ইনসাইড বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকারের ভাবনা?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি এখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলন করছে। যদিও এই আন্দোলনে পশ্চিমা কূটনীতিকদের এখন পর্যন্ত সায় নেই। কিন্তু কূটনীতিকরা মনে করছেন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া উচিত এবং আই লক্ষে বিএনপিরও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। এ লক্ষে কূটনীতিক পাড়ায় এক ধরনের তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছে। আগামী নির্বাচন একটি সমঝোতাপুর্ন জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে বিভিন্ন মহল থেকে। আর এই চেষ্টার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা যায় কিনা এরকম একটি প্রস্তাব বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে দির্ঘদিন আলোচনা হচ্ছিল বলে বিভিন সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। আর সেই প্রেক্ষাপটেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এবার চমক দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি করার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো আগামী নির্বাচন।

২৪ এপ্রিল নতুন রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। তার নেতৃত্বেই এই বছরের ডিসেম্বরে অথবা আগামী বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদিও সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির পদটি অলংকারিক, কিন্তু নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতির পদ নানা কারণেই গুরুত্বপুর্ন হয়ে উঠে। এবার নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতির পদ আরও গুরুত্বপুর্ন হয়ে উঠতে পারে বলে একাধিক সূত্র মনে করছে। বিশেষ করে যখন বিরোধী দল নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলন করছে  তখন রাষ্ট্রপতির পদটির দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মহল।

বিভিন সূত্রগুলো বলছে রাজনৈতিক সমঝোতার একটি চেষ্টা হিসেবে রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে তত্বাবধায়ক সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে নিষ্ক্রিয় রাখার একটি প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন মহলে কথা বার্তা চলছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী নিষ্ক্রিয় হয়ে পরবেন, তিনি কোন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিবেন না, এমনকি তার নির্বাচনি এলাকা ছাড়া অন্য কোন নির্বাচনি এলাকায় তিনি সরকারি প্রোটকল ব্যাবহার করতে পারবেন না, নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে হলে সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা ব্যাবহার করা চলবে না। অর্থাৎ এক ধরনের নিষ্ক্রিয়ভাবে তিনি নামমাত্র দায়তে পালন করবেন। আর অন্যদিকে এই সময় প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, সশস্ত্র বাহিনীসহ সামগ্রিক নির্বাচন পরিচালনার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখভাল করবেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির নির্দেশেই নির্বাচন কমিশন নতুন নির্বাচনের ব্যাবস্থাপনা করবে। এরকম একটি প্রস্তাব নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছিল বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে এবং এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কোন কোন মহল আলোচনা করেছেন। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের বেগ যদি বৃদ্ধি পায় এবং সরকারকে যদি একটি সমঝোতা প্রস্তাবে যেতে হয় তাহলে এরকম একটি সমঝোতা প্রস্তাব সরকারের জন্য শেষ ছাড় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এরকম একটি ছাড় দিতে গেলে একজন বিশ্বস্ত এবং পরীক্ষিত রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন, যেটি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেই আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন।

তবে আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত আনুস্টহানিকভাবে বলছে যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী তারা কোন অবস্থাতেই মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এটাও বলে হচ্ছে যে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে এবং এই নির্বাচনে কে আসল না আসল এটা তাদের দেখার বিষয় না। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলে হচ্ছে যে, তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী আদায় করেই ছাড়বেন।

এরকম একটি অবস্থায় আগামী নির্বাচন যেন অর্থপূর্ণ হয় অংশগ্রহণমূলক হয় সেটি বিবেচনায় রেখেই নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার বিশ্বস্ততা, আনুগত্য এবং তার ব্যাক্তিত্বকে বিবেচনা করা হয়েছে। এ সমস্ত বিবেচনার প্রধান কারণ হল নির্বাচনকলীন সময় চাপ এবং নানারকম মেরুকরণ।

উল্লেখ্য যে, ২০০৭ সালের নির্বাচনে আগে ইয়াজুদ্দিন ব্যাপক ক্ষমতাবান হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি হয়ে তিনি তত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হয়েছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিত্বহীন হবার কারণে তিনি বিএনপিকে সে যাত্রায় রক্ষা করতে পারেননি। এখন দেখার বিষয় যে, নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকট শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে সমঝোতার প্রান্তে পৌছে কিনা।


রাষ্ট্রপতি   নির্বাচনকালীন সরকার   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শুক্রবার আঙ্কারা যাচ্ছেন। আগামী শনিবার টানা তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

কূটনৈতিক একটি সূত্র জানিয়েছে, বন্ধুপ্রতিম দেশটির পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এ কারণেই স্বয়ং প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বর্ণাঢ্য শপথ অনুষ্ঠানে।

গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই মো. সাহাবুদ্দিনের বিদেশ সফর।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফা ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এরদোয়ান। তিনি পান ৫২ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। আর বিরোধীদলীয় প্রার্থী কেমাল কিলিচদারওলু পান ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। এরদোয়ান ২০০৩ সালে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এক দশকের বেশি সময় পর ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট তিনি দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। সেই থেকে তিনি দেশটির সর্বোচ্চ পদে আছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের বাজেট জুন-জুলাই মাসে কেন?


Thumbnail

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। বুধবার (৩১ মে)  বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের ধারা (১) অনুযায়ী প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংসদের ২৩তম অধিবেশন আহ্বান করেন। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করবেন। আগামী ২৫ জুন সংসদে প্রস্তাবিত এই বাজেট পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের বাজেট জুন-জলাই মাসে কেন হয়? কেন জনু-জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশের অর্থ বছর গণনা শুরু হয়?

পৃথিবীতে প্রথম পঞ্জিকার প্রচলন করেন সুমেরীয়রা। তখনকার সময়ে না ছিল সপ্তাহের হিসাব, না ছিল দিনের সঠিক হিসাব। কালের বিবর্তনে সুমেরীয়দের এই পঞ্জিকা ছাড়িয়ে বর্তমানে পৃথিবীতে ৮০ ধরনের পঞ্জিকার প্রচলন রয়েছে। এরমধ্যে অর্থনৈতিক পঞ্জিকা হিসেবে যোগ হয়েছে অর্থবছরের। আমরা বাঙালিরা বঙ্গাব্দ ও খ্রীষ্টাব্দকে সাধারণ পঞ্জিকা হিসেবে মেনে চললেও, আমাদের অর্থবছর শুরু হয় জুলাই মাস থেকে। জুলাই থেকে জুন অবধি চলে আমাদের অর্থবছর। এই অর্থবছরকে ভিত্তি ধরে প্রস্তুত ও প্রণয়ন হয় বাংলাদেশের বাজেট। ব্রিটিশ আমল থেকে পাকিস্তান আমল এবং সেখান থেকে স্বাধীন বাংলা- এই দীর্ঘসময় ধরে আমরা জুলাই মাসকে অর্থবছর ধরে বাজেট প্রস্তুত ও উত্থাপন করে আসছি। 

ইতিমধ্যে নানা মহল থেকে অর্থবছর পরিবর্তনের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব থাকলেও সেই ব্রিটিশ আমল কিংবা পাকিস্তান আমল থেকে প্রচলিত অর্থবছরকেই অনুসরণ করে এখনও আমাদের অর্থবছর গণনা করা হচ্ছে। সাধারণ বছর আর অর্থবছর এক নয়। দেশের হিসাব-নিকাশ, রাষ্ট্রীয় আয়-ব্যয় পরিকল্পনা অর্থবছর ধরেই হয়। বছরের শুরু ও শেষ পূর্বনির্ধারিত, কারও পরিবর্তন করার ক্ষমতা নেই, কিন্তু অর্থবছর পরিবর্তন করা যায়। গত কয়েক দশকে বহু দেশ প্রয়োজন অনুযায়ী এর পরিবর্তন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এখনো ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল থেকে পাওয়া অর্থবছরই অনুসরণ করা হচ্ছে। জুলাই মাসে অর্থবছর শুরু হয়, শেষ হয় জুন মাসে। সে জন্য প্রতিবছর জুন মাসে সেই অর্থবছরের হিসাব শেষ করে পরবর্তী অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করা হয়।

প্রশ্ন হলো অর্থবছর কেন জুলাই থেকে জুন? ব্রিটেনের অর্থবছর অনুসরণ করেই জুলাই-জুন হয়েছিল এক সময়; হয়তো পশ্চিমা দেশগুলোর আবহাওয়া বিবেচনাতেই এই সময় ঠিক হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটেনেও এখন পরিবর্তন হয়েছে। সেখানে এখন অর্থবছর শুরু হয় এপ্রিল মাসে। যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয় অক্টোবর মাসে। ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন অর্থবছর অনুসরণ করা হয় দক্ষিণ এশিয়ায় কেবল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে। এর বাইরে আছে শুধু মিসর ও অস্ট্রেলিয়া। জানুয়ারি-ডিসেম্বর অর্থবছর অনুসরণ করা হয় অস্ট্রিয়া, ব্রাজিল, চীন, পর্তুগাল, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন ও সুইডেনে। ইংরেজি মাসের বিভিন্ন তারিখেও কোনো কোনো দেশে অর্থবছর শুরু হয়। যেমন ১৭ জুলাই নেপাল, ইথিওপিয়া ১১ সেপ্টেম্বর এবং ইরান ২১ মার্চ। এ রকম হওয়ার কারণ হতে পারে, এসব দেশের নিজস্ব বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী অর্থবছর ঠিক করা। 

মূলত একটি দেশের শস্যের উৎপাদন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, সরকারি-বেসরকারি খাতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ-সুবিধার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে অর্থবছর ঠিক করা হয়। খেয়াল করলে দেখা যাবে, জুলাই মাস আমাদের দেশে বর্ষাকাল। এ সময় মাঠে কৃষকদের ফসল থাকে, কয়েক মাস পরেই ফসল ওঠে তাদের ঘরে। এছাড়াও কিছু কিছু অঞ্চলে এরই মধ্যে ফসল উঠে যায়। বছরের এই মধ্যবর্তী সময়টি কৃষিক্ষেত্রে বাজেটের বিভিন্ন দিক ভেবে ব্যবস্থা নেয়ার মোক্ষম সময়। এছাড়াও রাজনৈতিক দিক বিবেচনা করলে- জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে নতুন কোনো দল ক্ষমতায় আসলে তারা বাজেট প্রণয়নের জন্য বেশকিছু মাস হাতে সময় পান। এ সময় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার নানা প্রতিফলন বাজেটে তুলে আনার যথেষ্ট সুযোগ পায় সরকারি দল। যে কারণেই হয়তো জুন-জুলাইকে অর্থবছর হিসেবে বিবেচনা করে বাজেট পেশ করা হয় বলে মনে করেন কেউ কেউ।  

বছরের হিসাবের জন্য বিশ্বে এখন প্রায় ৮০টিরও বেশি দিনপঞ্জি বা ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হয়। এছাড়া হিজরি সন, ভারতীয় পঞ্জিকার ব্যবহারও রয়েছে। কিন্তু এর বাইরে বাজেটবর্ষ বা অর্থবছর নামে আরও একটি হিসাব চালু রয়েছে। বিশ্বের প্রায় ১৫৪ দেশে অর্থবছর শুরু হয় ইংরেজি ক্যালেন্ডার বছর অনুযায়ী। অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে।

এ ছাড়া জুলাই মাসেও অনেক দেশে অর্থবছর শুরু হয়। এরমধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের অর্থবছর শুরু ১ জুলাই, শেষ ৩০ জুন। চীন, ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ, স্পেন, অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও সুইডেনে অর্থবছর শুরু হয় ১ জানুয়ারি আর শেষ হয় ৩০ ডিসেম্বর। ভারত, যুক্তরাজ্য, হংকং, কানাডা এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় অর্থবছর শুরু হয় ১ এপ্রিল, শেষ হয় ৩১ মার্চ। যুক্তরাষ্ট্র, কোস্টারিকা ও থাইল্যান্ডে অর্থবছর শুরু হয় ১ অক্টোবর, শেষ হয় ৩০ সেপ্টেম্বর। কোনো কোনো দেশ যেমন নেপাল (১৬ জুলাই-১৫ জুলাই), ইরান (২১ মার্চ-২০ মার্চ), ইথিওপিয়া (৮ জুলাই-৭ জুলাই) মাসের মধ্যবর্তী তারিখ থেকে অর্থবছর শুরু করে থাকে। ইরানের অর্থবছর হিজরি সন অনুসারে হয়ে থাকে। আর নেপালের অর্থবছর বিক্রম ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে। সাধারণত সরকারি হিসাব-নিকাশের সুবিধার্থে অর্থবছর নির্ধারণ করা হয়।

আবার অনেক বিশ্লেষকের মতে, বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই-জুন অর্থবছর বাস্তবসম্মত। বাজেট তৈরির সময়কাল ও বাজেট ব্যবস্থাপনার বিষয়টি এর কারণ হিসেবে নিবিড়ভাবে দেখা যেতে পারে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন প্রথিতযশা শিল্পীদের সরকার যথাযথ সম্মাননা প্রদান করছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ৩১ মে, ২০২৩


Thumbnail সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘আবৃত্তিসহ শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন প্রথিতযশা শিল্পীদের সরকার যথাযথ সম্মাননা প্রদান করছে। প্রতিমন্ত্রী হিসাবে আমার দায়িত্বকালীন এই প্রথম দু’জন স্বনামধন্য আবৃত্তি শিল্পীকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে। তারা হলেন যথাক্রমে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবৃত্তি শিল্পীদের কল্যাণে ‘বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সমন্বয় পরিষদ’- এর অনুকূলে দুই কোটি টাকার সিড মানি প্রদান করেছেন। গত বছর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১৮তম দপ্তর হিসাবে যাত্রা শুরু করে ‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’। সব মিলিয়ে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিল্পীদের কল্যাণে বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’

বুধবার (৩১ মে) রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আবৃত্তি সংগঠন ‘বৈঠক’ আয়োজিত নন্দিত কবি রাম চন্দ্র দাসের গান ও কবিতা নিয়ে ‘জীবনের জলছবি’-শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, ‘কবি রাম চন্দ্র দাস ইতোমধ্যে নিজেকে একজন খ্যাতিমান কবি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। তিনি প্রায়  ৬০০ থেকে ৭০০ টি গান রচনা করেছেন এবং তাঁর প্রায় বারোটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তার নিজেকে নন্দিত কবি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। সেজন্য তাঁকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।’

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

‘বৈঠক’ এর সভাপতি কবি শাহীন রেজা রাসেল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বিশিষ্ট কবি ও গবেষক শ্যাম সুন্দর শিকদার।


সংস্কৃতি   প্রতিমন্ত্রী   কে এম খালিদ   আবৃত্তি শিল্পী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএনপি নেতা খোকনের বাড়িতে আবার অগ্নিসংযোগ

প্রকাশ: ০৯:১৩ পিএম, ৩১ মে, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাসভবন ও নরসিংদী জেলা বিএনপির (অস্থায়ী) কার্যালয়ে আবার অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। 

বুধবার (৩১ মে) বিকেলে সদর উপজেলার চিনিশপুরের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পোঁছে ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত নাকি দলীয় কোন্দলে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কিছু নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত ৯টার দিকে একইভাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানান, আজ বুধবার বিকেলের দিকে একদল দুর্বৃত্ত চিনিশপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাসভবন ও জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে। এ সময় তারা নিচতলার তিনটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। 

নরসিংদীতে বিএনপি নেতা খায়রুল কবীরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগনরসিংদীতে বিএনপি নেতা খায়রুল কবিরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এর কিছু সময় পরে বাড়ির ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভান। আগুনে পুড়ে গেছে কার্যালয়টির ভেতরে থাকা বিভিন্ন আসবাব। 

নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুল মান্নান আনসারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২০ মিনিটে আগুন নেভানো হয়। ভবনটির আসবাব আগুনে পুড়ে গেছে।’ 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি জেলা কমিটি গঠন নিয়ে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে দায়ী করে ধারাবাহিক আন্দোলনে নামে। এই জেরে একাধিকবার জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার বিএনপির কার্যালয়সংলগ্ন এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন পদবঞ্চিত দুই ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলাম।

খায়রুল কবির খোকন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমিউনিটি ক্লিনিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবার আস্থার প্রতীকে পরিণত

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ৩১ মে, ২০২৩


Thumbnail কমিউনিটি ক্লিনিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবার আস্থার প্রতীকে পরিণত।

দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোর মানুষের স্বাস্থ্যসেবার আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধ পেয়ে সাধারণ মানুষও এ সেবায় সন্তুষ্ট। এমনকি চিকিৎসা সেবার গুণগত মানও ভালো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) একটি গবেষণা ফলাফলে এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকরা। 

বুধবার (৩১ মে) বিএসএমএমইউয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার অপারেশনাল প্ল্যানের উদ্যোগে ‘এ্যাসেসমেন্ট অব দ্যা কমিউনিটি ক্লিনিকস সাপোর্টেড বাই মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার্স : ইফেক্টস অন সার্ভিস ডেলিভারি, কোয়ালিটি অ্যান্ড ইউটিলাইজেশন অব সার্ভিসেস’- শীর্ষক গবেষণা ফলাফলে এসব তথ্য জানা গেছে। 

অনুষ্ঠানে সম্প্রতি জাতিসংঘে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ নামে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা প্রস্তাব আকারে গৃহীত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়।


গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক জানান, অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি) কেন্দ্রগুলোর অবস্থা সন্তোষজনক ছিল। কন্ট্রোল এলাকার সেবাগ্রহণকারীদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা পাওয়ার সুবিধা ভালো ছিল, কিন্তু তাদের এই সেবাগুলোর বিষয়ে সন্তুষ্টি কম ছিল। কেস এলাকার সেবাগুলোর গুণমান ভালো ছিল। তবে কন্ট্রোল এলাকার সেবাগ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবাগুলোর প্রাপ্যতায় কিছুটা বাধা ছিল।

তিনি বলেন, ‘কন্ট্রোল এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীর সংখ্যা, উঠান বৈঠক, স্বাস্থ্য শিক্ষা সেশন, বাড়ি কেন্দ্রিক সেবা, রেফার হওয়া রোগীর সংখ্যা, কমিউনিটি গ্রুপ সভা, কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ সভা এবং বার্ষিক কর্মপরিকল্পনার সংখ্যা কম ছিল, যেখানে কেস এলাকায় ইপিআই সেশন এবং রেফার হওয়া রোগীর সংখ্যা কম ছিল। প্রায় ৭০ শতাংশ কমিউনিটির জনগণ এমএইচভি সেবাগুলোর সম্পর্কে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। প্রায় ৭০ শতাংশ এমএইচভি অনলাইন এবং অ্যাপ-ভিত্তিক ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন।’  

ডা. আতিকুল হক বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা এবং গ্রামীণ মানুষের মধ্যে সংযোগ তৈরি করা অপরিহার্য। সিসি এবং এমএইচন্ডি সেবাগুলোর ব্যবহার। সহজ করার জন্য সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। সকল নাগরিকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার সারাদেশে প্রতি ৬০০০ মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, ‘মানবিক গুণাবলীর অধিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম রাজনৈতিক দার্শনিক। কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থাও একটি দর্শন। আমাদের সকলের দায়িত্ব হলো প্রধানমন্ত্রীর দর্শনকে এগিয়ে নেয়া ও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া।’

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সম্প্রীতি জাতিসংঘে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ নামে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা প্রস্তাব আকারে গৃহীত হয়েছে। বিশ্বের ৭০টি দেশ এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা ও কার্যকারিতা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হওয়ার পথ সুগম হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ ভালো থাকে এবং থাকবে। তবে বিএনপি-জামায়াতের বিষয়ে সতর্ক থাকবে হবে। তারা ক্ষমতায় গিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এটা খুবই দুঃখজনক।’ 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর শাহানা পারভীন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, ডীন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


কমিউনিটি ক্লিনিক   স্বাস্থ্যসেবা   মানুষ   আস্থা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন