সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি শিশু যাতে সুরক্ষিত পরিবেশে বেড়ে উঠে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। শিশু আইনের বিধান অনুযায়ী গঠিত শিশু কল্যাণ বোর্ড শিশুদের উন্নয়নে কাজ করবে।’
বুধবার (৩১ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রথম সভায় সভাপতি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার শিশুদের আগামীর সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিশু আইন প্রণয়ন করেছে। আইনের বিধানানুযায়ী জাতীয় শিশু কল্যাণ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রথমবারের মত এই বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হলো। শিশুদের কল্যাণে জাতীয় পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যন্ত গঠিত বোর্ডকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করে বাঙালি জাতিকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ২১ বছর স্বাধীনতাবিরোধীরা মিথ্যাচারের মাধ্যমে পাকিস্তানি কায়দায় এ দেশকে পরিচালনা করেছেন। কিন্তু অত্যন্ত গর্বের বিষয় ১৯৯৬ সালে ২৩ জুন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি সেদিন দেশবাসীর কাছে ওয়াদা করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে তিনি সফলভাবে বাস্তবায়ন করবেন। দেশ পরিচালনায় ইতিমধ্যে তিনি একের পর এক অসম্ভবকে সম্ভব করেন। এক সময়ের দুর্ভিক্ষপীড়িত বন্যা কবলিত বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের রোল মডেলে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছেন।’
সভায় বোর্ড সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ শিশু কল্যাণ
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি সরকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মার্কিন ভিসা সরকারি কর্মকর্তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভিসা নীতি নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ভিসা নীতি গণমাধ্যম পিটার ডি হাস মার্কিন রাষ্ট্রদূত
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের নির্বাচন কানাডা ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কয়েকজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ এবং তৎপর। একের পর এক বিভিন্ন মার্কিন কূটনীতিক এবং প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসছেন। তারা সরকার এবং বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ক্রমশ প্রকাশ্য হচ্ছে। তবে এ সমস্ত চাপ এবং হুমকি স্বস্তেও বাংলাদেশ সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের কয়েকজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যারা অবাদ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে এরকম কয়েকজনের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ তদন্তের ভিত্তিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাদের ভিসা বাতিল করেছে সে সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ না করলেও এ ধরনের তথ্য সরকারের কাছে আছে বলেই সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের সঙ্গে কানাডার এখন বিরোধ প্রকাশ্যে। আর এই বিরোধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কানাডার পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু ভারত পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং অখন্ড ভারতের প্রশ্নে তারা কাউকেই ছাড় দেবে না। কানাডার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি প্রতিদিনই নিত্য নতুন মাত্রা নিচ্ছে। একই রকম ইস্যুতেও কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের হতে যাচ্ছে? কূটনীতি অঙ্গনে এই প্রশ্নটি এখন ক্রমশ বড় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গত ২২ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কয়েকজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেতে যাচ্ছে বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।