ইনসাইড বাংলাদেশ

মেগা প্রকল্পে পাল্টে যাওয়া চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা আজ

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আজ রবিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর জনসভা চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড ময়দানে। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি শেষ। চলছে চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় কি পেয়েছে  চট্টগ্রামবাসী কি পেতে যাচ্ছে। অনেক বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন চট্টগ্রাম বাসীর চাওয়া পাওয়া বাণিজ্যিক রাজধানীর পূর্ণ বাস্তবায়ন।

‘বাণিজ্যিক রাজধানী’ হিসেবে স্বীকৃতি থাকলেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পিছিয়ে ছিলো চট্টগ্রাম। তবে টানা একযুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকার মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করে উন্নয়নের চিত্র  পাল্টে দিয়েছে চট্টগ্রামের। ফ্লাইওভার, রিং রোড, সৈকতের আধুনিকায়ন,কর্ণফুলী  টানেল, সড়ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ভোল পাল্টে দিয়েছেন। চট্টগ্রামবাসীকে দীর্ঘদিন ধরে ভোগানো জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে বাঁচাতে নিয়েছেন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প। তাছাড়া চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে বে-টার্মিনাল, মিরসরাই ইকোনমিক জোনের মত বৃহৎ প্রকল্পের কাজ চলমান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চট্টগ্রামে মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজও প্রক্রিয়াধীন। আগামীকাল ৪ ডিসেম্বর নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভা থেকে আরও ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
  
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক), ওয়াসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে। বাস্তবায়িত প্রকল্পের মধ্যে বহদ্দারহাট এম এ মান্নান ফ্লাইওভার, বায়েজিদ-মুরাদপুর-লালখান বাজার আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার, স্টেশন রোড-দেওয়ান হাট ওভারপাস, পতেঙ্গা-ফৌজদারহাট মেরিন ড্রাইভ আউটার সিটি রিং রোড, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের আধুনিকায়ন, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট বাইপাস রোড অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে নিতে চট্টগ্রামকেই প্রাধান্যের তালিকায় রেখেছে সরকার। 

সরকারের সফলতার মধ্যে অন্যতম হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। ফলে প্রতিটি বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, বন্দর, বাণিজ্যিক পয়েন্টে দেশের যেকোনো প্রান্তে অনায়াসে যাতায়াত করা সম্ভব হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আরও কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও চট্টগ্রামে অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান। 

কিছুদিন আগে দেশে শত সেতু উদ্বোধন হয়। এরমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৪৫টি যার ৪২টি খাগড়াছড়িতে। কর্ণফুলীর তলদেশে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকায় নির্মিত হয়েছে দুই টিউব বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু টানেল। যার একটি টিউব গত ২৬ নভেম্বর ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা অর্থায়নে নির্মাণ হচ্ছে দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ।  

এছাড়াও চট্টগ্রামে অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান। যার মধ্যে বিমান বন্দর হতে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার খাল খনন, সংস্কার ও পুনরুদ্ধার করে জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্প, চাক্তাই হতে কালুরঘাট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রিভার ড্রাইভ রিং রোড, ১২টি খালের মুখে শক্তিশালী পাম্পসহ অটোমেটিক টাইডাল রেগুলেটর স্লুইস গেইট নির্মাণ কাজ অন্যতম। তাছাড়া কক্সবাজারে হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর।
 
এদিকে দৃশ্যায়িত হচ্ছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটারের বেশি রেল লাইনের কাজ। ইতোমধ্যে এই মেগা প্রকল্পের ৭৪ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২৪ শতাংশ কাজ দ্রুত শেষ করে ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল শুরু করার কথা রয়েছে। 

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহা-ব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে রেল যোগাযোগ চালু হলে শুধু পর্যটন খাতে সম্ভাবনা বাড়বে তা নয় লবণ, মৎস্য, কৃষিসহ অন্যান্য খাতেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

চট্টগ্রাম হল দেশের অর্থনৈতিক সঞ্চালনের জীবনী শক্তি। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে দেশের ৯০ শতাংশ আমদানি ও ৮৫ শতাংশ রপ্তানি কার্যক্রম সম্পাদিত হয়। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে চলছে বে-টার্মিনালের কাজ। চট্টগ্রাম বন্দরকে সম্প্রসারণ করছে সরকার। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে মানসম্মত পর্যায়ে আনতে দফায় দফায় কেনা হয়েছে নতুন যন্ত্রপাতি। পাশাপাশি মাতারবাড়িতে নির্মিত হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর। বাঁশখালীর ও মাতারবাড়িতে হচ্ছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং আনোয়ারা ও মিরসরাইয়ে হচ্ছে দুটি ‘স্পেশাল ইকোনমিক জোন। 

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি হলো কর্ণফুলী নদীপাড়ের চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের বৃহত্তম এই বন্দর গড়ে উঠেছে প্রায় সাড়ে ৪০০ একর জমিতে। প্রতিবছর আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে হিমশিম খেতে হয় বন্দর কর্তৃপক্ষকে। তাই চট্টগ্রাম ইপিজেডের ঠিক পেছনেই আউটার রিং রোডসংলগ্ন সাগরপাড়ে প্রায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ জায়গায় বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প নিয়েছে সরকার। এটি হবে গভীর সমুদ্রবন্দরের আদলে এক আধুনিক বন্দর। বে-টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে ১৪ মিটার ড্রাফটের বড় বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে ৫-৬ গুণ বড় হবে এই বে-টার্মিনাল। প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। বে-টার্মিনাল নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশাসহ সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালে। ২০২৬ সালে টার্মিনালটির অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে। 

এদিকে পতেঙ্গা কনটইনার টার্মিনালেরও কাজ শেষ। বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দিলেই শুরু হয় যাবে টার্মিনালটির কার্যক্রম। এ নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ৩২ একর জায়গায় নির্মিতব্য টার্মিনালটি চালু হলে চার লাখেরও বেশি টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি থাকবে তেলবাহী জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা। নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল বাস্তবায়ন হলে বন্দরের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে, বাড়বে লজিস্টিক সক্ষমতা।

অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের অবদান বিশাল। এই শিল্পে শ্রমিক অধিকার, কর্মস্থলের নিরাপত্তা ও পরিবেশগত মানসহ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। করোনার সময় সংকটে পড়েছিল পোশাক খাত। ওই সময় শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য তিন কিস্তিতে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনার ব্যবস্থা করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা। রফতানি আয়ের ওপর ৫% ভাগ শুল্ক রেয়াত পাচ্ছে রফতানিকারকরা। ফলে এত সংকটসময় সময়ের মধ্যেও পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াবার শক্তি পেয়েছে। 

চট্টগ্রামের মিরসরাই, ফেনীর সোনাগাজী ও সীতাকুণ্ডের ৩০ হাজার একর জমি নিয়ে গড়ে ওঠা শিল্পনগরীর নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। বন্দর জেটি সুবিধা, বিদ্যুৎকেন্দ্র, ট্যুরিজম পার্কসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থাকছে এ মহাকর্মযজ্ঞে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বিশেষভাবে গড়ে তোলা এ অর্থনৈতিক অঞ্চল আনুষ্ঠানিকভাবে গত ২০ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ৭ হাজার ৭১৬ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১১ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। 

চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম  বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই চট্টগ্রামকে ঘিরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তা সময়মত সম্পন্ন করা হলে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে যুগান্তকারী পরিবর্তন হবে যা এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হবে। 

বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম  বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক উন্নয়নে সব সময় আন্তরিক। আমরা  ব্যবসায়ীরা সব সময় যে সমস্যা নিয়ে গেছি, তিনি সমাধান করে দিয়েছেন। চট্টগ্রামে এখন বিভিন্ন মেগাপ্রকল্পের কাজ চলছে। এগুলো আমাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে অনেক বেশি সহায়ক হবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ তৈরি হবে।

তাছাড়া সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে এগিয়ে চলছে বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া হতে চাক্তাই খাল খনন প্রকল্প। ওয়াসার মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে মদুনাঘাট পানি শোধনাগার, রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল পানি শোধনাগার ও শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার অন্যতম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চট্টগ্রামে মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর ই-গেট উদ্বোধন করা হয়েছে। ই-ভিসা চালু করার কথাও ভাবছে সরকার। পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ, ঢাকার সাথে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের সীমান্তে যোগাযোগ সহজ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার। 

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে—পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে তিনটি প্রকল্প। সেগুলো হলো— জেলার ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় হালদা নদী ও ধুরং খালের তীর সংরক্ষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প, সন্দ্বীপ উপজেলার ৭২নং পোল্ডারের ভাঙনপ্রবণ এলাকায় স্লোপ প্রতিরক্ষা কাজের মাধ্যমে পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প ও বাঁশখালী উপজেলার ৬৪/১এ, ৬৪/১বি এবং ৬৪/১সি পোল্ডারের সমন্বয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের স্থায়ী পুনর্বাসন প্রকল্প (২য় সংশোধিত), কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে সীতাকুণ্ড টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ফটিকছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রাউজান টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ মোট ৩০ প্রকল্পর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন  বলেন, আমাদের নেত্রী  চট্টগ্রামে আসছেন। এটা আমাদের জন্য পরম আনন্দের। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ হচ্ছে পলোগ্রাউন্ডে। এখানে ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তাই নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উজ্জীবিত। আমরা মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সবাই মিলে এই আয়োজন করছি। এই সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সমাগম হবে। 

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। ফলে চট্টগ্রামে এতগুলো মেগাপ্রকল্পের কাজ হচ্ছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম আরো সম্বৃদ্ধ হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থাতর উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ সব ধরনের উন্নয়নের কথা  ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরবেন।

প্রধানমন্ত্রী   জনসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইউনূস সেন্টারের ধৃষ্টতা!

প্রকাশ: ০২:৫১ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাওয়ার খবরটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে- প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দফতর ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। এটি প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এ ঘটনায় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর নাম ব্যবহার করে মিথ্যাচার করায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস ও ইউনূস সেন্টারের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়েছেন কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জুবাইদা মান্নান।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ প্রদান: বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের বক্তব্য’ শীর্ষক এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ইউনেস্কো কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এবং ইউনূস সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েব পেজে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার প্রদানের সংবাদটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

‘ইউনূস সেন্টার কর্তৃক প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ ছাপা হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গ্লোবাল বাকু ফোরোমে ড. ইউনূসকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। কিন্তু ইউনেস্কো ঢাকা অফিস জানিয়েছে, প্যারিসস্থ ইউনেস্কো সদরদপ্তর এ বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়।’

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দফতরও যখন ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয় এবং এটিকে প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার বলে বিজ্ঞপ্তিতে দিয়েছে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন। এরপরও ইউনূস সেন্টার ড. ইউনূসের ‘দ্য ট্রি অব পিস’ সম্মাননা পাওয়ার বিজ্ঞপ্তি তাদের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেয়নি বা প্রত্যাহার করেনি। ফলে সেন্টার ড. ইউনূসের এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতাকে ভয়ঙ্কর ধৃষ্টতা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবার ইউনূস সেন্টার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একাদশ গ্লোবাল বাকু সম্মেলনের শেষ দিনে ড. ইউনূসের হাতে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। এ সম্মেলনে বিশেষ বক্তা হিসেবে ভাষণ দিয়েছেন তিনি। সম্মেলনের আয়োজক ছিল নিজামি গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার।   

ইউনূস সেন্টার   ড. মুহাম্মদ ইউনূস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বনানী অগ্নিকাণ্ড: ৫ বছরেও শুরু হয়নি বিচার

প্রকাশ: ০২:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ার। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন ২৬ জন। আর আহত হন ৭১ জন। সেই ঘটনায় মামলা হয়।

এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় তিন বছর ৯ মাস পর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সমীর চন্দ্র সূত্রধর। তবে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

একই বচরের ২৭ ডিসেম্বর মামলাটির দিন ধার্য। ওই দিন চার্জশিটটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ না করে মামলাটি পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

এদিন আদালত আদেশে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন মানুষ মৃত্যুবরণসহ অসংখ্য মানুষ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হওয়ায় পিবিআইয়ের একজন দক্ষ অফিসার দ্বারা মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। গত ২২ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে আদালতে একই আসামিদের অভিযুক্ত করে ও লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত পিবিআই এর দেওয়া ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-এফআর টাওয়ার ভবনের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকা এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভিরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর রহমান, মিসেস ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুল নবী ও রফিকুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে ফারুক জমির মূল মালিক। বিএনপি নেতা তাজভীরুল ইসলাম ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। অন্য ৬ জন ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্য। 

ওই সময় আসামিদের মধ্যে মনিরুজ্জামান, মাহমুদুল নবী, সেলিম উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম ও ওয়ারদা ইকবাল পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। বর্তমানে সব আসামি জামিনে আছেন। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ মামলার তারিখ ধার্য ছিলো। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত নথিটি সিএমএম বরাবর পাঠানোর আদেশ দেন। সিএমএম মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য আদেশ দিবেন। এদিকে লিয়াকত আলী খান মুকুলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।


অগ্নিকাণ্ড   এফআর টাওয়ার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদে নৌরুটে ফেরি বাড়ছে: বিআইডব্লিউটিসি

প্রকাশ: ০২:৩১ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঈদযাত্রায় যানবাহন পারাপারে নৌরুটে ফেরি বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সংস্থাটির চেয়ারম্যান এ কে এম মতিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফেরিঘাটে যানবাহন পারাপার নিশ্চিতসহ সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সামাল দিতে আরও পাঁচটি ফেরি বাড়ানো হবে। আর এ রুটে ৩০টি লঞ্চ চলাচল করবে।

ঘাট যানজটমুক্ত রাখতে ঈদের আগে ও পরে ৭ দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান। 


ঈদ   নৌরুট   ফেরি   বিআইডব্লিউটিসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁর পোরশা উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত আল-আমিন (৩৮) এর মরদেহ অবশেষে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে একদিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বুধবার (২৭ মার্চ) নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ১৬ বিজিবির অধীনে হাঁপানীয়া বিওপি ক্যাম্প এলাকায় কৃষ্ণসদা গ্রামে বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে এই পতাকা বৈঠক হয়।

 

১৬ বিজিবি হাঁপানীয়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আবু তালেব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সাপহার উপজেলার কৃষ্ণসদা গ্রামে ২৩৬ মেইন পিলারের নিকট কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাত ৮ টা ১৫ মিনিটে মরদেহ নিয়ে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

 

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধীনে হাঁপানীয়া বিওপি ক্যাম্প এলাকা দিয়ে আল-আমিন সহ কয়েকজন গরু আনতে চোরাই পথে ভারতে প্রবেশ করে। এসময় বিএসএফ সদস্যরা টহল দিচ্ছিল। তাদের দেখে অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল-আমিন পালাতে পারেনি।

 

পরে ভারতীয় ১৫৯ টেক্কা পাড়া বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা নীলমারী ২৩১/১০এস মেইন পিলার দিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে বিএসএফ টহল দলের সদস্যদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আল-আমিন। নিহত আল-আমিন উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের কলনিপাড়ার সিদ্দিক এর ছেলে।


বিএসএফের গুলিতে   পতাকা বৈঠক   মরদেহ হস্তান্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। 

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান। এসময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


একনেক সভা   একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা   পরিকল্পনামন্ত্রী   মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন