশকিছু পদায়ন করা হচ্ছে যারা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেছিল। ওই সময় হাওয়া ভবনের মাধ্যমেই সরকারি চাকরির নিয়োগ হতে বলে আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা মনে করছেন। আর সে কারণেই মাঠ প্রশাসনে এখন অতি দাম্ভিকতা এবং অযথা বিতর্ক করার প্রবণতা বাড়ছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। তবে প্রশাসনের কিছু কিছু কর্মকর্তা মনে করেন, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু মাঠ প্রশাসন যে এখন অনেক বেপরোয়া হয়ে গেছে এবং তারা কাউকে পাত্তা দিচ্ছে না এরকম একটি পরিস্থিতি এখন দৃশ্যমান।

প্রশাসনের মাথা হলো সচিব। কিন্তু সচিবদের ভূমিকা নিয়েই এখন নানামুখী প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সচিবালয়ে কান পাতলেই শোনা যায় যে, বিএনপি-জামায়াত ঘরনার লোকজন এখন সচিব পদে যাচ্ছেন। তারা ২০০৯ সালের পরে আওয়ামী লীগ হয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগ হয়ে যাওয়ার পর তারা সরকারের ঘনিষ্ঠ হয়েছেন এবং সরকারকে নানা বিষয়ে ভুল পরামর্শ দিচ্ছেন। এই সমস্ত আমলাদের কারণেই সরকার নানা রকম ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের অনেকে মনে করেন। নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসবে ততই এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিরা সরকারকে স্যাবোটাজ সাহায্য করতে পারেন বলে অনেকের ধারণা। আর তাই এই প্রশাসনকে এখন ঠিক পথে নিয়ে আসা এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে যেন প্রশাসন দায়িত্ব পালন করে পেশাদারিত্বের সাথে, সেটি নিশ্চিত করাই এখন সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

৬ দিনের সফরে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেওয়া ছাড়াও জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় থাইল্যান্ডের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠেয় এ সফরে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ৫টি দলিল সই হবে। এ বিষয়ে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্টসহ (সম্মতিপত্র) বেশ কয়েকটি সহযোগিতা চুক্তি সই হবে এই সফরে।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড়, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এ ছাড়া সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সম্পর্কিত পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

বহুপক্ষীয় কর্মসূচিতে ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিশন ফর এসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগদান ও ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। একই দিনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।


থাইল্যান্ড   প্রধানমন্ত্রী. শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২

প্রকাশ: ১০:১৯ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর মধুখালীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)-এর বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এসপি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেছে। পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আজকে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমি মনে করি। পুলিশের কাছ থেকে বিক্ষোভকারীরা কোনো অনুমতি নেয়নি। তারা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধসহ সহিংসতার ঘটনা ঘটায়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও সম্পদ ক্ষতিসাধনের অপরাধে মামলা করা হবে’।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের গুলিতে একজন নিহতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। একজন ভ্যানচালক ওই বিক্ষোভের মধ্যে পড়লে তিনি আহত হন। এ সময় হয়তো পুলিশের ছররা গুলি তার গায়ে লাগতে পারে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন’।

পুলিশ সুপার বলেন, দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই ভাইকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ আসাদুজ্জামান ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবার পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।

এর আগে দুই ভাই আশরাফুল খান ও আরসাদুল খানকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এ সময় পুলিশ তাদের মহাসড়ক থেকে সরাতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ছররা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়লে ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


পিটিয়ে হত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র দাবদাহের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়াল

প্রকাশ: ০৯:৩৮ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র দাবদাহের মধ্যে ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ১ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এবারই প্রথম বিদ্যুতের ঘাটতি এত বেশি দেখা দিয়েছে। সোমবার সর্বোচ্চ ৯৬৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়। অথচ এদিন ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড গড়ে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দেশে চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, তখন লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।

অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।

এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে সেগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।


তীব্র দাবদাহ   লোডশেডিং   ১০০০ মেগাওয়াট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১১ বছর

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আজ ২৪ এপ্রিল। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক, আহত হয়েছিলেন ২ হাজার ৪৩৮ জন শ্রমিক। মোমবাতি জ্বালিয়ে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করলেন তাদের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাভারের রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত অস্থায়ী বেদিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় নিহতদের স্মরণে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়।

পক্ষ থেকে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতের পাশাপাশি রানা প্লাজার ট্রাজেডির সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানায় শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিকদের পরিবার।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বছর এই দিনে নিহতদের স্বরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। প্রতি বছরই বিভিন্ন দাবি তুলে ধরি।

দাবিগুলো হচ্ছে, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয়ভাবে শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা করা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা, রানা প্লাজার জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং হতাহত শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির কোনোটাই বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে হবে।

রানাপ্লাজা ধ্বসে নিহত শ্রমিক আখি আক্তারের মা নাসিমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়ের লাশটাও পাইনি। ঘটনার ছয় মাস পর ডিএনএ সেম্পলের মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যাদের গাফিলতিতে মেয়েকে হারালাম তাদের আজও বিচার হলো না। আমরা বিচার চাই।

ভবন ধসে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় তখন চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে অবহেলার কারণে মৃত্যু উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ, ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে ভবন নির্মাণ করায় মামলা করে রাজউক। পাশাপাশি ভবন নির্মাণে দুর্নীতি ও সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুটি মামলা করে দুদক। চারটি মামলার মধ্যে সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা নিষ্পত্তি হলেও দীর্ঘ এগারো বছরে বাকি তিনটি মামলা নিষ্পত্তির মুখ দেখছে না।

এর মধ্যে হত্যা মামলা ও ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্য শুরু হলেও, অন্য মামলায় রয়েছে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ। আসামিপক্ষ বলছে, মামলাগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিচারহীনভাবে কারাগারে আটক রয়েছেন ভবন মালিক সোহেল রানা। অন্যদিকে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

 

 


রানা প্লাজা   ট্রাজেডি   ১১ বছর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নীলফামারীতে শত টাকায় মিলবে চক্ষু চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নীলফামারীতে দীপ আই ফাউন্ডেশনের চক্ষু চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন

নীলফামারীতে চক্ষু রোগীদের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিশ্চিত করতে দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশনের ইপিজেড ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন হয়েছে। এখানে ১০০ টাকা দিয়ে মিলবে চক্ষু পরীক্ষা, ব্যবস্থাপত্র প্রদান, চোখের ছানী অপারেশন সহ চোখের নানা রোগের চিকিৎসা।

 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সদরের সংগলশী ইউনিয়নের ইপিজেড মোড়ে প্রধান অতিথি হিসেবে ইপিজেড ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান। 

 

এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দীপ আই কেয়ারের হেড অব প্রোগ্রাম মাহমুদুল ইসলাম ও প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ প্রোগ্রাম ম্যানেজার   এ.কে.এম নুরুল কবির। উদ্বোধনী দিনে প্রায় চার শতাধিক চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা সেবা ও ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা হয়।

 

এসময় হেড অব প্রোগ্রাম মাহমুদুল ইসলাম জানান,'ইপিজেড ভিশন সেন্টারে ১০০ টাকা দিয়ে মিলবে চক্ষু পরীক্ষা, ব্যবস্থাপত্র প্রদান, চোখের ছানী অপারেশন সহ চোখের নানা রোগের চিকিৎসা। সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন চক্ষু রোগীরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চোখের চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারবেন।


চক্ষু সেবা   দীপ আই ফাউন্ডেশন   চক্ষু পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন