ইনসাইড বাংলাদেশ

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক চাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:২৩ পিএম, ১৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকের শিশুদের মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কারণ তারাই হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জনগোষ্ঠী’।শিশুরা যেন মানবিক ও অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল অনুভব নিয়ে গড়ে উঠে সেজন্য নজর দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শিশুদের উদ্দেশে বলেন, খেলাধুলা, শরীরচর্চা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, শিক্ষকদের কথা মান্য করা, অভিভাবকদের কথা মান্য করা- প্রত্যেক শিশুদের এসব নিয়ম মেনে চলতে হবে। সবাইকেই মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন হতে হবে। যারা প্রতিবন্ধী বা অক্ষম তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাগাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস- ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ দিনের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিশু প্রতিনিধি স্নেহা ইসলাম। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। 

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান ও জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের ভালোবাসতেন। শিশুদের জন্য তার অত্যন্ত দরদ ছিল। শিশুদের সঙ্গে খেলা করতে তিনি খুব পছন্দ করতেন। আমরা এজন্য তার জন্মদিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি। শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যত। তারা যেন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য। 

তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান। এ মাটিতে তিনি বড় হয়েছেন। এই মাটিতে তিনি শায়িত আছেন। নিজের জীবনটাকে তিনি উৎসর্গ করেছেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তার ভেতরে যে মানবিকতা রয়েছে, মানুষের প্রতি যে দরদ- শিশুকাল থেকেই সেটি জানা গেছে। তিনি যখন স্কুলে পড়তেন তখন থেকেই দরিদ্র কোনো ছেলের বই নেই তাকে তিনি নিজের বই দিয়ে দিয়েছেন। নিজের গায়ের কাপড় খুলে দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধান পর্যন্ত মানুষকে দিয়ে দিতেন। তার ভেতরে সেই মানবিকতা ছোটবেলা থেকেই আমার দাদা-দাদি লক্ষ্য করেছেন। বড় হয়ে তিনি এ দেশের মানুষ যারা একেবারে শোষিত-বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেত না, যাদের পরনে কাপড় ছিল না, রোগের চিকিৎসা পেত না, ঘরবাড়ি ছিল না- সেসব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্যই কিন্তু তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। 

বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আজ মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে পারি। সেই ৪৮ সাল থেকেই এ আন্দোলন তিনিই (বঙ্গবন্ধু) শুরু করেছিলেন। তারই নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা এবং স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়। কাজেই জাতির পিতার এই জন্মদিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি। তিনি যখন আমাদের স্বাধীনতা এনে দেন এর মাত্র নয় মাসের মধ্যে তিনি একটি সংবিধান দিয়েছিলেন। সেই সংবিধানেও কিন্তু শিশু অধিকারের কথা বলা আছে। তিনিই প্রথম আমাদের দেশে প্রায় ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেন। শিশুদের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করেন। জাতীয় শিশু আইন-১৯৭৪ তিনিই প্রণয়ন করে দিয়ে যান। প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক; যা সংবিধানে দেওয়া আছে। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ অবৈতনিক করে দেন এবং মেয়েদের শিক্ষাকেও অবৈতনিক করে দিয়েছিলেন। শিশুদের জন্য কেয়ার অ্যান্ড প্রোটেকশন সেন্টার করা হয়েছে, যা বর্তমানে সরকারি শিশু পরিবার হিসেবে পরিচিত। এভাবেই তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষার বিষয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে এ দেশের শিশুদের কথা বিবেচনা করে ও শিশুদের দিকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। আমরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০, প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন-২০০১ প্রণয়ন করি। পরবর্তীতে আবার যখন সরকারে আসি আমরা এদেশে শিশুদের জন্য জাতীয় শিশু নীতি-২০১১, পরিবারিক সুরক্ষা আইন-২০১০, মাতৃদুগ্ধের বিকল্প শিশু খাদ্য বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও তার ব্যবহারে সরঞ্জামাদি বিপণন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছি। এছাড়া প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য আমরা প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩, নারী ও শিশু প্রতিহিংসা এবং সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩ থেকে ২০২৫, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪, বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আইন ২০১৮, বাল্যবিবাহ নিরোধ কল্পে জাতীয় মহাপরিকল্পনা ২০১৮ থেকে ২০৩০ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন আইন ২০২০ প্রণয়ন করে নারী ও শিশুদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করি। 

শিশুদের শিক্ষার অধিকার ও শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই ২৬ হাজার ১৯৬টি সরকারি রেজিস্ট্রিকৃত কমিউনিটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আমরা সরকারিকরণ করে দিয়েছি। আমরা শিশুদের জন্য বিনামূল্যে বই দিয়েছি। শুধু তাই না, আমরা প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ শিশুকে উপবৃত্তি দিচ্ছি। সরাসরি মায়ের নামে তাদের সেই উপবৃত্তির টাকা যাচ্ছে। আর সব মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী আমাদের কাছ থেকে বৃত্তি, উপবৃত্তি পাচ্ছে, গবেষণার জন্য অর্থ পাচ্ছে। আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছি, যাতে তারা পড়াশোনায় মনযোগ দেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কম্পিউটার শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য দরকার স্মার্ট জনগোষ্ঠী। শিশুকাল থেকেই যেন তারা তা শিখতে পারে, তার ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের কম্পিউটারের কোডিং পদ্ধতি শিখানোর কার্যক্রম ‘লারলিং অ্যাপ্রোচ’ প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দক্ষতা বিকাশের উদ্যোগও আমরা গ্রহণ করেছি। এভাবেই একদিকে আমরা যেমন শিশুদের শিক্ষা ও দক্ষ হওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি, অপরদিকে শিশুদের সুরক্ষার জন্যও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি আমাদের শিশুদের বলব, যে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই, ২০৪১ সালে সেটাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আজকের শিশুরাইতো হবে আগামী দিনের স্মার্ট জনগোষ্ঠী। যারা এদেশটাকে গড়ে তুলবে। কাজেই আজকের এ শিশু দিবসের যে প্রতিপাদ্য যেটা অত্যন্ত চমৎকার বিষয় নেওয়া হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের এ প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্ন রঙিন’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে এ ধরনের একটি সত্যিকার সময়োপযোগী একটি প্রতিপাদ্য গ্রহণ করার জন্য। 

তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, অন্ধকে অন্ধ বলিও না। পঙ্গুকে পঙ্গু বলিও না। এটা তো ছোটবেলার শিক্ষা। কাজেই তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। আমরা প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেই। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে আমরা বৃত্তিও দিয়ে থাকি। আমরা সবাই এই সমাজের, সবাই এই সংসারের। মানুষের জন্য কিছু করা, মানুষের জন্য ত্যাগ করা- এটা মহৎ একটা কাজ। জাতির পিতা বলেছেন, মহৎ অর্জনের জন্য মহান ত্যাগের প্রয়োজন।  

খেলাধুলা ও শরীরচর্চা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ফুটবল খেলতেন। আমার দাদাও খেলতেন। আমার ভাইয়েরা তো খেলতেনই। আমাদের ছেলেমেয়ে, নাতিপুতিরাও ফুটবল খেলে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় খেলাধুলা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমাদের ছেলেমেয়েরা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করলে শরীর ভালো থাকবে, মন ভালো থাকবে এবং সবাই একটি আত্মবিশ্বাস নিয়ে গড়ে উঠবে- সেটাই আমি চাই। 

এ সময় প্রধানমন্ত্রী রবিঠাকুরের কবিতার কয়েকটি লাইন উচ্চারণ করে বলেন, জাতির পিতা সবসময় এই কবিতাটি আবৃত্তি করতেন- ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ভয় নাই ওরে ভয় নাই, নিঃশ্বাসে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই’। 

জাতির পিতা আমাদের মাঝে আজ নেই; কিন্তু তার আাদর্শ আছে। সেই আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিযে যাব। আগামী দিনের বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ- যে বাংলাদেশে কোনো শিশুই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে ন। কোনো মানুষই ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না, দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হবে না, প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে এ দেশটাকে উন্নতভাবে গড়ে তুলব।

কবি সুকান্তের কবিতার ভাষায় তিনি বলেন- ‘যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি’- নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার। আমি সব শিশুদের মঙ্গল কামনা করি।

শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন শিশু প্রতিনিধি লুবাবা ত্বহা জামান এবং এএল সরফুদ্দিন। 

এরপর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও অসচ্ছল মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে স্মারক উপহার দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী দর্শক সারিতে আসন গ্রহণ করেন এবং কাব্যগীতি আলেখ্যানুষ্ঠান, বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার বিষয়ক প্রমাণ্যচিত্র উপভোগ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শিশুশিল্পীদের সঙ্গে ফটোসেশন করেন এবং সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে বইমেলার উদ্বোধন ও স্টল পরিদর্শন করেন।

স্মার্ট বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৩:০৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail শেরপুর প্রিমিয়ারি ক্রিকেট লীগের উদ্ভোধনী ম্যাচে খেলোয়ারদের সঙ্গে করমর্দন করছেন জেলা প্রশাশক

শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ক্রিকেট লীগের উদ্বোধন করেন।

 

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোক্তাদিরুল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, জেলা ক্রীড়া অফিসার ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

 

উদ্বোধনী খেলায় সবুজসেনা স্পোর্টিং ক্লাব সাইকা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।  ক্রিকেট লীগে মোট ৫ টি দল অংশগ্রহণ করছে। 


শেরপুর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ   শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র গরমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০২:৪৪ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পৃথকভাবে জানানো হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানোর জন্য আমরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিয়েছি। তারা এ সংক্রান্ত নোটিশ শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে।

তিনি জানান, শিক্ষার্থী সুরক্ষা ও অভিভাবকদের দাবির কথা বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এক বিবৃতিতে জানায়, তীব্র তাপদাহে শিশু কিশোরদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক স্কুলের ছুটি ২১ এপ্রিলের পরিবর্তে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে। ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে। এ সময় সরকারি স্কুল, শিশুকল্যাণ ও টাস্ট্রের স্কুলগুলো ও উপানুষ্ঠাানিক শিক্ষা ব্যুরো স্কুল ছুটি থাকবে।

এর আগে সকালে এক বিবৃতিতে আপাতত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এতে জানানো হয়, দেশজুড়ে বহমান দাবদাহের দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটি বলছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ- মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।


তাপদাহ   গরম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে নিহত নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে নিহত দুই নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে কবর জিয়ারত করলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নিহত দুই নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে যান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এসময় নিহতের পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং ঘটনায় জরিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ঝর্ণা হাসান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, ফরিদপুরের  জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক,  সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফ,  মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিক,  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এলাকার গণ্যমান্য।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে ডুমাইনের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন দেয়া সন্দেহে বিদ্যালয়ের নির্মাণ শ্রমিকদের ওপরে হামলা চালায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এসময় তাদের গণপিটুনিতে দুই ভাই নিহত হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশ সদস্যসহ আহত হন ৭ জন। পরে ফরিদপুর জেলা পুলিশ এবং রাজবাড়ি জেলার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

ফরিদপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একটানা এসি চালিয়েও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন যে উপায়ে

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ব্যবহার করে থাকেন এয়ার কন্ডিশনিং (এসি)। কিন্তু এসি চালানোর কারণে বিদ্যুতের বিলও অনেকটাই বেড়ে যায়। যার কারণে বেশ চিন্তায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। আজ জেনে নিন এমন কিছু উপায় যাতে এসি ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন অনেকটাই।

অনেকেই মনে করেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এসি চালালে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। কিন্তু বিষয়টি কিন্তু একেবারেই তা নয়। এর ফলে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাতে পারে বিদ্যুৎ বিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি চালানোর ক্ষেত্রে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও, তাপমাত্রা এক ডিগ্রি কমলে বিদ্যুৎ বিল ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই এসির তাপমাত্রা ২০-২৪ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে এবং বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হবে অনেকটাই।

এসিতে ফিল্টার থাকে যা ধুলাবালি প্রতিরোধ করে। যদি এই ফিল্টারটি নোংরা হয়ে যায় তবে এসিকে ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করতে অনেকটাই বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই প্রতি মাসে ফিল্টার পরিষ্কার করুন এবং বছরে অন্তত ১-২ বার এসি সার্ভিসিং করুন। এর ফলে বাঁচবে আপনার বিদ্যুতের বিল।

এসি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন ঘর থেকে যেন ঠান্ডা বাতাস বের না হয়। এ জন্য ঘরের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন। আপনি দরজায় একটি ক্লোজার ইনস্টলও করতে পারেন যাতে দরজা খোলার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যাতে আপনার ঘরটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডা থাকে। এতে আপনাকে একটানা এসি চালাতে হবে না এবং আপনার বিদ্যুৎ বিলও বাঁচবে।

ফ্যান রুমে বাতাসের সঞ্চালন বাড়ায় যার ফলে ঘরের সর্বত্র শীতল বাতাস ছড়িয়ে পড়ে। এসি চালুর আগে টেবিল ফ্যান চালিয়ে কিছু সময় ঘর ঠান্ডা করুন এরপর আপনি এসি চালু করতে পারেন। এর ফলে এসি সহজেই কম সময়ে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ছড়িয়ে দেয় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।

বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে, আপনি রাতে ঘুমানোর সময় টাইমার সেট করতে পারেন, যার ফলে ১.২ ঘণ্টা পরে এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সারা রাত এসি চলবে না এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও, সারাদিন একটানা এসি চালাবেন না, বরং একটি টাইমার সেট করুন।


এসি   বিদ্যুৎ   বিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে মেলায় চলছে জুয়ার আসর

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে মেলায় প্রকাশ্যে চলছে জুয়ার আসর

জয়পুরহাটের তেঘর গ্রামে সনাতন ধর্মের নীলকন্ঠ শিব পূজা উপলক্ষে চলা শত বছরের পুরাতন শিব মেলায় চলছে জুয়ার আসর। জেলার মোহাম্মদাবাদ ইউপি সংলগ্ন মন্দির এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মেলাতে হরেক রকম পণ্য ও খেলনা-পাতির সাথে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর।

 

মেলা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা এই মেলা কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে। পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়া চলে সন্ধ্যা থেকে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সেই সাথে মেলার আড়ালে চলে মাদক বিক্রি ও সেবন।

স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব কার্যক্রম। তবে প্রশাসনের কেউই এই দায় নিতে নারাজ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘জুয়ার বিষয় জানা ছিল না। যেহেতু আমার নজর এসেছে এখনই বন্ধ করা হবে।’


জুয়ার আসর   নীলকন্ঠ শিব পূজা   মাদক বিক্রি ও সেবন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন