ইনসাইড বাংলাদেশ

বারবার বিভ্রান্ত হচ্ছেন ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম!


Thumbnail বারবার বিভ্রান্ত হচ্ছেন ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম!

সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের দেয়া একটি বক্তব্য প্রধান বিচারপতির নজরে এনেছেন সুপ্রীম কোর্টের জেষ্ঠ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম। ওই দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগের ডায়াসে দাঁড়িয়ে তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশিত মেয়র তাপসের বক্তব্য নিয়ে করা একটি প্রতিবেদন আইনজীবীদের পড়ে শোনান। এ ঘটনার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষুদ্র লোভে পড়ে বারবার বড় বড় ভুলগুলো করছেন তিনি। তিনি বারবার বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তিনি আওয়ামী লীগের লোক হয়ে, এক সময়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনীতি করেও ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্যই এসব কাজ করছেন। তিনি বারবার নিজেও বিভ্রান্ত হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও বিভ্রান্ত ছড়িয়েছেন। এ ঘটনাটিও তার একটি নমুনা।  

সূত্র বলছে, আওয়ামীপন্থী আইনজীবী হিসেবেই পরিচিত ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। চলতি বছরের ১৫ ও ১৬ই মার্চ সুপ্রীম কোর্ট বারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছিল বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা- এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। কিন্তু গত ২২ মে (সোমবার) তিনি এই বিএনপি-জামায়াতপন্থী শীর্ষ আইনজীবীদের জামিন আবেদনের পক্ষে উচ্চ আদালতে শুনানি করেছেন। অন্যতম এই সংবিধান প্রণেতা ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম এই শুনানিতে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের ২৫ জন নেতাকর্মীকে জামিন করান।

তাই রাজনৈতিক অঙ্গণে প্রশ্ন ওঠেছে, ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম একজন প্রবীণ মানুষ। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তিনি বঙ্গবন্ধুর সাহয্যার্থে ছিলেন। এ ধরনের কাজ করা তার কি মানায়? ক্ষুদ্র কিছু লোভে পড়ে তিনি বারবার বড় বড় ভুলগুলো করেন, এটা তার মতো একজন বয়জেষ্ঠ্য ব্যক্তির জন্য করা উচিৎ?     

গত ২৪ মে (বুধবার) সুপ্রীম কোর্টে ‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের দেওয়া এমন বক্তব্যকে আপিল বিভাগের নজরে আনেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। বুধবার (২৪ মে) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগের নজরে আনেন এই আইনজীবী। এ সময় গত রোববার (২১ মে) বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেয়া মেয়র তাপসের বক্তব্য নিয়ে করা পত্রিকার প্রতিবেদনটি বিচারপতিদের পড়ে শোনান তিনি। উত্তরে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা একটু দেখি। এখন কোর্টের কাজ করি।’ 

পরে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের বিষয়টি নিয়ে আর কোনো আলোচনা হয়নি। এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী কায়সার কামাল, সমিতির সাবেক সম্পাদক এম বদরুদ্দোজা ও মো. রুহুল কুদ্দুসসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তারা এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকিরও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  

এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২১ মে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। সংগঠনটির সদস্য সচিব হিসেবে সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেয়র তাপস। সেই অনুষ্ঠানে দেওয়া মেয়র তাপসের বক্তব্য জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি নগর ভবন থেকে শুনি যে, (সুপ্রিম কোর্টে) আমার নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দেওয়া হয়। মনটা চায় (মেয়র পদ থেকে) ইস্তফা দিয়ে আবার (সুপ্রিম কোর্টে) ফিরে আসি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম।’

আর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সর্বোচ্চ আদালতের নজরে আনেন আমীর-উল ইসলাম। আদালত থেকে বেরিয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এটি বড় রকমের অবক্ষয়। এজন্য আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়েছিলাম। আদালত বলেছেন, তারা দেখবেন। আমরা প্রত্যাশা করছি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এটি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন। মেয়র তাপস সুশীল সমাজ সম্পর্কেও কটাক্ষ করে কথা বলেছেন। বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। বিচার বিভাগকে হেয় করেছেন। তার এ বক্তব্য আদালত অবমাননাকর।’

সূত্র জানায়, ব্যারিষ্টার আমীর উল ইসলাম ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার একজন সদস্য। কিন্তু বার বার তিনি ভুল পথে যেয়ে নিজের ক্যারিয়ারটা নষ্ট করেছেন। তিনি একটা রাজনৈতিক স্থিতিশীল চরিত্র হতে পারেন নাই। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্যতম সংবিধান প্রণেতা, সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু ৭৫’র পরে তার ভূমিকা ছিল রহস্যময়। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের সময়ে বিদেশিদের কাছ থেকে চাঁদা তুলেছেন। সেই চাঁদার তহবিল তসরূপের অভিযোগও ওঠেছিল তার বিরুদ্ধে। 

সূত্রমতে, ১৯৯১ সালে যখন ড. কামাল হোসেনরা আওয়ামী লীগ থেকে চলে গেলেন। তখন তিনি আরেকবার বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। তখন তিনি গণফোরামে যোগ দিয়েছিলেন। পরে আবার তিনি আওয়ামী লীগে ফিরে এসেছিলেন। আওয়ামী লীগে ফিরে আসার পর ২০০৭ সালে তিনি সংস্কারপন্থী হয়ে গেলেন। তিনি মাইনাস টু ফর্মুলার দিকে ধাবিত হয়েছিলেন। শেখ হাসিনার মামলাগুলোও তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছেন, তাদের মধ্যে যারা এখনও বেঁচে আছেন, তাদের মধ্যে ব্যারিষ্টার আমীর উল ইসলাম একজন। এখন তিনি সমস্ত রাজনৈতিক পরিচয় জলাঞ্জলী দিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। তার মতো একজন বয়জেষ্ঠ্য ব্যক্তির জন্য বারবার বিভ্রান্ত হয়ে, ক্ষুদ্র স্বার্থের লোভে এ ধরনের নীতি বিরোধী কাজ করা সত্যিই খুব দুঃখজনক। 


