ইনসাইড বাংলাদেশ

সাইবার সন্ত্রাসীদেরকে রুখতেই হবে!


Thumbnail সাইবার সন্ত্রাসীদেরকে রুখতেই হবে!

সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর আওতায় পড়ে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্ম। এ সকল প্লাটফর্মে তাদের নিজস্ব প্রণিত নিয়ম সোশ্যাল কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস বা সোশ্যাল কমিউনিটি গাইডলাইনস ব্যথিত আর কোনো ধরনের সেন্সর না থাকার কারণে বিশ্বের যে কোনো স্থান থেকে- যে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি- এমনকি রাষ্ট্র প্রধান সম্পর্কেও মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া গল্প-গুজব বানিয়ে প্রচার এবং প্রকাশ করা হরহামেশাই চোখে পড়ছে। বাংলাদেশের সরকার, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এমনকি সরকার প্রধানও এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া গল্প-গুজব এবং অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন বারবার।  

বাংলাদেশের সাইবার আইন অনুযায়ী এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য প্রকাশ ও প্রচার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু দেশের সীমানার বাইরে থেকে এই সাইবার সন্ত্রাসীরা মিথ্যা, বানোয়াট, বিকৃত এবং মনগড়া তথ্য প্রকাশ করে দেশে এবং দেশের বাইরে গণমানুষের মনে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রতিদিনই। কিন্তু এসবের প্রতিকার কি? প্রতিরোধ করার উপায় কি? এখনই সময় এসব সাইবার সন্ত্রাসীদের রুখে দেবার। এসব সাইবার সন্ত্রাসীদের রুখতেই হবে। 

সূত্র জানায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফরকে কেন্দ্র করেও এ ধরনের মিথ্যাচার এবং গুজব ছড়ানো হয়েছে। অতি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ৪০তম রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অুনষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (৫ মে) লন্ডন পলমলে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের মার্লবোরো হাউসের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক কক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও  যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যে বৈঠকের ছবি বাংলাদেশের মূল ধারার গণম্যাধ্যম এবং বিশ্ব গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত এবং প্রকাশিত হয়েছে। 

দেশের মূলধারার গণমাধ্যম এবং বিশ্ব গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফরে যুক্তরাজ্যের (ইউকে) প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, ‘আপনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।’ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ঋষি সুনাক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আমি আপনাকে অনেক বছর ধরে অনুসরণ করছি। আপনি একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা।’

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, তার দুই মেয়ে এবং স্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভক্ত। সুনাক চান- তার মেয়েরা যেন শেখ হাসিনার মতো নেতা হন। সুনাক বলেন, ‘আপনি আমার দুই মেয়ের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা।’    

অথচ এই সাইবার সন্ত্রাসীরা বলছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কোনো বৈঠকই হয়নি। এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট, গুজব, অপপ্রচার সাইবার আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব সাইবার অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা এখন সময়ে দাবি।

সূত্রমতে, মুশফিকুল ফজলে আনসারি নামের একজন বাংলাদেশি ব্যক্তি আমেরিকায় অবস্থান করার সুবাধে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার ফেইসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে এসব অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সে সব সময়ই বাংলাদেশের বর্তমান সরকার, সরকার প্রধান এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া গল্প তার ফেসবুক প্রোফাইলে এবং ইউটিউবে প্রচার করে থাকে। এ ধরনের সাইবার সন্ত্রাস বাংলাদেশের সাইবার আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেই জানিয়েছে সূত্র।    

মুশফিকুল ফজলে আনসারির ফেইসবুক প্রোফাইল পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশের সরকার বিরোধী মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া বিভিন্ন কন্টেন্ট, সরকারের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে সরাসরি কটাক্ষ করে মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া কন্টেন্ট এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন সংবাদ তার ফেসবুক প্রোফাইলে শোভা পাচ্ছে। এছাড়াও, সে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওয়াশিংটন সফরকে ঘিরে সরকার বিরোধী বিভিন্ন ব্যক্তিদের প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট এবং নেতিবাচক বক্তব্য বা কন্টেন্ট তার টাইমলাইনে দিয়ে রেখেছে।

এছাড়াও, বেশ কিছুদিন থেকেই পিনাকি ভট্টাচার্য নামের একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। সে সম্প্রতি সরকারি বিভিন্ন আমলা এবং সরকার দলীয় নেতারা বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে বিদেশে পাচার করার মিথ্যা তথ্য দিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করে ফেসবুক এবং ইউটিউবে ছড়িয়ে দিয়ে জনগণের মাঝে বিভ্রন্তি ছড়িয়েছে। ওই কন্টেন্টে সে বাংলাদেশ সরকারকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেও অভিহিত করেছে। তাছাড়া, বাংলাদেশের সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে কন্টেন্ট তৈরি, এমনকি কুৎসিত, অসংলগ্ন ভাষা ব্যবহার করেও কন্টেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। সেসব কন্টেন্টগুলো সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে।         

সূত্র আরও জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে টিটো রহমান এবং নাজমুস সাকিবের নামে গত রোববার (৭ মে) রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা হয়। মামলাটির বাদী হয়েছেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইব্রাহীম আলী ও আনিস মিয়া। একইসঙ্গে মামলায় ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে রংপুরের সিআইডি পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ড. আব্দুল মজিদ। মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শাম্মি আক্তার, আজগার আলী, আমিনুল ইসলাম, আহসান হাবীব জুয়েলসহ কয়েকজন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রুহুল আমিন তালুকদার।   

অভিযুক্ত টিটো রহমান রাজধানীর জিগাতলা এলাকার মৃত ডা. মতিনুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে কানাডা প্রবাসী। ‘নাগরিক টিভি’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিজের পরিচয় দেন তিনি। নাজমুস সাকিব সবুজবাগ এলাকার জলিলুর আজমের ছেলে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নাজমুস সাকিব নিজের পরিচয় দেন নাগরিক টিভির বার্তা সম্পাদক হিসেবে।

সূত্রটি দাবি করছে, এ ধরনের অপরাধে শুধুমাত্র বাংলাদেশের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করলেই হবে না। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এই সকল সাইবার সন্ত্রাসীদের যে কোনোভাবে রুখতেই হবে। এখন বাংলাদেশে একটিই সমস্যা, সেটা হচ্ছে এই সাইবার সন্ত্রাস। এরা বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন জায়গায় এমনভাবে আক্রমণ করছে, যাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। 

সূত্রটি বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যেসব ব্যক্তিরা এসব সাইবার সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের নেপথ্যে থেকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক লন্ডনে বসে থেকে এবং বাংলাদেশ থেকে দলীয় পদ বাণিজ্য, চাঁদা বাণিজ্য প্রভৃতির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে এসব সাইবার সন্ত্রাসীদের পৃষ্টপোষকতা দিয়ে লালন-পালন করছে। সোশ্যাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশের সরকার এবং সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তিদের বিতর্কিত করতেই এই সাইবার সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে তারেক রহমান।      

এসব সাইবার সন্ত্রাসীদের রুখতে হলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেরও এখনই পদক্ষেপ দিতে হবে। যেমন, কানাডা এবং ভারত ইতিমধ্যেই গুগলের কাছে আবেদন জানিয়েছে, এসব সাইবার সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের দেশে ফেসবুক এবং ইউটিউবের অফিস করার জন্য। বাংলাদেশেরও এখনই সময় সাইবার সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার।  


সাইবার   সন্ত্রাস   অপপ্রচার   প্রপাগাণ্ডা   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সচিবালয় ক্লিনিকে বদলি আতঙ্কে কর্মকর্তারা

প্রকাশ: ১০:৩৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সচিবালয় ক্লিনিক থেকে দুই দিনে সাত চিকিৎসককে বদলি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের নির্দেশে হঠাৎ এই বদলির ফলে অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বদলির আতঙ্কে রয়েছেন। 

জানা গেছে, মঙ্গলবার সচিবালয়ের এক চিকিৎসককে কিশোরগঞ্জে বদলি করা হয়। গতকাল বুধবার আরও ছয়জনকে চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও রংপুরের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বদলি করা হয়। নার্স, ফার্মাসিস্ট ও পিয়নসহ অন্য সবাইকে বদলি করার প্রক্রিয়া চলছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি করিয়েছেন।

সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সচিবালয় ক্লিনিকে অনেকে ১০ থেকে ১২ বছর ধরে রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বলেছি, দীর্ঘদিন যারা কাজ করছেন তাদের পর্যায়ক্রমে বদলি করতে। কিন্তু তারা (সচিবালয় ক্লিনিকের কর্মকর্তারা) বিষয়টির ভিন্নভাবে বলছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিকে চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট, পিয়নসহ প্রায় ৫০ জন রয়েছেন। 

সচিবালয় ক্লিনিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যশোর ডিওএইচএসে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন

প্রকাশ: ১০:২৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যশোর প্রতিরক্ষা অফিসার হাউজিং সোসাইটি- ডিওএইচএস এলাকায় মাসব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা-২০২৪ শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মাসব্যাপী এ শিল্প মেলার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেজর মোঃ গোলাম হায়দার (অবঃ)। যশোর সেনানিবাসের ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এ. ডাব্লিউ. এম রায়হান শাহ এর সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট শ্যামল কুমার রায় (অবঃ)।

মাসব্যাপী শুরু হওয়া এই মেলায় সার্কাস এবং চ্যানেল আইয়ের শিল্পীদের দ্বারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন রাইডস এর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও মেলায় কুটির শিল্পের পণ্য সামগ্রীর বিভিন্ন ধরনের স্টল রয়েছে।

যশোর   ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যাদের কোন ধর্ম নেই তারাই শ্রমিক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরের মধুখালী পঞ্চপল্লিতে নির্মাণ শ্রমিক দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা খুবই দুঃখজনক ও হৃদয় বিদারক উল্লেখ্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘যাদের কোন জাত নেই, যাদের কোন ধর্ম নেই’ তারাই দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা খুনি। এই ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। 

তিনি বলেন, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা মুসলিমও না, হিন্দুও না। তাদের কোনো ধর্ম নেই।
 
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। এর আগের দিন বুধবার রাতে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি।
 
মন্ত্রী বলেন, অপরাধীরা মনে করেছে, এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে পার পেয়ে যাবে! তার কোন সুযোগ নাই। হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে আইনের ধারানুযায়ী হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিন্ত করা হবে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় ১৫ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের সমাজে কে হিন্দু, কে মুসলমান কে কোন জাতি এটা বড় বিষয় নয়, আমরা সকলেই মানুষ। কোন মানুষই এ ঘটনাটিকে মেনে নিতে পারছে না। সকলেই শোকাহত পরিবারটির পাশে দাড়িয়েছেন।
 
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দ্যেশে এসময় মন্ত্রী বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করছেন হত্যাকান্ডের তথ্য উদঘাটন করার জন্য। কেউ কেউ ঘটনাটিকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য হয়তো চেষ্টা চালাচ্ছেন। সেদিকে আপনারা সতর্ক অবস্থানে থাকুন। কোন ভাবেই শান্তি প্রিয় এ এলাকাকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে। যে ঘটনাটি ঘটেছে তার সঠিক বিচার শীঘ্রই হবে। যা নিহত দুই ভাইয়ের মা-বাবা দেখে যেতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
 
এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দ্যেশে এ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও মৎস্য মন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে যার যার এলাকায় নেতৃত্বস্থানীয় লোকজন নিয়ে সভা করেন। লোকজনকে বুঝিয়ে বলুন যে, দুই শ্রমিক হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার শীঘ্রই হবে। ঘটনাটি নিয়ে আবেগী হয়ে আপনারা কোন বিষয়ে উস্কানি দিবেন না। এলাকায় পাহারার মত অবস্থানে থাকুন। প্রয়োজনে আপনারা প্রশাসনকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। তিনি বলেন, কোন দল বা কোন সংগঠন যারাই এই পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে আসবেন, তাদেরকে আমি ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিবো। তবে এ ঘটনাকে ইস্যু করে কোন ধরণের অশান্তি সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামনুন আহমেদ অনীকের সভাপতিত্বে সম্প্রীতি কমিটির সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিহত দুই শ্রমিকের বাবা শাহাজাহান শেখ, মধুখালী সার্কেলের এএসপি মিজানুর রহমান, ফরিদপুর ইসলামীক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু, পৌর মেয়র মোর্শেদ রহমান লিমন, উজানদিয়া মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ আলম হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুবাস রায় প্রমুখ। সভায় বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর বদরুল হুদা আকরাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
 
উল্লেখ্য, ১৮ এপ্রিল ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীর মন্দিরে আগুনের অভিযোগে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনার একদিন পর থানায় মামলা তিনটি নথিভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় মোট ১৫জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বুধবার রাতে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   আব্দুর রহমান   ফরিদপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আইপিএস নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।’
 
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘এটা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি। এই অঞ্চলের সব দেশ নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অন্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারে। গঠনমূলক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে থেকেই  দিক থেকে বলছি। কেন এটা বলছি? স্বাধীনতার পর থেকে দ্রুততার সঙ্গে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সামর্থ্য ও অবদানের সক্ষমতা দেখেছি। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সামর্থ্যের পাশাপাশি অন্যের সহায়তাও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে আমরা গর্বিত। উদাহরণ হিসেবে মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা এক বিরাট দৃষ্টান্ত।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে।’


ভারত   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   মার্কিন দূতাবাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মধ্যপ্রাচ্যে ঝুঁকছে বাংলাদেশ?

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। 

আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে। 

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷ 

দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে। 

তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের  দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।


মধ্যপ্রাচ্য   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন