ইনসাইড বাংলাদেশ

লাশ নিয়ে টানাটানি, ঠাঁই হলো হিমঘরে

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

দুই বছর আগে পরিবারের অগোচরে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন আহমাদ। ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে তার নাম ছিল ‘রতন দাশ’। তবে ধর্ম পরিবর্তনের পর থেকে নিয়মিত নামাজ-রোজা পালনের পাশাপাশি মুখে দাঁড়ি রাখাও শুরু করেন আহমাদ। পরিবারের আড়ালে ইসলাম ধর্মের সব রীতিনীতি মেনে চলতো। এছাড়া বিভিন্ন হুজুরের সঙ্গে দেখা করতেন আর তাদের বয়ানও শুনতেন।

তবে এতো সবকিছু ঠিকভাবে পালন করে এলেও রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর লাশ হস্তান্তরের সময় সামনে আসে কোন ধর্মীয় রীতিতে তার দাফন হবে বিষয়টি। 

আহমাদ ওরফে রতন দাশের পরিবারের দাবি- তাদের সন্তান মুসলমান হননি। বন্ধুরা এসব সাজিয়েছে। ভুয়া কাগজ দেখিয়ে তারা তাদের ছেলেকে আলাদা করছে। তাই তাদের ছেলেকে সনাতন ধর্মের রীতিতেই শেষকৃত্য করবে। 

এদিকে বন্ধুরা জানায়- দুই বছর আগেই হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন আহমাদ। তাই তাকে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী দাফন করবে।

এদিকে লাশ হস্তান্তর নিয়ে পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় ওই যুবকের মা পটিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। পরে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।  

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের বিচারক বিশ্বেস্বর সিংহ জানিয়েছেন, নিহত ওই যুবকের ধর্ম পরিচয় শনাক্ত হয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) হাসপাতালের হিমঘরে থাকবে। আর সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতের রায়ের পর কথা হয় নিহত যুবকের মা সন্ধ্যা রানী দাশের সঙ্গে। তিনি  বলেন, ‘না, আমি কিছু জানি না। আমার ছেলে ধর্ম পরিবর্তন হওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কালকে সকালেও আমার ছেলে ঘরে পূজা দিয়েছে। পরশু দিনও আমার ছেলে পূজা দিয়েছিল। আমার ছেলে মুসলিম হওয়ার বিষয়টি তারা (বন্ধুরা) সাজিয়েছে।

মুখে দাঁড়ি থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে একটা প্রতিজ্ঞা করেছিল। আমি তাকে বিয়ের কথা বলেছিলাম। সে বলেছিল, যতদিন সে প্রতিষ্ঠিত হবে না ততদিন দাঁড়ি কাটবে না। আর যতদিন প্রতিষ্ঠিত হবে না ততদনি বিয়েও করবে না। আমি দাঁড়ি ফেলবো না।

এদিকে বন্ধুরা জানিয়েছেন, আহমাদ মুসলমান হওয়ার পর থেকে ইসলামে ধর্মের রীতিনীতি অনুসরণ করতো এবং সবকিছু মেনে চলতো। এরপর থেকে সে কোনো পূজামণ্ডপেও যেত না। আহমাদ প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তো  আর সে বের হলে তার মা জানতো। এছাড়া মসজিদ থেকে জুতা চুরি হয়ে যাওয়ার বিষয়টিও তার মাকে সে জানিয়েছিল।

শুক্রবারে জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তিনি জানতেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আহমাদের মা সন্ধ্যা রানী দাশ  বলেন, না, আমি কখনও দেখিনি। গত শুক্রবারও আমার ছেলে বিকেল ৪টা বাজে ঘুম থেকে ওঠেছে। এর আগের শুক্রবারও বিকেল ৫টার দিকে ঘুম থেকে ওঠছে। এরপর তার বন্ধুরা তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। আমার ছেলেকে তারা (বন্ধুরা) ফোনে বিরক্ত করতো। ওদের ফোনের জন্য আমার ছেলে ঘুমাতে পারতো না।

মসজিদ থেকে জুতো চুরি হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, না সেই জুতো চুরির বিষয়টি মসজিদে না। আমার ছেলে একটি গার্মেন্টসে কাজ করতো। সেখানে তার জুতো চুরি হয়েছে। সেই বিষয়টি সে আমাকে বলেছে।

আহমাদ ওরফে রতন দাশের চার বছর বয়সের সময় থেকে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন মা সন্ধ্যা রানী দাশ। এসময় মাসিক ৩শ’ টাকা বেতনে চাকরি করে ৫০ টাকা দিয়ে ছেলের জন্য শিক্ষক রেখেছেন। ছেলেকে এতবড় করেছেন গার্মেন্টসে চাকরি করেই। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘তার যখন ৪ বছর বয়স। তখন থেকে আমি গার্মেন্টসে কাজ করতাম। মাসিক বেতন ছিল মাত্র ৩শ’ টাকা। সে টাকার মধ্যে ছেলের জন্য ৫০ টাকা খরচ করতাম তার পড়ালেখার জন্য। এখনও আমি গার্মেন্টসে কাজ করি।

আদালত রায়ের কথা সম্পর্ক জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আদালত কি রায় দিবে জানি না। আপাতত এখন আমার ছেলের লাশ চমেকের হাসপাতালের হিমঘরে রাখতে বলেছে। কিন্তু আমি চাই  আমার ছেলের লাশ আমার কাছে হস্তান্তর করুক। এবং আমার ছেলে শেষকৃত্য আমাদের ধর্মের রীতিতেই হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের লাশ যদি আমাকে হস্তান্তর না করে তাহলে তার বন্ধুদের কাছেও হস্তান্তর করতে পারবে না। আমি যদি আমার ছেলের লাশ না পাই, তাহলে তার বন্ধুরাও পাবে না। তার লাশ দরকার হলে নদীতে ভাসিয়ে দিবে। তারপরও আমি আমার ছেলের লাশ তার বন্ধুদের কাছে হস্তান্তর করুক সেটা চাই না।

অপরদিকে আহমাদ ওরফে রতন দাশের বন্ধুরা জানিয়েছেন, তারা বন্ধুর ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সব প্রমাণ রয়েছে। এসব কাগজপত্র আদালতের সামনে উপস্থাপন করে ইসলাম ধর্মীয় রীতিতে বন্ধু আহমাদকে দাফন করবেন। তবে অবশ্যই সেটা কখন নিষ্পত্তি হবে সে বিষয়ে কেউ নিশ্চিত নন।

এদিকে আহমাদ পুরোপুরিভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিয়মিত তা পালন করতেন বলে জানিয়েছেন এডভোকেট সাইফুল ইসলাম। তিনি  বলেন, ‘আহমাদ দুই বছর আগে কওমী আকিদার এক মাওলানার কাছে কালেমা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে আমার কাছে আসেন এফিডেভিট (হলফনামা) করতে। 

তিনি আরও বলেন, ‘আমার জানামতে, আহমাদ ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী চলতো। তিনি ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়েই ধর্ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

এডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ আদালত এ বিষয়ে রায় দিয়েছেন। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত আহমাদের লাশ চমেকের হিমঘরে থাকবে। পটিয়া থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছেন এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে। এরপরই সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ‘আদালত রায় দিয়েছেন আপাতত লাশ চমেক হাসপাতালের হিমঘরে রাখার জন্য। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনে দেওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি শুধু জানি লাশ আপাতত হাসপাতালের হিমঘরে থাকবে।

উল্লেখ্য, রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রামের পটিয়া বাদামতল মোড়ে তেলবাহী লরির চাপায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী আহমাদ ওরফে রতন দাশের মৃত্যু হয়। এসময় হাসান নামে তার এক সহকর্মীও আহত হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

এরপর থেকে তার লাশ দাফন নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে বন্ধুদের। বন্ধুদের দাবি- দুই বছর আগে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন আহমাদ। ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে তার নাম ছিল ‘রতন দাশ’। তবে পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এটা ওনাদের ছেলে। তাই তাদের ধর্ম রীতিতে তার শেষকৃত্য করবে। ধর্মান্তরিত হওয়ার ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না।

অন্যদিকে বন্ধুরা চান- সে যেহেতু মারা যাওয়ার আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে  সেহেতু তাকে মুসলিম রীতিতেই দাফন করা হবে।

নিহত আহমাদ চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার আবু তোরাব বাজার এলাকার মৃত মনো দাশের ছেলে। বর্তমানে মায়ের সঙ্গে নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। দুই বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর থেকে তিনি বন্ধুদের বলেছিলেন, তার মৃত্যুর পর যেন তাকে ইসলাম ধর্মের রীতিতে লাশ দাফন করা হয়।

এদিকে পটিয়া-ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) স্নেহাংশু বিকাশ সরকার  বলেছিলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুনলাম তিনি ধর্ম পরিবর্তন করেছেন। তবে এই বিষয়টি তার পরিবার জানতেন না। তাই পরিবারের দাবি- হিন্দুরীতি তাঁর শেষকৃত্য করবে। আর বন্ধুরা চান- সে যেহেতু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। তাই তাকে ইসলাম ধর্মের নিয়ম মেনেই দাফন করবে।

ওই যুবক মুসলিম হওয়ার এফিডেভিট (হলফনামা) থাকার কথা জানালে তিনি বলেন, সেটার এখনও সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেরকম কোনো ডকুমেন্ট নেই। এফিডেভিট তো আদালতে যায়নি। শুধু নোটারি পাবলিকের কাছে গেছে। নোটারি পাবলিকের সঙ্গে কথা হয়েছে জানালো তারা (আহমাদ) আদালতে যাওয়ার কথা ছিল যায়নি। আদালতে না গেলে তো এফিডেবিট হয় না।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সড়ক-রেল-লঞ্চে যাত্রী চাপের মধ্যেই রাজধানীতে ফিরছে মানুষ

প্রকাশ: ১০:৪২ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষের ছুটি কাটিয়ে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তাই আজ ট্রেন, বাস ও লঞ্চে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এই ভিড়ের মধ্যেই রাজধানীতে ফিরছে মানুষ। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল এবং ট্রেন স্টেশন ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কমলাপুর এবং বিমানবন্দর রেল স্টেশনে আসা ট্রেনগুলো থেকে নামছে অসংখ্য মানুষ। প্রতিটি ট্রেনেই ছিল যাত্রীদের ভিড়। এ ছাড়া মহাখালী, গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট লঞ্চ ঘাটেও ছিল একই অবস্থা।

অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপের কারণে বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। তারা জানান, বাসগুলোতে আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ঈদের ছয়দিনে এসেও এমন ভাড়া অপ্রত্যাশিত। কেউ প্রতিবাদ করলে বাস শ্রমিকদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে।

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত গিয়াস বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়ি বরিশালে গিয়েছিলাম। আজ ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ থাকলেও তা খুব বেশি নয়। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে লঞ্চের যাত্রী কমেছে। তারপরও অতিরিক্ত চাপ থাকায় আমাদের সকাল সাড়ে ৫টায় টার্মিনালে রেখে লঞ্চটি পুনরায় বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।

লঞ্চে করে ঢাকায় ফেরা মো. আল-আমিন বলেন, আজকে লঞ্চে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। আমি ভেবেছিলাম, ঈদের কয়েকদিন পরে ঢাকা যাচ্ছি, লঞ্চে হয়তো ভিড় কম থাকবে। কিন্তু লঞ্চে উঠে দেখলাম ভিন্ন চিত্র।

ট্রেনে করে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় আসা সেলিনা আক্তার বলেন, ট্রেনগুলোতে আজকে যাত্রীদের প্রচুর ভিড় ছিল। ঈদের চারদিনের মাথায় এত ভিড় হবে ভাবিনি। মনে করেছিলাম, একটু স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরতে পারব কিন্তু তা আর হলো না।

এদিকে ঈদের ছুটির পর অফিস শুরু হলেও রাজধানী এখনও ফাঁকা। সড়কে নেই যানজট। স্কুল-কলেজও খোলেনি। এ কারণে এক প্রকার নীরব রাজধানী। তবে স্কুল-কলেজ খুললে ঢাকা চিরচেনারূপ পাবে আগামী সপ্তাহ থেকে।

ঈদুল ফিতর   বাংলা নববর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাঁকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শরীয়তপুরের জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত নাসির উদ্দিন বেপারী জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিলাশপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারী কান্দি গ্রামের সৈয়দ তাজুল ইসলাম তার চাচাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়নি ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীসহ তার সমর্থকদের। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নাসির বেপারী ও তার সমর্থকরা। পরে গত শনিবার রাতে ওই বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সৈয়দ সাব্বির নামে একজন জাজিরা থানায় মামলা করেন। ঘটনার দিন রাতে পুলিশ আব্দুর রহমান খা নামে একজনকে আটক করলেও বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীসহ অন্যান্যরা পালাতক ছিল। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল সোমবার গভীর রাতে বিলাশপুরের চেরাগ আলী বেপারী কান্দি থেকে নাসির উদ্দিন বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিয়ে বাড়িতে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।




ককটেল বিস্ফোরণ   ইউপি সদস্য   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএনপির সাবেক নেতাকে প্রার্থী ঘোষণা করলেন আওয়ামী লীগের এমপি

প্রকাশ: ০৮:৩৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনার পূর্বধলায় বিএনপির সাবেক নেতা শিল্পপতি আসাদুজ্জামান ওরফে নয়নকে নিজের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহমদ হোসেন। এ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।
 
শনিবার সরিস্তলা এলাকায় একটি ওরস মাহফিলে বক্তব্য দিতে গিয়ে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে তিনি তার পছন্দের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি ওই প্রার্থীকে ডেকে এনে তার পাশে দাঁড় করিয়ে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া ভিডিওতে শোনা গেছে, ওই সভায় এমপি মো. আহমদ হোসেনে বলেন, আমি নয়নকে এনেছি। এ সময় তিনি নয়নকে ডেকে বলেন- নয়ন এদিকে আসো। চেয়ারম্যানদের কাছে গেলে বলেন- আমাকে ১০ হাজার টাকা দাও, ১০ হাজার টাকা দাও। আমি তোমাকে টিউবওয়েল দেব এটা দেব সেটা দেব। পরে টাকারও খবর নাই আর কোনোকিছুরই খবর নাই। আমরা কি চেয়ারম্যান চাই তখন উপস্থিত লোকজন বললেন হ্যাঁ। আহমদ হোসেন বললেন, কোন চেয়ারম্যান চাই আমরা; পাবলিকরে মাইরা টাকা মাইরা খায়, প্রতারণা করে বেইমানি করে এমন চেয়ারম্যান চাই না।

এ সময় নয়নের হাত ধরে হাত উঁচু করে মো. আহমদ হোসেন বললেন, এই নয়ন আসবে টাকা নেবে না, সে টাকা দেবে। আমাকে এমপি বানাইছেন আপনারা! আমার একটা সহযোগী লাগবে না? কী? মেসি কি একা একা গোল করতে পারে? টিম লাগে না? কাজেই চেয়ারম্যানটাও আমার টিমের নয়ন। তারে আমি চাই। উপস্থিত লোকজন বলেন, নয়নকে আগে আপনারা চিনেন। চেয়ারম্যানটা আমার টিমের হইতে নয়নরে দিয়া কাজ হবে। আমি এমপি থাকলে, নয়ন ভালো চেয়ারম্যান হবে।

তিন মিনিট ১৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়- আমি এমপি, আমি জেলা পরিষদের অ্যাডভাইজার; সব কমিটিরই আমি প্রধান। সবকিছু আমার অ্যাডভাইসে চলবে। এ সময় তিনি ডান হাত দিয়ে বুক থাপড়িয়ে বলেন, সবকিছু আমার নিয়ন্ত্রণে চলবে। আমাকে কাজ করতে দেবেন? তাহলে নয়ন যে মার্কা নিয়ে আসবে তাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানাতে হবে। আমি এমপি আমি নয়নকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য আমার একজন নয়নের দরকার...।

এদিকে আসাদুজ্জামান নয়নকে এমপির সমর্থন দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।


বিএনপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মানুষের শাসক নয়, সেবক হতে চায় লক্ষ্মীপুরের চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর


Thumbnail

সদর উপজেলা ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা ইতিমধ্যে নিজ নিজ এলাকায় ভোটাদের সমর্থন ও ভালবাসা পেতে সমাজের বিভিন্ন জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় শুরু করেছেন। ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নে জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে রাস্তার মোড়ে, চায়ের দোকানে ইউপি নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন চশমা প্রতীক নিয়ে মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। শুরু করেছেন উঠান বৈঠক এবং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মতবিনিময় সভা।

এছাড়াও নির্বাচন উপলক্ষে দোয়া প্রার্থী ব্যানার লাগিয়ে শুরু করেছেন নির্বাচনী প্রচারণা। এরই ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলা ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়ন থেকে চশমা মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসাবে মিজানুর রহমান ভূঁইয়া জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালনকারী, সৎ সাহসী নীতি ও আদর্শবান বঙ্গবন্ধুর এক লড়াকু সৈনিক, ধার্মিক, সদা হাস্যউজ্জ্বল, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রকৃত অর্থে উন্নয়ন ও আধুনিক, শান্তি - সিমৃদ্ধির আবাসস্থল হিসাবে গড়ে তুলতে তার রয়েছে দৃঢ় অঙ্গীকার ।

এই তরুণ উদীয়মান চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, মানুষের শাসক নয়, সেবক হতে চায়। জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই। ভবিষ্যতেও সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা করে ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়ন অব্যাহত রাখতে চাই এবং সকলের প্রতি যতটুকু সম্ভব সাহায্যে সহযোগিতা করার জন্য আমার প্রচেষ্টার কোন কমতি থাকবে না, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া  আরো বলেন, ব্যাক্তি উদ্যেগে মানুষের কল্যাণ সবসময়  জনপ্রতিনিধি না হয়েও কাজ করে যাচ্ছি । আমার ইউনিয়ন বাসীর চেষ্টায়  সর্বাত্মকভাবে সমাজের সেবা করতে হলে জনপ্রতিনিধি হওয়ার বিকল্প নাই। বিশেষ করে সরকারী অনুদান তৃণমূলের সর্বস্তরের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন করতে চায়।

তাই আসন্ন ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে আমি এলাকায় কাজ করছি। আমার ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডকে, চাঁদাবাজ,মাদক, কিশোর গ্যাং, ভূমিদস্যু, সালিশ বানিজ্য, যৌতুক, বাল্য বিবাহ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং মুক্ত, সমাজ গঠনের লক্ষে, ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নকে একটি দৃষ্টিনন্দন আধুনিক ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে চাই সকলের সহযোগিতা। ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন ও দোয়া চাই।


লক্ষ্মীপুর   মিজানুর রহমান ভূঁইয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিলাইছড়িতে বিশেষ সেনা অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ৮

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৮ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপানিছড়া পাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সকালে সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের অন্তর্গত ১৬ বেঙ্গল কর্তৃক ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করে। কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবরের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়। পরে সেনা সদস্যদের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৮ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটককৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে  ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন এবং ২টি আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক সন্ত্রাসীদের বিলাইছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হবে। 

রাঙামাটি   বিলাইছড়ি   সেনা অভিযান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন