অনুমতি ছাড়া কক্সবাজারের সুগন্ধা
পয়েন্টে সমুদ্র সৈকতের পাশে পাঁচতারকা হোটেল
নির্মাণের মামলায় ডেসটিনির পরিচালকসহ চার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে
আদালতে চার্জশিট দিয়েছে চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর।
রোববার
চট্টগ্রাম পরিবেশ আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা
দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের
পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম।
চার্জশিটে
আসামি করা হয়েছে, ডেসটিনি
মাল্টিপারপাস কোম্পানি অ্যান্ড কো-অপারেটিভের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান
কনফিগার ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের পরিচালক প্রকৌশলী তৈয়বুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান, 'বেস্ট ওয়েস্টার্ন ডেসটিনি বিচ হোটেল অ্যান্ড
রিসোর্ট' প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী সুশান্ত কুমার দাস ও প্রজেক্ট
প্রকৌশলী মাজাহারুল ইসলামকে।
অভিযোগপত্রে
বলা হয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সৈকতের পাশে ২০০৬ সালে
কনফিগার ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই 'বেস্ট ওয়েস্টার্ন ডেসটিনি বিচ হোটেল অ্যান্ড
রিসোর্ট' নামে একটি নয়তলা
ও আরেকটি চারতলা ভবন নির্মাণ করে।
জানা
গেছে, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত আমলে কক্সবাজার সমুদ্র
সৈকতের জমিতে হোটেল-মোটেল তৈরির জন্য ১০০ প্লট
বরাদ্দ দিয়ে বিএনপি নেতারা
ভাগাভাগি করে নেন। পরে
আওয়ামী লীগ সরকার চুক্তি
লঙ্ঘনের অভিযোগে ৪৯টি প্লটের ইজারা
বাতিল করে। ১৪ নম্বর
প্লটের এক একর জমিতে
২০০৬ সালে ডেসটিনি পাঁচতারকা
আবাসিক হোটেলের নির্মাণকাজ শুরু করে।
২০১২
সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট অনুমোদনহীন ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধের আদেশ দেন। একই
সঙ্গে আদালত পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই ভবন নির্মাণে জড়িত
পরিচালকসহ চার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে
আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা
মেনে ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়
স্থানীয় প্রশাসন। এখনও তা বন্ধ
রয়েছে। এরপর ওই বছরের
১৪ জুন পরিবেশ অধিদপ্তর
কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী
পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী
হয়ে চার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে
কক্সবাজার সদর মডেল থানায়
মামলা করেন। আদালতের বর্তমানে ডেসটিনির সম্পদের রিসিভার বা তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব
পালন করছে পুলিশ।
কক্সবাজারে অনুমোদনহীন ভবন ডেসটিনি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর ইফতার ও দোয়া মাহফিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চীন চীনা রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর কবির নানক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চীনা রাষ্ট্রদূত গতকাল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পাট এবং বস্ত্র খাতে বাংলাদেশে চীনের কোন বিনিয়োগ নেই। এমনকী চীনের এ ব্যাপারে তেমন কোন আগ্রহের কথাও জানা যায়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এই হেভিওয়েট নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে পাট পাটজাত পণ্য রপ্তানির বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।