‘সবুজ যুদ্ধ, সবুজে মুক্তি, একসাথে জলবায়ু পরিবর্তন রুখি’- এই স্লোগান নিয়ে ব্যতিক্রমী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে গ্লোবাল ল থিঙ্কার্স সোসাইটি নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
রোববার (২৬ মার্চ ) স্বাধীনতা দিবসে ২৬ মিনিটের ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ডের এ আয়োজনটি ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউ হতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় সবুজে যুদ্ধ, সবুজে মুক্তি স্লোগানে মুখরিত হয় মানিক মিয়া এভিনিউ।
ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের নির্বাহী কো-অর্ডিনেটর ও পরিবেশ কর্মী শরীফ জামিল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে স্কাউটের জাতীয় উপ কমিশনার (স্বাস্থ্য) জামাল উদ্দীন শিকদার, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ডেইভ ডাউলন্ড। বক্তব্য রাখেন জিএলটিএসের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল আলম জন, জিএলটিএসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং গার্ডিয়ান অফ দ্যা আর্থের উদ্যোগতা রাওমান স্মিতা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, জিএলটিএস এর সহ-সংগঠন গ্রীণ ইউনাইটেড ন্যাশনের কো-ফাউন্ডার মো. মাহির দাইয়ান।
শরীফ জামিল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন মহাবিশ্বে মহা সমস্যা এবং বিপর্যয় হয়ে দাড়িয়েছে। সময় এখন সবুজ রক্ষায় যুদ্ধে নামার। ২৬ মিনিটের এ মানববন্ধন সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসকে। বাংলাদেশকে আবারো চিনবে বিশ্ব। ডেইভ ডাউলন্ড অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করেন এবং বিশ্বকে সবুজ বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
আহসানুল আলম জন বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে এবং এর মাধ্যমেই সংহতি তৈরি হবে পরিবেশ বাঁচানোর জন্য। বাংলাদেশের নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষার জন্য ১ কোটি গাছ লাগানোর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাওমান স্মিতা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশ শিক্ষা মূলক ক্যাম্পেই শুরু করবেন বলেও জানান।
প্রসঙ্গত, গ্লোবাল ল থিঙ্কার্স সোসাইটি পরিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হতে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীকে একত্রিত করার লক্ষ্য ‘গার্ডিয়ান অফ দ্য আর্থ’ নামক ২০৩০ সাল অবধি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিতকরণের জন্য উদ্যেগ নিয়েছে। বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে বিশ্বের শিক্ষার্থী ও বহু পেশাজীবিদের নিয়ে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় অগ্রসর হচ্ছে জিএলটিএস। এরই ধারাবহিকতায় স্বাধীনতা দিবসে রোববার ৫টি মহাদেশের ১০টি দেশ (ভারত, নেপাল, মেক্সিকো, পাকিস্তান, মালয়, আইভরি কোস্ট, হাংগিরি, গাম্বিয়া, ক্যমেরুন, অস্ট্রেলিয়া) ও বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের ৯ জেলায় (ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, সিলেট ও বরগুনা), সবুজ বিশ্ব গঠনের প্রতিশ্রুতি এবং সংহতি দেখানো হয়। বাংলাদেশ থেকে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ স্কাউট, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ইপসা, আমরা সবাই ফাউন্ডেশন, সম্প্রতি ও সৌহার্দ, সিএসডাব্লিউপিডিসহ আরো অনেকে। আমেরিকা মহাদেশ থেকে আবনার প্লাটা, অস্ট্রেলিয়া থেকে ৯৮/০০ নিউ এক্ট, ইউরোপ থেকে মাইন্ডফুলেয়েন্সার, আফ্রিকা থেকে গার্লস রাইজিং মালাউই, সেইভ লাইফ গাম্বিয়া এবং এভিএসডি, এশিয়া থেকে লুম্বিনি ওয়ার্ল্ড পিস নেপাল, ইন্ডিয়া থেকে মাউন্ড গাইড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং পিস অফ পাকিস্তান অংশগ্রহণ করেছে।
বিশ্ব সর্ববৃহৎ সবুজ মানব প্রাচীর জিএলটিএস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।