ব্যারিস্টার   এম আমির উল ইসলাম   . মেয়র তাপস   আইনজীবী   বিচারপতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ০৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail

নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে রাজধানী ঢাকার পথে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার সকাল ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নতুন এই আন্তঃনগর টেনের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নীলফামারী প্রান্তে অন্যদের মধ্যে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আন্তঃনগর ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৬টায় চিলাহাটি থেকে ছেড়ে বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছবে। আবার সোয়া ৪টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে রাত ১টায় চিলাহাটি পৌঁছবে। আর এ ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে শনিবার। অর্থাৎ শনিবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন ট্রেনটি এ রুটে চলাচল করবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোনারগাঁয়ে মহাসড়কে ডাকাতিকালে চিহ্নিত ডাকাত আটক

প্রকাশ: ১১:৫৯ এএম, ০৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে মো. সেন্টু মিয়া (৩২) নামের এক চিহ্নিত পরিবহন ডাকাত ও চাঁদাবাজকে আটক করেছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। আটককৃত মো. সেন্টু মিয়া সোনারগাঁয়ের সোনাখালি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।  

শনিবার (৩ জুন) রাতে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুরের নয়াবাড়ী এলাকা থেকে উত্তরবঙ্গে চলাচলকারী একটি পরিবহন বাস থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ক্যাশ লুটকালে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার নিকট থেকে লুটকরা ৫ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি (টিআই) মো. ইব্রাহিম জানান, সেন্টু দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চাঁদাবাজি করে আসছিল। উত্তরবঙ্গের যানবাহনগুলো থেকে ক্যাশবাক্স লুট করা তার প্রধান টার্গেট ছিল। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ১২টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রেল দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ০৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail

মোবাইল ফোন কানের দিয়ে রেললাইনে হাঁটা এবং রেলগেট পড়ার পরও গাড়ি চলাচলের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। এর ফলে অল্প খরচে মানুষ যাতায়াত করতে পারে। আরামদায়ক ভ্রমণ করতে পারে।

রোববার (৪জুন) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।  

তিনি বলেন, রেল দুর্ঘটনা ঘটে, ভারতে কী ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে, আপনারা দেখেছেন। এরকম দুর্ঘটনা সচরাচর চোখে দেখা যায় না। একসঙ্গে তিনটি রেল দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে ২৮৮ জন মারা গেছেন। আমি তাদের ও পরিবারের প্রতি শোক জানাচ্ছি। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে শোক বার্তা জানিয়েছি। এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমাদের দুজন বাংলাদেশিও আহত আছেন। এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা সত্যি চিন্তার বিষয়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শীতলক্ষ্যায় তেলবাহী জাহাজের ট্যাংকে আগুন, দগ্ধ ৬

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ০৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি তেলবাহী জাহাজে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে জাহাজে থাকা ৬ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।

রোববার (৪ জুন) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার দরিকান্দি এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- মো. হুমায়ুন (৫৪), মো. ইমতিয়াজ (৪২), মো. রুবেল (৩৮), মো. সোহেল(৩৮), মো. ইমন (৩৫), মো. রাকিব (২৪)।

অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ছয় জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইছাপুরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান।

মাহবুবুর রহমান জানান, রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের দরিকান্দি এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে সাংহাই নামের একটি তেলবাহী জাহাজে রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। এ সময় আগুনের শিখা ২০ থেকে ৩০ ফুট উপরে উঠে যায়। এ সময় জাহাজে থাকা সব শ্রমিক দগ্ধ হন। পরে তাৎক্ষণিক দগ্ধ শ্রমিকদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়।

খবর পেয়ে কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ওই জাহাজের আগুন নেভায়। ঘটনার পর থেকে সাংহাই জাহাজের ম্যানেজার আকবর আলী পলাতক রয়েছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ জাতীয় চা দিবস

প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ০৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail

আজ রোববার (৪ জুন) ‘জাতীয় চা দিবস’। এবারের প্রতিপাদ্য ‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো এবার দিবসটি উদযাপন করা হবে।

রোববার (৪ জুন) সকাল ১০ টায় শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন এবং প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠান শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ দেওয়া হবে আটটি ক্যাটাগরিতে আট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে। এ বছর পুরস্কার পাচ্ছেন— একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান ‘ভাড়াউড়া চা বাগান’, সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান ‘মধুপুর চা বাগান’, শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক ‘আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড’, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়), শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান ‘জেরিন চা বাগান’, বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ কোম্পানি ‘কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেড, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা কোম্পানি ‘গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক) উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।

দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। চা মেলাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে। দর্শনার্থীদের জন্য দিনব্যাপী চা মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলের টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।

দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয় চা। সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে ১৮৫৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে চা শিল্প বিকশিত হতে থাকে। উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশের এ অঞ্চলে চা শিল্পের অগ্রগতি মূলত ব্রিটিশদের মাধ্যমেই হয়েছে।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন