মন্তব্য করুন
অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের যথাযথ পুনর্বাসনে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি ১৬তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষ্যে শনিবার এক বাণীতে এ আহ্বান জানান। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও রোববার (২ এপ্রিল) ‘১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষ্যে দেশের সকল অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি, তাদের পরিবার এবং অটিজম নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলোকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এবারের বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ‘আমাদের সমাজ ও পরিবারের অংশ’। প্রতিবন্ধী ও এনডিডি (নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিস্যাবিলিটি) বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন ২০১৩’, ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’, ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮’ এবং ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিধিমালা ও নীতিমালা বাস্তবায়নের ফলে প্রতিবন্ধিতার ধরন ও মাত্রা অনুযায়ী সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে চিকিৎসা ও থেরাপি সেবার পাশাপাশি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া গ্রহণ করার প্রয়াস চলমান রয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইতোমধ্যে অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যা সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। অটিজম ও এনডিডি সেবাকেন্দ্র চালুর মাধ্যমে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তি এবং অন্যান্য এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদের জীবনমান আরো উন্নত হবে বলেও তিনি মনে করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, অটিজম ও এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদের জীবনব্যাপী সেবার প্রয়োজন হয়। তাই অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে কাউন্সেলিং ও রেফারেল সেবা এবং সহায়ক উপকরণ ও সহায়ক প্রযুক্তি প্রদান করে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন শিশু ও ব্যক্তিদের সাথে নিয়েই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথকে আরো প্রসারিত করবে বলেও বিশ্বাস করেন।
রাষ্ট্রপতি ১৬তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
দেশের অন্যতম
শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ এম এম এনামুল
হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
এক শোক বার্তায়
আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ এম এম এনামুল হকের
মৃত্যুতে বসুন্ধরা গ্রুপ এবং আমার পক্ষ থেকে গভীর শোক এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের
প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। তার জীবন, আদর্শ এবং কর্ম আমাদের নতুন
প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আমি তার বিদেহী রূহের মাগফিরাত কামনা করি।’
শোক বার্তায়
তিনি আরও বলেন, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি যাতে মরহুমের পরিবার যেন এই অপূরণীয় ক্ষতি
কাটিয়ে উঠতে পারেন।
উল্লেখ্য,
শনিবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবনে আমিন
মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইন্তেকাল করেন।
আলহাজ এম এম
এনামুল হক ১৯৫৮ সালের ১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার দক্ষিণ মেদিনীপুর গ্রামে
জন্মগ্রহণ করেন। দেশের অন্যতম আবাসন শিল্প প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ প্রতিষ্ঠার
পাশাপাশি সফল এই ব্যবসায়ী নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,
দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মন্তব্য করুন
দেশের
অন্যতম শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের
চেয়ারম্যান ও দৈনিক সময়ের
আলোর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি আলহাজ এম এম এনামুল
হক আর নেই। শনিবার
(১ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১১টার
দিকে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবনে তিনি
ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি
রাজিউন)।
আমিন
মোহাম্মদ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান দৈনিক সময়ের আলোর প্রকাশক গাজী
আহমেদ উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন।
তিনি
জানান, রবিবার (২ এপ্রিল) সকাল
১০টায় গুলশান সোসাইটি মসজিদে (৬৯ নং রোড)
তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে
লাশ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এম এম এনামুল হক
১৯৫৮ সালের ১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের
লৌহজং উপজেলার দক্ষিণ মেদিনীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্ত্রী, দুই
ছেলে, এক মেয়ে, আত্মীয়স্বজনসহ
অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের অনুন্মোচিত বিষয় তুলে আনে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। অপরাধ ও অপপ্রচারের সাথে সাংবাদিকতাকে মেলাবেন না।’
শনিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আহসান সোহেল সভায় শুভেচছা বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সহ সভাপতি দীপু সারোয়ারসহ বর্তমান ও অতীত নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে একটি ১০ বছরের ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে দিয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কথা বলানোর চেষ্টা এবং সে না বললেও তার বক্তব্য হিসেবে সেটি প্রচার করা শুধু বাংলাদেশের সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী নয়, সারাবিশ্বে যে সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি রয়েছে, সেগুলোরও পরিপন্থী।’
তিনি বলেন, ‘এখানে স্পষ্টত: জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ লংঘিত হয়েছে এবং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি কটাক্ষ করা হয়েছে। এ সব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলেই মামলা হয়েছে, এর সাথে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর অনুরোধ জানাই। তবে কারো কোনো হয়রানি যেন না হয়, সেদিকে আমরা নজর রাখছি।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে, সরকারের সমালোচনা করে প্রায় প্রতিদিন দেশের পত্র-পত্রিকায় লেখা হয়, টেলিভিশনে রিপোর্ট প্রচার হয়- এ নিয়ে কোনো মামলা তো দূরের কথা, কোনোদিন কাউকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশ্নও করা হয়নি। অথচ এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট পত্রিকা থেকে বিদেশি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে যে, দ্রব্যমূল্য নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে তাদের সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বলে তাদেরকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট এই অসত্য অপপ্রচার আসলে দেশবিরোধিতা।’
হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতায় রাজধানীর পল্লবীতে শুক্রবার বিএনপির ইফতারে সাংবাদিক নির্যাতনের নিন্দা জানান এবং মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং সব সময় তা বজায় রাখতে চায়। কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আর অপরাধ এক জিনিস নয়। দেশের সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো, সম্পাদক, প্রকাশক, শিক্ষক, শিল্পী, সুশীল সমাজও স্বাধীনতাকে কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে, বিবৃতি দিয়েছে, কারণ এখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে অভিযোগ খণ্ডন করে উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের আইন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সাইবার সিকিউরিটি ল’জ এন্ড রেগুলেশন ২০২২, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার ল’ এন্ড পানিশমেন্ট এবং এ ধরণের আইন বিশ্বের বহু দেশে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরণের অপরাধের শাস্তি হচ্ছে ২০ বছর কারাদণ্ড। এবং ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কারণে যদি কারো মৃত্যু হয় তবে সেই অপরাধের শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তারা আমাদের আইন নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার চেষ্টা করে অথচ এ দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য বহু দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনেক বেশি কঠিন।’
অপরাধ অপপ্রচার সাংবাদিকতা ডিআরইউ তথ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে মার্কিন কংগ্রেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং আর্থসামাজিক অগ্রগতির স্বীকৃতির প্রশংসা করে একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। গত ২৯ মার্চ এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের পক্ষ থেকে সাউথ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জো উইলসন কংগ্রেসে এই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন।