বেজমেন্টে জমে থাকা গ্যাস থেকে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) গুলিস্তানের ভবনটিতে বিস্ফোরণের
ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে র্যাব। গতকাল ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে ১৮ জন নিহত
ও কমপক্ষে ১২০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৮ মার্চ)
র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ডেপুটি ডিরেক্টর মেজর মশিউর রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,
প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি ভবনের বেজমেন্ট থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত। এটা কোনো সাধারণ
বিস্ফোরণ নয়। এটা বেজমেন্টে জমে থাকা গ্যাস থেকে হতে পারে। আমরা মোটামুটি নিশ্চিত যে
বিস্ফোরণ এসি থেকে হয়নি।
এছাড়া, ঘটনার
সঠিক কারণ জানতে আমরা ঘটনাস্থলের কাছাকাছি একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধারের চেষ্টা
করছি বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
এর আগে, মঙ্গলবার
(৭ মার্চ) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারের
সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত
হয়। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা
ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের
কার্যালয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।
বিস্ফোরণের
পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়।
এ মুহূর্তে
ঘটনাস্থলে র্যাব, সেনাবাহিনী, ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, র্যাবের ডগ ইউনিট যৌথভাবে
কাজ করছে। একই সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ৯৫ ভাগ উদ্ধারকাজ
সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। ঘটনাস্থলে পিবিআই, সিআইডিও কাজ করছে।
গুলিস্তান ভবনে বিস্ফোরণ নিহত বেজমেন্ট জমাট গ্যাস র্যাব
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গাজা এখন জ্বলছে ইসরায়েলি নিধনে। মুসলমানরা মধ্যপ্রাচ্যে এক দুর্বিষহ রমজান পালন করছে। মানুষের আর্তনাদ এবং আহাজারি, শিশুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা সমস্ত মানবতার সীমা লঙ্ঘন করেছে। অমানবিক এবং পৈশাচিকতায় ইসরায়েল এমন বীভৎস তান্ডব তৈরি করেছে যে তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ওপর বিরক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। অথচ এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তারা গাজায় হামলা চালাবে।