১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত।
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ঢাকার নিরীহ মানুষ। ঠিক এই সময় ক্যান্টনমেন্ট
থেকে জিপ-ট্রাক বোঝাই করে পাকিস্তানি সৈন্যরা আধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে শহরজুড়ে। আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে গর্জে ওঠে তাদের আধুনিক রাইফেল, মেশিনগান ও মর্টার। তাদের
জলপাই রঙের ট্যাংকগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশ-ইপিআর ব্যারাকের দিকে ধেয়ে যেতে থাকে। রচিত হয় এক কুখ্যাত
ইতিহাস।
ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর সদরদপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থানে তখন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে লাশের পর লাশ। মধ্যরাতের ঢাকা তখন যেন লাশের শহর।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কিত এই হত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনায় ছিলেন পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা। তারা হলেন, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। তাদের পরিকল্পনায় সংঘটিত হয়েছিল এই গণহত্যা।
তবে এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। অনেক পরে ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো ‘অপারেশন সার্চলাইট’ সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ হয়।
অপারেশন সার্চলাইট কীভাবে হয়েছিল, সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লেখেন, ১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন।
টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের (ইয়াহিয়া খান) সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহণ করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি।
রাজা আরও লেখেন, আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।
এর পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তার কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন ‘অপারেশন সার্চলাইট’।
খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও গণহত্যার তথ্য পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তারা যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয়— ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
ভারতের
ওডিশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় গভীর শোক ও
দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার
(৩ জুন) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস
উইং থেকে এক শোক
বার্তায় এ তথ্য জানানো
হয়।
তিনি
জানান, ‘ভারতের উড়িষ্যায় একটি মালবাহী ও
একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে শতশত মানুষ হতাহতের
ঘটনায় গভীর শোক ও
দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
ওডিশায়
দুর্ঘটনায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত
নিহত বেড়ে ২৮৮ জনে
দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৮৫০
জনের বেশি। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে
আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চলমান
শতকে এটি ভারতের সবচেয়ে
ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা বলে মনে করা
হচ্ছে। ওডিশা রাজ্যের বালাসোরে স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যে
সাতটার দিকে মোট তিনটি
ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে বলে সংবাদমাধ্যমের
খবরে বলা হয়।
ভারতের
রেলবিভাগ জানায়, প্রথমে করমন্ডল এক্সপ্রেস নামের একটি যাত্রীবাহী ট্রেন
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়ার নিকটবর্তী শালিমার থেকে তামিলনাড়ু রাজ্যের
চেন্নাই যাচ্ছিল। সেটির কয়েকটি বগি লাইনচ্যূত হয়
এবং পাশের লাইনে থাকা আরেকটি দ্রুতগামী
যাত্রীবাহী ট্রেন সেগুলোকে আঘাত করে। দ্বিতীয়
ট্রেনটি বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়া যাচ্ছিল।
এরপর
দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী
ট্রেনের সাথেও যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোর ধাক্কা লাগে বলে স্থানীয়
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট
বার্তায় শোক ও সমবেদনা
প্রকাশ করেছেন।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা
করতে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মো. মনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আর্থিক সহযোগিতার অঙ্গীকার ঘোষণা করেন।
নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ জুন) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে চলতি বছরের জন্য `ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ)` এ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
স্থায়ী মিশন জানায়, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলনস্বরুপ ২০১৮ সাল থেকে ইউএনআরডব্লিউএ-তে এ অনুদান দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মো. মনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে ইউএনআরডব্লিউএ-এর চলমান তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। টেকসই, অনুমানযোগ্য এবং পর্যাপ্ত তহবিল সুরক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেন তিনি ।
মনোয়ার হোসেন বলেন, ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ইউএনআরডব্লিউএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে শুধু আর্থিক সমর্থন দেওয়া একমাত্র সমাধা্মাত। এই সংকটের একমাত্র সমাধান হলো ১৯৬৭-এর পূর্ববর্তী সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান অর্জনের মাধ্যমে ইসরায়েলি অবৈধ দখলদারিত্বের স্থায়ী অবসান ঘটানো।
এবারের সম্মেলনটি আহ্বান করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেশী। এতে সদস্য দেশগুলোকে ইউএনআরডব্লিউএ-এর কমিশনার জেনারেল ফিলিস্তিনি শরণার্থী এবং তাদের জন্য নিবেদিত সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র কার্যাবলীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ব্রিফ করেন । উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের রেজুলেশনের মাধ্যমে ১৯৪৯ সালে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের তাদের দুর্দশার ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে সহায়তা এবং সুরক্ষা দিতে একটি মানবিক এবং উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইউএনআরডব্লিউএ। বর্তমানে ৫.৯ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি এই সংস্থায় শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত রয়েছে।
ফিলিস্তিন জাতিসংঘ ইউএনআরডব্লিউএ
মন্তব্য করুন
বাজেটের আগেই যে চড়া দামে নিত্যপণ্য কিনতে হয়েছে এখন তা বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দরে। গতকাল রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতে বেশির ভাগ পণ্যের দামই ছিল ঊর্ধ্বমুখী। যদিও ক্রেতাদের দাবি, বাজেট ঘোষণার কয়েক মাস আগে থেকেই নিত্যপণ্যের বাজার চড়া।
রাজধানীর রায়েরবাগ শনিরআখড়া কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজেট ঘোষণার পরের দিন গতকাল নিত্যপণ্যের বাজার আগের চেয়ে আরও অস্থিতিশীল।
সম্প্রতি উত্তাপ ছড়ানো মসলাজাতীয় পণ্য পিঁয়াজ ও আদার দাম এখনো চড়া। বাজারে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা এবং আদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। তাছাড়া প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়। একই সঙ্গে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরেই।
মানভেদে প্রতি কেজি সবজি কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৬০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ প্রতি পিস আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এদিকে সরকার চিনির দাম বেঁধে দিলেও এখনো তার প্রভাব নেই বাজারে। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত দামে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। ডিমের দাম আগের মতোই চড়া। প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ডজন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়।
অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায়।
মাছের বাজারে দেখা যায়, আকারভেদে প্রতি কেজি শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৭০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজেট ঘোষণায় বাজারে নিত্যপণ্যের দামে কেমন প্রভাব পড়তে পারে জানতে চাইলে শনিরআখড়া কাঁচাবাজারের বিক্রেতা হানিফ মাহমুদ বলেন, নিত্য জিনিসের দাম যা বাড়ার আগেই বেড়েছে। বাজেট এখানে কোনো বিষয় নয়। তবে মনে হচ্ছে দফায় দফায় দাম আরও বাড়বে।
চট্টগ্রামে স্থিতিশীল কাঁচাবাজার : বাজেট ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই বাজার স্থিতিশীল। মুরগির দাম ১০ টাকা বাড়লেও অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে স্বাভাবিক। নগরের কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি মুরগি কেজি ৬৩০ টাকা, ব্রয়লার ২১০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। আশপাশে কয়েকটি দোকানে ঘুরে মিলল একই চিত্র। এ ছাড়াও ব্রয়লার মুরগির ডিম ডজন ১৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়।
কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁপে কেজি ৭০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শিম ১৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ফুলকপি ১৪০ টাকা ও শসা ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই। নিজেদের স্বার্থে ও আইএমএফ’র পরামর্শে যেভাবে ট্যাক্স ধরা হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কষ্টের হয়ে উঠবে। এ বাজেটের কারণে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার বিসিক মিলনায়তনে উত্তরা কালচারাল সোসাইটির ১৫তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘চাপিয়ে দিয়ে এ বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে না। কারণ সম্পূর্ণ ঋণ নির্ভর বাজেট বাস্তবায়ন হয় না। মানুষের গলায় রশি লাগিয়ে সরকার বাজেট অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় করতে পারবে না। রিজার্ভ সংকটের কারণে বিদেশি ঋণ পাওয়াও সহজ হবে না। আর দেশি ব্যাংকগুলো এখনই ঋণ দিতে পারছে না। সরকারকে টাকা ছাপিয়ে টাকার সংকুলান করতে হচ্ছে। টাকা আরও ছাপাতে হবে। এতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। মূল্যস্ফীতি লাগাম ছাড়া হয়ে উঠবে। এখনই মানুষের জীবন বাঁচাতে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বাজেট বাস্তবায়ন হলে মানুষের অবস্থা কেমন হবে তা জানি না। এ বাজেটের কারণে দারিদ্র্যের সংখ্যা আরও বাড়বে। যারা মধ্যবিত্ত হিসেবে সম্মানের সঙ্গে আছেন, তাদের দরিদ্র হবার আশঙ্কা রয়েছে। এ বাজেটের কারণে দেশে বিপর্যয় নেমে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদে সার্কাস চলছে। সংসদে গণমানুষের কথা বলা যায় না। গণমানুষের কথা বললে অবান্তর মনে করা হয়। এমন বাস্তবতা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।’
উত্তরা কালচারাল সোসাইটির সভাপতি শেরিফা কাদের এমপির সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন আইটিআই বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক দেব প্রসাদ দেবনাথ, উত্তরা কালচারাল সোসাইটির উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. ইউনুস আলী ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল মাহমুদ ইয়ং।
পরে উত্তরা কালচারাল সোসাইটি ও রাঙামাটির জুম কালচারাল সোসাইটির শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বাজেট
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এক-এগোরোর মতোই আবার তৎপরতা শুরু করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত ঘোষণা এবং হাইকোর্টে তার ১২ কোটি টাকা আয়কর দেওয়ার রায়ের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন সরকারের বিরুদ্ধে মরিয়া হয়ে গেছেন। আর এ কারণেই তিনি তার অনুগতদেরকে আবার সক্রিয় করছেন। বিভিন্ন সুশীলদের নিয়ে তিনি দফায় দফায় বৈঠক করছেন। এছাড়া মার্কিন দূতাবাস সহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতকেও তিনি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার এক ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে যে আগামী কয়েকদিন ইউনূস এ নিয়ে ব্যাপক তৎপরতা চালাবেন। তার কৌশলটা হল তার বিরুদ্ধে মামলা এবং আয়কর ফাঁকির রায় নিয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন না। বরং সরকারের বিরুদ্ধে তিনি আন্তর্জাতিক ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাবেন এবং সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করবেন। যেটি তিনি করেছিলেন ২০০৭ সালে।