চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা একটু বিপদে আছি, এটি সত্য। আমাদের জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে হচ্ছে। গ্যাসের সংকট, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সাধারণ, নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তারপরেও আমাদের নেত্রীর বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের পরিস্থিতি এখনো স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। আমরা ক্রাইসিসকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে যাচ্ছি, আমাদের রিজার্ভ আরও বাড়বে। রফতানি আয় ক্রমেই বাড়ছে। জিডিপিও (মোট দেশজ উৎপাদন) বাড়বে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সরকার পদত্যাগের দাবিকে উদ্ভট উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকায়ও সংকট তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেখানে কেউ বাইডেনের পদত্যাগ দাবি করেন না। সোমালিয়ার মতো দেশে যেখানে প্রতি ৮৬ সেকেন্ডে একজন করে মানুষ মারা যায়, সেখানেও সরকারের পদত্যাগ কেউ দাবি করেন না। কিন্তু আমাদের দেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে উদ্ভট একটা দাবি, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান। পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।
সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে কাদের বলেন, একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন, ইউরোপ-আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বৈশ্বিক সংকটে পড়েছি। বিশ্বের অনেক দেশ মহামন্দার দিকে দ্রুত ধাবমান। ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও জীবনমানের ব্যয়, মুদ্রাস্ফীতিতে গত ৩০ থেকে ৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশের মধ্যে শ্রীঙ্কার রিজার্ভ তলানিতে এবং পাকিস্তানের রিজার্ভ সর্বশেষ অর্ধ বিলিয়ন ডলারে এসে ঠেকেছে। কিন্তু আমাদের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল, এখন কিছুটা কমে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মতো রয়েছে। আমি মনে করি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বাংলাদেশ এখন স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। কারণ এখনো ৫ মাস আমদানি করার মতো রিজার্ভ আমাদের হাতে রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি আমাদের ৯’র ওপরে চলে গিয়েছিল, এখন ৮’র নিচে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। আমাদের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ডলার, যা ২০২৬ সালে ৪ হাজার ডলারে পৌঁছুবে। আমরা আশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্রাইসিস ম্যানেজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন কঠিন বৈশ্বিক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার মতো একজন দক্ষ লিডারের কারণে তা সম্ভব হয়েছে। তিনি আমাদের ক্রাইসিস ম্যানেজার। যথার্থ সময়ের ক্রাইসিস ম্যানেজার, সংকটের ম্যানেজার। যিনি সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা, তিনি বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার। তিনি করোনা সংকটেও সারাবিশ্বের বিস্ময় হিসেবে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়ে অনেক উন্নত দেশের রেকর্ডও ভঙ্গ করেছেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামনে আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নির্বাচন। আগামী বছরের জানুয়ারিতে নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে তেমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং করণীয় সম্পের্কে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সংসদীয় কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিস্তারিত বলেছেন। তার নির্দেশ আমরা পালন করছি, করবো। আমরা মোকাবিলা করছি, বিরোধী দলের আন্দোলনও। সামনে বিরোধীদলের আন্দোলনে তিনি রাজপথে থাকার অঙ্গীকার করেন। বলেন, আমরা মাঠে থাকবো, সতর্ক অবস্থানে থাকবো।
তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত- একথা আমি বলবো না। আমাদের গণতন্ত্র একটা বিকাশমান ধারা। বর্তমানে বিকাশমান পর্যায়ে আছে। আমরা ক্রমান্বয়ে ভুলত্রুটি সংশোধন করতে পারবো। বিকাশমান এ ধারায় গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এক রাতেই কোনো ম্যাজিক্যাল পরিবর্তন সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর এ দেশে গণতন্ত্র ছিলই না। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছিলেন। শেখ হাসিনার মতো একজন দুঃসাহসিক নেতা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছেন।
চট্টগ্রামের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশে টানেল হচ্ছে। কেউ ভাবতে পারেননি চীনের সাংহাইয়ের মতো ওয়ান সিটি টু টাউন হবে। এখন টানেলের মাধ্যমে সেটা হচ্ছে। এখন দুই টিউবের কাজ শেষ হয়েছে। পুরো প্রকল্পের ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখন ভেতরে ইলেকট্রো মেকানিক্যাল কাজ চলছে। আগামী এপ্রিল-মে মাসের দিকে সর্বসাধারণের জন্য এ টানেল খুলে দেওয়া হতে পারে। চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি বা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন প্রকল্প নেওয়ার বিষয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে প্রকল্প তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ ছালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দীন রেজা, সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চট্টগ্রাম
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সঙ্গে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর অংশগ্রহণকারী সব খেলোয়াড়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতে বেশি ভালবাসতেন। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন। তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ, খাদ্য সামগ্রী এবং পোশাক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করছে। আমরা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছি। প্রধান শিক্ষকের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল উন্নীত করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে সরাসরি উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করছি। এ ছাড়া, স্কুল ফিডিং, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পাশাপাশি আরও অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির হার অর্জিত হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিশুদের খেলাধুলায় আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তঃবিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের নারীরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, সেই ফুটবল টিমের ৫ জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’
প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ টুর্নামেন্ট দুইটির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিন এরর কুতুবদিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা গেইটে ঈদ পূণর্মিলনী সভা করে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাংবাদিক মিজান অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবরের নির্দেশে তার ভাই, ভাতিজা সহ অন্তত ৮/১০ জন যুবক সাংবাদিক মিজানের ওপর হামলে পড়ে বলে প্রত্যরক্ষদর্শীরা জানান।
গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কারণে চিকিৎসক তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া পরামর্শ দেন।
আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমানের থেকে জানা যায়, উপজেলা আ'লীগের সভাপতির নেতৃত্বে একটি অসহায় পরিবারে জায়গা দখলের একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রচারে জেরে তার ওপর হামলা হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হঠাৎ কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর এর নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এরপর তিনি আর কিছু বলতে পারেন নি।
সাংবাদিক আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, হঠাৎ মিজানুর রহমানের উপর হামলা হচ্ছে দেখে আমরা কয়েক জন মিলে তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই।
কুতুবদিয়া থানার ওসি মো গোলাম কবির বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম এরশাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিন উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ বেলাল, অর্থ সম্পাদক জাহেদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম শ্রাবণ,পাঠাগার সম্পাদক রমজান আলী সিকদার, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমিন মুন্নী নির্বাহী সদস্য শাকের বিন ফয়েজ। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের যথাযত আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহন করা হবে।
এদিকে সাংবাদিক মিজানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিক। তারা এই ন্যা ক্কারজনক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যীবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
কক্সবাজার কুতুবদিয়ায় সাংবাদিক মিজান হামলা
মন্তব্য করুন
মাধ্যপ্রাচ্য শেখ হাসিনা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সঙ্গে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে। শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।