ইনসাইড বাংলাদেশ

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা-কল্পনা

প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-এর এ সফর নিয়ে সরকারি দল, সরকার বিরোধী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সুশীল সমাজের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কি হতে পারে? তবে কি র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে? কোন দিকে মোড় নিচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি? বাংলাদেশের রাজনীতি কি বিশ্বমোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল?

এদিকে ডোনাল্ড লু’র এই সফর নিয়ে যেমনই সরকার তৎপর, তেমনই দেশের বিরোধী দলগুলোও রাখছে সতর্ক নজর। তাই এমন পরিস্থিতিতে বসে নেই বিএনপিও। দলটির শীর্ষ নেতারা ডোনাল্ড লু’র এই সফরকে গুরুত্ব সহকারে দেখছেন বলে জানিয়েছে একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র। তবে ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে বিএনপির কোনো প্রতিনিধিদলের বৈঠক হবে কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

অন্যদিকে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন,‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হবে। র‍্যাব যখন তৈরি হয় তখন আমেরিকা, যুক্তরাজ্যের পরামর্শেই তৈরি হয়। তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওই দেশগুলো র‍্যাবের কনসেপ্ট দেয়। তারাই তৎকালীন সরকারকে র‍্যাবের জন্য ইকুয়েপমেন্ট দেয়। তাদের কারণেই প্রাথমিকভাবে র‍্যাব চালু হয়।’  

সূত্র বলছে, বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি না করার বিষয়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাতে পারেন। ফলে তাদের মধ্যে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়েছে। দলের তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। এসব স্ট্যাটাসে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা- বিশ্বের মোড়ল রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসন হবে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সফরে গুরুত্ব পাবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, শ্রম, জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা, জিএসপি পুনর্বহালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুও। র‌্যাবসহ বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে। তবে এর মধ্যেই ছড়াচ্ছে নানা গুঞ্জনও।  

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু। তার সফর ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। সফরসূচি অনুযায়ী, লু বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা করবেন। দু’দিনের সফরে বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করবেন তিনি। তবে তার এ সফর ঘিরে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যু।

এদিকে বিএনপির তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে নানা গুঞ্জন ছড়ালেও ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বিএনপির কোনো প্রতিনিধিদলের বৈঠক হবে কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেননি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। সরকারের সঙ্গে ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠক’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। তবে ভেতরে ভেতরে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিএনপি। যেভাবেই হোক, ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠক আয়োজনে তৎপর বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির নেতারা। তবে লুর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত বিএনপির বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ও রয়েছে বিএনপিতে।

পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দলে সক্রিয় রাজনীতি করছেন। তৃণমূলের এ নেতা চান, যেভাবেই হোক বিএনপি যেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠক করে। আলমগীর হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) সারা বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলে, কাজ করে। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আজ খাদের কিনারে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। দেশের বড় বড় রাজনৈতিক নেতাকর্মীর ওপর চলছে জুলুম-নির্যাতন। কেউ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন না। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দিনের ভোট রাতে হচ্ছে। বিএনপির উচিত মার্কিন এ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করে এসব বিষয়ে তুলে ধরা।’

জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার বলেন, ‘ডোনাল্ড লুর সফর বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করে। তাকে আমরা বাংলাদেশে স্বাগত জানাই। লুর এ সফর হোক গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সফর। তার পরামর্শে সরকার ইতিবাচক ধারায় ফিরুক। আগামী দিনে যাতে আমরা সবাই মিলেমিশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি সেই পদক্ষেপ বেরিয়ে আসুক। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এবং শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করে জবাবদিহিতামূলক সরকার যেন দেশে প্রতিষ্ঠা পায়।’

দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান মনে করেন ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হওয়া উচিত। গত ১৪ বছরে বর্তমান সরকারের অধীনে দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তা ফেরানোর একটি পদক্ষেপ নেওয়া হোক। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে তার এ সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, রাশিয়া ও ভারতকে বন্ধুরাষ্ট্র মনে করি। তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও অর্থনৈতিক উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কোনো বিশেষ দলকে বিশেষভাবে সুবিধা করে দেওয়ার মতো অবস্থান তাদের কাছে প্রত্যাশা করি না। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য ভারত, চীন, রাশিয়া বাংলাদেশের বর্তমান অনির্বাচিত সরকারকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ফলে দানবীয় কায়দায় দেশ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এখানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতির পরিবর্তন জরুরি।

বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন, দেশের বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকের জন্য তৎপর হওয়া। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের যেভাবে হয়রানি- নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে, তা মার্কিন এ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবগত করা খুবই জরুরি। ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হবে কি না, তা জানেন না দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রধান ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও।

এ বিষয়ে কথা হয় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রধান ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে। তারা মার্কিন এ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির কোনো প্রতিনিধি দলের বৈঠক চূড়ান্ত হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।  

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সবসময় গণতন্ত্র দেখতে চায়। সেজন্য দেশটির প্রতিনিধির বাংলাদেশ সফরে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু এ সফরে তিনি বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কোনো বৈঠক করবেন কি না, তা এখনো আমি জানি না।’

আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রধান ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ডোনাল্ড লু আসছেন, সেটা তো জানি। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে এখানে আসছেন। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন। এজন্য আমাদের (বিএনপি) সঙ্গে তার বৈঠক বা আলোচনার কোনো প্রসঙ্গ থাকছে বলে মনে হয় না। তবে গণতন্ত্রকামী একটি দেশের প্রতিনিধি বাংলাদেশে আসায় বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।’


ডোনাল্ড লু   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. এ কে আব্দুল মোমেন   আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেলেন অপহৃত সেই দেলোয়ার

প্রকাশ: ১০:৪৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হব, এমনটা কখনোই ভাবিনি। তাই শুধু এটুকুই বলব, আমি মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি। জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। 

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মিরপুরে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুরে একটি ছাত্রী হোস্টেলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯)। তিনি মিরপুর বাংলা কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী ছিলেন।

জানা গেছে, রাদিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।

মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলি করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।

মুনতাসির রহমান নামে একজন ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস একজন ট্রান্সউইমেন। হোস্টেলের ৬ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এটা আত্মহত্যা নয়, এটা হত্যা। এর পিছনে দায়ী পরিবার, সমাজ, দেশে বিরাজমান ট্রান্সফোবিয়া, ঘৃণা, হয়রানি, আক্রমণ। এর দায় আপনাদের নিতে হবে।

এদিকে, মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে।

জানা গেছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মিরপুর ১০ মহুয়া মঞ্জিল ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ৬তলা থেকে ছাত্রী রাদিয়া লাফিয়ে নিচে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিরপুর মডেল থানার এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, রাদিয়া তেহরিন ব্যতিক্রম হোস্টেলে থেকে মিরপুর বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আজকে ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ছয়তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যান রাদিয়া। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণসহ বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্রান্সজেন্ডার নারী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৫ প্রার্থীর জয়

প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে  চেয়ারম্যান হিসেবে সাতজনসহ বিভিন্ন পদে মোট ২৬ জন  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

সোমবার প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের তথ্য জানান।

ইসির কর্মকর্তারা জানান প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান; বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান; কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান; কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান; রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান; কাউখালীতে (রাঙ্গামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান; চুয়াডাঙ্গার ডামুড়হুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা।

প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে সোমবার ভোটের মাঠ থেকে সরে যান ১৯৮ জন প্রার্থী।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৮৫ উপজেলার ভোট হবে চার ধাপে।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপি একরামুলকে বহিষ্কারের দাবি জেলা আওয়ামী লীগের

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা।

মঙ্গলবার (, ২০২৪ এপ্রিল) জয়পুরহাট জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে 'জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি'র মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সেলিম রেজা বলেন, তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এ  ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন ভুয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে এবং মীমাংসার নামে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ আদায় করছে। এসব সংগঠন থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ইতিহাস। ১৯৭৫ এর আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করা ছিল ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত।


 অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা। কমিশনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন 

সভায় আরও উপস্থিতি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম ও উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন