ইনসাইড বাংলাদেশ

‘প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদের বিকল্প নেই’

প্রকাশ: ০৪:৫৬ পিএম, ০৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদের বিকল্প নেই। প্রযুক্তি মনস্ক দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার দিকে এগিয়ে না গেলে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা কঠিন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে যেন শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান বা অন্যান্য অনেক দেশের মতো মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়তে না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকওত হবে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌছাতে হলে স্মার্ট সিটিজেন ছাড়াও শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত নিয়ে ব্যাপক কাজ করতে হবে।’   

সোমবার (৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনে ‘পলিসি ডায়লগ অন রোড ম্যাপ স্মার্ট বাংলাদেশ’- সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। 

 স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন, ‘আমরা যেহেতু গ্র্যাজুয়েশন করেছি, তাই সামনে আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব দেশ এলডিসি থেকে উত্তোরণ হয়েছে তাদের অনেকেই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না নেয়ার কারণে মিডল ইনকাম ট্র্যাপে পড়েছে। এটা একটা ভয়ানক ফাঁদ। ডিজিটাল বাংলাদেশের ন্যায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাস্টার প্লান কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেই লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’

 প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মনে করেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দক্ষ কর্মী তৈরি করা। সেখানে আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে। একাডেমি, ইন্ডাস্ট্রি এবং সরকার এর মধ্যে সমন্বয় করে স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে কাজ করতে চাই। হায়ার স্কিল ডেভোলপমেন্টের পাশাপাশি প্রাইমারি স্কুল থেকে কোডিং শেখানো বা কি কি কাজ আমরা করবো সেটা নিয়ে সার্বিক একটা আলোচনা করেছি।

দেশে সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান জানান, বেশকিছু কোম্পানি এটা নিয়ে এখন কাজ করছে। সেখানে আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে রোড ম্যাপ করা হয়েছে। গ্লোবালি এটা ট্রিলিয়ন ডলারের উপরে আছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে আমরা সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিতে কমপক্ষে ২-৩ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পারবো।

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন চলে এসেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংক্স রোবটিক্স নিয়ে কাজ করতে হবে। সারা বিশ্বে যেসব নতুন প্রযুক্তি আসছে তা ধারণ করতে পারলে কিংবা ব্যবহার করতে পারলে মিডল ইনক্যাম ট্রাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো। 

স্মার্ট ইকোনমি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য কী কী বাজেট সাপোর্ট দরকার তা নির্ণয়ে অংশীজনদের সাথে বৈঠক করতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে তাগিদও দেন  প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এক্ষেত্রে টেলিকম বিভাগকেও সাথে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।  

বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের এখন যে মোবাইল নেটওয়ার্ক, ই-সেবা, স্মার্ট কার্ড ইত্যাদির মৌলিক সফট অবকাঠামো হয়ে গেছে। এর ভিত্তিতে একটি সার্ভিস ইকো-সিস্টেম দাঁড়িয়ে গেছে। এটি ভার্টিকালি আমরা আরো উপরে উঠাতে পারি। কেননা আমাদের মডেলগুলো সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। সবক্ষেত্রেই আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়েছে। ফলে আমরা অবশ্যই ২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারবো।


প্রধানমন্ত্রী   বেসরকারি   শিল্প   বিনিয়োগ   উপদেষ্টা   সালমান ফজলুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক সময় যারা নুন-ভাতের কথা বা ডাল ভাতের কথা চিন্তাও করতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংস ডিমের কথাও চিন্তা করে। ফলে যারা সরকারের সমালোচনা করেন তাদের সেগুলো মাথায় রেখে উন্নয়ন হয়েছে কি না তা বিবেচনা করতে হবে। 

আজ (শুক্রবার) সকালে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করা উচিত। এটা করতে পারলে জীবনেও কোনো খাদ্যের অভাব হবে না।

সরকার বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার দেখানো পথে সমবায় কৃষি নিশ্চিত করা হলে দেশে কখনও খাদ্যের অভাব হবে না।

সরকারপ্রধান বলেন, অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হয়েছে বলেই দেশের মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, বরং মাছ-মাংসের দাম নিয়ে চিন্তা করে। যারা সমালোচনা করছেন তাদের এই বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত। ৭৫ পরবর্তী সময়ে যারা ছিল, তাদের মূল আগ্রহ ছিল ব্যবসা করা বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীজ উৎপাদন বিএডিসিসহ নানা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো নানা সময়ে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই কৃষি গবেষণায় জোর দেয়। বীজ, মাছ, ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করবো। উদ্বৃত্ত থাকলে অন্যকে সাহায্য করবো। 


প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   কৃষক লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মারা গেলেন জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার ও জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাস(৭৮) মারা গেছেন। 

শুক্রবার(১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিইউতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।  

শিবনারায়ণ দাসের জন্ম কুমিল্লায়। তার পিতা সতীশচন্দ্র দাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। শিবনারায়ণ দাসের স্ত্রীর নাম গীতশ্রী চৌধুরী এবং তাদের সন্তান অর্ণব আদিত্য দাস। 

শিবনারায়ণ দাস ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও নেতা ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এ লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে একটি বাহিনী মতান্তরে 'ফেব্রুয়ারি-১৫ বাহিনী' গঠন করা হয়। ছাত্রনেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। 

এ লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ১০৮ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমদ, মার্শাল মনিরুল ইসলাম পতাকার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শিবনারায়ণ দাশ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু ও ছাত্রনেতা ইউসুফ সালাউদ্দিন। 

সভায় কাজী আরেফের প্রাথমিক প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে আলোচনা শেষে সবুজ জমিনের ওপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। কামরুল আলম খান তখন ঢাকা নিউমার্কেটের এক বিহারি দরজির দোকান থেকে বড় এক টুকরো সবুজ কাপড়ের মাঝে লাল একটি বৃত্ত সেলাই করে আনেন। 

এরপর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিতুমীর হলের ৩১২ নম্বর কক্ষের এনামুল হকের কাছ থেকে অ্যাটলাস নিয়ে ট্রেসিং পেপারে আঁকা হলো পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র। শিবনারায়ণ দাস পরিশেষে নিপুণ হাতে মানচিত্রটি এঁকে দেন লাল বৃত্তের মাঝে। পরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে পটুয়া কামরুল হাসান বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নতুন রূপ দেন। 

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক শোকবার্তায় শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।


জাতীয় পতাকা   নকশাকার   শিব নারায়ণ দাস   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি, শান্ত-মারিয়ামের শিক্ষক রিমান্ডে

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বেসরকারি শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রশি কামালের (৪০) চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালতে আসামিকে উপস্থিত করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

এর আগে অনলাইনে উত্যক্ত ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঢাকার পল্লবী থানায় মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী নারী। 

এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে আমার একটি গবেষণা ইন্দোনেশিয়ান জার্নাল অব সোশ্যাল রিসার্চ নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়। গত ১৭ মার্চ আমার বর্তমান বাসায় অবস্থানকালে আমার ব্যক্তিগত ইমেইলে গবেষণাপত্রটি চেয়ে আসামি রশি কামাল মেইল করতে অনুরোধ করেন। তিনি শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন বলে পরিচয় দেন। আসামির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমি আমার গবেষণাপত্রটি তার মেইলে পাঠিয়ে দিই। আমার গবেষণাপত্রটি আসামি পড়ে এবং খুব প্রশংসা করে।

একটি কনফারেন্সে প্রকাশের জন্য আমার সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করার আগ্রহ প্রকাশ করে। আমার কাছে সিভি চাইলে আমি তা প্রদান করি। পরবর্তীতে আমি তার রিসার্চ গেইটের লিংক চাইলে সে তার ইমেইল থেকে আমার ইমেইলে পাঠায়। আমি তার গবেষণাপত্রগুলো পড়ে বুঝতে পারলাম যে, তার গবেষণাগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং সংক্রান্ত যা আমার গবেষণার বিষয় থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিধায় আমি তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করিনি। তবুও সে আমার সাথে স্কাইপিতে ভিডিও কলে কথা বলার জন্য বার বার অনুরোধ করে, কিন্তু আমি তার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে রাজি হইনি।

ভুক্তভোগী ভিডিও কলে কথা বলতে রাজি না হলে তিনি ২৯ মার্চ রাতে ফোন দেন এবং যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ফোন রেখে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ এপ্রিল  পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হতে অশ্লীল যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ধর্ষণের হুমকি দেন। এসময় হোয়াটসঅ্যাপে পর্নো ছবিও পাঠান।


শান্ত-মারিয়াম   বিইউপি   বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নাবিকদের নিয়ে দুবাইয়ের পথে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা 'এমভি আবদুল্লাহ' ২৩ নাবিক নিয়ে এখন দুবাইয়ের পথে আছে। বিপদজনক এলাকা অতিক্রম করে জাহাজটি নিরাপদ জোনে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে চলছে। আগামী ২২ এপ্রিল সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

র্দীঘ ৩১ দিন পর বন্দিদশা থেকে মুক্ত নাবিকরা অনেক মানসিক শান্তিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

কবির গ্রুপ অফ ইন্ড্রাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, বিপদজনক এলাকা অতিক্রম করে এমভি আবদুল্লাহ এখন নিরাপদ জোনে অবস্থান করছে। আগামী ২২ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে বলে আমরা আশা করছি। নাবিকরা সবাই সুস্থ ও নিরাপদ আছে। তারা দ্রুত সময়ে দেশে ফিরে আসবেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ 'এমভি আবদুল্লাহ'। 


নাবিক   দুবাই   এমভি আবদুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৩৩ বছর পর জানা গেল সুফিয়া অবস্থান পাকিস্তানে, ফেরার অপেক্ষায় স্বজনরা

প্রকাশ: ১০:১৮ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

১৯৯০ সালে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সুফিয়া বিবি (৫৯)। পরিবারের লোকজন ওই সময় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। পরে হাল ছেড়ে দেন স্বজনরা। ধারণা ছিল, সুফিয়া হয়তো বেঁচে নেই।

গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘দেশে ফেরা’ নামের একটি পেজে সুফিয়ার পরিচয়সহ ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রচার করে পরিবারের সন্ধান চাওয়া হয়। পরে তা দ্রুত ভাইরাল হয়। সুফিয়ার পরিবারের সদস্যরাও তাকে চিনতে পেরে ফিরে পেতে উদ্‌গ্রীব হয়ে উঠেন।

ফেসবুকে সুফিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি বর্তমানে রয়েছেন পাকিস্তানের করাচির ছোট একটি গ্রামে। সুফিয়ার গ্রামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কাশিগঞ্জ নাওপাড়া গ্রামে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুফিয়ারা ছয় ভাই ও পাঁচ বোন। ভাই–বোনের মধ্যে সুফিয়া চতুর্থ। ১৯৭৮ সালের দিকে তাঁর বিয়ে হয় বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের সৌলাপাড়া গ্রামের আবদুল জব্বারের সঙ্গে।

এরপর সুফিয়ার কোলজুড়ে আসে দুই মেয়েসন্তান, নাম রাখা হয় জোবেদা বেগম ও ছোবেদা বেগম। বিয়ের সাত বছর পর স্বামী জব্বার মারা গেলে দুই সন্তান নিয়ে সুফিয়া ফিরে আসেন বাবার বাড়িতে।

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯০ সালে বাবার বাড়ি থেকে অভিমান করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সুফিয়ার বয়স ছিল ২৫-২৬ বছর। তার নিখোঁজের বছর দুয়েক পর বড় মেয়ে ছোবেদা এবং ১৬ বছর পরে ছোট মেয়ে জোবেদা মারা যান। অন্তত ২০ বছর আগে মারা গেছেন সুফিয়ার বাবা চাঁন মামুদ ও মা শরিতন নেছাও। তবে তাঁর সব ভাই-বোন এখনো বেঁচে আছেন।

সুফিয়ার ভাই সহিদার রহমান বলেন, ‘সোমবার রাতে ফেসবুকে ভিডিওতে দেখতে পাই, আমার বোন সুফিয়া মা–বাবা, ভাই–বোন সবার নাম বলছেন। তবে বোনকে দেখেই আমি চিনতে পারি। গত বুধবার মুঠোফোনে ভিডিও কনফারেন্স করে আমরা সব ভাই–বোন তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি। এ সময় বড় বোন সুফিয়া আমাদের খোঁজখবর নেন এবং দেশে ফেরার জন্য আকুতিমিনতি করেন। সুফিয়া বর্তমানে পাকিস্তানের করাচিতে আছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে তিনি পাকিস্তানে গেছেন, তা জানা সম্ভব হয়নি। এখন বোনকে কীভাবে আমরা ফেরত পাব, তা বুঝতে পারছি না। তবে আমরা তাঁকে ফেরত পাওয়ার আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি।’

সুফিয়ার আরেক ভাই মতিয়ার রহমান বলেন, ‘৩৩ বছর আগে পরিবারের সদস্যদের ওপর অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান বড় বোন সুফিয়া। তাকে অনেক জায়গায় খুঁজেও পাইনি। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, তিনি বেঁচে নেই। হারিয়ে যাওয়ার পর মা–বাবাও শোকার্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁরা আজ বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন। আইনি জটিলতা কাটিয়ে এখন আমরা বোনকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।’

মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আলম বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। আমিও চাই, সুফিয়া নিজ দেশে স্বজনদের কাছে ফিরে আসুক। এখন সুফিয়ার স্বজনেরা যে ধরনের সহযোগিতা চাইবে, তা করা হবে।’

বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজির হোসেন বলেন, ‘সুফিয়ার বিষয়টি শুনেছি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আমার সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করেনি। যোগাযোগ করলে অবশ্যই বিষয়টি দেখা হবে।’


পাকিস্তান   সুফিয়া   নিখোঁজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন