ইনসাইড বাংলাদেশ

আ'লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করলো ময়মনসিংহ

প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আর একদিন পরেই ময়মনসিংহে দীর্ঘ ৬ বছর পর ৩ ডিসেম্বর  অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এ নিয়ে ময়মনসিংহের আওয়ামী নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা এবং উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে। রাজনীতির মাঠ রয়েছে সরগরম। সব মহলে বয়ছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে শেষ মূহর্তের চুলচেরা বিশ্লেষণ কাদের কাঁধে যাবে আগামী ৩ বছরের দল পরিচালনার দায়িত্বভার।

ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী সার্কিট হাউস মাঠের প্রবেশদ্বারসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং তাদের অনুসারীদের পোস্টার প্যানায় শহর ছেয়ে গেছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর সার্কেট হাউজ মাঠের আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে ইতিমধ্যে সভায় জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে মঞ্চ এবং অন্যান্য কাজ। সম্মেলন কে ঘিরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শনিবার সার্কিট হাউজ মাঠের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এম.পি।

নির্বাচন সামনে রেখে এই সম্মেলনকে এবং এ সময় গঠিত সম্ভাব্য জেলা ও মহানগর কমিটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

বিশেষতঃ বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৃণমূলে দলকে গোছানো এবং আগামীর নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে জিতিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে এ কমিটিকে। ময়মনসিংহে নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে কমিটির কাছে এমনটিই প্রত্যাশা করছেন তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ। সেই সাথে তাদের প্রচার প্রচারণায় জেলা কমিটির সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির সভাপতি জহিরুল হক খোকা,জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক জ্বালাল উদ্দিন খান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফারুক আহমেদ খান এর নাম শোনা যাচ্ছে। বর্তমান সভাপতি জহিরুল হক খোকা দক্ষতার সাথেই দল পরিচালনা করেছেন বলে অনেক নেতা-কর্মী মনে করছেন। বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ হিসেবে নেতাকর্মীদের কাছে তার আলাদা গ্রহণযোগ্যতাও। জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক আহাম্মদ আলী আকন্দ,সাধারণ সম্পাদক শওকত জাহান মুকুল,সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফ হাসান অনু,জেলা কমিটির অন্যতম নেতা আহসান মোঃ আজাদ,মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিতুর রহমান শান্ত,জেলা কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউল হাসান বাবু এর নাম নেতাকর্মীদের প্রচার
প্রচারণায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও বর্তমান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বলে গুঞ্জণ রয়েছে। অনেকর মতে ভাষা সৈনিক ও সাবেক এমপি মরহুম শামসুল হকের পুত্র হিসেবে দল পরিচালনায় শরীফ আহমেদেরও নেতাকর্মীদের কাছে একটি পৃথক অবস্থান রয়েছে।

মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দাবি বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এর নেতৃত্বে সমন্বয়ের ঘাটতি থাকলেও একজন ত্যাগী ও কারানির্যাতিত নেতা হিসেবে তারও নেতাকর্মীদের কাছে পৃথক অবস্থান রয়েছে । তবে,জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নেতাদের অনেকের বিরূদ্ধেই এলাকার সাথে যোগাযোগ না রাখার বিষয়টি উঠে এসেছে। দলীয় প্রয়োজনে সময় না দেওয়ার এবং এমনকি,কারো কারো নামে দলকে দ্বিধাবিভক্ত করার অভিযোগও নেতাকর্মীদের করতে দেখা গেছে। এছাড়াও,প্রার্থীদের কারো করো বিরূদ্ধে আর্থিক অনিয়ম,চোরাচালান এবং মাদক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকারও অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির সভাপতি এহতেশামুল আলম,ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ ইকরামুল হক টিটু,জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাদেক খান মিল্কী টজু এর নাম প্রচার প্রচারণায় পাওয়া গেছে। শহরে ৩ জন প্রার্থীই সরব প্রচার প্রচারণায় চলছে। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ
মহানগর এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ ইকরামুল হক টিটুকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চান- প্যনা পোস্টারে এমন প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে।

মহানগরের সভাপতি প্রার্থীদের কারো কারো নামে স্ত্রী ও সন্তানকে ব্যবহার করে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও কারো কারো নামে দীর্ঘ সময় রাজনীতির মাঠে অনুপস্থিতি,নেশাগ্রস্থ থাকা এবং বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপকালে উঠে এসেছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন- বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি গোলাম ফেরদৌস জিল্লু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর শহীদ উদ্দিন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন জাহাঙ্গীর বাবু,সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হক রিপন,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাইদুল আরেফিন রাসেল,৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মসিকের প্যানেল মেয়র ০২ মোঃ মাহবুবুর রহমান দুলাল এবং মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির নেতা লিটন পাল। তবে তৃণমূলের প্রত্যাশা আগামীর কমিটিতে এমন নেতা নির্বাচিত হবেন যিনি সার্বক্ষণিক সময় দিয়ে দলকে সংগঠিত করবেন। সবার বিশ্বাস- আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বিষয় যাচাই বাছাই করেই আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।

এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন,সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রান্তিক পর্যায়ে দলের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র,অপচেষ্টা মোকাবিলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। এ ধরনের কাজ যারা স্বরান্বিত করতে পারবেন,আমি আশাবাদী এমন নেতাদের কাঁধে দলের গুরু দ্বায়ীত্ব উঠবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল আলম বলেন,ইতোমধ্যে ২১টি ওয়ার্ডের সম্মেলন হয়েছে। ১২টি কমিটি দেওয়া হয়েছে,বাকিগুলোও দেওয়া হবে। তবে যারা ত্যাগী: দীর্ঘদিন দলের রাজনীতি করেছেন; এমন নেতারাই নেতৃত্বে আসবে বলে মনে করছেন তিনি।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তর মতে,তার বাবা যেভাবে ২৭ বছর আওয়ামী লীগকে আগলে রেখেছিলেন,বাবার দেখানো পথ অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগকে আগলে রাখবেন তিনি। এ তরুণ নেতা মনে করেন তাঁর বাবার সময় দলে কোন্দল ছিল না। তার কাঁধে নেত্রী দায়িত্ব দিলে দলের ভিতরের সকল বিভেদ দূর করে দলকে শক্তিশালী করে গড়তে সকল পদক্ষেপ নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করবেন তিনি।

কমিটি প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন,সম্মেলনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর দলকে সংগঠিত করতে সঠিকভাবে কাজ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করে জাবেন। তিনি আরও বলেন,দলের স্বার্থে নেত্রী আমাকে যেখানেই চাইবেন,আমি  সেখানেই থাকতে চাই।

ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মধুখালীতে এতিমদের সাথে ইফতার করলেন মৎস্য মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামালদিয়ায় এতিমখানার শিক্ষার্থীসহ অসহায় লোকজনের সাথে ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান এমপি। 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) মধুখালীর নিজ গ্রাম কামালদিয়া খেলার মাঠে কামালদিয়া ও কয়েসদিয়া এতিমখানা-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৫ শতাধিক স্থানীয় অসহায় লোকজন ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। 

এ সময় মন্ত্রী আব্দুর রহমানকে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ লোকজনকে ইফতার বিতরণ করতে দেখা যায়। 



ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম  (পিপিএম), মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুল হক অনিক, বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন ইয়াসমিন, মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও বোয়ালমারী অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। 

এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদেরকে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন এবং বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে মতবিনিময় সভা করেন।

ফরিদপুর   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমেছে মুঠোফোনের ব্যবহার, অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেটের বাইরে

প্রকাশ: ০৯:০৪ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি।

২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।

বিবিএস ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ও ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়েছে। মূলত ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ২০২০ সালে দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ছিল ৭৫ শতাংশের বেশি। যা ২০২৩ সালে এসে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরে মুঠোফোন ব্যবহারকারী বাড়েনি বরং কমেছে। অপর দিকে ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীর হিসাবে তিন বছরে বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।

সেবা খাতের প্রায় সব ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের পার্থক্য থাকে। যা তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে। আর এ ব্যবধান অনেক। শহরের ৮২ শতাংশের বেশি মানুষের হাতে মুঠোফোন রয়েছে।  যেখানে গ্রামের ৭১ ভাগের মানুষের হাতে তা আছে।

যেকোনো সেবা খাতেই নারী- পুরুষের বৈষম্য রয়েছে। আইসিটি খাতে তা আরও বেশি। বিবিএসের তথ্যমতে, দেশের প্রায় ৬৩ শতাংশ নারীর হাতে এখন মুঠোফোন আছে। তিন বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ মুঠোফোন ব্যবহারকারী নারী কমেছে।

দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ৮৬ শতাংশের বেশি। তিন বছর আগে ছিল ৮৭ দশমিক শতাংশ।

মুঠোফোন ব্যবহারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনা মহামারির বছর ২০২১ সালে ব্যবহারকারী কমেছিল। যা ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে যায়।  কিন্তু ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে তা সামান্যই বেড়েছে।

দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্যও তুলে ধরেছে বিবিএস। তাতে দেখা যায়, ১৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের ঊর্ধ্বে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি। ২০২০ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০২১ সালে ৪৩ দশমিক ৭ এবং ২০২২ সালে ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এখানেও নারী-পুরুষের ব্যবধান বেশি। দেশের ৫৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪২ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। 

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম স্তম্ভ ছিল সংযোগব্যবস্থা । কিন্তু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়েছে। 


মুঠোফোন   ইন্টারনেট   আইসিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দপ্তরে বসে প্রকাশ্যে ঘুষ নেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এ ঘটনায় ওই কর্মচারীকে উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর চিঠি (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, সেবাগ্রহীতা বলছেন, ‘সব খারিজ তো সমান না। গরিব মানুষ, কাজটা করে দিয়ে দেন।’ উত্তরে আবদুল কাদির বলেন, ‘কথা ছিল ৬ হাজার টাকা দিবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে?’ এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আবদুল কাদির। চলে যাওয়ার সময় সেবাগ্রহীতা আবারও বলেন, ‘আপনি আরও এক হাজার টাকার আবদার করেছেন, একটা বিহিত (ব্যবস্থা) হবে। আপনি কাজটা করে রাখেন।’

স্থানীয় লোকজন ও সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। ভূমি কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয় সেবাগ্রহীতাদের। সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা না দিলে কাজ তো দূরের কথা সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেন না তিনি।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশের পর অভিযুক্ত ভূমি সহকারী আবদুল কাদিরের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তিন দিন আগে তাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আজ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান সহকারী কমিশনার।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের নবজাগরণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন নবজাগরণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) চন্দ্রগঞ্জের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মোস্তফার দোকান এলাকায় এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি, ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এম ছাবির আহাম্মেদ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিংকু, সংগঠনটির সদস্য মাসুদ করিম শিফন, তোফাজ্জল হোসেন সবুজ, এডভোকেট মহসিন, মো: আরমান, মিজান মল্লিক, আলমগীর হোসেন, রাকিবুল ইসলাম, মো : মাহতাব, মো: ইব্রাহিম খলিল রাজু প্রমূখ।

ইফতারে প্রায় ছয় শতাধিক হত-দরিদ্র মানুষকে ইফতার করানো হয়। 

ইফতারের আগ মুহূর্তে সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা ও মুসলিম উম্মাহের সুখ-শান্তি সুনাম এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

লক্ষ্মীপুর   ইফতার ও দোয়া মাহফিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রায়পুরে কলেজছাত্রকে অপহৃরণের ঘটনায় দুজন আটক


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে তানভীর হোসেন নামে এক কলেজ ছাত্রকে অপহৃরণের ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। অপহৃত তানভীর উপজেলার চর পাতা গ্রামের চুনু মিঝি বাড়ির মোঃ হানিফের ছেলে ও গিত কালন্দি সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র।

মঙ্গলবার কলেজ ছাত্রর বাবা বাদী হয়ে সাত জনের নামে রায়পুর থানায় অপহৃরণের একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্থানীয় রিফাতসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তানভীরের মা শাহানারা বেগম বলেন, আমার ছেলে অপহৃরণ করে নিয়ে গেছে। পরে আমরা রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করি। এতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমার ছেলে ফিরে এসেছে। তাবে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কার্যকরী ভুমিকা চাই।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, অপহৃরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অপহৃরণ   লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন