কয়েক
দফা বেড়ে বর্তমানে দেশের
ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে
সোনা। এ পরিস্থিতিতে আরও
এক দফা বাড়ানো হলো
সোনার দাম। আন্তর্জাতিক ও
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম
বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানোর
সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এতে দেশের
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ভরি
স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার
টাকা ছাড়ালে।
শনিবার
(১৪ জানুয়ারি) বাজুসের ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল
হক ভূইয়া লিটন স্বাক্ষরিত এক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ
সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সোনার দাম নির্ধারণ করা
নিয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃতীত
হয়েছে। আগামীকাল (রোববার) থেকে স্বর্ণের এই
নতুন দাম কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ
জুয়েলার্স সমিতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব
থেকে ভালো মানের স্বর্ণের
দাম অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের
ভরিতে ২ হাজার ৬৮৩
টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ
করা হয়েছে। এতে সোনার ২২
ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম
পরবে ৯৩ হাজার ৪২৯
টাকা। এর আগে গত
৭ জানুয়ারি সোনার দাম এক দফা
বাড়ানো হয়। তখন এই
মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম
পড়ে ৯০ হাজার ৭৪৬
টাকা।
বাজুসের
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২২ ক্যারেট ক্যাডমিয়াম
(হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য ৮ হাজার ১০
টাকা, ২১ ক্যারেট ক্যাডমিয়াম
(হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য ৭ হাজার ৬৪৫
টাকা, ১৮ ক্যারেট ক্যাডমিয়াম
(হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য ৬ হাজার ৫৫৫
টাকা, সনাতন পদ্ধতির প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য ৫
হাজার ৪৬০ টাকা। এ ছাড়া,
২২ ক্যারেট ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম রূপার মূল্য ১৪৭ টাকা, ২১
ক্যারেট ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম রূপার মূল্য ১৪০ টাকা, ১৮
ক্যারেট ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম রূপার মূল্য ১২০ টাকা এবং
সনাতন পদ্ধতির প্রতি গ্রাম রূপার মূল্য ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৭
জানুয়ারি দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল।
তখন ভরি প্রতি সোনার
দাম ৯০ টাকা ছাড়িয়েছিল।
এক সপ্তাহ ব্যবধানে আবার বাড়ানো হলো
সোনার দাম। এর আগে
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দেশের
বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়।
তার আগে ৪ ডিসেম্বর
এবং ১৮ ও ১৩
নভেম্বর সোনার দাম বাড়ায় বাজুস।
এভাবে দফায় দফায় দাম
বাড়ানোর কারণে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে ওঠে মূল্যবান
এ ধাতু। গত ৩০ ডিসেম্বর
সব থেকে ভালো মানের
বা ২২ ক্যারেট প্রতি
ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪
গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার
১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৮৮
হাজার ৪১৩ টাকা করা
হয়। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো
এক ভরি সোনার দাম
৮৮ হাজার টাকা হয়নি।
এ সময় ভালো মানের
সোনার পাশাপাশি বাড়ানো হয় সব ধনের
সোনার দাম। ২১ ক্যারেটের
প্রতি ভরি সোনার দাম
এক হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে
৮৪ হাজার ৩৮৯ টাকা করা
হয়। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি
ভরি সোনার দাম ৯৩৩ টাকা
বাড়িয়ে ৭২ হাজার ৩১৭
টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির
সোনার দাম ভরিতে ৮১৭
টাকা বাড়িয়ে ৬০ হাজার ৩০৩
টাকা নির্ধারণ করে বাজুস।
গত ৩০ ডিসেম্বর দেশের
বাজারে দাম বড়ানোর পর
গত এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে
প্রতি আউন্স সোনার দাম বাড়ে ৪১
দশমিক ৪১ ডলার। এতে
এক আউন্স সোনার দাম বেড়ে হয়
এক হাজার ৮৬৫ দশমিক ৭৯
ডলার। গত বছরের ১০
জুনের পর বিশ্ব বাজারে সোনার
এতো দাম আর হয়নি।
সোনার
পাশাপাশি বিশ্ববাজারে
প্লাটিনামের দামও বেড়েছে। তবে
রুপার দাম কিছুটা কমেছে।
গত এক সপ্তাহে রুপার
দাম শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে
প্রতি আউন্স ২৩ দশমিক ৮৩
ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর প্লাটিনামের দাম
এক দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়ে
এক হাজার ৯০ দশমিক শূন্য
৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে বাজুসের ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল
হক ভূইয়া লিটন বাংলা ইনসাইডারকে
বলেন, বিশ্বাবজারে সোনার দাম আবারও বেড়েছে।
তাই বৈদেশিক বাজারের সাথে সমন্বয় রাখতেই
এক সপ্তাহ পরেই সোনার দাম
আবারও বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে এই নতুন
মূল্য কার্যকর করা হবে।
সোনার দাম বাজুস রুপার দাম প্লাটিনাম
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।