ইনসাইড বাংলাদেশ

শাকিব খানকে নিয়ে যা বললেন ডিবি হারুন

প্রকাশ: ০৯:২৯ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রহমত উল্ল্যাহ নামের কথিত এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক শাকিব খানরে অভিযোগ খতিয়ে দেখবে ডিবি বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। রোববার (১৯ মার্চ) শাকিব খান ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানিয়েছেন ডিবি প্রধান। তিনি বলেন, ‘তিনি (শাকিব খান) ফোনে বলেন- ডিবি পুলিশ অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা তদন্ত করে, তার একটি ব্যক্তিগত অভিযোগ রয়েছে সেটি তিনি আমাদের জানাতে চান। এরপর একটি লিখিত অভিযোগসহ ডিবি কার্যালয়ে আসেন নায়ক শাকিব।’

ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান হারুন আরও বলেন, ‘আবেদনে শাকিব দাবি করেছেন- রহমত উল্ল্যাহ কোনও প্রযোজক না। রহমত উল্ল্যাহ প্রযোজক না হয়েও মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তার বিরুদ্ধে আজেবাজে, মিথ্যা ও প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছেন। আমি বলেছি, আপনি লিখিত আবেদন দিয়ে যান, আমরা সেটা খতিয়ে দেখব, তদন্ত করে দেখবো। তদন্তে নায়ক শাকিবের করা লিখিত অভিযোগের সত্যতা মিললে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ’

নায়ক শাকিব খান আমাদের কাছে দ্রুত এসেছেন এই কারণে তিনি আশঙ্কা করেছেন যে, যার বিরুদ্ধে তার অভিযোগ সেই কথিত প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন, এরকম কথা তিনি নাকি শুনেছেন। নায়ক শাকিব খানের দাবি, রহমত উল্ল্যাহ কোনও প্রযোজক না, তার অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট রয়েছে। তার দাবি, রহমত উল্ল্যাহ যেন পালাতে না পারে। আমরা বলেছি আমরা আপনার অভিযোগ তাৎক্ষণিক তদন্ত করে দেখবো। বাংলাদেশে আছে কি না তাও তদন্ত করে দেখা হবে।

শাকিব খান   ডিবি হারুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মানবপাচার এবং অভিবাসীদের স্মাগলিং বিষয় জাতীয় কর্মশালা

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধ বিষয়ক অফিস (ইউএনওডিসি) এবং আইওএম এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে মানবপাচার এবং অভিবাসীদের স্মাগলিং বিষয় জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং অধ্যাপক ড. সীমা জামান, ডিন, আইন অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ মানবপাচার ও অভিবাসী স্মাগলিং বিষয়ক শিক্ষকদের জন্য প্রস্তুতকৃত গাইড-এর মোড়ক উন্মোচন করেন।

প্রধান অতিথি ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানবপাচার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দাসত্ব যৌন নিপীড়ন, অঙ্গ প্রতিস্থাপন ইত্যাদির উদ্দেশ্যে নারী, শিশুসহ অরক্ষিত জনগোষ্ঠীকে পাচার করা হয়। ১.২ মিলিয়ন শিশু প্রতি বছর পাচারের শিকার হয়। অনিরাপদ অভিবাসন মানব পাচারের অন্যতম কারণ। কাজেই, এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কোর্স থাকা বাঞ্চনীয়।

তিনি বলেন, শিক্ষকদের আগে প্রশিক্ষিত করতে হবে। আর এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যেই আজকের এই আয়োজন। আমি আশা করি, এই কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষকরা মানবপাচার ও অভিবাসী স্মাগলিং বিষয়ে তাদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে পারবেন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারবেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হুইপের মামলায় পুলিশ পরিদর্শককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মাহমুদ সাইফুল করিম ওরফে সাইফ আমিনকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৭ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর আইনজীবী মোহাম্মদ হায়দার তানভীরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মাহমুদ সাইফুল করিম ওরফে সাইফ আমিন জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ক্লাবে জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেন- ফেসবুকে এমন  মিথ্যা পোস্ট দেন। যা আদালতে আমরা ৮ জন সাক্ষী ও যুক্তিউপস্থাপন করে মিথ্যা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেছেন এমন পোস্ট দেন ইন্সপেক্টর মাহমুদ সাইফুল আমিন।

এ ঘটনায় একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেনের আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় বাদী সামশুল হক চৌধুরীসহ ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হাজার হাজার মানুষ নির্বিচারে হত্যা করেছেন জিয়াউর রহমান: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:৩৫ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নালিশ করে তাদের ওপরে নাকি খুব অত্যাচার। অত্যাচার তো আমরা করি নাই। অত্যাচার করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। জিয়াউর রহমান এসে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে। সেনা বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, সৈনিক থেকে শুরু করে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে নির্বিচারে ফাঁসি দিয়েছে, গুলি করেছে, হত্যা করেছে। পরিবারগুলো তাদের লাশও পায়নি। সব লাশ গুম হয়ে গেছে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে এদেশের মানুষ লড়াই করতে নেমে গিয়েছিল। বাংলাদেশের যুদ্ধটা একটি জনযুদ্ধ ছিল। যারা ট্রেনিং নিয়ে দেশে এসেছে, দেশের মানুষকে তৈরি করেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাধা দিয়েছে। ট্রেনিংপ্রাপ্ত শুধু তা নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও মাঠে নেমে গিয়েছিল। যে যেভাবে পেরেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। যেহেতু এটা গেরিলা যুদ্ধ, গেরিলা যোদ্ধারা যখন দেশে ঢুকেছে, এদেশের মা-বোনেরা রান্না করে খাওয়ার দেওয়া, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অবস্থানের তথ্য দেওয়া; সেই কাজগুলো করেছে। একটা জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা এদেশে স্বাধীনতার বিজয় অর্জন করতে পেরেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করা এবং প্রথমে লেবাস পড়ে ক্ষমতা যাওয়া, রাজনীতিকে গালি দিয়ে ক্ষমতা দখল করে, আবার সেই লেবাস খুলে নিজেরাই রাজনীতিবিদ হয়ে যাওয়া আর ক্ষমতা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দখল গঠন করার কালচারটাই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে। অবৈধ দখলকারীদের হাতে তৈরি করা যে সংগঠন তারা নাকি গণতন্ত্র চায়। যাদের জন্মই গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়নি। যাদের জন্ম মিলিটারি ডিক্টেটেডের মধ্য দিয়ে, তারা আবার গণতন্ত্র চায়। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র দেয়নি, তারা গণতন্ত্র দেবে। গণতন্ত্রের জন্য নাকি তারা লড়াই করে। ওদের জিজ্ঞেস করতে হয়, তাদের জন্মটা কোথায়? অবৈধ দখলদারি এটা তো আমাদের কথা না। আমাদের উচ্চ আদালত বলে দিয়েছে যে, জিয়া-এরশাদ সম্পূর্ণ অবৈধ। তারপর তারাও নাকি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামও করে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।

আলোচনা সভায়টি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস আউয়াল শামীম।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রমজানের প্রথম কর্মদিবসে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট

প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রমজান মাস শুরু হওয়ার পর টানা তিন দিন ছিল ছুটি। ফলে গত তিন দিনে রাজধানীতে ছোট-বড় কোনো ধরণের যানজট সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু ছুটি শেষে রমজানের প্রথম কর্মদিবসে আজ যানজটে যেনো নাকাল ঢাকা শহর। সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন পয়েন্ট ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে গাড়ির জট লেগে রয়েছে।

রোজা রেখে যানজটে গাড়িতে বসে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে শহরে যানজটের পরিমাণও বাড়ছে। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় গাড়ি আটকে রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রাজধানীর বিমানবন্দর, কুড়িল, বনানী, বাড্ডা, মহাখালী, হাতিরঝিল, রামপুরা, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী ও কালশী এলাকায় যানজট রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে রাস্তায় গাড়ির চাপও বাড়ছে বলে জানা গেছে।

তবে এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা চলছে বিমানবন্দর থেকে মহাখালী পর্যন্ত সড়কে। সকাল থেকেই বিমানবন্দর সড়ক থেকে মহাখালী পর্যন্ত তীব্র যানজট। গাড়ি এক জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছে। দীর্ঘসময় গাড়িতে বসে থেকে হাল ছেড়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন অফিসগামীরা।

রাজধানীজুড়ে যানজটের বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ বলছে, তিন দিন ছুটি থাকার পর রমজানের প্রথম কর্মদিবসে একসঙ্গে সবাই কর্মস্থলে যাচ্ছেন। ফলে রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। তাছাড়া রমজানে অফিস টাইম পরিবর্তনের কারণেও রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। ফলে রাজধানীজুড়ে এমন যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত সড়কে সরেজমিনে দেখা যায়, বিমানবন্দর থেকে শেওড়া ওভার ব্রিজ পর্যন্ত যানচলাচল স্থবির হয়ে রয়েছে। শেওড়া থেকে বনানী পর্যন্ত সড়কে ধীরগতিতে যানচলাচল করছে। আবার বনানী থেকে ধীরগতিতে যানচলাচলের কারণে মহাখালী পার হয়ে জাহাঙ্গীর গেট এলাকা পর্যন্ত সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যাওয়ার জন্য সকাল ৮ টায় বাসে উঠেন কাজী সালেহ। তিনি বলেন, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বনানীর দিকে গাড়ি কোনোভাবেই এগোচ্ছিল না। ঘণ্টার বেশি সময় গাড়ি শেওড়ায় আটকে ছিল। সর্বশেষ ধীরগতিতে মহাখালী এলেও আবার আটকে যায়। পরে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে রওনা হই ফার্মগেটের দিকে। রোজা রেখে এভাবে যানজটের মধ্যে চলাচলের কারণে অনেক ভোগান্তি হচ্ছে আমাদের।

বনানী ও বিমানবন্দর সড়কের যানজট নিয়ে ডিএমপির ট্রাফিক গুলশান বিভাগের গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজ রাস্তায় গাড়ির চাপ তুলনামূলক একটু বেশি। তিন দিন বন্ধ থাকার পর আজ রাজধানীতে সব অফিস খুলেছে। এদিকে, রমজানের কারণে অফিস টাইম একটু পরিবর্তন হয়েছে। সবমিলিয়ে একসঙ্গে সকাল থেকে গাড়ির চাপ বেড়েছে। তাই এই যানজট। এছাড়া এখনো সব স্কুল বন্ধ হয়নি। অনেক স্কুল এখনো খোলা। একসঙ্গে সকাল ৮টা থেকে রাস্তায় মানুষ ও গাড়ি বের হওয়ায় চাপ বেড়ে গেছে।

এদিকে, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাড্ডা পার হয়ে রামপুরা পর্যন্ত সড়কেও রয়েছে যানজট ও গাড়ির চাপ। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ অবস্থার কোনো উন্নতি ছিল না।

রাজধানীর ভাটারা থেকে বনশ্রী এলাকায় অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন মো. ফরিদুর রহমান। তিনি বলেন, নতুন বাজারে এসে দেখি রাস্তা একদম বন্ধ। এ পরিস্থিতি দেখে বাসে না উঠে হেঁটে রওনা হয়ে উত্তর বাড্ডা পর্যন্ত আসি। পরে উত্তর বাড্ডা থেকে একটি রিকশা নিয়ে বনশ্রী পর্যন্ত আসি।

প্রগতি সরণি এলাকার যানজট নিয়ে ডিএমপির ট্রাফিক গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ইমরান হোসেন বলেন, রাজধানীর অন্য সব এলাকার মতো প্রগত সরণি এলাকায়ও সকাল থেকে প্রচুর গাড়ির চাপ। তবে আশা করছি দুপুরের দিকে চাপ কিছুটা কমে যাবে। তবে ইফতারের আগে আবার গাড়ির চাপ কিছুটা বাড়বে।

এদিকে, সকাল থেকে চলমান যানজটের প্রভাব পড়ছে হাতিরঝিল এলাকায়ও। সাধারণত রাজধানীর অন্য সব এলাকায় যানজট থাকলেও এই এলাকা যানজটমুক্ত থাকে। তবে আজ হাতিরঝিলেও যানজট। এই যানজট সোনারগাঁও হোটেল সিগন্যাল পর্যন্ত পৌঁছেছে।

এ বিষয়ে হাতিরঝিল দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রী মকসুদুর রহমান বলেন, আজ যানজট থেকে হাতিরঝিলও রক্ষা পায়নি। সাধারণত হাতিরঝিলে যানজট থাকে না। তবে তিন দিনের ছুটির প্রভাবে আজ হাতিরঝিলেও যানজট।

এদিকে, সোনারগাঁও হোটেল মোড়ে যানজটের বিষয়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পরিদর্শক আনোয়ার কবির বলেন, হাতিরঝিল, বাংলামটর ও সোনারগাঁ হোটেল মোড়সহ আশপাশের সব রাস্তায় গাড়ির চাপ খুব বেশি। যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি গাড়ি রাস্তায় চলমান রাখার।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সামর্থ্যের মধ্যে দুধ-ডিম-মাংস কিনতে পেরে খুশী ক্রেতারা

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষের দুর্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। রমজান ঘিরে পণ্যের দাম এখন আরও চড়া। বিশেষত, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য কিনতে বাজারে গিয়ে কপালে ভাঁজ পড়ছে ক্রেতাদের। ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় সীমিত আয়ের মানুষেরা। তবে রমজানে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রির ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাসে রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম রোজা থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে ২৮ রোজা পর্যন্ত।

কম দামে এসব পণ্য পেয়ে খুশি ক্রেতারা। বলছেন, বাজারে মাংস, দুধ, ডিমের যে দাম সে তুলনায় এখানে অনেকটা কম। ফলে সামর্থ্যের মধ্যে এসব পণ্য কেনা সম্ভব হচ্ছে। তবে বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গতবারের তুলনায় দাম বাড়ানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথা বলছেন তারা।

সচিবালয়ের পাশে আবদুল গণি রোডে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সব এলাকায় এই সুলভ মূল্যের বিক্রয়কেন্দ্র না থাকায় অনেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে আসছেন। ক্রেতারা বলছেন,   এখান থেকে মুরগির মাংস, গরুর মাংস আর ডিম নিতে পারছেন তাঁরা অল্প দামে। বর্তমানে বাজারে যে দাম সেটা কেনা খুব কঠিন, সেই হিসাবে সুলভ মূল্যে পণ্য পেয়ে তাঁদের বেশ সুবিধা হচ্ছে। সারাদেশে এই কার্যক্রম আরও বাড়ানো উচিত বলেও মনে করছেন তাঁরা।

একজন ব্যক্তি এখান থেকে সর্বোচ্চ এক কেজি গরুর মাংস, এক কেজি খাসির মাংস, এক কেজি মুরগির মাংস, এক ডজন ডিম, এক লিটার দুধ নিতে পারছেন। এক একটি বিক্রয়কেন্দ্রে প্রতিদিন এখানে গরুর মাংস ১০০ কেজি, খাসি ৪০-৫০ কেজি, মুরগি ৫০ কেজি, ১২০০ পিস ডিম ও দেড়শো লিটার দুধ নিয়ে আসা হয় বিক্রির জন্য।

রাজধানীর নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি, খামারবাড়ি, আজিমপুর মাতৃসদন, গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি, ৬০ ফুট রোড, খিলগাঁও (রেলক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আবদুল গণি রোড), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), আরামবাগ, রামপুরা, কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বছিলা, হাজারীবাগ (সেকশন), লুকাস মোড় (নাখালপাড়া), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা) এবং কামরাঙ্গীর চর এলাকায় সুলভ মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

এ বছর প্রাথমিকভাবে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস ৯৪০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুধ, ডিম ও মাংসের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন