ইনসাইড বাংলাদেশ

সেনাপ্রধান থেকে রাষ্ট্রপতি, এরশাদের ক্ষমতা দখলের কালো দিন

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আজ ২৪ মার্চ। ১৯৮২ সালের এই দিনে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ লে. জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজেকে গদিনশিন করেন। ওই দিন বেতার ও টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘জনগণের ডাকে সাড়া দিতে হইয়াছে, ইহা ছাড়া জাতির সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না।’ তিনি বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক শাসন জারি করে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন। এই ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরন করেন।

১৯৮১ সালের ৩০শে মে চট্টগ্রামে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। সে সময় জেনারেল এরশাদ সেনাপ্রধান ছিলেন। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর সে সময়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আব্দুস সাত্তার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন এবং তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু সেই সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি।

সেনাবাহিনীর ভেতরে ও সাধারণ মানুষের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে জিয়া হত্যার পরপরই এরশাদ ক্ষমতা দখল করেননি। তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের প্রতি সমর্থন জানান। জিয়া-মঞ্জুর হত্যার ব্যাপারে এরশাদের প্রতি যে সন্দেহের তির ছিল, তা থেকেও তিনি নিজেকে রক্ষা করতে সচেষ্ট থাকেন। চট্টগ্রামের সেনা অভ্যুত্থানে প্রথমে জিয়া নিহত হন। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী জেনারেল মঞ্জুরকেও পরে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে হত্যা করা হয়; ফলে জিয়া হত্যার সঙ্গে মঞ্জুরের সম্পৃক্ততা ছিল কি ছিল না, তা কখনো জানা যাবে না।

জিয়া হত্যার দায়ে যাঁরা বিচারের মুখোমুখি হলেন, তাঁরা প্রায় সবাই মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা। এর আগে যতগুলো বিদ্রোহ ও অভ্যুত্থান হয়েছে, সব কটির সঙ্গে মূলত মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। এরশাদ এই সুযোগে সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রত্যাগত কর্মকর্তাদের আনার ব্যবস্থা করেন; তিনি নিজেও একজন পাকিস্তান প্রত্যাগত কর্মকর্তা। অন্যদিকে বিএনপিতেও তখন মুক্তিযোদ্ধা ও অমুক্তিযোদ্ধা শিবির প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিল।

সেনাপ্রধান হয়েও এরশাদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে ‘হস্তক্ষেপ’ করেন। বিএনপির একাংশ চাইছিল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া প্রার্থী হোন। অপরাংশ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তারের সমর্থক ছিল। এ প্রসঙ্গে জিয়ার এককালীন মন্ত্রী ও দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের প্রভাবশালী সদস্য মওদুদ আহমদ লিখেছেন, ‘সাত্তারের প্রতি সেনাবাহিনীর সমর্থনের কারণে তাঁদের (সাত্তারের অনুসারীদের) পক্ষে ওই একগুঁয়ে মানসিকতা ও শক্তি প্রদর্শন সম্ভব হয়।’ (চলমান ইতিহাস, জীবনের কিছু সময়, কিছু কথা )

সে সময়ে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ে উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, বিচারপতি আব্দুস সাত্তার সরকারের দু’মাস পরই জেনারেল এরশাদ কয়েক জন জেনারেলকে নিয়ে রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করে মন্ত্রীদের ব্যাপারে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন এবং এভাবে দেশ চলতে পারে না বলে বার্তাও দিয়েছিলেন। সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, বিচারপতি সাত্তারকে বার্তা দেয়ার পর জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্র তৈরি করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ জেনারেল এরশাদ বিচারপতি সাত্তারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। 

সামরিক শাসন জারির পরপরই তৎকালীন আওয়ামী লীগপন্থী দৈনিক বাংলার বাণী এরশাদের ক্ষমতা গ্রহণকে সমর্থন দিয়েছিল। শেখ ফজলুল করিম সেলিম সম্পাদিত এই দৈনিকে মোনাজাতরত এক মহিলার ছবি ছাপা হয়। সামরিক আইন জারি হওয়ায় তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছেন। তখন হয়তো আওয়ামী লীগ মনে করেছিল যে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি তো গেল, এটাই লাভ।

বাংলাদেশে গণআন্দোলনের মুখে জেনারেল এরশাদের নয় বছরের শাসনের পতন হলেও তিনি রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়েছেন। তিনি সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখলের পর জাতীয় পার্টি নামে দল গঠন করেন। তবে তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে অন্য সব দলের বিরোধীতার বিষয়টি ছিল তাঁর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। জেনারেল এরশাদের শাসনের সময় ১৯৮৮ সালে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী আনা হয়।

১৯৮২ সালের সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতায় এসে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। এর মধ্যেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি। ক্ষমতা ছেড়ে দিলে দুর্নীতির মামলায় বিএনপি সরকারের আমলে জেল খাটেন তিনি। জেলে থেকেই রংপুরের পাঁচটি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই (রোববার) সকালে তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ভিসা নীতি, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরকারের মাথা ব্যথা নেই’

প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভিসা নীতি, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরকারের মাথা ব্যথা নেই। আটলান্টিক পাড়ের আমেরিকায় না গেলে আমাদের কিছু যায় আসে না। পৃথিবীতে আরও অনেক দেশ আছে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবো।’

শনিবার (৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ও মানুষের স্বার্থে গড়ে উঠা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের মানুষের উন্নয়ন হয়। এটা আজ প্রমাণিত। আওয়ামী লীগ মানুষের সংগঠন। মানুষের কল্যাণে কাজ করে। জাতির পিতা আমাদের সেটা শিখিয়েছেন।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের আমলের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে জানান, সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থায়। ২০০৮ সালের বাংলাদেশের সঙ্গে ২০২৩ সালের তুলনা করলেই সেটা দেখা যাবে। এক দিনে একশ সেতু উদ্বোধন পৃথিবীতে কোনো সরকার করতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই দেশের মানুষের উন্নতি হয়েছে। দেশে স্থিতিশীলতা না থাকলে এই উন্নতি হতো না। গত ১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সবক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেয়া টেলিভিশনে বসে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। করুন, কে কী বলল আমরা দেখব না। আমরা আমাদের কাজ করে যাবো।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে মন্দা চলছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্যাস-তেল-কয়লার দাম বেড়ে গেছে, কয়লা পাওয়াই যাচ্ছে না। আমাদেরও পেতে সমস্যা হচ্ছে। জানি গরমে সমস্যা হচ্ছে। আমরা তো লোডশেডিং দূরই করে দিয়েছিলাম। করোনা আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না হলে এই সমস্যা হতো না।’


প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আগামীকাল জাতীয় চা দিবস, প্রথমবার দেয়া হবে পুরস্কার

প্রকাশ: ০৬:৩৭ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail আগামীকাল জাতীয় চা দিবস, প্রথমবারের মতো দেয়া হবে পুরস্কার।

‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’- প্রতিপাদ্য নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এর উদ্যোগে আগামীকাল ৪ জুন বর্ণাঢ্য আয়োজনে তৃতীয়বারের মত ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন এবং প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান করা হবে। আটটি ক্যাটাগরিতে আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হস্তান্তর করবেন।

এ বছর চা শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন- চা শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চায়ের রাজধানী বলে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন এবং প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান অনু্ষ্ঠান শুরু হবে সকাল ১০ টায়।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইফ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব তপন কান্তি ঘোষ। বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশীয় চা সংসদ এর সভাপতি কামরান টি রহমান, টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি শাহ মঈনুদ্দিন হাসান ও এফবিসিসিআই’র সভাপতি জনাব মো. জসিম উদ্দিন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। চা মেলাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে। দর্শনার্থীদের জন্য দিনব্যপী চা মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলস্থ টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জুন ১৯৫৭ সাল থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ তারিখ পর্যন্ত চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।

চা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী সব উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ও বর্তমান সরকারের নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে দেশের চা শিল্প টেকসই উন্নয়নে পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের ছায়াতলে দেশের চা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে চা উৎপাদনকারী ও বিপণনকারীদের পাশাপাশি বড় ভূমিকা পালন করছে এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট অদম্য শ্রমিকগণ। শ্রমঘন এ শিল্পে শ্রমবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বাগান মালিকগণ কাজ করে চলেছে।

দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয় চা। সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে ১৮৫৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে চা শিল্প বিকশিত হতে থাকে। উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশের এ অঞ্চলে চা শিল্পের অগ্রগতি মূলত ব্রিটিশদের মাধ্যমেই হয়েছে।


জাতীয় চা দিবস   প্রথমবার   পুরস্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অজাতশত্রু আফছারুল আমীনের মৃত্যু দলের জন্য ক্ষতি: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

অজাতশত্রু রাজনীতিক আফছারুল আমীনের মৃত্যু দলের জন্য ক্ষতি বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার (৩ জুন) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার প্রয়াত চট্টগ্রাম ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের জানাযা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আফছারুল আমীন একজন অজাতশত্রু মানুষ ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে আমাদের দল বিশেষ করে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’ 

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ডা. আফছারুল আমীন যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে কারাগারে গেছেন, সেখান থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এবং তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম শহরে শিক্ষা ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তিনি অনেক কাজ করেছেন, যা থেকে মানুষ উপকৃত হচ্ছে।’ 

উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭২ বছর বয়সে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. আফছারুল আমীন  ইন্তেকাল করেন। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত ডা. আফছারুল আমীন পূর্বে সরকারের নৌপরিবহন ও পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বপালন করেছেন। 


আওয়ামী লীগ   ড. হাছান মাহমুদ   আফছারুল আমীন   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আগামীতে শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:০৬ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাজেট বরাদ্দ প্রতিবছরই বাড়ছে, এ বছরও গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। একই সাথে আমাদের জিডিপির আকার তুলনামূলক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সে হিসেবে হয়তো শিক্ষায় বরাদ্দ কিছুটা কমেছে। আমি বার বার বলছি, আমাদের যে মেগা প্রজেক্টগুলো চলছে, এগুলো শেষ হয়েগেলে আমি আশা করি শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট।

শনিবার (৩ জুন) দুপুরে চাঁদপুর আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, আমাদের এখন চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের যে বরাদ্দ, সেটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো। আরো যেটি দরকার সেটি হচ্ছে গবেষণা। গবেষণায় এবারও থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গত বছরে এবং বিগত দিনে তাদের বরাদ্দ কাজে লাগাতে পারেনি। এবছর তারা বরাদ্দ কাজে লাগবে বলে আমরা আশা করছি এবং আমরা গবেষণা ও উদ্ভাবনে এগিয়ে যাব।

তিনি বলেন, বাজেটে শিক্ষা উপকরণের ক্ষেত্রে বল পেনের দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাব রয়েছে। এই বিষয়ে আলোচনা হবে। আমি আশা করি সেই আলোচনায় আমাদের প্রস্তাব থাকবে সেটির যেন দাম না বাড়ানো হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় আমাদের যে লক্ষ্য, বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের যেটি ঠিক করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে। আমরা দক্ষ, যোগ্য, সৃজনশীল মানুষ তৈরী করবো, যারা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। আমরা নতুন শিক্ষাক্রম তৈরী করেছি, লাকসই প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, আমরা অবকাঠামগত উন্নয়ন করছি এবং সবচাইতে জরুরি যেটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ, সেটি আমরা ব্যাপকভাবে করছি।

এর আগে তিনি চাঁদপুর আল আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইউসুফ গাজী, ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা নুর, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, ফরিদা ইলিয়াছসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোমবার থেকে পুরোপুরি বন্ধ পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:৪০ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, আগামী ৫ জুনের পর পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালানিসংকটের কারণে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। জ্বালানি কয়লা আমদানি করতে আরও অন্তত ২০-২৫ দিন সময় লাগবে।

শনিবার (০৩ জুন) দুপুরে সাভারের খাগান এলাকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণা ল্যাবরেটরি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি হাফ বন্ধ রয়েছে।

আগামী ৫ জুনের পর আরেকটি হাফও জ্বালানি সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের এলসি খুলতে দেরি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়গুলোও ছিল। কয়লা আমদানি করতে আরো অন্তত ২০-২৫ দিন সময় লাগবে।

কয়েকটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে লোডশেডিং বেড়েছে। প্রায় ১৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং চলছে। এতে দুর্ভোগ হচ্ছে। এ কারণে আমরা দুঃখিত।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও পররাষ্ট্র্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. এম সামসুল আলম।

পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র   বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন