আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই হবে এবং তা অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৪ মে) দোহার র্যাফলস হোটেলে কাতার ইকোনোমিক ফোরামে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’-শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাতার ইকোনোমিক ফোরামের এডিটর অ্যাট লার্জ হাসলিন্ডা আমিন। সঞ্চালক এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অর্থনীতি-রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী তার জবাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগে-পরে অন্যান্য দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও এই ‘কথোপকথন’ হয় এবং আলাদা আলাদা সঞ্চালকরা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রশ্ন করেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে হাসলিন্ডার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সরকারের অধীনে নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসকরা বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। তখন নির্বাচনটা শুধু একটা খেলা ছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নত দেশ হওয়া উচিত। সেটিই আমার লক্ষ্য। জনগণের অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠিত করেছি। কেন আমি সেটা নষ্ট করব? অবশ্যই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’
নির্বাচনে সব দলের অংশ নেওয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা (বিএনপি) স্বাচ্ছন্দ্যবোধ নাও করতে পারে। কিন্তু অন্য অনেক দল আছে, যারা নির্বাচনে অংশ নেবে।’
তিনি বলেন, ‘কিছু দল আছে যারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারা কীভাবে অংশ নেবে? তাদের আমলে দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমাদের জনগণ কষ্ট পেয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে গিয়েছিল। দেশের সর্বত্রই ছিল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ। তারা কখনো মানুষকে নিয়ে ভাবেনি। আমাদের জনগণের দিনে এক বেলা খাবার পাওয়া ছিল খুব কঠিন। এই ছিল তখন দেশের পরিস্থিতি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জনগণের সবকিছু নিশ্চিত করেছে। তাই এখন নির্বাচন, এটা তো জনগণের অধিকার। আমরা জনগণের জন্য কী করেছি, মানুষ তা বুঝতে পেরেছে। তারা যদি আমাদের ভোট দেয়, আমি এখানে আছি, যদি না দেয়, ঠিক আছে।’
শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে তার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা এবং পরে দেশে ফিরে আসার কথা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘তখন থেকে আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি। এটা ছিল আমাদের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার সংগ্রাম এবং আমরা এটি করেছি।’
বিএনপিকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তো কেউ কোন প্রশ্ন তোলেনি। কী ছিল সেই নির্বাচনের ফলাফল? যে দলটি (বিএনপি) প্রশ্ন তোলে, তাদের দল, তাদের নেতৃত্বাধীন ২০ দল মিলে সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল।’
শেখ হাসিনা দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘তিনি এখানে আছেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। কারণ জনগণেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কে দেশ পরিচালনা করবে।’
তিনি বলেন, ‘এটি (ভোট) জনগণের শক্তি, আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই। আমি এখানে ক্ষমতা দখল করার জন্য নয় বরং আমি আমাদের জনগণের ক্ষমতায়ন চাই। তাদের সরকার বেছে নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত।’
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিভিন্ন উপ-নির্বাচনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার সরকারের আমলে অনেক উপ-নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। আপনি দেখতে পারেন, কারা সমস্যা তৈরি করছে, আমরা নই। তবে প্রত্যেক নির্বাচনে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে।’
সরকার সবাইকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সুতরাং আমি আপনাকে বলতে পারি, আমি এখানে আছি আমার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং এটা আমাদের সংগ্রাম।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি ক্ষমতায় আছেন দেশের সেবা করতে এবং জনগণের সেবা করতে, যাতে তারা অধিকতর ভালো ও সমৃদ্ধ জীবন পায়।’
বিএনপি অপরাধী ও খুনিদের দল- এমন মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
কাতার ইকোনমিক ফোরাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন আওয়ামী লীগ বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশ লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।