মন্তব্য করুন
অভিন্ন তিস্তা নদীর বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য ভারতকে দেওয়া ভারবাল নোট বা কূটনৈতিক চিঠির জবাবের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ। নয়াদিল্লি থেকে এখনো চিঠির কোনো জবাব আসেনি। জবাব পেলে তিস্তা বিষয়ে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিস্তায় প্রবাহ হ্রাস করার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর ব্যাখ্যা চেয়ে বাংলাদেশ নয়াদিল্লিতে ভারবাল নোট পাঠিয়েছে। এর কয়েকদিন পর
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ তথ্য করেছেন।
সেহেলি সাবরিন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে পানির প্রবাহ হ্রাসের বিষয়ে ভারবাল নোট বা কূটনৈতিক চিঠি
পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের জন্য দীর্ঘ প্রত্যাশিত চুক্তি করতে বাংলাদেশের বিশেষ আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে ঢাকা আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি বণ্টনের বিষয়টি উত্থাপন করেছে কি না, জানতে
চাইলে সাবরিন বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ পানিসম্পদের টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে দেশের জাতীয় নীতি তুলে ধরেছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিস্তার
পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে ঢাকা এবং নয়াদিল্লি তিস্তা চুক্তি সই করার জন্য
নির্ধারিত ছিল। তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিরও সে সফরে থাকার
কথা ছিল। কিন্তু মমতা চুক্তির বিরোধিতা করে শেষ মুহূর্তে নিজের সফর বাতিল করেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও বাংলাদেশ চুক্তি
স্বাক্ষরে সায় দিলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরোধিতার মুখে তা আলোর মুখ
দেখেনি।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায়
সেচের উদ্দেশে তিস্তার পানি সরানোর জন্য দুটি নতুন খাল খননের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে,
পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিস্তার পানি ব্যবহার করে দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। যা বাংলাদেশের ভাটির
দিকে পানি প্রবাহকে প্রভাবিত করবে।
কদিন আগেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নয়াদিল্লির সঙ্গে যে কোনো বিরোধ
আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আগের মেয়াদে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দূর করে গঙ্গার পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি যুগান্তকারী ৩০ বছরের চুক্তি সই করেছিলেন। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু। চুক্তিটি শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গা নদীতে ন্যূনতম পানি প্রবাহ নিশ্চিত করেছিল।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর
দেওয়া উপহারের পাকা ঘর ও
দুই শতক জমি পেয়েছেন
বরিশালের বানারীপাড়ার মনোয়ারা বেগম সুন্দরী। এখন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে
ভাত খাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মনোয়ারা বেগম।
তিনি
বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি আমার মা।
মা জীবনে আপনার কাছে আর কিছুই
চাই না। আপনি জমিসহ
পাকা ঘর দিয়েছেন। আপনার
সঙ্গে একসাথে বসে একটু খেতে
চাই। আমার জীবনে আর
কোনো চাওয়া পাওয়া নেই।
স্মৃতিচারণ
করে তিনি বলেন, ১৮ বছর আগে
আপনার সঙ্গে বসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়
ভাত খেয়েছিলাম, নামাজ আদায় করেছিলাম। এবার
আপনি বানারীপাড়ায় আসবেন। আপনার সঙ্গে বসে একটু ভাত
খাব। এটাই আমার জীবনের
শেষ চাওয়া।
বুধবার (২২
মার্চ) সকালে গণভবন থেকে বরিশালের বানারীপাড়া
উপজেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ
সময় আবেগাপ্লুত মনোয়ারা বেগম সুন্দরী কথা
বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে
ভাত খাওয়ার আবদার জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা তার আবেগঘন কথা
শুণে অশ্রুসজল হয়ে পড়েন এবং
বলেন, আমি আসবো বানারীপাড়ায়।
মনোয়ারা
বেগম বলেন, ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী
আমাদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে
দিয়েছে। তারপর আমার মা ভিক্ষা
করে একটা ঘর তুলেছিল।
সেই ঘরও বন্যা নিয়ে
যায়। এরপর আর নিজের
ঘরে থাকতে পারিনি। আজ আপনি ঘর
দিয়েছেন। আমি পাকা ঘর
পেয়েছি এটা স্বপ্ন না
সত্যি বিশ্বাস করতে পারছি না।
তিনি
বলেন, বানারীপাড়া সাধারণ মানুষের আপনাকে দেখার জন্য অপেক্ষায় আছে।
মা আপনি একবার বানারীপাড়া
আসেন। বানারীপাড়া গরীব দুঃখী সাধারণ
মানুষের একমাত্র ভরসা আপনি, আপনি
আবারও প্রধানমন্ত্রী হন। হাজার বছর
প্রধানমন্ত্রী থাকেন এ দোয়া করি।
আপনারও মা-বাবা, ভাই
নেই আমারও মা-বাবা, কোন
ভাই-বোন নেই। বানারীপাড়া
থেকে আপনাকে আবারও জয়েরমালা পড়াবো।
মন্তব্য করুন
স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দর কমানোর পর ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম। নতুন দর অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়াবে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এর আগে একই দিন সকালে স্বর্ণের দাম ভরিতে কমানো হয়েছিল ১ হাজার ১৬৬ টাকা।
এর আগে বুধবার (২২ মার্চ) নতুন দর ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সকালে স্বর্ণের দাম ভরিতে কমানো হয়েছিল ১ হাজার ১৬৬ টাকা।
এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা ২৪ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
নতুন দর অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ কিনতে এখন থেকে ক্রেতাদের গুণতে হবে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হবে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার মল্লিকাডাঙ্গা গ্রামের মৃত বেনু শেখের ছেলে আছমত আলী (৩২) এর বসত বাড়ির উঠানে রাত আনুমানিক ৪ টার দিকে ৮/১০ জনের মত একদল জুয়াড়ি জুয়া খেলা অবস্থায় জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৬ জুয়াড়ি কে আটক করেছেন।
আটককৃতরা
হলেন জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার পৌরসভার চাকদহ গ্রামের মোঃ রব্বানী (৩৮),
সপেন মন্ডল (৩৩), মোঃ আসলাম
শেখ (৩২), মোঃ সাইফুল
শেখ (৪০), মল্লিকাডাঙ্গা গ্রামের
বাসিন্দা মোঃ রুবেল মিয়া
(৩০) ও একই গ্রামের
বাসিন্দা চান মিয়া।
জামালপুর
জেলা পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ এর দিকনির্দেশনায় জেলা
ডিবি পুলিশ ওসি আরমান আলীর
সার্বিক তত্ত্বাবধনায় এসআই জুবাইদুল হক
ও এএসআই তানভীর আহমেদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ একদল জেলা গোয়েন্দা
শাখার ডিবি পুলিশের অভিযান
চালিয়ে ৬ জন জুয়াড়ীদের
কে আটক করে এবং
বাকীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে
যায়।
গত ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার
আটককৃত ৬ জুয়াড়ীদের কে
কোর্টে প্রেরণ করেন জামালপুর জেলা
ডিবি পুলিশ।
এ বিষয়ে জেলা ডিবি পুলিশের ওসি আরমান আলী জানান, জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৬ জুয়াড়ি কে আটক করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে ঢাকা এবং নয়াদিল্লি তিস্তা চুক্তি সই করার জন্য নির্ধারিত ছিল। তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিরও সে সফরে থাকার কথা ছিল। কিন্তু মমতা চুক্তির বিরোধিতা করে শেষ মুহূর্তে নিজের সফর বাতিল করেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও বাংলাদেশ চুক্তি স্বাক্ষরে সায় দিলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরোধিতার মুখে তা আলোর মুখ দেখেনি।