ইনসাইড বাংলাদেশ

সিত্রাংয়ের প্রভাবে কুড়িগ্রামে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা


Thumbnail সিত্রাংয়ের প্রভাবে কুড়িগ্রামে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে রাতভর বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায়, দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে চলতি মৌসুমের আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষক। 

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আগাম জাতের কিছু ধান পাকতে শুরু করেছে, বাকি ধানের সবে মাত্র শীষ বেড় হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে গত ২৪ ঘন্টার বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া অব্যাহত থাকায়, কৃষকের অতি কষ্টের ফসল বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় মাটির সাথে নুয়ে পড়েছে। 

উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার গ্রামের রাহিজুল ইসলাম গনি জানান, বৃষ্টি আর বাতাসে তার দেড় বিঘা জমির ধান মাটির সাথে শুয়ে পড়েছে। ধানের সবে মাত্র শীষ বের হয়েছে। জানিনা ফসল ঘরে তুলতে পারবো কিনা! 

পাইকেরছড়া ইউনিয়নের আব্দুল হালিম জানান, প্রায় সোয়া বিঘা জমির ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। ধানের শীষ পচনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কয়েক গোছা একত্র করে বেঁধে সোজা করে দিচ্ছি। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে ১৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা ছাড়িয়ে কৃষক ১৬ হাজার ৮৫৩ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ জানান, বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় আমন ধানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত ২২ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ক্ষতি কমাতে ক্ষেতের আইল কেটে পানি বের করে দেয়া ও গোছা করে ধান বেঁধে দেয়াসহ
কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

অপরদিকে, জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় গত ২ দিনের টানা বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি খেতের। শতশত কৃষকের স্বপ্নের আমন খেতের ফসল বর্তমানে কাদাপানিতে লেপ্টে আছে। চলতি রোপা আমন চাষের শুরু থেকে প্রকৃতির সাথে লড়াই চলছে ফুলবাড়ীর কৃষকদের। আমনের চারা রোপণের পরে খরার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই অনেক ক্ষেতে দেখা দেয় পোকার আক্রমণ। 

ফুলবাড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তৎপরতা আর কৃষকদের হার না মানা লড়াইয়ে জয় কৃষকের। দিগন্তজুড়ে খেলা করে সবুজের ঢেউ। কৃষাণ-কৃষাণীরা আশায় বুক বাঁধেন। স্বপ্ন দেখেন ফসল ঘরে তুলে নবান্ন উৎসবে মেতে ওঠার। তবে তাদের আশার পাতে ছাঁই। তাদের স্বপ্নের আমন খেতের ধান গাছ এখন মাটির সাথে লেপ্টে আছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত কৃষকের পাকা, আধাপাকা, কাঁচা ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। বৃষ্টি আর বাতাসের তোড়ে নষ্ট হয়ে গেছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, লাউসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি ক্ষেত। 

বড়ভিটা ইউনিয়নের নওদাবস গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, তার সাড়ে তিন বিঘা জমির সদ্য শীষ বের হওয়া স্বর্ণ জাতের ধানের গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। 

সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের কৃষক বাদল সরকার জানান, তার নিজের তিন বিঘাসহ তার ভাই ও চাচির পাঁচ বিঘা জমির ধান গাছ এলোমেলো ভাবে জমির কাদাপানিতে লেপ্টে আছে। এতে জমির ধান পঁচে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। 

ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের খোঁচাবাড়ী গ্রামের শামসুল হক জানান, তিনি এবারে দশ বিঘা জমিতে আমন চারা রোপন করেছেন। তার মধ্য প্রায় আড়াই  বিঘা জমির ধান গাছ মাটিতে পড়ে গেছে। এতে ফলন হানির পাশাপাশি গো-খাদ্যে সংকটের সম্ভাবনার কথাও বলেন তিনি। একই পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষক।

আউশ ও রোপা আমন ধান চাষাবাদের বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবারে ১১ হাজার ৩৫২ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এছাড়াও ১ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে আউশ চাষাবাদ হয়েছে। এরমধ্যে বন্যায় ৫১০ হেক্টর জমির আউশ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। সবশেষ বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ৩৬৫ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, বৃষ্টি ও বাতাসের তোড়ে যেসকল খেতের ধান গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে সেসব ধান খেতের পানি দ্রুত নিস্কাসনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি জমিতে লুটিয়ে পড়া ধান গাছগুলিকে মুটো করে বেঁধে দেয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যেসব খেতের ধান আশি ভাগ পেকেছে তা কেটে নেয়ার জন্যও কৃষকদের বলা হচ্ছে। জমিতে ধানগাছ লুটিয়ে পড়ায় ফলনহানির কোন সম্ভাবনা আপাতত দেখছি না।  

সিত্রাং   কুড়িগ্রাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ ও মানবিক রাষ্ট্র: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ও মানবিক রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।’

মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এ- টেকনোলজি অনুষদের ডিন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু গ্রন্থিত ‘স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ৩৯২ পৃষ্ঠার এ বইটির ২৩টি অধ্যায়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিভিন্ন দিক বিধৃত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন,‘প্রথমত তিনটি শিল্প বিপ্লব থেকে আমরা বহু বছর পিছিয়ে ছিলাম কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ধারণা থেকে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, রবোটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এগুলোর সাথে অত্যন্ত ঠিক সময়ে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি এবং ঠিক এ জন্যই আমরা ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শ্লোগান দিয়েছিলাম, মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছিলাম।’

ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুবিধার উদাহরণ তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালে করোনা মহামারি দেখা দেওয়ার পর যখন সমগ্র পৃথিবীর জনজীবন থমকে গিয়েছিলো, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে গিয়েছিলো, তখন বাংলাদেশ থমকে যায়নি, সরকার পরিচালনা থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ সবকিছু চালু ছিলো।’ 

তিনি বলেন, ‘সেই কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বের ধ্বনাত্মক জিডিপি অর্জনকারী মাত্র ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয়। সেই অর্থবছরেই আমরা মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়েছি। নিক্কি ইনস্টিটিউট এবং ব্লুমবার্গের যৌথ জরিপে করোনা মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বিশ্বে আমরা পঞ্চম, উপমহাদেশে প্রথম। ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা এবং প্রত্যন্ত জনপদের মানুষের কাছেও ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছার ফলেই এগুলো সম্ভবপর হয়েছে।’ 

হাছান মাহমুদ এ সময় গ্রন্থকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘সরকার পরিচালনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি সর্বোতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে যে নতুন ধারণা মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে চাই সেটি হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট ব্যবসা দরকার। সেই চারটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর গ্রন্থটির রচয়িতা অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুকে ধন্যবাদ জানাই।’ 

একই সাথে মন্ত্রী তার বক্তৃতায় নিজেকে একজন নাগরিক হিসেবে তুলে ধরে বলেন, ‘বিশ্বায়নের এই যুগে মানুষ নিজের জন্য, খ্যাতির জন্য, বিত্তের জন্য ছুটছে, কোনো ফুরসত নাই। এতে করে মানুষের মানবিকতা, মনুষ্যত্ব, মমত্ববোধ যেন হারিয়ে না যায়, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। মানুষের গুণ হারিয়ে যাচ্ছে। দেশ, সমাজ রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের পারিবারিক, সামাজিক মূল্যবোধগুলো যেন টিকে থাকে এবং আরো সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়ায় সে বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।’

গ্রন্থকার ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর সভাপতিত্বে একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।  


আওয়ামী লীগ   যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মধ্যপাড়া পাথর খনির শ্রমিকদের সন্তানদের জিটিসি’র শিক্ষা উপবৃত্তি


Thumbnail

দেশের একমাত্র দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পাথর খনির সামনে খনি এলাকাবাসীদের জন্য জার্মানীয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)’র সমাজ কল্যাণ সংস্থা জিটিসি চ্যারিটি হোম কার্যালয়ে খনির শ্রমিকের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত ৫২ শিক্ষার্থীকে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করেছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) মঙ্গলবার বেলা আড়াই টায় মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ উপস্থিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি’র নির্বাহী পরিচালক আলহাজ্ব মোঃ জাবেদ সিদ্দিকী এর পক্ষে উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহিদ হোসেন। 

পরে সদ্য এমপিওভুক্ত মধ্যপাড়া মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য বিগত মাসগুলোর আর্থিক সহায়তার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে চলতি মে মাসের জন্য কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুর রহমানের হাতে আর্থিক অনুদানের অর্থও প্রদান করা হয়। 

মধ্যপাড়া পাথর খনির ব্যবস্থাপনা, রক্ষনাবেক্ষণ এবং উৎপাদন কাজে নিয়োজিত দেশীয় একমাত্র মাইনিং কোম্পানী জার্মানীয়া কর্পোরেশন লিমিটেড ও বেলারুশ কোম্পানী ট্রেস্ট এস এস এর যৌথ প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) তাদের অধীনে কর্মরত খনি শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর মাঝে সেবামূলক এবং সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত সন্তানদের মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ সেবা প্রদান সহ মধ্যপাড়া পাথর খনির এলাকাবাসীর জন্য  বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে সমাজ কল্যাণ সংস্থা “জিটিসি চ্যারিটি হোম” স্থাপন করেছে। খনি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ বাড়াতে এলাকার বিভিন্ন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছে। জিটিসি’র স্থাাপিত চ্যারিটি হোমে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা অভিজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার দ্বারা সপ্তাহে ৫ দিন খনি এলাকার সর্ব সাধারনের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মধ্যপাড়া পাথর খনির   জিটিসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অর্থ আত্মসাৎ: ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রামীণ টেলিকম থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৩০ মে) এ মামলা করা হয়। 

এদিকে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা দানকর ফাঁকির মামলার রায় ৩১ মে। দীর্ঘ ৭ বছর পর চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন উচ্চ আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ মে) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার এবং বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চ শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

অ্যার্টনি জেনারেল শুনানিতে বলেন, মৃত্যুভীতির কথা বলে নিয়নীতির তোয়াক্কা না করে অসৎ উদ্দেশ্যে কর ফাঁকি দেন ইউনূস।

গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১১-১২ থেকে ২০১৩-১৪ এই তিন অর্থ বছরে নিজের নামে গঠিত দুটি ট্রাস্ট ও একটি প্রতিষ্ঠানে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

আয়কর নথিতে বলা হয়েছে, এসব টাকা মৃত্যু ভীতি থেকে ওইসব প্রতিষ্ঠানে দান করেন ড. ইউনূস। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মৃত্যু চিন্তা নয় অসৎ উদ্দেশ্যে, কর ফাঁকি দিতেই নিজের প্রতিষ্ঠানে নিজেই টাকা দান করেন এই নোবেল জয়ী। এতে দানকর বাবদ রাষ্ট্রের পাওনা ১২ কোটি ১৬ লাখ ৭ হাজার টাকা। যা সুদ আসল মিলে পরিশোধ করতে হবে তাকে।

ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান শুনানিতে বলেন, আয়কর পরিশোধ করেই টাকা দান করেছেন তিনি। আর দান করার কারণে আইন অনুযায়ী তিনি পাবেন কর অব্যাহতির সুবিধা।

আইনজীবী আরও জানান, ইউনূসের উপার্জনের মূল উৎস বক্তৃতা দেয়া। এতে প্রতি বক্তব্যের জন্য তিনি নেন ৫০ হাজার ডলার। ডলারের বর্তমান দাম অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ টাকা। যদিও পরে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি ড. ইউনূস।

ডক্টর ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১১০০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে উচ্চ আদালতে। এছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক।

অর্থ আত্মসাৎ   ড. মুহাম্মদ ইউনূস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবারের বাজেট ৭ লাখ কোটি টাকা: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:২০ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পয়লা জুন আমরা নতুন বাজেট দিতে যাচ্ছি। এবার আমরা ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট দিতে সক্ষম হবো।

মঙ্গলবার (৩০ মে) গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন সরকার প্রধান। সেখানে তিনি এ তথ্য জানান।

দেশে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই এ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে মন্তব্য করেন টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা (অগ্রগতি) সম্ভব হয়েছে কেন? সম্ভব হয়েছে একটি কারণে- ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে। আজকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটা স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ বাংলাদেশে বিরাজমান।

এর মাঝে অনেক ঝড় ঝাপটা এসেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনেক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরও আমি বলবো দেশ যখন স্থিতিশীল থাকে, দেশে যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকে তখনই দেশ উন্নতি করতে পারে। আর তার জন্য লাগে একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। আমাদের প্রতিটি প্ল্যান–প্রোগ্রাম টার্গেটেড, টাইমবাউন্ড।

বিএনপি আমলের সঙ্গে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজেট ২০০৬ সালে মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকা ছিল। আজকে সেই (গত অর্থ বছর) বাজেট আমরা ৬ লাখ কোটি টাকায় উন্নীত করেছি। ২০০৬ সালে দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ হতে ২০২২ সালে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এ সময় দেশে চরম দারিদ্র বলে কিছু থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন সরকার প্রধান।

দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জিডিপির আকার ২০০৬ সালে যেখানে ছিল মাত্র ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; বর্তমানে তা ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় ৫৪৩ মার্কিন ডলার হতে ২০২২ সালে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে। বিগত সাড়ে ১৪ বছরে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২১ এবং মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে জীবিত জন্মে ১২৩ এ নেমে এসেছে।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা পুর্নব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশে থাকবে একটি স্মার্ট সরকার, একটি স্মার্ট অর্থনীতি, একটি স্মার্ট জনসংখ্যা, একটি স্মার্ট সমাজ এবং স্মার্ট জনশক্তি। মানুষকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে দক্ষ করে তোলা হবে; যাতে তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অবদান রাখতে পারে। স্মার্ট বাংলাদেশের উদ্দেশ্য হলো পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প উৎপাদন, ব্যবসা, বাণিজ্য সবক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা।

তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমরা প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করছি। সারাদেশে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার এবং হাই-টেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হচ্ছে। দক্ষ মানব সম্পদ গড়তে সরকার শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণায় আমরা বিশেষ জোর দিয়েছি। এ ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আমরা বৃত্তিসহ বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছি। দেশ-বিদেশের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে গবেষণার জন্য তাদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।

আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা, আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, ডিজিটাল পরিষেবা, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, দুর্যোগের প্রস্তুতি এবং জলবায়ু অভিযোজনসহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক খাতে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এমনকি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আমাদের অগ্রগতি ব্যাহত করতে পারেনি।

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর ও ওআইসির মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাজেট   প্রধানমন্ত্রী   আইইউটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

১৪ জুন ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশ: ০১:১১ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

আগামী ১৪ জুন থেকে পবিত্র ঈদুল আজহায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। প্রথম দিনে ২৪ জুনের টিকিট দেওয়া হবে। আর সর্বশেষ ১৮ জুনে দেওয়া হবে ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট।

মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহায় ঈদের বিশেষ ট্রেন চলবে ৮টি। এসব ট্রেনের টিকিট শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। ঢাকা থেকে বর্হিগামী আন্তঃনগর ট্রেনের মোট ২৯ হাজার আসন হবে।

তিনি বলেন, ঈদের ফিরতি টিকিট দেওয়া হবে ২২ জুন থেকে। সেদিন কাটা যাবে ২ জুলাইয়ের টিকিট। ২৬ জুন পর্যন্ত কাটতে পারবে ফিরতি টিকিট। সেদিন দেওয়া হবে ৬ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন