উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) শতাধিক পদে নির্বাচন আগামী ১৩ ও ১৬
মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ১৬ মার্চ যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এগুলোর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৯ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ ফেব্রুয়ারি, আপিল দাখিল ২১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৭ ফেব্রুয়ারি ও প্রতীক বরাদ্দ ২৮ ফেব্রুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৬ মার্চ।
১৬ মার্চ আট পৌরসভার বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভাগুলো হলো- দর্শনা, ফেনী, মধুখালী, বদরগঞ্জ, মাদারীপুর, পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও ও রহনপুর পৌরসভা।
এছাড়া ১৬ উপজেলার ৪৬টি
ইউপির সাধারণ নির্বাচন ও ৫১ উপজেলার
৫৬টি ইউপির বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচন এবং
বরগুনার আমতলি উপজেলার চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচন হবে।
অন্যদিকে পাঁচ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এদিন। এ ক্ষেত্রে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার সকল পদ এবং চট্টগ্রামের বোয়ালমারী, পিরোজপুরের নাজিরপুর, মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ১৩ মার্চ মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর পাঁচগাঁও ইউপির সাধারণ নির্বাচন এবং ৪নং সাধারণ সদস্য পদ ও নরসিংদীর রায়পুরার মির্জারচর ইউপির চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ভোটগ্রহণ হবে ১৩ মার্চ।
মন্তব্য করুন
বিএনপি প্রার্থীর
পদত্যাগে শূন্য ঠাকুরগাঁও ৩ আসনে উপনির্বাচন আগামীকাল পহেলা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে
যাচ্ছে। ভোটের প্রস্তুতি হিসেবে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর থেকেই কেন্দ্রগুলোতে
নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
সকাল ৮টা থেকে
শুরু করে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচন কমিশনের আশ্বাস
ভোট সুষ্ঠু করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তারা।
ঠাকুরগাঁওয়ের
পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলার দুইটি পৌরসভা ও ১৬ টিইউনিয়ন নিয়ে ঠাকুরগাঁও ৩ আসন। দুই
উপজেলা মিলে এই আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৩৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার
সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ২৩৫ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৪জন। মোট ভোট কক্ষের
সংখ্যা ৮০৮ টি। কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৮টি।
এই আসনে নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ছয়জন প্রার্থী। তারা হলেন ১৪ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী ওয়ার্কার্স
পার্টির ইয়াসিন আলী (হাতুড়ি), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) সিরাজুল ইসলাম
(টেলিভিশন), জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহমেদ (লাঙ্গল), জাকের পার্টির এমদাদুল হক
(গোলাপফুল), ন্যাশনাল পিলপলস্ পার্টির (এনপিপি) শাফি আল আসাদ (আম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী
অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় (একতারা)।
মন্তব্য করুন
নড়াইলে নাশকতা
মামলায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। সোমবার
(৩০ জানুয়ারি) দিনগত রাতে গোপন বৈঠকের সময় সদর থানার বিজয়পুর গ্রামের হাসমত ফকিরের
বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা
হলেন- সদর উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের হাসমত ফকির (৪২), মো. আ. হান্নান (৫২), মো. ওমর
ফারুক মোল্যা (৫৩), মো. আলি আজম মেখ (৪৮), ও মো. আরমান হুসাইন (৩৭), ভওয়াখালী গ্রামের
মো. হেমায়েতুল হক ওরফে হেমু মল্লিক (৫৫), আলাদাতপুর গ্রামের মো. ফরহাদ হোসেন (৪২) ও
মো. মশিউর রহমান (৪১), উজিরপুর গ্রামের আ. মান্নান (৫২), হাটবড়িয়া গ্রামের মো. জালাল
উদ্দিন (৫৬) এবং বিজয়পুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মো. রহমত উল্লাহ (৩২)।
পুলিশ সূত্রে
জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা বর্তমান সরকারকে উৎখাত ও আটক জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের
মুক্তি দাবিতে ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর
হামলা, বোমাবাজিসহ সরকারি বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙচুরের উদ্দেশ্যে সদরের
মুচিরপোল এলাকায় একত্রিত হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করতে
তারা মিছিল ও স্লোগান দেয়। পুলিশের তৎপরতায় তারা স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তাৎক্ষণিক
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নাশকতা সংশ্লিষ্ট কিছু আলামত সংগ্রহ করে। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি
মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২০ থেকে ১৩০
জনকে আসামি করে সদর থানায় নাশকতা মামলা দায়ের করে।
নড়াইল সদর থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, গত মাসের নাশকতা মামলার সঙ্গে
সংশ্লিষ্ট কয়েকজন গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার
করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও তদন্ত সাপেক্ষে গ্রেফতারকৃতদের ওই নাশকতা মামলায়
সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি
মন্তব্য করুন
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রথম পাতাল
মেট্রোট্রেন নির্মাণ কাজের
শুভ উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতি
১০০ সেকেন্ড পরপর চলবে এই মেট্রোট্রেন (এমআরটি লাইন-১)। ঢাকার জনসংখ্যার হিসাব এবং বাস্তবতার নিরিখে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার
(৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে ডিএমটিসিএলের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন
সিদ্দিক।
তিনি
বলেন, এমআরটি লাইন-৬ এ
আমরা যে কন্ট্রোল সেন্টার
থেকে পরিচালনা করছি, সেটা এখন সাড়ে
৩ মিনিট পরপর চলতে পারে।
এটাকে আমরা কমিয়ে আনতে
পারব। অন্যদিকে এমআরটি লাইন-১ এ
১০০ সেকেন্ড দিয়ে শুরু করব। এটাকে
হেডওয়ে বলে। ১০০ সেকেন্ডের
মধ্যে একটার পর আরেকটা ট্রেনে
আসবে, এটি আর কমানোর
সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন,
আমরা ৬টি কোচ দিয়ে
এমআরটি লাইন-৬ শুরু
করেছি এবং আরও দুটি
কোচ সংযোজনের সুযোগ রেখেছি। অর্থাৎ এটি ৮টিতে উন্নীত
করা যাবে। এমআরটি লাইন-৬ শুরু
৮টি কোচ দিয়ে চলবে।
এখানে কোচ বৃদ্ধি করার
বিষয়টি আর প্রয়োজন হচ্ছে
না। ইন্টারন্যাশনাল ৮টি কোচ দিয়ে
শুরু করে, আমরাও ৮টি
কোচ দিয়ে শুরু করব। জনসাধারণের
যেন ভোগান্তি না হয় সেজন্য
আমরা সে কথা মাথায়
রেখে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এখানে ব্যবহার করছি।
ডিএমটিসিএল
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পাতাল স্টেশনগুলো আমরা ওপেন কাট
পদ্ধতিতে করব। রাস্তার অর্ধেক
অংশ প্রথমে খনন করা হবে।
ওই অংশে আমাদের সমস্ত
যন্ত্রপাতি নিচে নামানো হবে
এবং তার ওপর দিয়ে
স্টিলের পাত দিয়ে ঢেকে
দেওয়া হবে যান চলাচলের
জন্য। ওই পাতের ওপর
দিয়ে ৪০ মেট্রিক টন
ক্ষমতা সম্পন্ন গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এই
অংশ গাড়ি চলা চলার জন্য
খুলে দেওয়ার পর আমরা রাস্তার
অপর অংশে কাটব এবং
সেখানে একইভাবে কাজ শুরু করব।
এই কাজের জন্য সর্বোচ্চ ৬
মাস সময় লাগবে। পরে
মাটির নিচে যে কাজ
চলতে থাকবে, সেটি ওপর থেকে
আর অনুমান করা যাবে না।
আবার টিভিএম মেশিন দিয়ে যখন টানেল কাটা
হবে, তখন এটিও ওপর
থেকে কোনভাবে বোঝা যাবে না।
পাতাল
ট্রেনের নির্মাণ কাজের জন্য এরই মধ্যে
৯২ দশমিক ৯৭২৫ একর জমি
অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৬
সালে এ প্রকল্পের কাজ
শেষ হবে। প্রকল্প ব্যয়
ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১
দশমিক ৪৩ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সরকার এবং জাইকা এর
অর্থায়ন করবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন