ইনসাইড বাংলাদেশ

আ'লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করলো ময়মনসিংহ

প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আর একদিন পরেই ময়মনসিংহে দীর্ঘ ৬ বছর পর ৩ ডিসেম্বর  অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এ নিয়ে ময়মনসিংহের আওয়ামী নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা এবং উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে। রাজনীতির মাঠ রয়েছে সরগরম। সব মহলে বয়ছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে শেষ মূহর্তের চুলচেরা বিশ্লেষণ কাদের কাঁধে যাবে আগামী ৩ বছরের দল পরিচালনার দায়িত্বভার।

ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী সার্কিট হাউস মাঠের প্রবেশদ্বারসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং তাদের অনুসারীদের পোস্টার প্যানায় শহর ছেয়ে গেছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর সার্কেট হাউজ মাঠের আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে ইতিমধ্যে সভায় জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে মঞ্চ এবং অন্যান্য কাজ। সম্মেলন কে ঘিরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শনিবার সার্কিট হাউজ মাঠের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এম.পি।

নির্বাচন সামনে রেখে এই সম্মেলনকে এবং এ সময় গঠিত সম্ভাব্য জেলা ও মহানগর কমিটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

বিশেষতঃ বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৃণমূলে দলকে গোছানো এবং আগামীর নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে জিতিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে এ কমিটিকে। ময়মনসিংহে নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে কমিটির কাছে এমনটিই প্রত্যাশা করছেন তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ। সেই সাথে তাদের প্রচার প্রচারণায় জেলা কমিটির সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির সভাপতি জহিরুল হক খোকা,জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক জ্বালাল উদ্দিন খান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফারুক আহমেদ খান এর নাম শোনা যাচ্ছে। বর্তমান সভাপতি জহিরুল হক খোকা দক্ষতার সাথেই দল পরিচালনা করেছেন বলে অনেক নেতা-কর্মী মনে করছেন। বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ হিসেবে নেতাকর্মীদের কাছে তার আলাদা গ্রহণযোগ্যতাও। জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক আহাম্মদ আলী আকন্দ,সাধারণ সম্পাদক শওকত জাহান মুকুল,সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফ হাসান অনু,জেলা কমিটির অন্যতম নেতা আহসান মোঃ আজাদ,মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিতুর রহমান শান্ত,জেলা কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউল হাসান বাবু এর নাম নেতাকর্মীদের প্রচার
প্রচারণায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও বর্তমান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বলে গুঞ্জণ রয়েছে। অনেকর মতে ভাষা সৈনিক ও সাবেক এমপি মরহুম শামসুল হকের পুত্র হিসেবে দল পরিচালনায় শরীফ আহমেদেরও নেতাকর্মীদের কাছে একটি পৃথক অবস্থান রয়েছে।

মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দাবি বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এর নেতৃত্বে সমন্বয়ের ঘাটতি থাকলেও একজন ত্যাগী ও কারানির্যাতিত নেতা হিসেবে তারও নেতাকর্মীদের কাছে পৃথক অবস্থান রয়েছে । তবে,জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নেতাদের অনেকের বিরূদ্ধেই এলাকার সাথে যোগাযোগ না রাখার বিষয়টি উঠে এসেছে। দলীয় প্রয়োজনে সময় না দেওয়ার এবং এমনকি,কারো কারো নামে দলকে দ্বিধাবিভক্ত করার অভিযোগও নেতাকর্মীদের করতে দেখা গেছে। এছাড়াও,প্রার্থীদের কারো করো বিরূদ্ধে আর্থিক অনিয়ম,চোরাচালান এবং মাদক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকারও অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির সভাপতি এহতেশামুল আলম,ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ ইকরামুল হক টিটু,জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাদেক খান মিল্কী টজু এর নাম প্রচার প্রচারণায় পাওয়া গেছে। শহরে ৩ জন প্রার্থীই সরব প্রচার প্রচারণায় চলছে। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ
মহানগর এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ ইকরামুল হক টিটুকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চান- প্যনা পোস্টারে এমন প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে।

মহানগরের সভাপতি প্রার্থীদের কারো কারো নামে স্ত্রী ও সন্তানকে ব্যবহার করে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও কারো কারো নামে দীর্ঘ সময় রাজনীতির মাঠে অনুপস্থিতি,নেশাগ্রস্থ থাকা এবং বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপকালে উঠে এসেছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন- বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি গোলাম ফেরদৌস জিল্লু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর শহীদ উদ্দিন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন জাহাঙ্গীর বাবু,সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হক রিপন,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাইদুল আরেফিন রাসেল,৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মসিকের প্যানেল মেয়র ০২ মোঃ মাহবুবুর রহমান দুলাল এবং মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির নেতা লিটন পাল। তবে তৃণমূলের প্রত্যাশা আগামীর কমিটিতে এমন নেতা নির্বাচিত হবেন যিনি সার্বক্ষণিক সময় দিয়ে দলকে সংগঠিত করবেন। সবার বিশ্বাস- আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বিষয় যাচাই বাছাই করেই আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।

এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন,সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রান্তিক পর্যায়ে দলের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র,অপচেষ্টা মোকাবিলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। এ ধরনের কাজ যারা স্বরান্বিত করতে পারবেন,আমি আশাবাদী এমন নেতাদের কাঁধে দলের গুরু দ্বায়ীত্ব উঠবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল আলম বলেন,ইতোমধ্যে ২১টি ওয়ার্ডের সম্মেলন হয়েছে। ১২টি কমিটি দেওয়া হয়েছে,বাকিগুলোও দেওয়া হবে। তবে যারা ত্যাগী: দীর্ঘদিন দলের রাজনীতি করেছেন; এমন নেতারাই নেতৃত্বে আসবে বলে মনে করছেন তিনি।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তর মতে,তার বাবা যেভাবে ২৭ বছর আওয়ামী লীগকে আগলে রেখেছিলেন,বাবার দেখানো পথ অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগকে আগলে রাখবেন তিনি। এ তরুণ নেতা মনে করেন তাঁর বাবার সময় দলে কোন্দল ছিল না। তার কাঁধে নেত্রী দায়িত্ব দিলে দলের ভিতরের সকল বিভেদ দূর করে দলকে শক্তিশালী করে গড়তে সকল পদক্ষেপ নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করবেন তিনি।

কমিটি প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন,সম্মেলনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর দলকে সংগঠিত করতে সঠিকভাবে কাজ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করে জাবেন। তিনি আরও বলেন,দলের স্বার্থে নেত্রী আমাকে যেখানেই চাইবেন,আমি  সেখানেই থাকতে চাই।

ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুরা সমাজ ও পরিবারের অংশ: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ০৮:৩২ এএম, ০২ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের যথাযথ পুনর্বাসনে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি ১৬তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষ্যে শনিবার এক বাণীতে এ আহ্বান জানান। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও রোববার (২ এপ্রিল) ‘১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষ্যে দেশের সকল অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি, তাদের পরিবার এবং অটিজম নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলোকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

এবারের বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ‘আমাদের সমাজ ও পরিবারের অংশ’। প্রতিবন্ধী ও এনডিডি (নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিস্যাবিলিটি) বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন ২০১৩’, ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’, ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮’ এবং ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিধিমালা ও নীতিমালা বাস্তবায়নের ফলে প্রতিবন্ধিতার ধরন ও মাত্রা অনুযায়ী সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে চিকিৎসা ও থেরাপি সেবার পাশাপাশি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া গ্রহণ করার প্রয়াস চলমান রয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইতোমধ্যে অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যা সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। অটিজম ও এনডিডি সেবাকেন্দ্র চালুর মাধ্যমে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তি এবং অন্যান্য এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদের জীবনমান আরো উন্নত হবে বলেও তিনি মনে করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, অটিজম ও এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদের জীবনব্যাপী সেবার প্রয়োজন হয়। তাই অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে কাউন্সেলিং ও রেফারেল সেবা এবং সহায়ক উপকরণ ও সহায়ক প্রযুক্তি প্রদান করে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন শিশু ও ব্যক্তিদের সাথে নিয়েই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথকে আরো প্রসারিত করবে বলেও বিশ্বাস করেন।

রাষ্ট্রপতি ১৬তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের শোক

প্রকাশ: ০৮:২৬ এএম, ০২ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ এম এম এনামুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।

এক শোক বার্তায় আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ এম এম এনামুল হকের মৃত্যুতে বসুন্ধরা গ্রুপ এবং আমার পক্ষ থেকে গভীর শোক এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। তার জীবন, আদর্শ এবং কর্ম আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আমি তার বিদেহী রূহের মাগফিরাত কামনা করি।’

শোক বার্তায় তিনি আরও বলেন, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি যাতে মরহুমের পরিবার যেন এই অপূরণীয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেন।

উল্লেখ্য,  শনিবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবনে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইন্তেকাল করেন।

আলহাজ এম এম এনামুল হক ১৯৫৮ সালের ১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার দক্ষিণ মেদিনীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশের অন্যতম আবাসন শিল্প প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সফল এই ব্যবসায়ী নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান এনামুল হক মারা গেছেন

প্রকাশ: ০৮:২৪ এএম, ০২ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দৈনিক সময়ের আলোর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি আলহাজ এম এম এনামুল হক আর নেই। শনিবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান দৈনিক সময়ের আলোর প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রবিবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় গুলশান সোসাইটি মসজিদে (৬৯ নং রোড) তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে লাশ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এম এম এনামুল হক ১৯৫৮ সালের ১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার দক্ষিণ মেদিনীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে, আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অপরাধ ও অপপ্রচারের সাথে সাংবাদিকতাকে মেলাবেন না: ডিআরইউতে তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের অনুন্মোচিত বিষয় তুলে আনে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। অপরাধ ও অপপ্রচারের সাথে সাংবাদিকতাকে মেলাবেন না।’

শনিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আহসান সোহেল সভায় শুভেচছা বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সহ সভাপতি দীপু সারোয়ারসহ বর্তমান ও অতীত নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে একটি ১০ বছরের ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে দিয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কথা বলানোর চেষ্টা এবং সে না বললেও তার বক্তব্য হিসেবে সেটি প্রচার করা শুধু বাংলাদেশের সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী নয়, সারাবিশ্বে যে সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি রয়েছে, সেগুলোরও পরিপন্থী।’

তিনি বলেন, ‘এখানে স্পষ্টত: জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ লংঘিত হয়েছে এবং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি কটাক্ষ করা হয়েছে। এ সব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলেই মামলা হয়েছে, এর সাথে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর অনুরোধ জানাই। তবে কারো কোনো হয়রানি যেন না হয়, সেদিকে আমরা নজর রাখছি।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে, সরকারের সমালোচনা করে প্রায় প্রতিদিন দেশের পত্র-পত্রিকায় লেখা হয়, টেলিভিশনে রিপোর্ট প্রচার হয়- এ নিয়ে কোনো মামলা তো দূরের কথা, কোনোদিন কাউকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশ্নও করা হয়নি। অথচ এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট পত্রিকা থেকে বিদেশি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে যে, দ্রব্যমূল্য নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে তাদের সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বলে তাদেরকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট এই অসত্য অপপ্রচার আসলে দেশবিরোধিতা।’

হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতায় রাজধানীর পল্লবীতে শুক্রবার বিএনপির  ইফতারে সাংবাদিক নির্যাতনের নিন্দা জানান এবং মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং সব সময় তা বজায় রাখতে চায়। কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আর অপরাধ এক জিনিস নয়। দেশের সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো, সম্পাদক, প্রকাশক, শিক্ষক, শিল্পী, সুশীল সমাজও স্বাধীনতাকে কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে, বিবৃতি দিয়েছে, কারণ এখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে অভিযোগ খণ্ডন করে উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের আইন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সাইবার সিকিউরিটি ল’জ এন্ড রেগুলেশন ২০২২, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার ল’ এন্ড পানিশমেন্ট এবং এ ধরণের আইন বিশ্বের বহু দেশে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরণের অপরাধের শাস্তি হচ্ছে ২০ বছর কারাদণ্ড। এবং ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কারণে যদি কারো মৃত্যু হয় তবে সেই অপরাধের শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তারা আমাদের আইন নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার চেষ্টা করে অথচ এ দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য বহু দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনেক বেশি কঠিন।’


অপরাধ   অপপ্রচার   সাংবাদিকতা   ডিআরইউ   তথ্যমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের প্রশংসা করে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে মার্কিন কংগ্রেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং আর্থসামাজিক অগ্রগতির স্বীকৃতির প্রশংসা করে একটি  প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। গত ২৯ মার্চ এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের পক্ষ থেকে সাউথ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জো উইলসন কংগ্রেসে এই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন।

শনিবার (১ এপ্রিল) ঢাকায় পিআইডির তথ্য বিবরণীতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবটি উত্থাপনকালে কংগ্রেসম্যান উইলসন ৫১ বছর আগে ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও স্মরণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী বাংলাদেশের  মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী এবং এর দোসরদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কথা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয় এবং বলা হয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার সংগ্রাম।

এতে বলা হয়, বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করেছে। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি, যার মাথাপিছু জিডিপি বেড়ে ২০২১ সালে দাঁড়িয়েছে ২৪৫৭ মার্কিন ডলারে, যা এখন তার আঞ্চলিক প্রতিবেশীর চেয়ে অনেক বেশি।

রেজুল্যুশনে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৯ বিলিয়ন থেকে ৪শ’ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, গড় আয়ু ৪৭ বছর থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে এবং বয়স্ক সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন, দারিদ্র্য হ্রাস, উন্নত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ প্রশমনসহ আর্থসামাজিক খাতে যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।

প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলাদেশ সফলভাবে মডারেট মুসলিম সমাজ ব্যবস্থা বজায় রেখেছে, উগ্রবাদ দমন করেছে এবং দেশটির জনগণ বন্দুকের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পরিবর্তে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি সমর্থন বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।

প্রস্তাবে আরও বলা হয় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তম রপ্তানি বাজার এবং বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের একটি বৃহত্তম উৎস। বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক, বাণিজ্যিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতার মাধ্যমে মার্কিন অর্থনীতিতেও অবদান রেখে চলছে।

রেজুল্যুশনে বলা হয়, প্রতিবেশী মিয়ানমার দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা রোধে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে, আমেরিকার জনগণ তার প্রশংসা করে। মিয়ানমার সৃষ্ট এই সঙ্কট মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা বাবদ সবচেয়ে বেশি অর্থ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

এতে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সৈন্য প্রেরণকারী দেশ যা আমেরিকার জনগণের কাছে সর্বদা প্রশংসা অর্জন করেছে। উভয় দেশই অর্জিত সমৃদ্ধি বিনিময়ের জন্য তাদের জনগণের সাথে জনগণ এবং সরকারের সাথে সরকারের সম্পর্ক আরো উন্নত করতে চায়।

প্রস্তাবে বলা হয় বাংলাদেশের জনগণকে ১০ কোটি ডোজেরও বেশি কোডিভ ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

প্রস্তাবে উল্লে করা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ যখন স্বাধীনতার ৫১ বছর উদ্যাপন করছে তখন আমেরিকার জনগণ বাঙালি জাতির ভূয়সী প্রশংসা ও স্বীকৃতি  প্রদান করে। বর্তমান ও ভবিষ্যতে পারস্পরিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গঠনমূলক অংশীদার থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বলেও রেজুল্যুশনে মন্তব্য করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন