ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ হবার স্বপ্ন দেখে পাকিস্তান

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ০৬ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার এতগুলো বছর পর এসে আজও কারও কারও আক্ষেপ শোনা যায়। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে সবরকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরও সুযোগ পেয়ে কিছু মানুষ পাকিস্তানকে বাংলাদেশের চেয়ে উত্তম মনে করেন। নির্লজ্জের মতো পাকিস্তানপ্রেম দেখান প্রকাশ্যে।

এই তাদের পাকিস্তানপ্রেম যে কতটা ভ্রান্ত ধারণার উপর জন্মে আছে তার জবাব আজ বিভিন্ন ভাবে দেয়া যেত পারে। অথচ একদিকে ওরা যখন পাকিস্তানের পতাকাকে নিজের প্রতীক হিসেবে মনে করে, অইদিকে ওই সময়ই পাকিস্তানের মানুষ মনে করে- তারা যদি বাংলাদেশের মতো হতে পারতো। বাস্তবতার নিরিখে আজ তারা বাংলাদেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখে এবং প্রকাশ্যেই কামনা করে এমনটা। দুঃখজনক হচ্ছে- বাংলাদেশের কিছু বিভ্রান্ত মানুষ সেই পাকিস্তানকেই স্বপ্নের দেশ হিসেবে ভাবতে আরাম পায়।

বাংলাদেশকে দমন করার প্রধান লক্ষ্য নিয়ে নীল নকশা করেছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। অথচ নিয়তি আজ সব বদলে দিয়েছে। আলী জিন্নাহর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সর্বশেষ ইয়াহিয়া খান, প্রত্যেকেরই মানসিকতা ছিল একই। কিন্তু সফল হতে পেরেছে কেউ? তাদের কারণেই পাকিস্তান ভেঙেছে। পাকিস্তান ভাঙায় পাকিস্তানিদেরই কপাল ভেঙেছে। বাঙালি ঠিকই তার নিজের মেধা মনন এবং আন্তরিকতা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

এবার দেখা যাক, কোন কারণে পাকিস্তানিরা বাংলাদেশি হতে চায়। মোটা দাগে যদি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে তুলনা করা হয় তাহলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। পাকিস্তানের ৯ কোটি মানুষের মধ্যে ৫ কোটিরও বেশি অধিবাসী ছিল বাঙালি। এটা ১৯৬১ সালের জনশুমারি অনুযায়ী। পাকিস্তানের উন্নয়ন যাত্রায় বাংলাদেশকে তথা তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানকে দ্বিতীয় স্তরে মূল্যায়ন করা হতো। সেই পাকিস্তান আজ জনসংখ্যার চাপে চ্যাপ্টা হওয়ার পর্যায়ে পড়েছে।

পাকিস্তান বর্তমানে জ্বালানি খাতের ঋণের জালে জর্জরিত। সেই সঙ্গে দেশটির অর্থনৈতিক সংকটও দিন দিন বাড়ছে। দেশটির রিজার্ভ ফুরিয়ে আসছে। সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বরে ৫৮০ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে দেশটির রিজার্ভ। হিসাব অনুযায়ী, গত আট বছরের মধ্যে রিজার্ভ তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই রিজার্ভ দিয়ে এক মাসের মতো পণ্য আমদানি করা যেতে পারে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে যে ঋণ আসার কথা ছিল, তা–ও দেরি হচ্ছে।

পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ তার জিডিপির ৪৭ শতাংশ। প্রতি বছর পাকিস্তানের লেনদেনের ভারসাম্যের কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজন হচ্ছে। উপরন্তু, সরকারি বাজেটের ক্রমবর্ধমান বিরাট অংশ তাদেরকে বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধে বরাদ্দ করতে হচ্ছে।

পাকিস্তানের পত্রিকা ডনের খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটির জ্বালানি খাতে ঋণের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ২৫৩ ট্রিলিয়ন (পাকিস্তানি) রুপি। বছর শেষে এটা বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক ৪৩৭ ট্রিলিয়ন রুপি। অর্থাৎ এ সময়ের ব্যবধানে ঋণের পরিমাণ ১৮ হাজার ৫০০ কোটি রুপি বেড়েছে। ফলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের দেনা মেটাতে পারছে না। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জ্বালানি সরবরাহকারীদের দেনা মেটাতে পারছে না।

রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে শুরু কওরে অর্থনৈতিক সঙ্কট, সবকিছু মিলিয়ে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। অন্যদিকে এর তুলনায় বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত উন্নয়তির সূচকে প্রতিনিয়ত নিজেদের অবস্থান শক্ত কওরে যাচ্ছে।

আর্থসামাজিক নানা খাতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অবস্থানের পার্থক্য তুলনা করলে, তাতে দেখা যায়, ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশ ৭৫ শতাংশ দরিদ্র ছিল। কিন্তু এখন পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশ ৪৫ শতাংশ ধনী। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা পাকিস্তানের চেয়ে এক কোটি বেশি ছিল। আজকে ৫১ বছরে বাংলাদেশ বলতে পারে, তারা জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এখন পাকিস্তানের জনসংখ্যা ২৩ কোটি আর বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনুপাতে তাদের উৎপাদনমুখী সমাজ তৈরি করতে পারেনি পাকিস্তান।

২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা চলতি বছর ৫০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। আর পাকিস্তানের রপ্তানি আয় ছিল ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭২০ মার্কিন ডলার আর পাকিস্তানের ১ হাজার ৪৩০ মার্কিন ডলার। সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশের তুলনায় তাদের উন্নয়নে অনেক পিছিয়ে থাকতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। উন্নয়ন অভিযাত্রায় বাংলাদেশের তুলনায় পিছিয়ে পড়ার কারণে তাদের গড় আয়ুতে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। বাংলাদেশে গড় আয়ু যখন ৭৩ বছর সেখানে পাকিস্তানে গড় আয়ু ৬৭ বছর।

এছাড়া চলতি বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) হচ্ছে ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর পাকিস্তানের ৩৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬ শতাংশ আর পাকিস্তানের ১২ থেকে ১৫ শতাংশ, যা বেড়ে এখন ২১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। পাকিস্তানের রুপির তুলনায় বাংলাদেশের টাকা এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।

তবে এটা ঠিক পাকিস্তান কয়েক বছর ধরে বেসামরিক প্রশাসন চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। তবে নেপথ্যে সামরিক বাহিনীর করুণা ওপেন সিক্রেট। তারপরও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কিছুটা হলেও অর্জন করেছে। যে কারণে তাদের এগিয়ে যাওয়ার সূচনা হয়েছে। যদিও সেখানকার বেসামরিক সরকারকেও সামরিক বাহিনীর করুণা গ্রহণ করতে হয়। এটা পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীরাও মনে করেন।

বাংলাদেশের জনগণের সাক্ষরতার হার ৭৬ শতাংশ, আর পাকিস্তানের ৫৯ শতাংশ। আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ উল্লেখ করার মতো। তাছাড়া উচ্চ সাক্ষরতার হারও রয়েছে।পাকিস্তানে নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নেও ধর্মীয় গোঁড়ামি কাজ করে। এখনও তারা নারীকে গৃহপালিত মনে করে। কিন্তু বাংলাদেশ নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ মনে করে দেশের অর্ধেক মানুষ নারীকে বাদ দিয়ে কোনো দেশের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পাকিস্তান চিন্তা করে বিপরীত।

নারীর ক্ষমতায়নের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও উপরে। জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের নারী সদস্যের হার ২০.৩ শতাংশ। পাকিস্তানে তার চেয়ে কম। কর্মসংস্থানের দিক থেকেও বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। এর পেছনে মূল কারণ মেয়েদের শিক্ষা সুবিধা। অনেক বছর ধরে ছাত্রীদের লেখাপড়ায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য বাংলাদেশে প্রণোদনা হিসেবে উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না হলেও বাল্যবিবাহ কমেছে। ছাত্রীদের একটা পরিসংখ্যান দিলে বোঝা যাবে এর অগ্রগতি সম্পর্কে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার্থীর হার ছিল ২৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে এসে সেই হার ৫১ শতাংশ হয়েছে। নারী শিক্ষার প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করার কারণে পাকিস্তান শাসনামলের চেয়ে নারী অনেক দূর এগিয়ে গেছে। যে কারণে পাকিস্তানিরা এখন বলছে- আমাদের সিঙ্গাপুর কিংবা নিউইয়র্ক নয় বাংলাদেশ বানিয়ে দাও।

বাংলাদেশের নারীদের ৩৬ শতাংশ বাড়ির আঙিনার বাইরে কর্মরত, পাকিস্তানে এ অনুপাত মাত্র ১৪ শতাংশ। এছাড়া বাংলাদেশের শিশুমৃত্যুর হার হাজারে ২১, আর পাকিস্তানের ৫৯। বাংলাদেশের শতভাগ জনগণ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে, অথচ পাকিস্তানের ৭৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে।

কীভাবে তারা বাংলার সম্পদ লুট করে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের কথা ভেবেছিল। ভাবছি ঐতিহাসিক ৬ দফার কথা। ৬ দফা বাস্তবায়ন হলে একই দেশে দুই চিত্র দেখা যেতো। এখন অন্তত দুটি দেশের চিত্র। পাকিস্তান থেকে সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদের ঋণ শোধ করছে বাংলাদেশ, আর পাকিস্তানকে দেখিয়ে দিচ্ছে-নিপীড়নের ফল কী হতে পারে। পাকিস্তান অর্থনৈতিক উন্নয়নের দৌড়ে আর কখনই বাংলাদেশের নাগাল পাবে না বলে বিশ্বাস। এইত কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও কলাম লেখক সাহিবজাদা রিয়াজ নূর। ‘বাংলাদেশের নেতৃত্বের কাছ থেকে গ্রহণীয়’ শিরোনামের এক নিবন্ধে লিখেছেন, গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, যার কৃতিত্ব দেশটির নেতৃত্বকে দেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছুই পাকিস্তানের নেতৃত্ব শিখতে পারেন। তবে তাদের কাছে সবার আগে গ্রহণীয় হওয়া উচিত শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারভিত্তিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়টি। এটাই এখন প্রতিরক্ষা ও গণতন্ত্র উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অপরাধী আত্মীয় হলেও ছাড় নয়: প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারপিটের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।

শুক্রবার ( ১৯ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাটোরে অপহরণ ও মারধরের শিকার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি দেলোয়ার হোসেন পাশার সুস্থ্যতা কামনা করেন এবং চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, দেশের বাইরে থেকে আসার সঙ্গে সাথেই আমার দলের কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। এটিকে নিজের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেছি। এ সময় আমার নেতাকর্মীদের পাশে আমার থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। 

নিজের শ্যালকর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক আমার আত্মীয় হোক আর দলীয় নেতা কর্মী হোক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে স্থানীয় সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা অন্তত ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন।

এদিকে ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় নাটোর সদর থানায় মামলা হলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। আর অভিযুক্ত অপর প্রার্থী শেরকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিবের দাবি, তিনি নির্দোষ। হয়েছেন ষড়যন্ত্রের শিকার।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা পরিষদ   ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি   জুনায়েদ আহমেদ পলক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশজুড়ে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়ার শঙ্কায় তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
 
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন। শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি জানান, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ ছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আগামীকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অফিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীর কাছে থেকে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে এক রেলের নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এমন অভিযোগ করেছেন পঞ্চগড় থেকে এক যাত্রী।

জানা যায়, পঞ্চগড় থেকে আসা ওই যাত্রী ঢাকা থেকে নিজেদের আইডি কার্ড গ্রামে না নিয়ে যাওয়ায় তার আত্মীয়ের আইডি কার্ড দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের কিছুক্ষণ স্টেশনে অপেক্ষায় রাখেন এক আর.এন.বি সদস্য৷ পরে ২০০ টাকা ঘুসের বিনিময়ে স্টেশন ত্যাগের অনুমতি পান তারা।

ঐ যাত্রী আরও জানান, আমরা তিনজন পঞ্চগড় থেকে এসেছি। আসার সময় ৫৫০ টাকার টিকিট ১৩০০ টাকা দিয়ে কাটা লাগছে। আইডি কার্ড নিয়ে যাই নাই। এজন্য খালুর আইডি কার্ড দিয়ে টিকিট কাটছি। আসার সময় বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কাটলাম। এসে আবার ঘুস দিতে হলো৷ কি আর করবো! সিস্টেমই এরকম।

পরে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ঐ সদস্যের কাছে ঘুস নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এমন কাজ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

তবে নিরাপত্তা বাহিনীর এই সদস্যের পোশাকে নেমপ্লেট ছিল না। বেশ কয়েকবার তার নাম জানতে চাইলেও তিনি বলেননি।

কমলাপুর রেল স্টেশন   যাত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন

প্রকাশ: ০৩:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শিশু হাসপাতালের ৫ম তলায় কার্ডিয়াক আইসিইউ-তে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার ১টা ৪৭ মিনিটে শিশু হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দ্রুত প্রথমে দুই ইউনিট ও পরে আরও তিন ইউনিট হাসপাতালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।

রাজধানী   শিশু হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে গণপিটুনিতে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:১৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলার মধুখালীতে গণপিটুনিতে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। 

এ বিষয়ে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন বলেন, একটি বিদ্যালয়ের নির্বাচন কাজে শ্রমিকদের মন্দিরে আগুন দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদেরকে গণপিটুনি দেয়। এতে দুই সহদর নিহত হয়েছেন। পুলিশসহ আহতদের মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

নিহত দুই সহদরের বাড়ি নওপাড়া ইউনিয়নে ঘোপঘাট গ্রামে। তবে আহতদের সবার পরিচয় জানা যায়নি।  


ফরিদপুর   গণপিটুনি   নির্মাণ শ্রমিক   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন