মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রংপুর শীতার্ত মানুষ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ পরিপ্রেক্ষিত বসুন্ধরা গ্রুপ
মন্তব্য করুন
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ২৯ দিন চলে গেলো। ক্যালেন্ডারের পাতায় এ মাস শেষ হতে আর বাকি ২ দিন। চলতি বছরের প্রথম মাসে এখন পর্যন্ত একদিনও বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারেননি ঢাকাবাসী। প্রতিদিনই ধুলোয় আচ্ছন্ন বিষে ভরা বাতাস নাকে ঢুকছে নগরবাসীর। এতে শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষের স্বাস্থ্যগত সমস্যাও বাড়ছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুদূষণ পরিমাপকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-এর (এআইকিউ) হিসাবমতে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিন বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল রাজধানী ঢাকা।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) বলছে, রেবাবার বিকেল পর্যন্ত ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২১৩, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। মূলত গত ৩০ ডিসেম্বরের পর থেকেই শহরটির বাতাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠেছে। এর মধ্যে গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার বাতাসে ছিল সবচেয়ে বেশি দূষণ। সেদিন এ অঞ্চলের বাতাসে পিএম ২.৫-এর মাত্রা ছিল ২৬৩ দশমিক ১ এবং বাতাসের মান ছিল ৩১৩।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) সূচক অনুসারে, বায়ুদূষণের মাত্রা ০ থেকে ৫০ পিএম২.৫ হলে সেটি ভালো, ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়, ১০১ থেকে ১৫০ বিশেষ শ্রেণির জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০০-এর বেশি হলে তা মানবস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়।
একিউআই এক পূর্বাভাস বলছে, আগামী ছয়দিনও ঢাকায় বাতাসের মানে কোনো উন্নতির সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ আগামী সপ্তাহেও এ শহরের বায়ু থাকবে অস্বাস্থ্যকর।
গত বছরের নভেম্বরে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দেশে উচ্চমাত্রার বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর মারা যাচ্ছেন প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। একই সঙ্গে মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপির ক্ষতি হচ্ছে ৩ দশমিক ৯ থেকে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। বায়ুদূষণে উল্লেযোগ্যভাবে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং বিষণ্নতার ঝুঁকি। অন্যান্য স্বাস্থ্যগত হুমকি বাড়ার কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক এবং সহজাত রোগে আক্রান্তরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। এদের মধ্যে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্তরা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঢাকা শহরে বড় নির্মাণ এবং ক্রমাগত যানবাহন চলাচলের এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। ঢাকায় বায়ুদূষণ এয়ার কোয়ালিটি নির্দেশিকা থেকে গড়ে ১৫০ শতাংশ বেশি। বায়ুদূষণের দিক থেকে পরের অবস্থানে বৃহত্তর ঢাকার ইটভাটার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো। সেখানে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ১৩৬ শতাংশ বেশি বাযুদূষণ হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স প্রজেক্টের (একিউআইসিএন) তথ্যমতে, প্রধানত নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ঢাকায় বায়ুদূষণ বেশি হয়ে থাকে। বছরের বাকি সাত মাস শহরটির বায়ু তুলনামূলক নিরাপদ।
চার্টের তথ্য হিসাব করে দেখা যায়, ২০২০ সালের নভেম্বরে ঢাকায় দৈনিক বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল গড়ে ১৬৩ দশমিক ২২ পিএম২.৫। পরের মাসে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ২৩১ দশমিক ৬৭। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে রাজধানীতে বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল আগের কয়েক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওই মাসে দৈনিক গড় বায়ুদূষণ দাঁড়িয়েছিল ২৬১ দশমিক ৫৪ পিএম২.৫। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে দূষণের পরিমাণ ছিল ২৩৯ দশমিক ৬৪ এবং মার্চে ২১১ দশমিক ৪১। সেই তুলনায় পরের মাসগুলোতে ঢাকার বায়ু তুলনামূলক স্বাস্থ্যকর দেখা যায় এবং এই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটছে প্রতি বছরই।
নভেম্বর থেকে মার্চ এই পাঁচ মাস বায়ুদূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. তৌহিদা রশিদ জানান, এই সময়টা শুষ্ক মৌসুম, তখন বৃষ্টি হয় না। তাই দূষণের মাত্রা বেশি থাকবে, এটিই স্বাভাবিক। বৃষ্টির সঙ্গে দূষিত কণাগুলো ভূপৃষ্ঠে এসে জমা হয়। যখন বৃষ্টি হয় না, সেগুলো বাতাসে ভেসে বেড়ায়। শীতের সময় যে পারিপার্শ্বিক অবস্থা হয়, সেখানে বিভিন্ন পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ কারণে বায়ুদূষণের মাত্রাও বেড়ে যায়।
রাজধানী বায়ু খুব অস্বাস্থ্যকর জানুয়ারি
মন্তব্য করুন
বিজিবি মহাপরিচালক নাজমুল হাসান
মন্তব্য করুন
রাজশাহীতে এক হাজার ৩১৭ কোটি টাকার ২৫টি প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি ৩৭৬ কোটি টাকার আরও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জনসভাস্থল থেকে তিনি এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে রাজশাহী পৌঁছে সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ ও প্যারেড পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলিকপ্টারে করে নগরীর জেলখানা প্রশিক্ষণ মাঠে নেমে গাড়িতে করে মাদ্রাসা মাঠের জনসভামঞ্চে আসেন। তখন ময়দান ভর্তি জনতা হাততালি ও গগনবিদারি স্লোগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়। প্রধানমন্ত্রী হাত নেড়ে জনতার প্রতি শুভেচ্ছা জানান।
উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে- নগরীর সিঅ্যান্ডবি ক্রসিংয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। পাঁচ কোটি তিন লাখ টাকা ব্যয়ে ম্যুরালটি নির্মাণ করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। ম্যুরালটির উচ্চতা ৫৮ ফুট এবং ম্যুরালের মূল অংশে ৫০ ফুট উচ্চতা এবং ৪০ ফুট চওড়া বঙ্গবন্ধুর ছবি রয়েছে। সীমানা প্রাচীরের উভয় পাশে ৭০০ ফুট জায়গায় টেরাকোটার কাজ করা হয়েছে। গ্যালারি ও ল্যান্ডস্কেপিং সুপার গ্রানাইট দিয়ে সুসজ্জিত। আছে সুসজ্জিত বৈদ্যুতিক বাতিও।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা প্রকল্পের মধ্যে নগর সংস্থা বাস্তবায়িত আরও কিছু প্রকল্প আছে। সেগুলো হচ্ছে- নগরীর ছোট বনগ্রাম এলাকায় নির্মিত শেখ রাসেল শিশু পার্ক, মোহনপুর রেল ক্রসিংয়ের ওপর ফ্লাইওভার, চার লেনের সড়ক ও ভদ্রা রেল ক্রসিং থেকে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ধীরগতির যানবাহনের জন্য একটি পৃথক লেনসহ রোড ডিভাইডার।
উদ্বোধন করা হয়েছে, বিলসিমলা রেলক্রসিং থেকে সিটিহাট পর্যন্ত ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন এবং সড়ক প্রশস্তকরণ, কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালাইমারী ক্রসিং সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন কাজ, হাই-টেক পার্ক হয়ে রেন্টুর খারির আড়ৎ থেকে ধলুর মোড় পর্যন্ত নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ এবং কার্পেটিং। কোর্ট থেকে শাহারতলী ক্লাব পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ।
উদ্বোধন করা প্রকল্পের তালিকায় আরও আছে- সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় ১১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পুঠিয়া থেকে বাগমারা পর্যন্ত মহাসড়ক; প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) প্রধান কার্যালয়ের ষষ্ঠ তলা থেকে দশম তলা পর্যন্ত ভবন সম্প্রসারণ; প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) সদর দপ্তর ভবন; সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় নির্মিত রাজশাহী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল; প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোহনপুর উপজেলায় নির্মিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
চালু হওয়া স্থাপনার সারিতে আছে- প্রায় ২৩ কোটি ব্যয়ে নির্মিত রাজশাহী শিশু হাসপাতাল; ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবন; পৌনে ১৩ কোটি ব্যয়ে নগরীতে নির্মিত বহুতল সমাজসেবা ভবন; রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে হোস্টেল ভবন সম্প্রসারণ; চারঘাট উপজেলায় ১৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচতলা একাডেমিক ভবন; সোয়া ৪ কোটি ব্যয়ে নির্মিত রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিস; ৬৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মিত চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মার ভাঙ্গন থেকে বাম তীর রক্ষায় দুই প্রকল্প; প্রায় ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মিত গ্রামীণ দুটি সড়ক।
এছাড়া রাজশাহী পিটিআইতে প্রায় ৯ কোটি ব্যয়ে নির্মিত অডিটোরিয়াম এবং মহানগরীতে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করবেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী এদিন কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেছেন। এগুলোর মধ্যে আছে- ২৪ কোটি টাকায় তথ্য কমপ্লেক্স ভবন, ৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় আঞ্চলিক জন প্রশাসন অফিস ভবন, ৬২ কোটি টাকায় শহীদ জননী জাহানারা ইমাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ১৬২ কোটি টাকায় বিকেএসপি’র আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী ওয়াসা ভবন নির্মাণ কাজ।
রাজশাহী উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ২৯ দিন চলে গেলো। ক্যালেন্ডারের পাতায় এ মাস শেষ হতে আর বাকি ২ দিন। চলতি বছরের প্রথম মাসে এখন পর্যন্ত একদিনও বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারেননি ঢাকাবাসী। প্রতিদিনই ধুলোয় আচ্ছন্ন বিষে ভরা বাতাস নাকে ঢুকছে নগরবাসীর। এতে শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষের স্বাস্থ্যগত সমস্যাও বাড়ছে।