ইনসাইড বাংলাদেশ

মেগা প্রকল্পে পাল্টে যাওয়া চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা আজ

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আজ রবিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর জনসভা চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড ময়দানে। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি শেষ। চলছে চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় কি পেয়েছে  চট্টগ্রামবাসী কি পেতে যাচ্ছে। অনেক বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন চট্টগ্রাম বাসীর চাওয়া পাওয়া বাণিজ্যিক রাজধানীর পূর্ণ বাস্তবায়ন।

‘বাণিজ্যিক রাজধানী’ হিসেবে স্বীকৃতি থাকলেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পিছিয়ে ছিলো চট্টগ্রাম। তবে টানা একযুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকার মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করে উন্নয়নের চিত্র  পাল্টে দিয়েছে চট্টগ্রামের। ফ্লাইওভার, রিং রোড, সৈকতের আধুনিকায়ন,কর্ণফুলী  টানেল, সড়ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ভোল পাল্টে দিয়েছেন। চট্টগ্রামবাসীকে দীর্ঘদিন ধরে ভোগানো জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে বাঁচাতে নিয়েছেন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প। তাছাড়া চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে বে-টার্মিনাল, মিরসরাই ইকোনমিক জোনের মত বৃহৎ প্রকল্পের কাজ চলমান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চট্টগ্রামে মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজও প্রক্রিয়াধীন। আগামীকাল ৪ ডিসেম্বর নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভা থেকে আরও ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
  
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক), ওয়াসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে। বাস্তবায়িত প্রকল্পের মধ্যে বহদ্দারহাট এম এ মান্নান ফ্লাইওভার, বায়েজিদ-মুরাদপুর-লালখান বাজার আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার, স্টেশন রোড-দেওয়ান হাট ওভারপাস, পতেঙ্গা-ফৌজদারহাট মেরিন ড্রাইভ আউটার সিটি রিং রোড, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের আধুনিকায়ন, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট বাইপাস রোড অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে নিতে চট্টগ্রামকেই প্রাধান্যের তালিকায় রেখেছে সরকার। 

সরকারের সফলতার মধ্যে অন্যতম হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। ফলে প্রতিটি বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, বন্দর, বাণিজ্যিক পয়েন্টে দেশের যেকোনো প্রান্তে অনায়াসে যাতায়াত করা সম্ভব হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আরও কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও চট্টগ্রামে অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান। 

কিছুদিন আগে দেশে শত সেতু উদ্বোধন হয়। এরমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৪৫টি যার ৪২টি খাগড়াছড়িতে। কর্ণফুলীর তলদেশে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকায় নির্মিত হয়েছে দুই টিউব বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু টানেল। যার একটি টিউব গত ২৬ নভেম্বর ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা অর্থায়নে নির্মাণ হচ্ছে দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ।  

এছাড়াও চট্টগ্রামে অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান। যার মধ্যে বিমান বন্দর হতে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার খাল খনন, সংস্কার ও পুনরুদ্ধার করে জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্প, চাক্তাই হতে কালুরঘাট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রিভার ড্রাইভ রিং রোড, ১২টি খালের মুখে শক্তিশালী পাম্পসহ অটোমেটিক টাইডাল রেগুলেটর স্লুইস গেইট নির্মাণ কাজ অন্যতম। তাছাড়া কক্সবাজারে হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর।
 
এদিকে দৃশ্যায়িত হচ্ছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটারের বেশি রেল লাইনের কাজ। ইতোমধ্যে এই মেগা প্রকল্পের ৭৪ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২৪ শতাংশ কাজ দ্রুত শেষ করে ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল শুরু করার কথা রয়েছে। 

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহা-ব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে রেল যোগাযোগ চালু হলে শুধু পর্যটন খাতে সম্ভাবনা বাড়বে তা নয় লবণ, মৎস্য, কৃষিসহ অন্যান্য খাতেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

চট্টগ্রাম হল দেশের অর্থনৈতিক সঞ্চালনের জীবনী শক্তি। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে দেশের ৯০ শতাংশ আমদানি ও ৮৫ শতাংশ রপ্তানি কার্যক্রম সম্পাদিত হয়। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে চলছে বে-টার্মিনালের কাজ। চট্টগ্রাম বন্দরকে সম্প্রসারণ করছে সরকার। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে মানসম্মত পর্যায়ে আনতে দফায় দফায় কেনা হয়েছে নতুন যন্ত্রপাতি। পাশাপাশি মাতারবাড়িতে নির্মিত হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর। বাঁশখালীর ও মাতারবাড়িতে হচ্ছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং আনোয়ারা ও মিরসরাইয়ে হচ্ছে দুটি ‘স্পেশাল ইকোনমিক জোন। 

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি হলো কর্ণফুলী নদীপাড়ের চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের বৃহত্তম এই বন্দর গড়ে উঠেছে প্রায় সাড়ে ৪০০ একর জমিতে। প্রতিবছর আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে হিমশিম খেতে হয় বন্দর কর্তৃপক্ষকে। তাই চট্টগ্রাম ইপিজেডের ঠিক পেছনেই আউটার রিং রোডসংলগ্ন সাগরপাড়ে প্রায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ জায়গায় বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প নিয়েছে সরকার। এটি হবে গভীর সমুদ্রবন্দরের আদলে এক আধুনিক বন্দর। বে-টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে ১৪ মিটার ড্রাফটের বড় বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে ৫-৬ গুণ বড় হবে এই বে-টার্মিনাল। প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। বে-টার্মিনাল নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশাসহ সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালে। ২০২৬ সালে টার্মিনালটির অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে। 

এদিকে পতেঙ্গা কনটইনার টার্মিনালেরও কাজ শেষ। বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দিলেই শুরু হয় যাবে টার্মিনালটির কার্যক্রম। এ নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ৩২ একর জায়গায় নির্মিতব্য টার্মিনালটি চালু হলে চার লাখেরও বেশি টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি থাকবে তেলবাহী জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা। নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল বাস্তবায়ন হলে বন্দরের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে, বাড়বে লজিস্টিক সক্ষমতা।

অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের অবদান বিশাল। এই শিল্পে শ্রমিক অধিকার, কর্মস্থলের নিরাপত্তা ও পরিবেশগত মানসহ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। করোনার সময় সংকটে পড়েছিল পোশাক খাত। ওই সময় শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য তিন কিস্তিতে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনার ব্যবস্থা করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা। রফতানি আয়ের ওপর ৫% ভাগ শুল্ক রেয়াত পাচ্ছে রফতানিকারকরা। ফলে এত সংকটসময় সময়ের মধ্যেও পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াবার শক্তি পেয়েছে। 

চট্টগ্রামের মিরসরাই, ফেনীর সোনাগাজী ও সীতাকুণ্ডের ৩০ হাজার একর জমি নিয়ে গড়ে ওঠা শিল্পনগরীর নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। বন্দর জেটি সুবিধা, বিদ্যুৎকেন্দ্র, ট্যুরিজম পার্কসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থাকছে এ মহাকর্মযজ্ঞে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বিশেষভাবে গড়ে তোলা এ অর্থনৈতিক অঞ্চল আনুষ্ঠানিকভাবে গত ২০ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ৭ হাজার ৭১৬ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১১ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। 

চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম  বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই চট্টগ্রামকে ঘিরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তা সময়মত সম্পন্ন করা হলে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে যুগান্তকারী পরিবর্তন হবে যা এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হবে। 

বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম  বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক উন্নয়নে সব সময় আন্তরিক। আমরা  ব্যবসায়ীরা সব সময় যে সমস্যা নিয়ে গেছি, তিনি সমাধান করে দিয়েছেন। চট্টগ্রামে এখন বিভিন্ন মেগাপ্রকল্পের কাজ চলছে। এগুলো আমাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে অনেক বেশি সহায়ক হবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ তৈরি হবে।

তাছাড়া সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে এগিয়ে চলছে বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া হতে চাক্তাই খাল খনন প্রকল্প। ওয়াসার মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে মদুনাঘাট পানি শোধনাগার, রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল পানি শোধনাগার ও শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার অন্যতম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চট্টগ্রামে মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর ই-গেট উদ্বোধন করা হয়েছে। ই-ভিসা চালু করার কথাও ভাবছে সরকার। পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ, ঢাকার সাথে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের সীমান্তে যোগাযোগ সহজ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার। 

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে—পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে তিনটি প্রকল্প। সেগুলো হলো— জেলার ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় হালদা নদী ও ধুরং খালের তীর সংরক্ষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প, সন্দ্বীপ উপজেলার ৭২নং পোল্ডারের ভাঙনপ্রবণ এলাকায় স্লোপ প্রতিরক্ষা কাজের মাধ্যমে পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প ও বাঁশখালী উপজেলার ৬৪/১এ, ৬৪/১বি এবং ৬৪/১সি পোল্ডারের সমন্বয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের স্থায়ী পুনর্বাসন প্রকল্প (২য় সংশোধিত), কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে সীতাকুণ্ড টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ফটিকছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রাউজান টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ মোট ৩০ প্রকল্পর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন  বলেন, আমাদের নেত্রী  চট্টগ্রামে আসছেন। এটা আমাদের জন্য পরম আনন্দের। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ হচ্ছে পলোগ্রাউন্ডে। এখানে ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তাই নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উজ্জীবিত। আমরা মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সবাই মিলে এই আয়োজন করছি। এই সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সমাগম হবে। 

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। ফলে চট্টগ্রামে এতগুলো মেগাপ্রকল্পের কাজ হচ্ছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম আরো সম্বৃদ্ধ হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থাতর উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ সব ধরনের উন্নয়নের কথা  ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরবেন।

প্রধানমন্ত্রী   জনসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র দাবদাহের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়াল

প্রকাশ: ০৯:৩৮ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র দাবদাহের মধ্যে ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ১ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এবারই প্রথম বিদ্যুতের ঘাটতি এত বেশি দেখা দিয়েছে। সোমবার সর্বোচ্চ ৯৬৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়। অথচ এদিন ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড গড়ে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দেশে চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, তখন লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।

অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।

এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে সেগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।


তীব্র দাবদাহ   লোডশেডিং   ১০০০ মেগাওয়াট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১১ বছর

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আজ ২৪ এপ্রিল। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক, আহত হয়েছিলেন ২ হাজার ৪৩৮ জন শ্রমিক। মোমবাতি জ্বালিয়ে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করলেন তাদের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাভারের রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত অস্থায়ী বেদিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় নিহতদের স্মরণে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়।

পক্ষ থেকে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতের পাশাপাশি রানা প্লাজার ট্রাজেডির সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানায় শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিকদের পরিবার।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বছর এই দিনে নিহতদের স্বরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। প্রতি বছরই বিভিন্ন দাবি তুলে ধরি।

দাবিগুলো হচ্ছে, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয়ভাবে শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা করা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা, রানা প্লাজার জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং হতাহত শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির কোনোটাই বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে হবে।

রানাপ্লাজা ধ্বসে নিহত শ্রমিক আখি আক্তারের মা নাসিমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়ের লাশটাও পাইনি। ঘটনার ছয় মাস পর ডিএনএ সেম্পলের মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যাদের গাফিলতিতে মেয়েকে হারালাম তাদের আজও বিচার হলো না। আমরা বিচার চাই।

ভবন ধসে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় তখন চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে অবহেলার কারণে মৃত্যু উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ, ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে ভবন নির্মাণ করায় মামলা করে রাজউক। পাশাপাশি ভবন নির্মাণে দুর্নীতি ও সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুটি মামলা করে দুদক। চারটি মামলার মধ্যে সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা নিষ্পত্তি হলেও দীর্ঘ এগারো বছরে বাকি তিনটি মামলা নিষ্পত্তির মুখ দেখছে না।

এর মধ্যে হত্যা মামলা ও ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্য শুরু হলেও, অন্য মামলায় রয়েছে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ। আসামিপক্ষ বলছে, মামলাগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিচারহীনভাবে কারাগারে আটক রয়েছেন ভবন মালিক সোহেল রানা। অন্যদিকে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

 

 


রানা প্লাজা   ট্রাজেডি   ১১ বছর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নীলফামারীতে শত টাকায় মিলবে চক্ষু চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নীলফামারীতে দীপ আই ফাউন্ডেশনের চক্ষু চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন

নীলফামারীতে চক্ষু রোগীদের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিশ্চিত করতে দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশনের ইপিজেড ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন হয়েছে। এখানে ১০০ টাকা দিয়ে মিলবে চক্ষু পরীক্ষা, ব্যবস্থাপত্র প্রদান, চোখের ছানী অপারেশন সহ চোখের নানা রোগের চিকিৎসা।

 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সদরের সংগলশী ইউনিয়নের ইপিজেড মোড়ে প্রধান অতিথি হিসেবে ইপিজেড ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান। 

 

এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দীপ আই কেয়ারের হেড অব প্রোগ্রাম মাহমুদুল ইসলাম ও প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ প্রোগ্রাম ম্যানেজার   এ.কে.এম নুরুল কবির। উদ্বোধনী দিনে প্রায় চার শতাধিক চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা সেবা ও ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা হয়।

 

এসময় হেড অব প্রোগ্রাম মাহমুদুল ইসলাম জানান,'ইপিজেড ভিশন সেন্টারে ১০০ টাকা দিয়ে মিলবে চক্ষু পরীক্ষা, ব্যবস্থাপত্র প্রদান, চোখের ছানী অপারেশন সহ চোখের নানা রোগের চিকিৎসা। সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন চক্ষু রোগীরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চোখের চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারবেন।


চক্ষু সেবা   দীপ আই ফাউন্ডেশন   চক্ষু পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র তাপদাহ: অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশে হচ্ছে তীব্র তাপদাহ। টানা কয়েক দিনের তাপদাহের ফলে অস্বস্তিতে জনজীবন। নেই বৃষ্টির ছাপ। উত্তপ্ত রোদে পুড়ছে দেশের মানুষ। তাপদাহের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে আসে। ব্যাঘাত ঘটে মানুষের চলাচলে। এমন পরিস্থিতিতে হঠাত গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গায় হয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১টা থেকে বিদ্যুৎ চমকানোর পর শোনা যায় মেঘের গর্জন। এর ১০ মিনিট পরই শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১টা থেকে বিদ্যুৎ চমকানো শুরু হয়। বিদ্যুৎ চমকানোর ফলে আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। এরপর শুরু হয় মেঘের গর্জন। রাত ১টা ১০ মিনিটে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তীব্র তাপদাহের পর রাতে হঠাৎ করে বৃষ্টি হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে। রাতে ২০ মিনিটে ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়’। 

টানা কয়েক দিন চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপদাহ চলমান ছিল। জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রেকর্ড করা হয়। এ মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপদাহের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে আসে। ব্যাঘাত ঘটে মানুষের চলাচলে


তাপদাহ   ‍বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহ: ইসতিসকার নামাজসহ ব্যাঙের বিয়ে, নেই বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৮:৪৩ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বেশিরভাগ এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দাবদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। হিটস্ট্রোকে নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কৃপা কামনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এ ছাড়া বৃষ্টির আশায় রাজশাহী ও নাটোরে ধুমধাম করে ‘ব্যাঙের বিয়ে’ দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনই বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হয়ে তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আজ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। শিলাবৃষ্টিও হতে পারে কোথাও কোথাও। তবে ঢাকাসহ দেশের অন্য কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপপ্রবাহ আজ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গতকাল রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখীলী জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। এ ছাড়া মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। আজ সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে, অপরিবর্তিত থাকতে পারে রাতের তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অস্বস্তি বিরাজ করবে। আগামীকাল সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহী বিভাগের পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গোপালগঞ্জে ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুর বিভাগের দিনাজপুরে ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবানে ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনা বিভাগের যশোর ও খুলনায় ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ময়মনসিংহে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তাপমাত্রা তুলনামূলক কম ছিল চট্টগ্রাম বিভাগে। এ বিভাগের অধিকাংশ স্থানে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল।

ইসতিসকার নামাজ আদায়

বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কৃপা কামনা করে গতকাল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুহাত তুলে চোখের পানি ফেলেন মুসল্লিরা। রাজধানীর আফতাবনগর ঈদগাহ মাঠে গতকাল সকালে শায়খ আহমাদুল্লাহর ইমামতিতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন শতাধিক মুসল্লি। নামাজ শেষে মুসল্লিদের নিয়ে খুতবা ও দোয়া করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।

এ সময় তিনি বলেন, বনায়ন ধ্বংসের কারণে প্রতিবছর তাপমাত্রা বাড়ছে। এখনই সচেতন না হলে সামনের দিনে আরও বিপদে পড়তে হবে।

খুলনা নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে গতকাল সকাল ১০টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবদুল আউয়ালের ইমামতিতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তিন দিনব্যাপী ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল প্রথম দিনে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন পাঁচ শতাধিক মুসল্লি। মোরেলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল হক তালুকদারের আহ্বানে গতকাল সকাল ৭টায় উপজেলা সদর আবদুল আজিজ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন মোরেলগঞ্জ বাজার চাউলাপট্টি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ আলী।

এছাড়া চুয়াডাঙ্গা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, নাটোরের লালপুর, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, বরগুনার পাথরঘাটায় বৃষ্টি কামনায় মুসল্লিরা ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন বলে জানিয়েছেন আমাদের সংবাদকর্মীরা।

ব্যাঙের বিয়ে

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার তাঁতারপুর গ্রামে ব্যাঙের বিয়ে দেন স্থানীয়রা। ‘আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দে রে’ গানটি গেয়ে ষাটের অধিক বাড়িতে বৃষ্টির জন্য আর্তনাদ করেন তাঁতারপুর গ্রামের শিশুসহ একদল নারী-পুরুষ। প্রতীকী পুকুর খননের পর ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় গ্রামের ওসিমুদ্দিন মণ্ডলের আমবাগানে ভোজের আয়োজন করা হয়।

অন্যদিকে, এর আগেরদিন সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নাগশোষা গ্রামে মহাধুমধাম করে ব্যাঙের বিয়ে দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিয়ের জন্য ছায়াম গায়েহলুদ, আশীর্বাদ, ধান-দূর্বা, ভোজন সব আয়োজনই ছিল। বিয়েতে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিরাও ব্যাঙ দম্পতিকে দিয়েছেন অর্থসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার। হয় এ 


তাপপ্রবাহ   ইসতিসকার নামাজ   ব্যাঙের বিয়ে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন