ইনসাইড বাংলাদেশ

মাদারীপুরে যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ১৪

প্রকাশ: ০৯:০২ এএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।

রোববার (১৯ মার্চ) সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত বাসের মধ্য থেকে ১৪ জন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক বলেন, দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধার কাজ চলছে। বিস্তারিত পরে জানা জানানো হবে।


মাদারীপুর   সড়ক দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অপরাধ ও অপপ্রচারের সাথে সাংবাদিকতাকে মেলাবেন না: ডিআরইউতে তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের অনুন্মোচিত বিষয় তুলে আনে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। অপরাধ ও অপপ্রচারের সাথে সাংবাদিকতাকে মেলাবেন না।’

শনিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আহসান সোহেল সভায় শুভেচছা বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সহ সভাপতি দীপু সারোয়ারসহ বর্তমান ও অতীত নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে একটি ১০ বছরের ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে দিয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কথা বলানোর চেষ্টা এবং সে না বললেও তার বক্তব্য হিসেবে সেটি প্রচার করা শুধু বাংলাদেশের সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী নয়, সারাবিশ্বে যে সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি রয়েছে, সেগুলোরও পরিপন্থী।’

তিনি বলেন, ‘এখানে স্পষ্টত: জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ লংঘিত হয়েছে এবং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি কটাক্ষ করা হয়েছে। এ সব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলেই মামলা হয়েছে, এর সাথে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর অনুরোধ জানাই। তবে কারো কোনো হয়রানি যেন না হয়, সেদিকে আমরা নজর রাখছি।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে, সরকারের সমালোচনা করে প্রায় প্রতিদিন দেশের পত্র-পত্রিকায় লেখা হয়, টেলিভিশনে রিপোর্ট প্রচার হয়- এ নিয়ে কোনো মামলা তো দূরের কথা, কোনোদিন কাউকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশ্নও করা হয়নি। অথচ এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট পত্রিকা থেকে বিদেশি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে যে, দ্রব্যমূল্য নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে তাদের সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বলে তাদেরকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট এই অসত্য অপপ্রচার আসলে দেশবিরোধিতা।’

হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতায় রাজধানীর পল্লবীতে শুক্রবার বিএনপির  ইফতারে সাংবাদিক নির্যাতনের নিন্দা জানান এবং মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং সব সময় তা বজায় রাখতে চায়। কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আর অপরাধ এক জিনিস নয়। দেশের সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো, সম্পাদক, প্রকাশক, শিক্ষক, শিল্পী, সুশীল সমাজও স্বাধীনতাকে কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে, বিবৃতি দিয়েছে, কারণ এখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে অভিযোগ খণ্ডন করে উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের আইন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সাইবার সিকিউরিটি ল’জ এন্ড রেগুলেশন ২০২২, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার ল’ এন্ড পানিশমেন্ট এবং এ ধরণের আইন বিশ্বের বহু দেশে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরণের অপরাধের শাস্তি হচ্ছে ২০ বছর কারাদণ্ড। এবং ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কারণে যদি কারো মৃত্যু হয় তবে সেই অপরাধের শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তারা আমাদের আইন নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার চেষ্টা করে অথচ এ দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য বহু দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনেক বেশি কঠিন।’


অপরাধ   অপপ্রচার   সাংবাদিকতা   ডিআরইউ   তথ্যমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের প্রশংসা করে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে মার্কিন কংগ্রেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং আর্থসামাজিক অগ্রগতির স্বীকৃতির প্রশংসা করে একটি  প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। গত ২৯ মার্চ এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের পক্ষ থেকে সাউথ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জো উইলসন কংগ্রেসে এই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন।

শনিবার (১ এপ্রিল) ঢাকায় পিআইডির তথ্য বিবরণীতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবটি উত্থাপনকালে কংগ্রেসম্যান উইলসন ৫১ বছর আগে ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও স্মরণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী বাংলাদেশের  মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী এবং এর দোসরদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কথা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয় এবং বলা হয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার সংগ্রাম।

এতে বলা হয়, বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করেছে। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি, যার মাথাপিছু জিডিপি বেড়ে ২০২১ সালে দাঁড়িয়েছে ২৪৫৭ মার্কিন ডলারে, যা এখন তার আঞ্চলিক প্রতিবেশীর চেয়ে অনেক বেশি।

রেজুল্যুশনে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৯ বিলিয়ন থেকে ৪শ’ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, গড় আয়ু ৪৭ বছর থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে এবং বয়স্ক সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন, দারিদ্র্য হ্রাস, উন্নত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ প্রশমনসহ আর্থসামাজিক খাতে যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।

প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলাদেশ সফলভাবে মডারেট মুসলিম সমাজ ব্যবস্থা বজায় রেখেছে, উগ্রবাদ দমন করেছে এবং দেশটির জনগণ বন্দুকের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পরিবর্তে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি সমর্থন বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।

প্রস্তাবে আরও বলা হয় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তম রপ্তানি বাজার এবং বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের একটি বৃহত্তম উৎস। বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক, বাণিজ্যিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতার মাধ্যমে মার্কিন অর্থনীতিতেও অবদান রেখে চলছে।

রেজুল্যুশনে বলা হয়, প্রতিবেশী মিয়ানমার দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা রোধে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে, আমেরিকার জনগণ তার প্রশংসা করে। মিয়ানমার সৃষ্ট এই সঙ্কট মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা বাবদ সবচেয়ে বেশি অর্থ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

এতে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সৈন্য প্রেরণকারী দেশ যা আমেরিকার জনগণের কাছে সর্বদা প্রশংসা অর্জন করেছে। উভয় দেশই অর্জিত সমৃদ্ধি বিনিময়ের জন্য তাদের জনগণের সাথে জনগণ এবং সরকারের সাথে সরকারের সম্পর্ক আরো উন্নত করতে চায়।

প্রস্তাবে বলা হয় বাংলাদেশের জনগণকে ১০ কোটি ডোজেরও বেশি কোডিভ ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

প্রস্তাবে উল্লে করা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ যখন স্বাধীনতার ৫১ বছর উদ্যাপন করছে তখন আমেরিকার জনগণ বাঙালি জাতির ভূয়সী প্রশংসা ও স্বীকৃতি  প্রদান করে। বর্তমান ও ভবিষ্যতে পারস্পরিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গঠনমূলক অংশীদার থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বলেও রেজুল্যুশনে মন্তব্য করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রথম আলোতে 'রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক' সংবাদ প্রচারে ৫০ বিশিষ্ট নাগরিকের প্রতিবাদ

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর করা বহুল আলোচিত ‘মাছ, মাংস আর চালের স্বাধীনতা’ শীর্ষক সেই প্রতিবেদনকে ষড়যন্ত্র, বানায়োট আখ্যা দিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ৫০ বিশিষ্ট নাগরিক।

শনিবার (১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, একজনের ছবির ক্যাপশনে অন্য আরেকজনের উদ্ধৃতি প্রকাশ গণমাধ্যমের নৈতিকতা পরিপন্থী তদুপরি, উদ্ধৃতিটির ভাষামান বিবেচনা করলে তা কোনোভাবেই দিনমজুরের বক্তব্য বলে মনে হয় না। বরং এটি ওই দিনমজুরের কণ্ঠে পত্রিকাটির সম্পাদকীয় বক্তব্য বলেই প্রতীয়মান হয়। অন্য একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে ইতোমধ্যে জানা সম্ভব হয়েছে যে ওই শিশুকে উৎকোচের বিনিময়ে প্রলুব্ধ করে ছবিটি তোলা হয়েছে। বস্তুত এক্ষেত্রে শিশুটিকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে তার অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাকে পরিষ্কারভাবে উপহাস করা হয়েছে।

তারা আরও বলেন, দৈনিক গণমাধ্যম একটি সভ্য সমাজের অন্যতম দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান। সমাজের সঠিক চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরাই গণমাধ্যমের কাজ, আর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ জনমানসে গভীর প্রভাব বিস্তার করে বলে সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হয়। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, প্রথম আলো পত্রিকা এই নৈতিক দায়িত্ব উপেক্ষা করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। মহান স্বাধীনতা দিবসে তারা এ-দেশের স্বাধীনতাকে বিদ্রুপ করে একটি বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

বিশ্বজুড়ে চলমান অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বানোয়াট ছবি ও বক্তব্যের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার এক কাল্পনিক চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে মহান স্বাধীনতাকে যেভাবে বিদ্রুপ করা হয়েছে, সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয়। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

পরবর্তীকালে যদিও পত্রিকাটি তাদের ভুল স্বীকার করে প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে, কিন্তু আনুপূর্বিক ঘটনাপ্রবাহ বিবেচনায় এটিকে নিছক একটি ভুল হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বরং এই ঘটনা যে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণের অপতৎপরতার অংশ, এরূপ মনে করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। কেননা এ ধরনের প্রতিবেদন জনমনে রাষ্ট্র সম্পর্কে একটি বিরূপ ধারণার জন্ম দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের ঘটনা আমরা আগেও প্রত্যক্ষ করেছি স্বাধীনতার অব্যবহিতকাল পরে ১৯৭৪ সালে বাসন্তী নামের এক নারীকে জাল পরিয়ে সাজানো ছবি তুলে দুর্ভিক্ষের কাল্পনিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল। ‘দৈনিক প্রথম আলোর তৎপরতা ১৯৭৪-এর ঘটনার ধারাবাহিকতা বলে প্রতীয়মান হয়। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল অনুরূপ ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেছে। 

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, আলোচ্য পত্রিকাটি গণমাধ্যমের নৈতিকতা জলাঞ্জলি দিয়ে ২০০৭ সালে অনির্বাচিত সামরিক শাসনের পক্ষ নিয়ে বি-রাজনীতিকরণের পক্ষে নির্লজ্জভাবে কলম ধরেছিল। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ, এই চক্রান্তে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকৃত সত্য অনুধাবন করুন ও প্রয়োজনবোধে তুলে ধরুন।

আমরা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বানোয়াট তথ্য পরিবেশন কোনোক্রমেই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হতে পারে না। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা যথাযথ তদন্তসাপেক্ষে এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। তবে এ প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ কোনো আইনের যেন অপপ্রয়োগ না হয় সেটিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বিশিষ্ট নাগরিকদের তালিকা-

ইউজিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ ও অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহাম্মদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. অহিদুজ্জামান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম সাইদুল হক চৌধুরী, ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান আকন্দ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের  সাবেক প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক  অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, দৈনিক নতুন সময়ের এমিরেটাস এডিটর নাইমুল ইসলাম খান, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মো. মনজুরুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী জুলফিকার মতিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও বিশিষ্ট নাট্যকার অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ এবং বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি ও বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এবং বিশিষ্ট প্রাণিবিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাশ, বিশিষ্ট পরিসংখ্যানবিদ অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এ এ মামুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. নোমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার কামরুল হাসান খান, ঢাকা কেন্দ্রের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হুদা, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন শিবলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ডাক্তার নুজহাত চৌধুরী, সম্প্রীতির বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডাক্তার মামুন আল মাহতাব, সম্প্রীতির বাংলাদেশের নাট্যব্যক্তিত্ব ও আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, নাট্যব্যক্তিত্ব তারানা হালিম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, প্রকৃচির সদস্য-সচিব ডাক্তার এহতেশামুল হক দুলাল, প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার জামাল উদ্দিন চৌধুরী, প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাক্তার মনিরুজ্জামান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এমরান কবীর চৌধুরী, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলোজিক্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইসি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কবির হোসেন এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রথম আলোর অপকর্মের ফিরিস্তি

প্রকাশ: ০৮:৩১ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে একটি অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর 'টক অব দ্য কান্ট্রি' এখন প্রথম আলো। প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনকে অনেকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে অ্যাখ্যায়িত করছেন। যদিও প্রথম আলো সেটি অস্বীকার করছে এবং একটি সংশোধনী দিয়েছে। কিন্তু এ ধরনের অপকর্ম প্রথম আলোর নতুন কিছু নয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পত্রিকাটি বিভিন্ন সময় মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এ ধরনের খবর প্রকাশ করে আসছে।

১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর প্রথম প্রকাশিত হয় প্রথম আলো। প্রকাশিত হওয়ার পর একের পর এক ভুল এবং অসত্য খবর প্রকাশ করে আলোচনায় আসে প্রথম আলো। সেই ধারাবাহিকতায় এবার একটি শিশুর উদ্ধৃতি দিয়ে দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রথম আলো। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন স্বাধীনতার চেতনায় আঘাত করা সামিল বলে অনেকে অভিযোগ তুলেছে। এর আগে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে অনুভতিতে আঘাত হানার অভিযোগ উঠেছিল। এর মধ্যে আছে;

মালিবাগে আওয়ামী লীগের মিছিলে অস্ত্রধারী: ১৯৯৯ সালে দৈনিক প্রথম আলো প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে মালিবাগে আওয়ামী লীগের মিছিলে এক অস্ত্রধারী অংশ নিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় যে আওয়ামী লীগের ওই মিছিলে কেউ অস্ত্রধারী ছিল না। একজন ফটোগ্রাফারের কারসাজিতে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল প্রথম আলো।

আওয়ামী লীগের পোস্টার বিকৃতি: ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের একটি পোস্টার বিকৃতি করে প্রথম আলো। 

বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া: ২০০৭ সালে এক-এগোরা সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রথম আলো বিরাজনীতিকরণ শুরু করেছিল। পত্রিকাটি ধারাবাহিক ভাবে রাজনীতিবিদের চরিত্র হনন, মিথ্যা, কুৎসিত এবং বানোয়াট খবর প্রকাশ করতে থাকে। এরপর এক-এগোরা সরকার ক্ষমতায় আসলে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ১১ জুন, ২০০৭ সালে নিজের নামে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন দুই নেত্রীকে সরে দাঁড়াতে হবে। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য মামলা করা হয়েছিল। আর এই মামলা হওয়ার পেছনে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার পত্রিকার ভূমিকা ছিল অনেক বেশি। কারণ পত্রিকা দুটি একের পর এক মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করতে থাকে এবং প্রতিটি প্রতিবেদনই ছিল অসত্য।

কার্টুন বিতর্ক: ২০০৭ সালে হজরত মুহাম্মদ সা: কে কটাক্ষ করে কার্টুন প্রকাশ করেছিল প্রথম আলো। কিন্তু এ কার্টুন প্রকাশের দায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান না নিয়ে একজন কার্টুনিস্ট এবং একজন প্রতিবেদকের ওপর দেয়া হয়। পরে ওই কার্টুনিস্টকে কারাবরণ করতে হয়। মতিউর রহমান বেঁচে যান।

পদ্মা সেতু নিয়ে বিভ্রান্তকর প্রতিবেদন: ২০১১ সালে প্রথম আলো প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে বাংলাদেশে পদ্মা সেতু হচ্ছে না। কিন্তু পদ্মা সেতু এখন বাস্তব। এটি আর কোনো স্বপ্ন নয়। দক্ষিণাঞ্চল মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিতে শুরু করছে এই পদ্মা সেতু। এছাড়া প্রথম আলো একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়নি বরং অর্থনীতিতে বাংলাদেশ অনেকাংশে এগিয়ে গেছে।

ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা: গত ২৪ নভেম্বর ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ শিরোনামে একটি প্রতিবদন প্রকাশ করে প্রথম আলো। এরপর ধারাবাহিক ভাবে আরও একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল পত্রিকাটি। ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই প্রথম আলো এ সমস্ত প্রতিবেদন করা হয়েছিল। প্রতিটি প্রতিবেদনে প্রথম আলো প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল দেশের ব্যাংকিং খাত ভালো না। ইসলামী ব্যাংক ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইসলামী ব্যাংক ধ্বংস হয়নি।

প্রথম আলো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৫:৫৭ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতি, সেবায়েতবিহীন মন্দির পরিচালনার প্রতিবাদ ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 

শনিবার (১ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 

বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় ও কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী মাসুদ আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি স্বপন কুমার সাহা। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বপন কুমার সাহা বলেন, শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে যুগ যুগ ধরে আদালতে মামলা চলছে। ১৮ বছর পূর্বে মন্দির সংস্কারের নাম করে জমির প্রকৃত মালিক ও সেবায়েত স্বর্গীয় রনজিত দাসের পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও একসময়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু মন্দিরের ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রভাবশালী হিন্দু ধর্মীয় ব্যক্তিদের ষড়যন্ত্র ও কু-পরামর্শে আজও রনজিত দাসের পরিবার জমির ন্যায় বিচার ও অধিকার থেকে বঞ্চি হচ্ছে। মন্দিরের নানাবিধ দুর্নীতি ও সেবায়েত বিহীন মন্দির পরিচালনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেন প্রধান অতিথি। তিনি অবিলম্বে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সুনাম ও মর্যাদা রক্ষায় একটি শক্তিশালী জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন। তিনি আরো বলেন, দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক, ধর্ম মন্ত্রণালয় সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী সেল গঠন করে বিরাজমান সমস্যার সমাধাণের উপায় বের করার প্রস্তাব করেন।

সভাপতির বক্তব্যে কাজী মাসুদ আহমেদ বলেন, শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে হাই কোর্টের একটি রুল জারি রয়েছে। এই রুল দ্রুত নিষ্পত্তি হলেই সকল সমস্যার সমাধাণ সম্ভব। তিনি আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ক্ষতিগ্রস্থ রনজিত দাসের পরিবারের পাশে থাকার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

ঢাকেশ্বরী মন্দির   দুর্নীতি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন