প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল (রোববার) দিনব্যাপী রাজশাহী সফরে সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (আরসিসি) গত কয়েক বছরে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ২৯৫ দশমিক ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৩৭৬.২৮ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ের ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পাশাপাশি প্রায় ১,৬১২.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন সংস্থার বাস্তবায়িত ১৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
প্রায় ৫ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী নগরীর সিএন্ডবি ক্রসিং এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণ করেছে আরসিসি। দেশের সর্ববৃহৎ এই ম্যুরালের উচ্চতা ৫৮ ফুট, মূল অংশের ফুট উচ্চতা ৫০ এবং ৪০ ফুট চওড়া বঙ্গবন্ধুর ছবি রয়েছে।
সীমানা প্রাচীরের উভয় পাশে ৭০০ ফুট জুড়ে টেরাকোটার কাজ করা হয়েছে। গ্যালারি এবং ল্যান্ডস্কেপিং সুপার গ্রানাইট দিয়ে সুসজ্জিত। ম্যুরালে শোভাবর্ধক বৈদ্যুতিক বাতিসহ রাতের দৃষ্টিনন্দন আবহ তৈরি করা হচ্ছে।
রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ম্যুরালটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম এবং দেশের স্বাধীনতায় প্রশংসনীয় অবদান ও ত্যাগ সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করবে।
বিশেষ করে শিশুদের বিনোদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে রাজশাহী নগরীতে শেখ রাসেল শিশু পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আনুমানিক প্রায় ৪.৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ছোটবনগ্রাম এলাকায় ২.১৪ একর জমির উপর একটি সময় উপযোগী ডিজাইনের মাধ্যমে নজরকাড়া ও আকর্ষণীয় অবয়ব দেওয়ার জন্য পার্কটি স্থাপিত হয়েছে।
পার্কে রয়েছে ব্রিজ, উন্মুক্ত মঞ্চ, হাঁটার পথ, কৃত্রিম পাহাড়সহ বিভিন্ন আধুনিক রাইড এবং কার্যকর নিরাপত্তা। রাজশাহীবাসী পার্কটিতে একটি নতুন স্থাপত্যের দৃশ্য পাবেন এবং যা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অবদান রাখবে, সব বয়সের মানুষ এতে উপকৃত হবেন।
যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল দ্রুত ও নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন বিলসিমলা রেলওয়ে ক্রসিং থেকে সিটি হাট রোডকে চার লেনে উন্নীত করছে। এটি প্রায় ৪৪.৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে চার ফুট প্রশস্ত রোড ডিভাইডারসহ রাস্তাটিকে ৮০ ফুট চওড়া করা হচ্ছে। ৩ দশমিক ৫৩২ কিলোমিটার সড়কের উভয় পাশে ৪৪ ফুট সড়ক, ১২ ফুট প্রশস্ত ড্রেন ও ফুটপাথ এবং ধীরগতির যানবাহনের জন্য ২০ ফুট সড়কও নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি প্রায় ৫৫.৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও একটি জরাজীর্ণ রাস্তাকে স্মার্ট সড়কে উন্নীত করছে।
নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল থেকে ভদ্রা রেলওয়ে ক্রসিং পর্যন্ত ৪.১৭ কিলোমিটার রাস্তাটিকে ডবল লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে এবং ধীরগতির যানবাহন, রাস্তার বিভাজক, ড্রেন এবং উভয় পাশে ফুটপাথের জন্য অতিরিক্ত দুটি লেনের সাথে চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে।
এলিভেশন কাজের পাশাপাশি উত্তর-দক্ষিণ সংযোগ সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন ও সবুজায়ন করা হবে শোভাবর্ধক গাছপালা রোপনের মাধ্যমে। সামগ্রিকভাবে, রাস্তাটি তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তার পাশের বাসিন্দাদের জন্য যুগোপযোগী পরিবর্তন আনবে।
মোহনপুর রেলক্রসিংয়ে প্রায় ৪০ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। রাস্তার এলাকা, বিশেষ করে ফ্লাইওভারটিকে একটি পর্যটন স্পট হিসাবে দেখা হয় কারণ প্রচুর লোক সমাগম হয় এতে স্থানীয়দের অনেকের জন্য আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের আলিফ লাম মীম ভাটা ক্রসিং থেকে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের ছোটবনগ্রাম, মেহেরচন্ডী, বুধপাড়া ও মোহনপুর হয়ে ছোটোপায়া ক্রসিং পর্যন্ত প্রায় ১৮৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
৬.৭৯৩ কিলোমিটার রাস্তার উভয় পাশে ফুটপাথ নির্মাণের পাশাপাশি, রেলক্রসিংয়ের উপর একটি ফ্লাইওভার, একটি ব্রিজ, আটটি কালভার্ট এবং মাঝামাঝিসহ বিভিন্ন প্রয়োজন ভিত্তিক আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। নবনির্মিত চার লেনের সড়কটি মহানগরীর ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মেয়র লিটন বলেন, প্রায় ১৩১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কল্পনা সিনেমা হল ক্রসিং থেকে তালাইমারী ক্রসিং পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তা চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রাস্তর দুই পাশে রঙিন রোড লাইট বসিয়ে সুসজ্জিত ও পথচারী উপযোগী ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে। সুশোভিত ফুলের চারা রোপণের মাধ্যমে সড়কদ্বীপকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রায় ১৩.৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে রেন্টুর খরির আড়ত থেকে ধলুর মোড় হয়ে হাই-টেক পার্ক পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাথ নির্মাণ এবং কোর্ট থেকে শহরতলী ক্লাব পর্যন্ত ডি কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে।
প্রায় ১২৬.৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে উপশহর থেকে সোনাদীঘি ক্রসিং এবং মালোপাড়া ক্রসিং থেকে সাগরপাড়া ক্রসিং পর্যন্ত দুটি মিডটাউন রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে, যা শহরের যোগাযোগের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।
সিটি করপোরেশন এ পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট পাঁচটি পৃথক সড়ক ও রাস্তায় ৬৯৫টি খুঁটিতে ১ হাজার ৬৫৪টি সুসজ্জিত ও দৃষ্টিনন্দন বাতি স্থাপন করেছে। এছাড়াও ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ক্রসিং আধুনিক আলোক ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে।
সামগ্রিকভাবে, ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের মধ্য দিয়ে রাজশাহী মহানগরী নতুন রূপ পেয়েছে এবং আধুনিক সড়কবাতি নগরবাসী ও অন্যান্য সুবিধাভোগীদের জন্য স্বস্তি বয়ে এনেছে।
সূত্র: বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন
মন্তব্য করুন
বরিশালের বানারীপাড়ায় টাকার বিনিময়ে প্রতিপক্ষকে ভূমি
মিউটিশন করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র এবং মোঃ সাইদুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে।
১৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের প্রেক্ষিতে তারা এই কাজ করেছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় বানারীপাড়ার প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান মৃধার ছেলে গোলাম কবির বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে
এ অভিযোগ করেছেন। বুধবার (১৭ মার্চ) রাতে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে অভিযোগ পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) নির্দেশ দিয়েছেন। এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আলোচনায় এসেছিল।
জেসমিন আক্তার ডালিয়া নামের জনৈক নারীর ভূমি মিউটেশন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা শেষ পর্যন্ত তহশিলদার ও তার সতীর্থরা আর হজম করতে পারেননি। অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ওই অর্থ তৎকালীন উপজেলা ভূমি
কর্মকর্তার (এসিল্যান্ড) হস্তক্ষেপে তাদের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয় এবং পরবর্তীতে তা ভুক্তভোগীকে ফেরত দেওয়া হয়। সেই ঘুষ বাণিজ্যের আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় এবার প্রকাশ্যে আসল বিমল এবং সুমনের মস্তবড় জাল-জালিয়াতির ফিরিস্তি, যা এখন তদন্ত করবেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা।
সূত্রে জানা গেছে, বানারীপাড়া পৌরশহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড় বাজারে এসএ ১৭৪ নম্বর দাগের জমিতে গোলাম কবিররা পূর্ব পুরুষ থেকে স’মিল, রাইস
মিল ও অন্যান্য ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ওই জমিতে বানারীপাড়ার সদর ইউনিয়ন ভূমি
কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র এবং সার্ভেয়ার মো. সুমন জাল দলিলের সাহায্যে ১৫ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে জনৈক আনিস মৃধা গংদের মিউটেশন (বিপি/৬৪ ২০২১-২০২২ইং) করে দিয়েছেন। যে দলিলের দ্বারা ভূমি অফিসের তহশিলদার এবং সার্ভেয়ার মিউটেশন করিয়েছেন সেই দলিলটিও জাল।
সার্টিফাইড কপিতে দেখা যায়, ওই দলিলের তফসিল বানারীপাড়া মৌজাতেই নয়। এমনকি দলিল দাতা গ্রহীতার নামও এক নয়। দলিল গ্রহিতা মাধুরী রাণী দাস ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে মর্জিনা বেগম নাম ধারণ করেন এবং তিনি ১৯৬৪ সালে আব্দুস সাত্তার মৃধার সাথে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন। তার প্রথম সন্তানের জন্ম ১৯৬৭ সালে, ৫ বছর পরে ১৯৬৯ সালে কিভাবে মাধুরী রাণী দাসের নামে দলিল সম্পাদিত হয়েছে।
এসএ ১৭৪ নম্বর দাগে আনিস মৃধা গং পূর্বপুরুষ থেকে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন বলে তহশিলদার এবং সার্ভেয়ারের রিপোর্টে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু জায়গাটি পৌর এলাকায় হলেও তার কোন হোল্ডিং নম্বর নাই। পরবর্তীতে ১৪১/২০২৩ মামলায় ভূমিঅফিসের জরিপে ১৭৪ নম্বর দাগ গোলাম কবিরের সম্পূর্ণ দখলি সম্পত্তি, তা রিপোর্ট করা হয়েছে।
সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তহশিলদার এবং সার্ভেয়ারের পূর্বের রিপোর্টটি মিথ্যা এবং বানোয়াট। যার প্রমাণস্বরুপ গোলাম কবির অভিযোগের সাথে তার সম্পত্তির বৈধ হোল্ডিং নম্বর, স’মিল, রাইস মিল, কাঠের মার্কেট, সমস্ত বৈদ্যুতিক সংযোগ, ট্রেড লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রত্যয়নপত্রজুড়ে দেন। মূলত তাৎক্ষণিক কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই জেলা প্রশাসক কবিরের অভিযোগটি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ সমূলে অস্বীকার করে বিমল চন্দ্র এবং সুমন বলেন, এসিল্যান্ডের আদেশে মিস কেসের মাধ্যমে ওই সম্পত্তির খাজনা নিয়ে দাখিলা দেওয়া হয়েছে। এতে কোনো প্রকার অনিয়ম করা হয়নি বিমল এবং সুমনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অভিযোগকারী গোলাম কবির দাবি করেছেন, প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে এ জাল-জালিয়াতিতে সহায়তা করা হয়েছে। এমন অভিযোগ বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর করার পর তা গুরুত্ব দিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে অপর প্রান্ত থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
তবে বানারীপাড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুসতাহিন তাসমিন রহমান অনিদ্রের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা গেলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বানারীপাড়ায় নতুন যোগদানের কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
ভূমি অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিমল এবং সুমনের দুর্নীতির ফিরিস্তি জেলা প্রশাসকের টেবিলে এবং তা তদন্ত করবেন শীর্ষ একজন কর্মকর্তা এমন খবরে তারা অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার
(১৮ এপ্রিল) তাদের প্রতিদিনের ন্যায় অফিস করতে দেখা গেলেও মুখ ছিল মলিন। এই বিষয়টি নিয়ে সহকর্মীদের মধ্যে কানা ঘুষা আছে যে, কেচো খুঁজতে গিয়ে যেনো সাপ না পেয়ে বসেন কর্মকর্তারা। কারণ দুইজনের অতীত ইতিহাস তেমন একটা সুবিধার নয়, দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেমন দুর্নীতি করেছেন, তেমনি গড়েছেন টাকার পাহাড়।
জানা গেছে, এর আগেও আলোচ্য এই দুই কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির ফিরিস্তি অনুসন্ধান করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনো অদৃশ্য শক্তি যেনো তাদের আগলে রাখছে। সেই শক্তির বলেই কী এবার বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর ভূসম্পত্তি প্রতিপক্ষের নামে মিউটিশন করিয়ে দেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন এমন একটি প্রশ্ন সামনে এসেছে।
ভূমি কর্মকর্তা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ভূমি মিউটিশন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরে মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ জোসনা আক্তার (৩০) কে কুপিয়ে হত্যা ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সিরাজ মিয়াসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-১১ (র্যাব)। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব -১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে র্যাব আসামীদের গ্রেপ্তার করায় স্বস্তি প্রকাশ করেন নিহতের স্বজনরা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সিরাজ, এরশাদ, রিপন, জাকির, রিমন, রাকিব, ইব্রাহিম ও সাহেরা বেগম। তারা সকলেই সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের বাসিন্দা।
র্যাব ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পুকুর থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন ও পানি সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে ভিকটিম জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনের সঙ্গে আসামি সিরাজদের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ১৫ এপ্রিল (সোমবার) ভোর রাত ১ টার দিকে হামলা চালিয়ে ঘরে ঢুকে জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করে আসামিরা। পরে আহত অবস্থায় দুই জনকে স্থানীয়রা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জোসনাকে মৃত ঘোষণা করেন সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নিহত জোসনার বাবা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
র্যাব -১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, মামলার পর থেকে র্যাব তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা নজরদারিতে অবশেষে মামলার ৬ জন এজাহারনামীয় ও ১ জন অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গৃহবধূ হত্যা শত্রুতার জেরে হত্যা আসামীদের থানায় হস্তান্তর
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য কৃচ্ছতা সাধন মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরে মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ জোসনা আক্তার (৩০) কে কুপিয়ে হত্যা ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সিরাজ মিয়াসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-১১ (র্যাব)। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব -১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে র্যাব আসামীদের গ্রেপ্তার করায় স্বস্তি প্রকাশ করেন নিহতের স্বজনরা।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার নতুন করে কৃচ্ছতা নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে বলে সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ব্যয় সংকোচ নীতি এবং নতুন করে কৃচ্ছতা কর্মসূচির দিকে মনোযোগী হচ্ছে।