বিশিষ্ট পরিবেশ
বিজ্ঞানী এবং রাজনৈতিক কর্মী ডঃ মোঃ
আওলাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালি জাতির অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন আজ। বীরের
জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন আজ।
পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন
ভূখণ্ডের জন্ম হয়েছে আজ।
আজ রোববার
(২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও
জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কদমতলী থানা
কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির
বক্তব্যে তিনি এহব কথা বলেন।
আওলাদ
হোসেন বলেন, কোনো দেন দরবার নয়,
কারও দয়ায় নয়, ত্রিশ
লক্ষ শহীদের রক্ত ও দুই
লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের
বিনিময়ে অর্জন করেছি এই স্বাধীনতা। আজ
শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি বাংলাদেশের এই
মহা বিজয়ের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানকে। আজ বিনম্র শ্রদ্ধা
নিবেদন করছি মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের
সকল শহীদদের প্রতি।
তিনি বলেন,
৫২ বছর আগে আজকের এই
দিনে উদয় হয়েছিল এক
নতুন সূর্যের। সেদিনের সেই সূর্যের আলোয়
ছিল নতুন নিদের স্বপ্ন।
যে স্বপ্নে অকাতরে প্রাণ দিয়েছিল এ দেশের ৩০
লক্ষ্য মানুষ। এত বছর পূর্ণ
হলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। ১৯৭৫
সালের ১৫ আগস্ট আমরা
হারিয়েছি আমাদের মহান নেতা জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর পক্ষালবম্বনকারী আন্তর্জাতিক শক্তি, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে যারা
“তলা বিহীন ঝুড়ির” দেশ বলে আখ্যায়িত
করেছিল, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও
সেই একই আন্তর্জাতিক শক্তি
ও একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা পূনরায়
ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন,
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
নেতৃত্বে বাঙালি জাতি সকল ষড়যন্ত্রের
বেড়াজাল ছিন্ন করে স্বাধীনতার লাল
সূর্য ছিনিয়ে এনেছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত
ধরে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ
আজ উন্নয়নের বিস্ময়। সারা বিশ্বের উন্নয়নের
রোল মডেল।
২০৪১
সালের মধ্যে দেশেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা এখন মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মূল
লক্ষ্য জানিয়ে আওলাদ হোসেন বলেন,
কোন ষড়যন্ত্রই রুখতে পারবে না বাঙালি জাতির
এই অগ্রযাত্রা। ১৯৭১ এর ন্যায়
সকল ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার
নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, এই
কামনা আমাদের সবার।
মোহাম্মদ
নাছিম মিয়ার সভাপতিত্বে সকাল এগারোটায় অনুষ্ঠিত
এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, শ্যামপুর
থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল
হোসেন, ৫৪ নং ওয়ার্ড
আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত
মুফতি, ঢাকা মহানগর মহিলা
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাকসুদা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌসী ইয়াসমিন পপি, ৫২ নং
ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট ফারুক হোসেন, ৫৩ নং ওয়ার্ড
আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী মহব্বত হোসেন,
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ
আহমেদ, ঢাকা জেলা পরিষদের
সাবেক নির্বাচিত সদস্য আলমগীর হোসেন, কদমতলী থানা আওয়ামীলীগের সাবেক
সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম,
রোখসানা বেগম পারুল, শহীদ
মাহমুদ হেমী, কাজী জাহিদ, কদমতলী
থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী আয়েশা আলম, কদমতলী থানা
পূজা কমিটির সভাপতি স্বপন দাস, প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই। নিজেদের স্বার্থে ও আইএমএফ’র পরামর্শে যেভাবে ট্যাক্স ধরা হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কষ্টের হয়ে উঠবে। এ বাজেটের কারণে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার বিসিক মিলনায়তনে উত্তরা কালচারাল সোসাইটির ১৫তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘চাপিয়ে দিয়ে এ বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে না। কারণ সম্পূর্ণ ঋণ নির্ভর বাজেট বাস্তবায়ন হয় না। মানুষের গলায় রশি লাগিয়ে সরকার বাজেট অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় করতে পারবে না। রিজার্ভ সংকটের কারণে বিদেশি ঋণ পাওয়াও সহজ হবে না। আর দেশি ব্যাংকগুলো এখনই ঋণ দিতে পারছে না। সরকারকে টাকা ছাপিয়ে টাকার সংকুলান করতে হচ্ছে। টাকা আরও ছাপাতে হবে। এতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। মূল্যস্ফীতি লাগাম ছাড়া হয়ে উঠবে। এখনই মানুষের জীবন বাঁচাতে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বাজেট বাস্তবায়ন হলে মানুষের অবস্থা কেমন হবে তা জানি না। এ বাজেটের কারণে দারিদ্র্যের সংখ্যা আরও বাড়বে। যারা মধ্যবিত্ত হিসেবে সম্মানের সঙ্গে আছেন, তাদের দরিদ্র হবার আশঙ্কা রয়েছে। এ বাজেটের কারণে দেশে বিপর্যয় নেমে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদে সার্কাস চলছে। সংসদে গণমানুষের কথা বলা যায় না। গণমানুষের কথা বললে অবান্তর মনে করা হয়। এমন বাস্তবতা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।’
উত্তরা কালচারাল সোসাইটির সভাপতি শেরিফা কাদের এমপির সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন আইটিআই বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক দেব প্রসাদ দেবনাথ, উত্তরা কালচারাল সোসাইটির উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. ইউনুস আলী ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল মাহমুদ ইয়ং।
পরে উত্তরা কালচারাল সোসাইটি ও রাঙামাটির জুম কালচারাল সোসাইটির শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বাজেট
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খপ্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আফছারুল আমীন ভাই মৃত্যুকাল অবধি দেশ ও দশের প্রতি দায়িত্বপালন করে গেছেন।’
শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭২ বছর বয়সে ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধরত ডা. আমীনের ইন্তেকালের সংবাদে শোকাহত তথ্যমন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তাঁর শোকাহত পরিবেরের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত ডা. আফছারুল আমীন পূর্বে সরকারের নৌপরিবহণ ও পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বপালন করেছেন।’
আর চলতি মেয়াদে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এভাবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেশ ও মানুষের জন্য কর্মের দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন ডা. আফছারুল আমীন। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি।’
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। শুক্রবার (২ জুন) প্রতিমন্ত্রী এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডা. আফছারুল আমীন আজীবন দেশের মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন দেশপ্রেমিক ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদকে হারালো।’
উল্লেখ্য, ডা. আফছারুল আমীন আজ (২ জুন) আনুমানিক বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ক্যান্সার ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
ডা. আফছারুল আমীন মৃত্যু সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী শোক
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। শুক্রবার (২ জুন) এক শোকবার্তায় বাণিজ্যমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় টিপু মুনশি বলেন, ‘টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত ডা. আফছারুল আমীন সরকারের নৌপরিবহণ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিককে হারালো।’
উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ডা. আফছারুল আমীন মৃত্যু বাণিজ্যমন্ত্রী শোক
মন্তব্য করুন
এক-এগোরোর মতোই আবার তৎপরতা শুরু করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত ঘোষণা এবং হাইকোর্টে তার ১২ কোটি টাকা আয়কর দেওয়ার রায়ের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন সরকারের বিরুদ্ধে মরিয়া হয়ে গেছেন। আর এ কারণেই তিনি তার অনুগতদেরকে আবার সক্রিয় করছেন। বিভিন্ন সুশীলদের নিয়ে তিনি দফায় দফায় বৈঠক করছেন। এছাড়া মার্কিন দূতাবাস সহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতকেও তিনি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার এক ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে যে আগামী কয়েকদিন ইউনূস এ নিয়ে ব্যাপক তৎপরতা চালাবেন। তার কৌশলটা হল তার বিরুদ্ধে মামলা এবং আয়কর ফাঁকির রায় নিয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন না। বরং সরকারের বিরুদ্ধে তিনি আন্তর্জাতিক ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাবেন এবং সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করবেন। যেটি তিনি করেছিলেন ২০০৭ সালে।