সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী সদর
আসনের সংসদ সদস্য বীর
মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন,‘ বিএনপি'র সময় আমাদের
এই মঙ্ঘা কবলিত এলাকায় কোনো উন্নয়ন হয়নি।
শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের এমপি হওয়ায় তখন
আমি এক ছটাক চাল
বা গমের মুখও দেখি
নি। পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকার এসে
উত্তরা ইপিজেড চালু করে। যার
ফলে এই এলাকার মঙ্ঘা
এখন শুধুমাত্র ইতিহাস হয়ে রয়েছে। এখন
দেখেন আমাদের ইপিজিডে কত কারখানা। ৪০-৪৫ হাজার মানুষ
এখানে কাজ করে জীবিকা
নির্বাহ করছে।’
শনিবার
(১৮ মার্চ) জেলা শহরের সরকারি
শিশু পরিবার চত্ত¡রে নীলফামারী
চেম্বর অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির
বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির
বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
নূর
বলেন, ‘২০০১ সালের জুন
মাসে ১টি কারখানা দিয়ে
যাত্রা শুরু করে উত্তরা
ইপিজেড। ডিসেম্বরে বিএনপি জামায়াতরা ক্ষমতায় এসে সেটিও বন্ধ
করে দেয়। তারা সেখানে
একটি বেনারসি পল্লী তৈরি করার কথা
বলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা
সেটাও করে নি। আওয়ামী
লীগ সরকার ইপিজেড প্রতিষ্ঠা করেছে দেখে বন্ধ করে
দিয়েছিল তারা এই উত্তরা
ইপিজেড।’
ব্যবসায়ীদের
উদ্দেশ্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আপনারা
নীলফামারীকে শিল্পন্নত করেন। অন্যান্য জেলার চেয়ে নীলফামারীকে শিল্পের
দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে
যান। বেশি বেশি শিল্প
কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এতে করে নিজের
লাভ হবে, এলাকার মানুষের
লাভ হবে ও দেশের
লাভ হবে। যারা ব্যবসা
করেন তারা যে দলই
করুক না কেনো স্বাধীনভাবে
ব্যবসা পরিচালনা করুন। আমরা ও প্রশাসন
সব সময় আপনাদের সর্বাত্তক
সহযোগীতা করবো।’
নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি প্রকৌশলী এস.এম সফিকুল আলম ডাবলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. মমতাজুল হক, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ।
এসময় প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিদের
সম্মাননা স্বারক ও ক্রেষ্ট প্রদান
করা হয়। সাধারণ সভায়
অভিজাত গ্রুপের পক্ষ থেকে ছয়
জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ করণের জন্য ১০ হাজার
টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। এছাড়াও
শিল্প রপ্তানী ও বানিজ্যে বিশেষ
অবদান রাখায় ১২জনকে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।
এসময়
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাফিজুর
রশিদ মঞ্জু, সদর উপজেলা আওয়ামী
লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের
সভাপতি মসফিকুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন,
অভিজাত গ্রæপের চেয়ারম্যান
সামসুল হক, আজিজুল হক
অটো রাইস মিলের চেয়ারম্যান
আজিজুল হক, নীলফামারী প্রেসক্লাবের
সভাপতি তাহমিন হক ববি, চেম্বার
অফ কমার্সের পরিচালক মনিরুল ইসলাম সুইডেন, মফিজার রহমান, আমিনুল ইসলাম সহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত
ছিলেন। এর আগে সকালে
সভার শুরুতে নীলফামারী চেম্বারের সভাপতি প্রকৌশলী এসএম সফিকুল আলম
ডাবলু স্বাগত বক্তব্য শেষে বার্ষিক প্রতিবেদন
উপস্থাপন করেন।
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের অনুন্মোচিত বিষয় তুলে আনে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। অপরাধ ও অপপ্রচারের সাথে সাংবাদিকতাকে মেলাবেন না।’
শনিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আহসান সোহেল সভায় শুভেচছা বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সহ সভাপতি দীপু সারোয়ারসহ বর্তমান ও অতীত নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে একটি ১০ বছরের ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে দিয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কথা বলানোর চেষ্টা এবং সে না বললেও তার বক্তব্য হিসেবে সেটি প্রচার করা শুধু বাংলাদেশের সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী নয়, সারাবিশ্বে যে সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি রয়েছে, সেগুলোরও পরিপন্থী।’
তিনি বলেন, ‘এখানে স্পষ্টত: জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ লংঘিত হয়েছে এবং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি কটাক্ষ করা হয়েছে। এ সব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলেই মামলা হয়েছে, এর সাথে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর অনুরোধ জানাই। তবে কারো কোনো হয়রানি যেন না হয়, সেদিকে আমরা নজর রাখছি।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে, সরকারের সমালোচনা করে প্রায় প্রতিদিন দেশের পত্র-পত্রিকায় লেখা হয়, টেলিভিশনে রিপোর্ট প্রচার হয়- এ নিয়ে কোনো মামলা তো দূরের কথা, কোনোদিন কাউকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশ্নও করা হয়নি। অথচ এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট পত্রিকা থেকে বিদেশি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে যে, দ্রব্যমূল্য নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে তাদের সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বলে তাদেরকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট এই অসত্য অপপ্রচার আসলে দেশবিরোধিতা।’
হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতায় রাজধানীর পল্লবীতে শুক্রবার বিএনপির ইফতারে সাংবাদিক নির্যাতনের নিন্দা জানান এবং মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং সব সময় তা বজায় রাখতে চায়। কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আর অপরাধ এক জিনিস নয়। দেশের সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো, সম্পাদক, প্রকাশক, শিক্ষক, শিল্পী, সুশীল সমাজও স্বাধীনতাকে কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে, বিবৃতি দিয়েছে, কারণ এখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে অভিযোগ খণ্ডন করে উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের আইন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সাইবার সিকিউরিটি ল’জ এন্ড রেগুলেশন ২০২২, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার ল’ এন্ড পানিশমেন্ট এবং এ ধরণের আইন বিশ্বের বহু দেশে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরণের অপরাধের শাস্তি হচ্ছে ২০ বছর কারাদণ্ড। এবং ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কারণে যদি কারো মৃত্যু হয় তবে সেই অপরাধের শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তারা আমাদের আইন নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার চেষ্টা করে অথচ এ দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য বহু দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনেক বেশি কঠিন।’
অপরাধ অপপ্রচার সাংবাদিকতা ডিআরইউ তথ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ঢাকেশ্বরী মন্দির দুর্নীতি মানববন্ধন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে মার্কিন কংগ্রেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং আর্থসামাজিক অগ্রগতির স্বীকৃতির প্রশংসা করে একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। গত ২৯ মার্চ এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের পক্ষ থেকে সাউথ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জো উইলসন কংগ্রেসে এই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে একটি অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর 'টক অব দ্য কান্ট্রি' এখন প্রথম আলো। প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনকে অনেকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে অ্যাখ্যায়িত করছেন। যদিও প্রথম আলো সেটি অস্বীকার করছে এবং একটি সংশোধনী দিয়েছে। কিন্তু এ ধরনের অপকর্ম প্রথম আলোর নতুন কিছু নয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পত্রিকাটি বিভিন্ন সময় মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এ ধরনের খবর প্রকাশ করে আসছে।