ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ছয়টি কবরস্থানে মরদেহ দাফনের নতুন নীতিমালা জারি করেছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। নতুন প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী কবর সংরক্ষণ করা যাবে ১৫ থেকে ২৫
বছর পর্যন্ত। এজন্য একটি কবর সংরক্ষণে এক থেকে সর্বোচ্চ
দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। যদিও আগে ৬ থেকে ১১
লাখ টাকার মধ্যে একই সময় পর্যন্ত কবর সংরক্ষণ করা যেতো।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কবরস্থান সমূহের নীতিমালা-২০২২ প্রণয়ন করা হয়। ডিএনসিসির সচিব (অ.দা.) মোহাম্মদ মাহে আলমের সই করা এই নীতিমালা ওই দিন থেকেই কার্যকর হয়েছে। সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কবর সংরক্ষণে নাগরিকদের নিরুৎসাহিত করতেই ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ডিএনসিসির সমাজ কল্যাণ বিভাগ সূত্র জানায়, আগে ১০, ১৫, ২০, ২৫ বছর পর্যন্ত কবর সংরক্ষণ করার সুযোগ ছিল। এখন নতুন নীতিমালায় ১৫ বছর বা ২৫ বছর মেয়াদি কবর সংরক্ষণ করতে হবে। আগে বনানী কবরস্থানে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণে ফি ছিল ২৪ লাখ, এখন তা বাড়িয়ে এক কোটি টাকা করা হয়েছে। একই কবরস্থানে আগে ২৫ বছরের জন্য কবর সংরক্ষণ ফি ৪৫ লাখ টাকা ছিল। এখন এক কোটি ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে।
উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে আগে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ৬ লাখ, এখন তা ৭৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। ২৫ বছর কবর ফি ছিল ১১ লাখ, এখন তা এক কোটি টাকা করা হয়েছে। উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ৬ লাখ, এখন তা বেড়ে ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। আর ২৫ বছরের কবর সংরক্ষণ ফি ৭৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
একইভাবে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে আগে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ২৪ লাখ, এখন ৩০ লাখ টাকা করা হয়েছে। আর ২৫ বছরের ফি ৪৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। মিরপুর কবরস্থানে আগে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ৬ লাখ, এখন তা ২০ লাখ করা হয়েছে।
আগে ২৫ বছর কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ১১ লাখ, এখন তা ৩০ লাখ করা হয়েছে। এছাড়া রায়ের বাজার কবরস্থানে আগে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ৬ লাখ, এখন তা ১০ লাখ করা হয়েছে। এছাড়া ২৫ বছর কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ১১ লাখ, এখন তা বাড়িয়ে ১৫ লাখ করা হয়েছে।
২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কবরের জন্য স্থায়ী জায়গা কেনা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে কবর সংরক্ষণের ব্যবস্থা শুরু হয় এবং এখনও সেই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এখন সরকারি ফিসহ ঢাকার কবরস্থানে মরদেহ দাফন করতে খরচ হয় ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। সাধারণত, এই কবরগুলো এক থেকে দেড় বছর স্থায়ী হয়।
উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, গুলশান, বারিধারা ও বনানী এলাকায় তুলনামূলক ধনীরা বাস করেন। তাদের পরিবারের কেউ মারা গেলে তারা সবার কবরই সংরক্ষণ করতে চায়। এ সংরক্ষণকে নিরুৎসাহিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতোয়া নদীতে থেকে মোতালেব হোসেন (৫৫) নামে এক তাঁত শ্রমিকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলা ধুকুরিয়াবেড়া গ্রামের মৃত বুজরত আলীর ছেলে। গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এদিন সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতেয়া নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে এদিন দুপুরে শাহজাদপুর থানা ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশ লাশটি বুঝে পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ কামরুজ্জামান নিহতের পরিবারের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গত বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলা না। ফলে নিহতের পরিবার বেলকুচি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তার আগে সঠিক কারণ বলা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার কওে সিরাজগঞ্জ নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা লাশ গ্রহণ করে ময়না তদন্তর জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।'
মন্তব্য করুন
ঈদুল ফিতরের যাতায়াতে সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১৩৯৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
এ সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই তথ্য তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত এই তথ্য উঠে এসেছে।
লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। ৬৫৮ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৬০৮ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরদ্রোচ্ছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।
ঈদযাত্রা সড়ক দুর্ঘটনা নিহত যাত্রী কল্যাণ সমিতি রাজধানী
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপদাহের কারণে হিট এলার্ট জারি করায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, তারা তাপদাহের বিষয়ে তীক্ষ্ম নজর রাখছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেশজুড়ে বহমান দাবদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’
দেশের অনেক এলাকায় তাপপ্রবাহ বইছে। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এ বছরের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। কোনো এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ (হিট অ্যাল্যার্ট) বলে গণ্য করা হয়। এ পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল পরবর্তী তিন দিনের জন্য দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই আগামীকাল রোববার থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেক অভিভাবক।
পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা দিবস, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কিছু ছুটি সমন্বয় করে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ছুটি শুরু হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত ছুটি থাকলেও শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিন হওয়ায় আগামীকাল (২১ এপ্রিল) খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজে ছুটি আগে থেকে শুরু হলেও খুলবে একই দিনে এবং নিয়মিত পাঠদান শুরু হবে।
গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি শুরু হয়। এর এক দিন আগে গত ২৫ মার্চ কলেজগুলো বন্ধ হয়েছিল। আর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় ছুটি শুরু হয়েছিল ২২ মার্চ। প্রায় এক মাসের ছুটির পর আবারও শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত হবে শিক্ষাঙ্গন।
এদিকে তীব্র দাবদাহের কারণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে। ২২ এপ্রিল থেকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে স্কুলগুলোয়। এ ছুটি ৫ মে থেকে হওয়ার কথা ছিল।
তীব্র গরম প্রাথমিক বিদ্যালয় অ্যাসেম্বলি বন্ধ
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে দেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাহকেরা ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এই তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১২টার পর থেকে এ সমস্যা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাবমেরিন কেব্লস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গণমাধ্যমকে জানান, দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ হয় সিমিউই-৫ দিয়ে। যা এখন পুরটাই বন্ধ আছে। সিমিউই-৪ (প্রথম সাবমেরিন কেব্ল) দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেব্ল ব্রেক করায় বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। শনিবার বিকেলের মধ্যে জানা যাবে এটা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, তারা গ্রাহকদের ফোন পাচ্ছেন। গ্রাহকেরা ইন্টারনেট সেবার ধীরগতির অভিযোগ করছেন।
ইন্টারনেট বিএসসিপিএলসি আইএসপিএবি
মন্তব্য করুন
পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়ার শঙ্কায় তিন দিনের জন্য সারাদেশে হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এমন এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, যখন দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলুর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এরমধ্যে স্কুল-কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছেন অভিভাবকরা।
বছরের শুরুতে প্রকাশিত ছুটির তালিকা অনুযায়ী— ১০ মার্চ থেকে প্রাথমিক ও মাদরাসায় এবং ১১ মার্চ থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি শুরুর কথা ছিল। শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে রমজানের শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চালু ছিল। আর রমজানের প্রথম ১০ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট হলে দফায় দফায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আসে। সর্বশেষ আপিল বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—ছুটি সমন্বয় করে রোজায় ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার পক্ষে রায় দেন। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী— প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিনের ছুটি কমানো হয়।
একইভাবে সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রমজানের শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস চালু রাখে সরকার। তবে ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
তীব্র তাপপ্রবাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
মন্তব্য করুন
ঈদুল ফিতরের যাতায়াতে সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১৩৯৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।
দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে দেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাহকেরা ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এই তথ্য জানিয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১২টার পর থেকে এ সমস্যা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।