আগামী ১৭ মে ঢাকায় আসছেন চরম দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ওলিভিয়ার ডি শ্যুটার। দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে তিনি ১৭ থেকে ২৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন।
দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ, প্রতিবেদন ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল কর্তৃক স্বাধীন বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন ওলিভিয়ার ডি শ্যুটার।
বাংলাদেশ সফর নিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- কীভাবে এই অর্জন অক্ষুন্ন রাখা যায় এবং সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে সমানভাবে এর সুফল নিশ্চিত করা যায়। এ সফরের ফলে আমি উক্ত বিষয়ে আরও বেশি শুনতে ও জানতে পারবো এবং অর্থনৈতিক ও জলবায়ুজনিত অভিঘাতের প্রেক্ষাপটে মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত রাখতে ও সকলের জন্য মানসম্পন্ন জীবনমান নিশ্চিতকরণে সরকার যাতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে পারে, সেসব বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দিতে পারবো।
সফরকালে জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ ঢাকা ও রংপুর বিভাগের কিছু স্থান এবং কক্সবাজার পরিদর্শন করবেন। তিনি এসব অঞ্চলের স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, দারিদ্র্যপীড়িত সম্প্রদায় ও মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়াও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কার্যকারিতা নিরূপণে ডি শ্যুটার দারিদ্র্যের ওপর বাংলাদেশের শ্রম আইন, স্বাস্থ্যসেবা, গৃহায়ণ এবং শিক্ষা ব্যবস্থার প্রভাবসমূহ পর্যবেক্ষণ করবেন। নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ, তৈরি পোশাক কর্মী এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ যে সকল গোষ্ঠী দারিদ্র্য বৈষম্যের শিকার তাদের অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি।
আগামী ২৯ মে ডি শ্যুটার তার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শসমূহ ঢাকায় একটি সাংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পেশ করবেন। এরপর ২০২৪ সালের জুনে জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে পেশ করবেন।
মন্তব্য করুন
ভিসা নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন কমিশন
মন্তব্য করুন
ঢাকা সফর মার্কিন দূত রেনা বিটার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ভিসা নিষেধাজ্ঞা
মন্তব্য করুন
ভিসা নিষেধাজ্ঞা শেখ হাসিনা শেখ হাসিনার ট্রাম্পকার্ড
মন্তব্য করুন
ভিসা নিষেধাজ্ঞা ব্যবসায়িক আমলা পুলিশ নির্বাচন ভিসা নীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের এখন পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচন কমিশন জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন করার কথা ভাবছে। কিন্তু এর আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের কতিপয় ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ শুরু করেছে। তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি চায়? নির্বাচনের যখন তফসিলই ঘোষণা করা হয়নি তার আগেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কেন? এই প্রশ্নটি কূটনীতিক অঙ্গনে এখন বড় করে আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাহলে কি বাংলাদেশে অন্য কোনো পরিস্থিতি তৈরি করার জন্যই এরকম ভিসা নীতি প্রয়োগ করছে? এ ব্যাপারে অবশ্য কূটনৈতিকদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, বিরোধী দলের নেতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসন ওপর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যখন এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেখার পর তাৎক্ষণিকভাবে তিনি যে প্রতিক্রিয়া দেন তা ছিল সাহসী এবং দীপ্ত। তিনি এই ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে পাত্তা দেননি। বরং নির্বাচনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তাই দিয়েছেন। ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে তিনি অভয় দিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিকের ওপর যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা রাজনৈতিক অঙ্গনে ভালোমতোই প্রভাব ফেলেছে। তবে রাজনীতিবিদরা ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আতঙ্কিত নয়। ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণে সবচেয়ে আলোড়িত রাজনৈতিক দল অবশ্যই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরই এই ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা। তবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের মধ্যে খুব কমই ভিসা নীতিতে প্রভাবিত হবেন এবং ভিসা নীতি নিয়ে তাদের কোনো রকম গুরুতর রাজনৈতিক সমস্যা হবে—এটি তারা মনে করছেন না। বরং এরকম ভিসা নিষেধাজ্ঞা পেলে রাজনীতির মাঠে তাদের জনপ্রিয়তা প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়বে এবং ক্ষমতাসীন দলে তারা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।