ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা, আটক ৩


Thumbnail

সাংবাদিক ও ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার সময়, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের শিমুলতলা বাজারে।

আটককৃতরা হলেন- জেলার উলিপুর উপজেলার যমুনা ডালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে এবং শীর্ষ নিউজ-২৪-এর কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি পরিচয়দানকারী সিরাজুল ইসলাম (২৯), একই উপজেলার মালতিবাড়ী মোল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয় দানকারী মিঠু মিয়া (৩০) ও নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ এলাকার মনির উদ্দিনের ছেলে এবং সিএনএন ওয়ার্ল্ড২৪ এর রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি পরিচয়দানকারী আব্দুল আজিজ মিয়া (৩৫)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাতে পাঁচ সদস্যের একটি দল শিমুলতলা বাজারের মজিবর রহমানের ওষুধের দোকান ও আনিছুর রহমানের আয়শা ফার্মেসিতে গিয়ে নিজেদেরকে ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিচয় দেন। এ সময় তারা দোকানের ড্রাগ লাইসেন্স ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ আছে কিনা দেখতে চান। দোকানদার লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হলে তারা দুই দোকানের মালিকের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। দাবির টাকা না দিলে মামলার হুমকি দেন তারা।

পরে পাশের আশরাফুলের চায়ের দোকানে গিয়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের অজুহাতে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করেন। তাদের অসংলগ্ন কথা বার্তায় দোকানদারদের সন্দেহ হলে উপস্থিত লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

এ সময় কৌশলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সবুজপাড়া গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে আব্দুস ছালাম (৩৬) ও উলিপুর ধরনীবাড়ী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মোস্তাফিজার রহমান বাবু (২৮) পালিয়ে যান। পরে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাকি ৩ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করে বিকালে আটক তিনজনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

প্রতারণা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনে পক্ষপাতের অভিযোগ, জাতিসংঘকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি

প্রকাশ: ০৭:২১ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে পশ্চিমাদের কারণে পক্ষপাত করছে জাতিসংঘ। যার প্রমাণ মিলেছে ২৮ অক্টোবর নিয়ে সংস্থাটির একাধিক বিবৃতিতে। বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির সদরদপ্তরে চিঠি দিয়ে এমন অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। 

তিনি জানান, জাতিসংঘের শীর্ষ পর্যায়ের এক ‘বন্ধুকে’ ওই চিঠি লিখেছেন তিনি। তবে এটি গণমাধ্যমে চলে আসাটা দুঃখজনক। 

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। একই দিন বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি বিবৃতি দেয় জাতিসংঘ।

পয়লা নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লেখেন সংস্থাটির মানবাধিকার কমিশনার। দুই পাতার ওই চিঠিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও আইন মেনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরামর্শ দেয়া হয়। সঙ্গে বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও রাজনৈতিক সংলাপ-সমঝোতার তাগিদ দেয়া হয়।

এ নিয়ে নভেম্বরের শুরুতেই জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধির নামে মৌখিক অভিযোগ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর নভেম্বরের শেষদিকে দুই পাতার চিঠির জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বলেন, অযৌক্তিকভাবে নির্বাচনের আগে চাপ তৈরি করছে পশ্চিমা বিশ্ব। যাতে অংশগ্রহণ রয়েছে জাতিসংঘেরও।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে কাজ করছে সরকার। গেল ১৫ বছরে একাধিক নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। আসছে নির্বাচনও সুষ্ঠু করার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি পোড়াচ্ছে ও মানুষ মারছে বিরোধী দল।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, জাতিসংঘে তো অনেক পশ্চিমারাই চাকরি করে। তাদের তো একটা রিফ্লেকশন হয়। তারা টাকা দেয় জাতিসংঘে বেশি, তাই জাতিসংঘে অধিকাংশই জব তাদের। আমাদের তো খুঁজে পাওয়া যায় না, বাঙালি একটা চাকরি করে। তাদের বিবৃতিটা তথ্যনির্ভর ছিল না, ফার্টিজান ছিল। 

তবে চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন ড. মোমেন। বলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে একটা প্রাইভেট লেটার ছাপাইয়া দিয়েছেন। এই হলো বাংলাদেশ, এদের দেশ মাতৃকা কোন ধরণের, দেশের প্রতি মমত্ববোধ নাই।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘের যেকোনো পরামর্শ শুনতে প্রস্তুত আছে সরকার।

নির্বাচনে পক্ষপাত   জাতিসংঘ   পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি   ড. এ কে আব্দুল মোমেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ নিয়ে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব: কার লাভ, কার ক্ষতি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ নিয়ে গত কিছুদিন ধরে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন যে, কিছু পশ্চিমা দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি এই মন্তব্য করলেন এমন একটা সময় যখন বাংলাদেশের নির্বাচন দ্বারপ্রান্তে এবং এই নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি রহস্যময় নীরবতা পালন করছে। আর অ্যালেকজান্ডার তার বক্তব্যে এটিও বলেছেন যে, বিদেশিদের সহায়তা ছাড়াই বাংলাদেশের সরকার যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষম বলেই তিনি বিশ্বাস করেন এবং তার দেশ সেটাই মনে করেন। তার এই বক্তব্য যখন দেওয়া হচ্ছিল ঠিক তার কিছুক্ষণ আগেই বড় রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়ক জন কিরবি। তিনি বলেছেন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বিরুদ্ধে রাশিয়ার করা অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। তিনি এক ব্রিফিংয়ে এই বক্তব্য রাখেন। 

জন কিরবি বলেন যে, এটা পুরোপুরি মিথ্যা। রুশরা জানে এটা মিথ্যা। এটা রাশিয়ার নিখাত প্রচারণা ছাড়া অন্য কিছু নয়। করবি অবশ্য এটাও বলেছেন যে, বাংলাদেশের জনগণ যা চায় তারাও তা চান। আর তা হলো অবাধ,  সুষ্ঠু ও নির্বাচন। এই লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার দল কাজ করে যাচ্ছিল। তারা একই ভাবে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, বিরোধী দল, সরকার সহ বাংলাদেশের সব স্তরের মানুষের সঙ্গেই কাজ করে যাবেন বলে করবি তার প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেছেন। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার বাংলাদেশ নিয়ে দ্বন্দ্ব নতুন নয়। গত কয়েক মাস ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে রাশিয়া কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং বাংলাদেশের ব্যাপার নিয়ে তারা অতি আগ্রহী হয়ে বক্তব্য রাখছে। বিশেষ করে পিটার হাস বাংলাদেশের বিরোধী দলের সঙ্গে যোগসাজস করেছেন এমন অভিযোগ রাশিয়ার পক্ষ থেকে করা হয়েছে। করবি যেটি আনুষ্ঠানিকভাবে নাকচ করলেন। তবে এর আগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এই বক্তব্য খণ্ডন করেছিলেন।

প্রশ্ন হচ্ছে যে, বিশ্বে যখন রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরস্পর মুখোমুখি, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যখন পুরো বিশ্ব বিভক্ত, তখন বাংলাদেশ ইস্যুতে রাশিয়া কেন সরব হল? এর আগে রাশিয়া বাংলাদেশের ব্যাপারে এমন সরব ছিল না। বিশেষ করে দু বছর আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন এবং গণতন্ত্র নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলেছে তৎপরতা দেখিয়েছে। একাধিক মার্কিন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বাংলাদেশে এসেছেন এবং আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও তারা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। এছাড়াও বাংলাদেশে সুশাসন, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয় নিয়েও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কথাবার্তা বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়গুলোতে রাশিয়ার তেমন কোন ভূমিকা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করেই গত চার মাস আগে থেকে রাশিয়া বাংলাদেশের ব্যাপারে সরব অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপকে তারা ‘বাড়াবাড়ি’ বলে মনে করছে। 

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, এটি কৌশলগত অবস্থান। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কোণঠাসা হয়ে পড়া রাশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বে যেখানে পারছে সেখানেই বিতর্কিত এবং সমালোচিত করার কৌশল নিয়ে কাজ করছে এবং সে কারণেই বাংলাদেশ ইস্যুটিকে তারা গুরুত্বপূর্ণ মনে করে সামনে নিয়ে এসেছে। তবে এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে তা নিয়ে কূটনৈতিক মহল বিভক্ত। কোনো কোনো কূটনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন যে, এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সজাগ সচেতন থাকবে। তারা বাংলাদেশের ব্যাপারে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে মাথায় রাখবে যে রাশিয়া সব বিষয়গুলো নিরীক্ষা করছে এবং পর্যবেক্ষণ করছে। কিন্তু অনেক কূটনৈতিক বিশ্লেষক এই মতের সাথে একমত নয়। বরং তারা বলেছে যে, রাশিয়ার এই অতি আগ্রহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে আরও আগ্রহী করে তুলবে। বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক তারা ভালোভাবে নেবেন না। ফলে বাংলাদেশের ওপর অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করতে পারে। এখন দেখার বিষয় যে এই দ্বন্দ্বের পরিণতি বাংলাদেশে পরিস্থিতি কোনদিকে নিয়ে যায়।

বাংলাদেশের নির্বাচন   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   রাশিয়া   পিটার ডি হাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৬:৩৮ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। মানবাধিকারের কথা বলে কোনো কোনো দেশকে দমন করে রাখার চেষ্টা করা হয়। দেশে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, অথচ বিবৃতিজীবীরা হারিয়ে গেছে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, কিছু বিবৃতিজীবী আছেন, বিবৃতি দেওয়ায় তাদের পেশা। বাংলাদেশেও কিছু বিবৃতিজীবী আছেন। ইদানিং অবশ্য তাদের দেখা যাচ্ছে না। বিবৃতিজীবীরা বেশিরভাগ হারিয়ে গেছেন। দেশে যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, সবসময় যারা এ ধরনের বিবৃতি দেন, তাদের বিবৃতি এখন দেখতে পাচ্ছি না। এ বিবৃতিজীবীরা কই? জনগণ এদের খুঁজছে, আমিও তাদের খুঁজছি। আমি একটু উদ্বিগ্ন তাদের জন্য। তারা জ্বর কিংবা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হল কি না! তাদের নিয়ে মানুষ চিন্তায় আছে। 

মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীর মানবাধিকার নিয়েও কেউ কেউ সোচ্চার হয়। কিন্তু সে সন্ত্রাসী যে এত মানুষ মারল, সেটি নিয়ে কোনো কথাবার্তা নেই। পৃথিবীতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন আছে, যেগুলো মূলত মানবাধিকারের ব্যবসা করে। তারা ফিলিস্তিনে সাধারণ মানুষসহ দশ হাজারের বেশি নারী ও শিশুকে হত্যা নিয়ে বিবৃতি দেয়নি। অথচ তারা বরিশালে একজন আরেকজনকে ঘুষি মারল এবং কোথায় কিছু মানুষ একজনকে ধাওয়া করল সেজন্য বিবৃতি দিল। আমি কথাগুলো বলছি, কারণ আগামী পরশু দিন ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এ দিবসকে সামনে রেখে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭৫ সালে। ওই সময় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয় এবং সেটিকে আইনে পরিণত করে হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে। ওই সময় নির্বিচারে সেনা অফিসার ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে হত্যা করা হয়েছিল। একজনের নামের সঙ্গে আরেকজনের মিল আছে, সেজন্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং ফাঁসি কার্যকর হবার পর রায় হয়েছে ফাঁসির, এমন ঘটনাও আছে। তারপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব। এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। 

মানবাধিকার   তথ্যমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়া গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

নিজ নির্বাচনী এলাকায় আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সকালে টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়া গেছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনেই গোপালগঞ্জে দুইদিনের সফরের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সরকারি প্রোটোকল না‌ নিয়ে পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়া গেছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‌ আজ সকালে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনেই সরকারি প্রোটোকল না‌ নিয়ে পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়া যান।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা থেকে সড়কপথে গোপালগঞ্জ গিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল ১০টার কিছু আগে সীমিত গাড়িবহরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান।

স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ বিকেলেই সড়কপথে তার ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।


প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকার ওসিরা থেকে গেলেন ঢাকাতেই

প্রকাশ: ১০:০৮ এএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমোদনের পর সারা দেশের ৩৩৮ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে। বদলির তালিকায় দেখা গেছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৫০ থানার মধ্যে যে ৩৪ জন ওসিকে বদলি করা হয়েছে, তাদের ঢাকাতেই রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তর এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির কথা জানিয়েছে।

ডিএমপির একজন ওসিকে থানা থেকে গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) বদলি করা হয়েছে। ডিবি থেকে একজনকে ওসি করা হয়েছে। তবে ঢাকার মতোই অন্যান্য মহানগরেও তেমন রদবদল হয়নি। ঢাকার বাইরে অনেক ওসিকে ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। তবে ঢাকার আশপাশের ওসিদের দু–একটি ব্যতিক্রম ছাড়া একই জেলায় কিংবা নিকটবর্তী জেলার থানায় বদলি করা হয়েছে।

তালিকায় থাকা সাভার থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহাকে বদলি করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা, সোনারগাঁ থানার ওসিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বদলি করা হয়েছে। বদলির তালিকায় মানিকগঞ্জের সাত থানার ওসিদের এক থানা থেকে অন্য থানায় বদলি করা হয়েছে। গাজীপুরের একটি থানার ওসিকে বদল করে সাভার থানায় দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার ১১ জন ওসি নানাভাবে ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ঘুরেফিরে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় থাকছেন। দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে থানার ওসিদের বদলির নিয়ম রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র। তবে ডিএমপির ৫০ থানার মধ্যে অন্তত ২১ থানার ওসি ডিএমপিতেই দুই বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন। পুলিশ পরিদর্শক বি এম ফরমান আলী ২০১৩ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেন। পরে তাকে মতিঝিল থেকে বনানী থানার ওসি হিসেবে বদলি করা হয়। সেখান থেকে ডিএমপির বিমানবন্দর থানার ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশের এই কর্মকর্তাকে গত বছর গুলশান থানার ওসি করা হয়। প্রায় ১০ বছর ঘুরেফিরে তিনি ডিএমপিরই বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল তাকে গুলশান থেকে বদলি করে যাত্রাবাড়ী থানায় দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব থানার ওসিদের পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ওসির বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে, তাদের অন্য জায়গায় বদলির প্রস্তাব ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়। পরে ওসিদের বদলির প্রস্তাব পাঠানোর সময় বাড়িয়ে ৮ ডিসেম্বর করা হয়।

ওসিদের বদলির প্রজ্ঞাপনে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ওসি বদলি করা হয়েছে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে। চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানার সেই আলোচিত ওসি তোফায়েল আহমেদকে একই জেলার বাঁশখালী থানায় বদলি করা হয়েছে।

পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলছে, ঢাকা ও আশপাশ জেলার ওসিদের বদলি না হওয়ার পেছনে পুলিশের ভেতরে কয়েক দিন ধরে দেনদরবার হয়েছে। একাধিক ওসি ঢাকায় থাকার জন্য বিপুল অর্থ খরচ করেছেন বলে আলোচনা আছে।

এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঢাকার ওসিদের ঢাকায় থাকার জন্য যে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে, এটা অবাক করার মতো কোনো বিষয় নয়। আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আগেও ছিল, এখন হয়তো এটা আরও বেড়েছে।

এদিকে একই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বদলির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার প্রথম পর্যায়ে ৪৭ জন এবং গতকাল ১৫৮ জন ইউএনওকে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়।

 

 


ওসি   বদলি   ঢাকা মহানগর পুলিশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন