ইনসাইড বাংলাদেশ

হাফেজদের সম্মানিত করতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মেগা রিয়েলিটি শো ‘কুরআনের নূর’

প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

* প্রথম বিজয়ী পাবেন ১০ লাখ, দ্বিতীয় বিজয়ী ৭ লাখ, তৃতীয় বিজয়ী ৫ লাখ, চতুর্থ ও পঞ্চম বিজয়ী পাবেন ২ লাখ করে টাকা।

আসন্ন রমজানে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হচ্ছে হিফজুল কুরআন বিষয়ক মেগা রিয়েলিটি শো ও দেশব্যাপী হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৩ ‘কুরআনের নূর’- পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ। দেশের বৃহৎ শিল্পগ্রুপ বসুন্ধরার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে দেশ সেরা অনুর্ধ্ব ১৫ বছর বয়সী পবিত্র কুরআনের হাফেজদের সম্মাননা জানানো হবে।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির উদ্যোগে ‘কুরআনের নূর’ উপলক্ষ্যে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে শায়েখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আযহারী, পেশ ইমাম শায়খূল হাদিস মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহিল বাকী আন নদভী, মাওলানা মিজানুর রহমান, মুফতি এহসানুল হক জিলানী, মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেমীসহ ইসলামিক স্কলার ও দেশ বরণ্যে আলেম-ওলামাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা বিভাগের উত্তর-দক্ষিণ দুটি জোনসহ পুরো দেশের মোট ১১ জোন থেকে অনুর্ধ্ব ১৫ বছর বয়সী ৩০ পারা কুরআনের হাফেজগণ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। জোনগুলো হলো- সিলেট, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ফরিদপুর, বরিশাল, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ।

দেশের নয়টি বিভাগ থেকে সেরা ৩ জন হাফেজ ২য় রাউন্ড বা ঢাকা অডিশনে যোগ দিবেন। এই তিনজনকে অভিভাবকসহ ঢাকায় আনা হবে। আর ঢাকা বিভাগের দুই জোন থেকে ৯ জন করে হাফেজ দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

এরপর ৪৫ জন প্রতিযোগী নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বিশুদ্ধ ও সুন্দর কুরআন তিলাওয়াতের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা। দেশ বরণ্যে ইসলামিক স্কলার ও অভিজ্ঞ হাফেজদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক মণ্ডলী এখান থেকে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য ৫ জন কুরআনের হাফেজকে বাচাই করবেন।

রিয়েলিটি শো ও দেশব্যাপী হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৩ ‘কুরআনের নূর’ এর প্রথম বিজয়ী একজন পাবেন ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা। দ্বিতীয় বিজয়ী একজন পাবেন ৭ লাখ টাকা ও সম্মাননা। তৃতীয় পুরস্কার একজন পাবেন ৫ লাখ টাকা ও সম্মাননা। চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার হিসাবে ২ জন পাবেন ২ লাখ টাকা করে ও সম্মাননা। সেরা ১০ এ থাকা বাকি ৫ জনও পাবেন আর্থিক পুরস্কার ও সম্মাননা।

এই প্রতিযোগিতায় বিচারকের প্যানেলে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম শায়খুল হাদীস মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী আন নদভী, শায়েখ আহমাদ বিন ইউছুফ আল আযহারী,বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান,বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম শায়খুল হাদীস মুফতি এহসানুল হক জিলানী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম শায়খুল হাদীস মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেম ও মেয়র মুহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদের ইমাম ইমরান নূর উদ্দিন।

`কুরআনের নূর’ মেগা রিয়েলিটি শো টি নিউজ ২৪ টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচার হবে। এছাড়া মিডিয়া পার্টনার হিসাবে আছেন দৈনিক কালের কন্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজ ২৪ ও ক্যাপিটাল এফএম।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম শায়খুল হাদীস মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী আন নদভী বলেন,পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস আমাদের বহুল প্রতীক্ষিত সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমাদানে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে নিবেদন করা হচ্ছে ‘কুরআনের নুর’। এই আয়োজনের মাধ্যমে কোরআনের শ্রেষ্ঠ হাফেজদের সম্মাননা ও আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করবে বুসন্ধরা গ্রুপ। দেশের কুরআনে হাফেজদের পাশে বরাবরই আন্তরিকতার সাথে পাশে থেকেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। তবে এবার এই হাফেজদের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যার শুভসূচনা হচ্ছে পবিত্র কুরআন নাজিলের মাসে কুরআন প্রতিযোগিতার মেগা রিয়েলিটি শো ‘কুরআনের নূর’ দিয়ে। 

তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের ইচ্ছা ও অনুপ্রেরণায় জাতীয় মসজিদ এই প্রথম জাতীয় কোন আয়োজনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হলো। আর সেটি হলো কুরআনের অনুষ্ঠান। আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর, উনার পরিবার, পিতা-মাতাসহ সকলে যাতে ইসলামের খেদমতে আরো এগিয়ে আসতে পারে সেই দোয়া করি।

তিনি আরো বলেন, বসুন্ধরার এমডির বিশেষগুণ হলো উনি সঠিক কাজের জন্য সঠিক ব্যাক্তিদের ঠিক করতে পারেন। এ জন্য কোন কাজে ব্যর্থ হননা। উনি জাতীয় মসজিদের মুসল্লি কমিটির মাধ্যমে সারা দেশের গরীব ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এমন মানুষদের ওমরাহ হজ্জে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। রমজানে গরীব ও মুসল্লিদের মাঝে ইফতার বিতরন করছেন। আল্লাহ উনাকে ইসলামের খেদমতে কবুল করুন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম আবদুল মান্নান বলেন, আমার ছোট বেলা থেকে ইচ্ছা ছিল হজ্জে যাওয়ার। প্রিয় নবীর রওজা মোবারক জিয়ারত করার। কিন্তু সামর্থ্য ছিল না। আল্লাহ বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির মাধ্যমে আমার সেই ইচ্ছা পূরণ করছেন। বসুন্ধরা গ্রুপ ও এমডির জন্য আমি নবীজীর রওজার পাশে নামাজ পড়ে দোয়া করেছি।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশ: ০১:৪০ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ভারতের ওডিশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩ জুন) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক শোক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

তিনি জানান, ‘ভারতের উড়িষ্যায় একটি মালবাহী ও একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে শতশত মানুষ হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

ওডিশায় দুর্ঘটনায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৮৫০ জনের বেশি। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চলমান শতকে এটি ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। ওডিশা রাজ্যের বালাসোরে স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যে সাতটার দিকে মোট তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়।

ভারতের রেলবিভাগ জানায়, প্রথমে করমন্ডল এক্সপ্রেস নামের একটি যাত্রীবাহী ট্রেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়ার নিকটবর্তী শালিমার থেকে তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই যাচ্ছিল। সেটির কয়েকটি বগি লাইনচ্যূত হয় এবং পাশের লাইনে থাকা আরেকটি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী ট্রেন সেগুলোকে আঘাত করে। দ্বিতীয় ট্রেনটি বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়া যাচ্ছিল।

এরপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনের সাথেও যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোর ধাক্কা লাগে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ৫০ হাজার মার্কিন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১০:৪২ এএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা করতে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। নিউইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত  বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মো. মনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আর্থিক সহযোগিতার অঙ্গীকার ঘোষণা করেন। 

নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ জুন) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে চল‌তি বছরের জন্য `ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ)` এ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ অনুদা‌নের প্রতিশ্রু‌তি দেয়া হয়।

স্থায়ী মিশন জানায়, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলনস্বরুপ ২০১৮ সাল থেকে ইউএনআরডব্লিউএ-তে এ অনুদান দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মো. মনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে ইউএনআরডব্লিউএ-এর চলমান তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। টেকসই, অনুমানযোগ্য এবং পর্যাপ্ত তহবিল সুরক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেন তি‌নি ।

মনোয়ার হো‌সেন বলেন, ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ইউএনআরডব্লিউএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে শুধু আর্থিক সমর্থন দেওয়া একমাত্র সমাধা্মাত। এই সংকটের একমাত্র সমাধান হলো ১৯৬৭-এর পূর্ববর্তী সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান অর্জনের মাধ্যমে ইসরায়েলি অবৈধ দখলদারিত্বের স্থায়ী অবসান ঘটানো।

এবারের সম্মেলনটি আহ্বান করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেশী। এতে সদস্য দেশগুলোকে ইউএনআরডব্লিউএ-এর কমিশনার জেনারেল ফিলিস্তিনি শরণার্থী এবং তাদের জন্য নিবেদিত সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র কার্যাবলীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ব্রিফ করেন । উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের রেজুলেশনের মাধ্যমে ১৯৪৯ সালে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের তাদের দুর্দশার ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে সহায়তা এবং সুরক্ষা দিতে একটি মানবিক এবং উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইউএনআরডব্লিউএ। বর্তমানে ৫.৯ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি এই সংস্থায় শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত রয়েছে।


ফিলিস্তিন   জাতিসংঘ   ইউএনআরডব্লিউএ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাজারে বাজেটের প্রভাব, নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়েছে

প্রকাশ: ০৮:২৯ এএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

বাজেটের আগেই যে চড়া দামে নিত্যপণ্য কিনতে হয়েছে এখন তা বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দরে। গতকাল রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতে বেশির ভাগ পণ্যের দামই ছিল ঊর্ধ্বমুখী। যদিও ক্রেতাদের দাবি, বাজেট ঘোষণার কয়েক মাস আগে থেকেই নিত্যপণ্যের বাজার চড়া।

রাজধানীর রায়েরবাগ শনিরআখড়া কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজেট ঘোষণার পরের দিন গতকাল নিত্যপণ্যের বাজার আগের চেয়ে আরও অস্থিতিশীল।

সম্প্রতি উত্তাপ ছড়ানো মসলাজাতীয় পণ্য পিঁয়াজ ও আদার দাম এখনো চড়া। বাজারে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা এবং আদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। তাছাড়া প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়। একই সঙ্গে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরেই।

মানভেদে প্রতি কেজি সবজি কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৬০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ প্রতি পিস আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এদিকে সরকার চিনির দাম বেঁধে দিলেও এখনো তার প্রভাব নেই বাজারে। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত দামে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। ডিমের দাম আগের মতোই চড়া। প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ডজন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়।

অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায়।

মাছের বাজারে দেখা যায়, আকারভেদে প্রতি কেজি শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৭০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজেট ঘোষণায় বাজারে নিত্যপণ্যের দামে কেমন প্রভাব পড়তে পারে জানতে চাইলে শনিরআখড়া কাঁচাবাজারের বিক্রেতা হানিফ মাহমুদ বলেন, নিত্য জিনিসের দাম যা বাড়ার আগেই বেড়েছে। বাজেট এখানে কোনো বিষয় নয়। তবে মনে হচ্ছে দফায় দফায় দাম আরও বাড়বে।

চট্টগ্রামে স্থিতিশীল কাঁচাবাজার : বাজেট ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই বাজার স্থিতিশীল। মুরগির দাম ১০ টাকা বাড়লেও অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে স্বাভাবিক। নগরের কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি মুরগি কেজি ৬৩০ টাকা, ব্রয়লার ২১০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। আশপাশে কয়েকটি দোকানে ঘুরে মিলল একই চিত্র। এ ছাড়াও ব্রয়লার মুরগির ডিম ডজন ১৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁপে কেজি ৭০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শিম ১৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ফুলকপি ১৪০ টাকা ও শসা ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাজেটের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই: জি এম কাদের

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের।

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই। নিজেদের স্বার্থে ও আইএমএফ’র পরামর্শে যেভাবে ট্যাক্স ধরা হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কষ্টের হয়ে উঠবে। এ বাজেটের কারণে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

 শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার বিসিক মিলনায়তনে উত্তরা কালচারাল সোসাইটির ১৫তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘চাপিয়ে দিয়ে এ বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে না। কারণ সম্পূর্ণ ঋণ নির্ভর বাজেট বাস্তবায়ন হয় না। মানুষের গলায় রশি লাগিয়ে সরকার বাজেট অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় করতে পারবে না। রিজার্ভ সংকটের কারণে বিদেশি ঋণ পাওয়াও সহজ হবে না। আর দেশি ব্যাংকগুলো এখনই ঋণ দিতে পারছে না। সরকারকে টাকা ছাপিয়ে টাকার সংকুলান করতে হচ্ছে। টাকা আরও ছাপাতে হবে। এতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। মূল্যস্ফীতি লাগাম ছাড়া হয়ে উঠবে। এখনই মানুষের জীবন বাঁচাতে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বাজেট বাস্তবায়ন হলে মানুষের অবস্থা কেমন হবে তা জানি না। এ বাজেটের কারণে দারিদ্র্যের সংখ্যা আরও বাড়বে। যারা মধ্যবিত্ত হিসেবে সম্মানের সঙ্গে আছেন, তাদের দরিদ্র হবার আশঙ্কা রয়েছে। এ বাজেটের কারণে দেশে বিপর্যয় নেমে আসবে।’  

তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদে সার্কাস চলছে। সংসদে গণমানুষের কথা বলা যায় না। গণমানুষের কথা বললে অবান্তর মনে করা হয়। এমন বাস্তবতা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।’

উত্তরা কালচারাল সোসাইটির সভাপতি শেরিফা কাদের এমপির সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন আইটিআই বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক দেব প্রসাদ দেবনাথ, উত্তরা কালচারাল সোসাইটির উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. ইউনুস আলী ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল মাহমুদ ইয়ং।

পরে উত্তরা কালচারাল সোসাইটি ও রাঙামাটির জুম কালচারাল সোসাইটির শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।  



জাতীয় পার্টি   চেয়ারম্যান   জি এম কাদের   বাজেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবার তৎপর ড. ইউনূস

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

এক-এগোরোর মতোই আবার তৎপরতা শুরু করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত ঘোষণা এবং হাইকোর্টে তার ১২ কোটি টাকা আয়কর দেওয়ার রায়ের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন সরকারের বিরুদ্ধে মরিয়া হয়ে গেছেন। আর এ কারণেই তিনি তার অনুগতদেরকে আবার সক্রিয় করছেন। বিভিন্ন সুশীলদের নিয়ে তিনি দফায় দফায় বৈঠক করছেন। এছাড়া মার্কিন দূতাবাস সহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতকেও তিনি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার এক ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে যে আগামী কয়েকদিন ইউনূস এ নিয়ে ব্যাপক তৎপরতা চালাবেন। তার কৌশলটা হল তার বিরুদ্ধে মামলা এবং আয়কর ফাঁকির রায় নিয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন না। বরং সরকারের বিরুদ্ধে তিনি আন্তর্জাতিক ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাবেন এবং সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করবেন। যেটি তিনি করেছিলেন ২০০৭ সালে। 

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন গ্রামীণ টেলিকমের অর্থপাচারের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে সেখানে ড. ইউনূসের সংশ্লিষ্ট পেয়েছে। আর এই ব্যাপারে তারা তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই তদন্তে যদি ড. ইউনূস প্রাথমিকভাবে দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে আইনগতভাবে সেটি মোকাবেলা করতে হবে। ড. ইউনূস এটিতে আতঙ্কিত। আবার হাইকোর্ট রাজস্ব বিভাগের এক মামলায় ড. ইউনূসকে ১২ কোটি টাকা সরকারের খাতে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ইউনূসের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলেই মনে করেন তার সংশ্লিষ্ট ঘনিষ্টরা। 

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে একটি শক্তিশালী সুশীল গ্রুপ রয়েছে। যারা ইউনূসের রায়ের পর এক সঙ্গে বসছেন এবং তারা ইউনূস এর জন্য কি করা যায় তা নিয়ে সক্রিয় হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, হোসেন জিল্লুর রহমান, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সহ একাধিক ব্যক্তি রয়েছেন যারা বিভিন্নভাবে ড. ইউনূস এর দ্বারা সুবিধাপ্রাপ্ত এবং ড. ইউনূসের পক্ষে যে কোনো অবস্থান নিতে তারা কার্পণ্য করবেন না। এরা ড. ইউনূস এর রায়ের পরবর্তী পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করেছেন এমন নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। ড. ইউনূসও তাদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সুশীলরা সরকারের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন সংগ্রাম করবে না। তারা তিনটি প্রক্রিয়া গ্রহণ করবে। প্রথমত, বিএনপিকে তারা আন্দোলনের জন্য রসদ দিবে এবং বিএনপিকে তাতিয়ে তোলার ক্ষেত্রে কাজ করবে। দ্বিতীয়তঃ তারা বাংলাদেশস্থ মার্কিন দূতাবাস সহ বিভিন্ন পশ্চিমা দূতাবাস গুলোর কাছে সরকারের বিরুদ্ধে  নানা রকম বক্তব্য উপস্থাপন করবে এবং সরকারকে চাপে ফেলার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার, মানবাধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ইত্যাদি বিষয় সামনে আনবে। আগামী কিছুদিন এইসব বিষয়ে সুশীলদেরকে সোচ্চার দেখা দিতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। 

তৃতীয়তঃ সুশীলরা আন্তর্জাতিক মহলে এ নিয়ে দেনদরবার করবেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কংগ্রেসম্যান, সিনেটর সহ প্রভাবশালী প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। তাদেরকে দিয়ে তিনি বাংলাদেশে একটি বিবৃতি আদায়ের চেষ্টা করবেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা যেন চাপ সৃষ্টি করেন সে কথাও বলবেন। তবে ড. ইউনূস কোনো প্রক্রিয়াতেই তার নিজের ইস্যুটিকে সামনে আনবেন না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর ঘনিষ্টরা মনে করছেন সরকার চূড়ান্ত চাপে না পড়া পর্যন্ত ইউনূসের সাথে কোনো ধরনের সমঝোতা হবে না। আর এ কারণেই নিজে বাঁচার জন্য ইউনূস রাষ্ট্র এবং সরকারকে ঝুঁকিতে ফেলতে চাইছেন। 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন