প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বিদেশি বিনিয়োগ
আকর্ষণ করতে চাই। বিদেশিরা
যখন আসবে, দেখবে বিনিয়োগ করবে। ভালোভাবে দেখলে ভালো বিনিয়োগ হবে।
এছাড়া হবে না। সেজন্য
আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আলাদা ভবন করার।
রোববার
(৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা
বলেন।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, আমারা ২০২১ সালের মধ্যে
বাংলাদেশকে উন্নত করতে চেয়েছিলাম। অত্যন্ত
সফলভাবে সেটা আমরা করতে
পেরেছি।
তিনি
বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক
অঞ্চল করে দিয়েছি। আমরা
বিদেশি বিনিয়োগ চাই, তার সঙ্গে
সঙ্গে চাই যে, আমাদের
দেশের যুব সমাজ নিজেরাই
বিনিয়োগকারী হবে। আমাদের যুব
সমাজের জন্য স্টার্টআপ প্রোগ্রাম
করে দিয়েছি। সেজন্য আলাদা বাজেটও আছে। কোম্পানি আইন
পরিবর্তন করে এক ব্যক্তি
কোম্পানি করতে পারে সেই
ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছি। যাতে
করে আমাদের নিজেদের ছেলেমেয়েরা উঠে আসতে পারে।
বিদ্যুৎ
সংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
২০০১ সালে ৪৩০০ মেগাওয়াট
বিদ্যুৎ রেখে গিয়েছিলাম। ২০০৯
সালে এসে দেখলাম সেটা
কমে ৩০০০ মেগাওয়াটের দিকে
নেমে গেছে। আমি জানি না
কোনো দেশ পেছনের দিকে
যায় কি না। আজকে
দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। আমাদের
লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের প্রত্যক
ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে
দেব, আমরা পৌঁছে দিয়েছি।
তিনি বলেন,
আমরা যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করি তা উৎপাদন
করতে প্রতি ইউনিটে খরচ হয় ১২
টাকা। আর সেখানে আমরা
নিচ্ছি ৬ টাকা। তাতে
অনেক কথা শুনতে হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যে বিদ্যুতের দাম ১৫০ শতাংশ
বেড়েছে, এটা সবার মনে
রাখতে হবে। আমরা সেই
পর্যায়ে যাইনি। গ্যাস, বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়া যাবে যদি খরচ
যা হয় সেটা সবাই
দেয়। কত ভর্তুকি দেওয়া
যায়? আর এই ক্ষেত্রে
কেন ভর্তুকি দেব? ভর্তুকি দিচ্ছি
আমরা কৃষিতে, খাদ্য উৎপাদনে।
ব্যবসায়ীদের
উদ্দেশ করে তিনি বলেন,
জেনারেটরের ওপর যে ট্যাক্স
ছিল, সেটা আমরা প্রত্যাহার
করে নিয়েছিলাম। প্রতিটি ছোট কোম্পানি যাতে
বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে সে
ব্যবস্থাও করেছিলাম, যাতে নিজেরা উৎপাদন
করে নিজেরা ব্যবহার করে, আবার অন্যদের
দিতে পারে। ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে ভালোভাবে চলে,
বিনিয়োগ আসে সেই চেষ্টা
আমরা করি।
সরকারপ্রধান
বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মৎস্য ভবনের একটি ফ্লোরে একটি
অফিস ছিল। আমরা বিনিয়োগ
আকর্ষণ করতে চাই। বিদেশিরা
আসবে, দেখবে, বিনিয়োগ করবে। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম,
আলাদা একটি ভবন করে
দেব। সেখানে যারা কাজ করবেন
তারা যেন মনের শান্তিতে
কাজ করতে পারেন।
মন্তব্য করুন
ভিসা নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন কমিশন
মন্তব্য করুন
ঢাকা সফর মার্কিন দূত রেনা বিটার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ভিসা নিষেধাজ্ঞা
মন্তব্য করুন
ভিসা নিষেধাজ্ঞা শেখ হাসিনা শেখ হাসিনার ট্রাম্পকার্ড
মন্তব্য করুন
ভিসা নিষেধাজ্ঞা ব্যবসায়িক আমলা পুলিশ নির্বাচন ভিসা নীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের এখন পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচন কমিশন জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন করার কথা ভাবছে। কিন্তু এর আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের কতিপয় ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ শুরু করেছে। তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি চায়? নির্বাচনের যখন তফসিলই ঘোষণা করা হয়নি তার আগেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কেন? এই প্রশ্নটি কূটনীতিক অঙ্গনে এখন বড় করে আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাহলে কি বাংলাদেশে অন্য কোনো পরিস্থিতি তৈরি করার জন্যই এরকম ভিসা নীতি প্রয়োগ করছে? এ ব্যাপারে অবশ্য কূটনৈতিকদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, বিরোধী দলের নেতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসন ওপর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যখন এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেখার পর তাৎক্ষণিকভাবে তিনি যে প্রতিক্রিয়া দেন তা ছিল সাহসী এবং দীপ্ত। তিনি এই ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে পাত্তা দেননি। বরং নির্বাচনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তাই দিয়েছেন। ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে তিনি অভয় দিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিকের ওপর যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা রাজনৈতিক অঙ্গনে ভালোমতোই প্রভাব ফেলেছে। তবে রাজনীতিবিদরা ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আতঙ্কিত নয়। ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণে সবচেয়ে আলোড়িত রাজনৈতিক দল অবশ্যই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরই এই ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা। তবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের মধ্যে খুব কমই ভিসা নীতিতে প্রভাবিত হবেন এবং ভিসা নীতি নিয়ে তাদের কোনো রকম গুরুতর রাজনৈতিক সমস্যা হবে—এটি তারা মনে করছেন না। বরং এরকম ভিসা নিষেধাজ্ঞা পেলে রাজনীতির মাঠে তাদের জনপ্রিয়তা প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়বে এবং ক্ষমতাসীন দলে তারা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।