ইনসাইড বাংলাদেশ

মেয়র আইভীর ওপর হামলাকারী সেই অস্ত্রধারী নিয়াজুল হলেন ওয়ার্ড সভাপতি

প্রকাশ: ০৯:২৪ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর ওপর হামলাকারী সেই অস্ত্রধারী নিয়াজুল ইসলাম। তিনি আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমি স্কুলে সিটি করপোরেশনের ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিয়াজুল নির্বাচিত হন। এ ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন জাহাঙ্গীর আলম। এদিকে সম্মেলনে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি পদে একাধিক নাম থাকায় কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি

১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা।

ফুটপাত হকারমুক্ত রাখতে ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর নেতৃত্বে নগর ভবন থেকে পদযাত্রা বের করলে শামীম ওসমানের সমর্থক ও হকাররা মেয়রের ওপর হামলা চালান। সেখানে নিয়াজুল ও শাহ নিজামকে অস্ত্র নিয়ে গুলি করতে দেখা যায়। আইভীর সমর্থকেরা এ সময় আইভীর সমর্থকরা মানব ঢাল তৈরি করে তাকে রক্ষা করেন। 

এ ঘটনার পাঁচদিন পর আইভীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নিয়াজুলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে যান সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার। কিন্তু সে সময় পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আদালতের নির্দেশে ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর মামলা নেয় পুলিশ।

এদিকে নিয়াজুল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোনীত হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মেয়র আইভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সত্যি কি অবস্থান বদলেছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তলে তলে আপস হয়ে গেছে। দিল্লি আছে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কথার বাইরে যাবে না তার এরকম বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তার এই বক্তব্য আরও পূর্ণতা পায় আজ হোয়াইট হাউসে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রথমবারের মতো স্বীকার করা হয় যে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এর সৌজন্য বৈঠক হয়েছে। হোয়াইট হাউসে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক সমন্বয় জন কিরবি জ্যাক সুুলিভানের সাথে বৈঠকের তথ্যটি প্রথমবারের মতো প্রকাশ করেন। এর ফলে রাজনীতিতে নানামুখী গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। 

যেকোনো বিচারে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ এবং বিশ্বব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থ দেখভাল করেন। যেকোনো বিবেচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদটি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে? তার ইঙ্গিত কি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার, মত প্রকাশের অধিকার যেমন গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাজনিত ইস্যু। 

বাংলাদেশ এবং ভারত অভিন্ন ভাবে গত এক বছরে বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ইস্যুটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে বা গণতন্ত্রের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে বার বার আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদের উত্থান ইত্যাদির প্রসঙ্গত তৈরি করা হচ্ছে। ভারত সুস্পষ্টভাবে বলছে, বাংলাদেশে যদি সরকারের ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হয় বা অন্য কোনো সরকার আসে তাহলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে মদদ দেওয়া হবে, পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যদি মদদ এবং পৃষ্ঠপোষকতা পায় সেক্ষেত্রে এই অঞ্চলের সন্ত্রাসবাদের নতুন করে উত্থান ঘটবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হচ্ছে যে, এই সরকার জঙ্গিবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাই যদি শেষ পর্যন্ত এই সরকারের কোনো রকম পরিবর্তন হয় তাহলে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটতে পারে। বাংলাদেশ আরেকটি আফগানিস্তান হতে পারে এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই বার্তাটি বিভিন্ন সময় দেওয়া হচ্ছে।

আফগানিস্তান নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেখানে তালেবানদের হাত থেকে রক্ষা পেতে গিয়ে মার্কিনদেরকে রীতিমতো পালাতে হয়েছে। কাজেই এই উপমহাদেশের যদি বাংলাদেশেও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে তাহলে এই উপমহাদেশটি আরও ভয়ঙ্কর অবস্থায় যেতে পারে এবং কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তারও হুমকিতে পড়তে পারে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানা যায়নি। তবে গণতন্ত্র এবং বিশ্ব নিরাপত্তা এই দুটির মধ্যে যদি সমঝোতা করতে হয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিঃসন্দেহে জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুটিকে প্রাধান্য দেবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিষয়ে বারবার অঙ্গীকার করা হচ্ছে যে, আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জ্যাক সুলিভানকে এই বিষয়টি আশ্বস্ত করেছেন। তবে এই বৈঠকের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান থেকে সরে না এলেও যে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে একটা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করবে এটা অনেকেই মনে করছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   শেখ হাসিনা   জ্যাক সুলিভান   মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা   বাংলাদেশের নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এক শতাংশ ভোট পড়লেও নির্বাচন আইনগতভাবে সঠিক: সিইসি

প্রকাশ: ০৬:০৮ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

আমাদের দেশে যদি এক শতাংশ ভোট পড়ে, ৯৯ শতাংশ না পড়ে তবুও ওই নির্বাচন আইনগতভাবে সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।

সিইসি বলেন, ‘আমরা লেজিটিমেসি (বৈধতা) নিয়ে মাথা ঘামাবো না। আমরা দেখবো ভোটটা অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ হয়েছে কি না। এক শতাংশ লোক মাত্র ভোট দিয়েছে। তারপরও যদি দেখি ভোটার যারা এসছিলেন, তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে এবং তারা নির্বিঘ্নে, স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যদি এক শতাংশ ভোট পড়ে, ৯৯ শতাংশ না পড়ে লিগ্যালি দ্যাট ইজ রাইট (আইনগতভাবে এটা সঠিক)। কোশ্চেইন অব লেজিটিমেসি মে অ্যারাইজ। বাট দ্য কোশ্চেইন অব লিগ্যালিটি উইল নট অ্যারাইজ। সো দেয়ার ইজ এ কনফ্লিক্ট বিটুইন লিগ্যালিটি অ্যান্ড লেজিটিমেসি। আমরা লেজিটিমেসি নিয়ে মাথা ঘামাবো না। আমরা দেখবো ভোটটা অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ হয়েছে কি না। এক শতাংশ লোক মাত্র ভোট দিয়েছে। তারপরও যদি দেখি ভোটার যারা এসছিলেন, তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে এবং তারা নির্বিঘ্নে, স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আইনগত দিক থেকে লিগ্যালিটি আর লেজিটিমেসি। লিগ্যালি একটা জিনিস হলে লিগ্যালি ভ্যালিড। বাট লেজিটিমেসি (বৈধতা) একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। যেখানে পারসেপশন তৈরি হয়। আমি ওই বিরোধে যেতে চাচ্ছি না। নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করবে একটি ল’ফুল নির্বাচন করতে। আর রাজনৈতিক সমাজ লেজিটিমেসি নিয়ে ফাইট করবে। নির্বাচন কমিশন এই বিষয় নিয়ে ফাইট করবে না।’


নির্বাচন   সিইসি   কাজী হাবিবুল আউয়াল   নির্বাচন ভবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা নদীর বাঁধ, পাঁচ জেলায় আকস্মিক বন্যার শঙ্কা

প্রকাশ: ০৫:৪৯ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

উজান থেকে তিস্তা নদী হয়ে বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে আকস্মিক বন্যা। এদিকে ভয়াবহ ঢলের আগাম পূর্বাভাসে নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী অববাহিকার চর ও গ্রামের বসতীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন মাঠে নেমেছে। বুধবার (৪ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় সেখানকার বাঁধটি খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ক্রমেই বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি।

 

ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, 'বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ মিটার ০৮ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে দুপুর ২টায় একই পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ মিটার ৯০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।'

 

ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের বরাত দিয়ে সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, 'ভারতের গজলডোবা পয়েন্টে তিস্তার পানির সমতল গত মধ্যরাতে প্রায় ২৮৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। দোমুহুনী পয়েন্টে বুধবার সকালে প্রায় ৮২ সেন্টিমিটার বেড়েছে এবং তা অব্যাহত আছে।তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে সকাল থেকে দ্রুত বাড়ছে। এই পয়েন্টে তিস্তার পানি বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাতে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে, যা বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।'

 

এদিকে বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখে নজরদারী করা হচ্ছে। নদীপাড়ের মানুষজনকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকযোগে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস এলাকা দিয়ে মানুষজনকে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 

নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, তিস্তা নদীতে উজান থেকে হড়পা বান ধেয়ে আসছে এমন আগাম খবরে সতর্কবার্তা গ্রহণ করা হয়েছে। নীলফামারীর কালিগঞ্জ জিরো পয়েন্ট দিয়ে তিস্তা নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাই প্রথম ধাক্কা এ জেলার উপর দিয়ে আসতে পারে। এ জন্য এলাকায় মাইকিংসহ মানুষজনকে সর্তক করে তিস্তা চর ও গ্রাম এলাকা ও বাঁধে বসবাস কারীদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

 

নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা জানান, ভারতের উত্তর সিকিমে লোনক হ্রদে ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর পানি প্রবল বেগে ভয়ঙ্করভাবে ঢল নেমে আসছে। এর ফলে সিকিমের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হড়পা বান (আকস্মিক বন্যা) বলা হচ্ছে এটিকে।


তিনি বলেন, 'ভারত উজানের জলপাইগুড়ি ও তিস্তা নদীতে সর্তকতা জারী করেছে। সেই পানি তিস্তা দিয়ে বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে বলে ভারতের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে। আজ দুপুরের পর সেই পানি প্রবেশ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এ জন্য আমরা সকল প্রকার সতর্কাবস্থান নিয়েছি। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস দিয়ে মানুষজনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।


নীলফামারী   তিস্তা   নদী   বন্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বেলকুচিতে প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বুধবার (৫ অক্টোবর') সকালে বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের নিশিবয়ড়া গ্রামে অবস্থিত  প্রত্যাশা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভাটি নিশিবয়ড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভায় প্রত্যাশা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য আবুজার আলী সরকারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আফিয়া সুলতানা কেয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন সমবায় মানে সকলের মনের সাথে সমম্বয়, একটি সমাজ পরিবর্তন করতে হলে সমবায়ের ভুমিকা অপরিসীম। সমবায়ের মাধ্যমে যেমন অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় ঠিক তেমনি ভাবে সমাজকেও এগিয়ে নেওয়া যায়। যে কাজটি প্রত্যাশা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতি করে যাচ্ছে। আপনাদের সুন্দর এমন উদ্যোগের জন্য শুভ কামনা রইলো।

 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষুদ্র পরিসরে কাজ শুরু করেছিলাম। আমাদের সকল পরিচালক ও সদস্যদের মনমানসিকতার কারনেই আমরা এগিয়ে যেতে পারছি। আমরা আমাদের গ্রামের সকল উন্নয়ন মূল ক, সামাজিক মূলক কাজ করে যাচ্ছি। আমরা শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছি না। সামাজিক উন্নয়ন নিয়েও কাজ করছি যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক বিরোধী, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, নিরক্ষন দূর করেন বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা, এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নসহ নানা ধরনের কাজ করে যাচ্ছি।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেলকুচি উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রত্না বেগম, সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ তামাই সাব জোনাল অফিসের এজিএম কাজী মো: জসিম উদ্দিন, প্রত্যাশা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তড়িৎ, সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুস সবুর তালুকদার, পরিচালক শিউলি আক্তার, সদস্য আব্দুর রশিদ মিয়া, ফজলার রহমান খাঁন, সোহেল তালুকদার প্রমূখ'।

 

এ সময় বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। উপস্থিত সদস্যবৃন্দও তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।


সামাজিক সংগঠন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ আইনের বিষয়ে দীর্ঘসুত্রিতা কখনো কাম্য নয়: ড. কামাল উদ্দিন

প্রকাশ: ০৫:২৬ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ আইনের বিষয়ে দীর্ঘসুত্রিতা কখনো কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, একটি আইন প্রণয়নে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়না। যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ আইনের বিষয়ে দীর্ঘসুত্রিতা কখনো কাম্য নয়।

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন আইনের খসড়া প্রস্তাবনার সর্বশেষ অবস্থা ও করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে নারী অধিকার বিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, প্রাসঙ্গিক দলিলসমূহ এবং বিস্তৃত পরিসরে বাংলাদেশের সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়টি উল্লেখ করে নারী অধিকার, বৈষম্য বিলোপ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ ইত্যাদি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রায়োগিক দিক আলোচনা করেন। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সাফল্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থানও তুলে ধরেন তিনি।

মানব পাচার প্রতিরোধ আইন প্রণয়নের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধ আইন প্রণয়নে ০৩ বছর সময় লেগেছিল যদিও তা ০২ বছরের মধ্যেই প্রণয়ন করা সম্ভব ছিল। এছাড়াও, উক্ত আইন প্রণয়নের বিষয়টি আসন্ন নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করা এবং উক্ত আইন প্রণয়নের বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার থাকাটা জরুরি।”

তিনি তাঁর বক্তব্যে নারীর মানোন্নয়ন, বৈষম্য রোধসহ সকল ধরনের অধিকায় প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার প্রসার, জ্ঞানগত চর্চা, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির প্রক্রিয়াকে উদ্বুদ্ধ করেন এবং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার সকল ধরনের প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, সঠিক সমন্বয় ও লক্ষ্যনির্ভর হওয়াকে গুরুত্ব প্রদান করেন।

সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত আইনের প্রণয়ন ও প্রয়োগ সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন