সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘আবৃত্তিসহ শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন প্রথিতযশা শিল্পীদের সরকার যথাযথ সম্মাননা প্রদান করছে। প্রতিমন্ত্রী হিসাবে আমার দায়িত্বকালীন এই প্রথম দু’জন স্বনামধন্য আবৃত্তি শিল্পীকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে। তারা হলেন যথাক্রমে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবৃত্তি শিল্পীদের কল্যাণে ‘বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সমন্বয় পরিষদ’- এর অনুকূলে দুই কোটি টাকার সিড মানি প্রদান করেছেন। গত বছর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১৮তম দপ্তর হিসাবে যাত্রা শুরু করে ‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’। সব মিলিয়ে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিল্পীদের কল্যাণে বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
বুধবার (৩১ মে) রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আবৃত্তি সংগঠন ‘বৈঠক’ আয়োজিত নন্দিত কবি রাম চন্দ্র দাসের গান ও কবিতা নিয়ে ‘জীবনের জলছবি’-শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘কবি রাম চন্দ্র দাস ইতোমধ্যে নিজেকে একজন খ্যাতিমান কবি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। তিনি প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ টি গান রচনা করেছেন এবং তাঁর প্রায় বারোটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তার নিজেকে নন্দিত কবি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। সেজন্য তাঁকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।’
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
‘বৈঠক’ এর সভাপতি কবি শাহীন রেজা রাসেল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বিশিষ্ট কবি ও গবেষক শ্যাম সুন্দর শিকদার।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ আবৃত্তি শিল্পী
মন্তব্য করুন
চীন ভারত বাংলাদেশ নির্বাচন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন আন্তর্জাতিক মহল বিএনপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি পশ্চিমা নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভবত বিশ্বে বিরল এবং একমাত্র রাজনীতিবিদ যাকে ভারত এবং চীন উভয়ই পছন্দ করে। ভারত এবং চীন বিশ্ব রাজনীতিতে পরস্পর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে। শুধু পরস্পর বিরোধী অবস্থানই নয়, এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই তাদের মধ্যে প্রকাশ্য। ভারত এবং চীনের বিরোধ এখন কোনো নতুন বিষয় নয়। বরং দুই দেশের কূটনীতি এবং বাণিজ্য নীতি একে অন্যকে ঘায়েল করবার জন্যই ব্যবহৃত হয়। অথচ সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে এবং উপমহাদেশের কর্তৃত্বে লড়াইয়ে থাকা চির শত্রু দুই দেশ মাত্র একটি বিষয়ে একমত। তা হল বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাখা। এই একটি বিষয়ে ভারত এবং চীন অবিশ্বাস্যভাবে অভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করছে। এই অভিন্ন অবস্থান তারা কোনো রাখঢাক ছাড়াই ঘোষণা করেছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে হবে তা নিয়ে রাজনীতি অঙ্গনে নানা জল্পনা-কল্পনা, আলাপ-আলোচনা চলছে। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তাও রয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। তিন ভাবে এই নির্বাচন হতে পারে। এই তিন রকম নির্বাচনে তিন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবার সম্ভাবনা রয়েছে। যে তিন ভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো চায় আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হোক। প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এটাই তাদের প্রত্যাশা। আর এই প্রত্যাশা পূরণের জন্য তারা ভিসা নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নীতি সহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কিন্তু এসব আশ্বাসের পরও বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অটল। তারা মনে করছে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় এবং এ ধরনের নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে না বলেও এখন পর্যন্ত তাদের অবস্থান জানিয়েছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো বিএনপিকে আশ্বস্ত করছে যে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও এবার সরকার ২০১৪ বা ২০১৮ এর মতো নির্বাচন করতে পারবে না। এই ধরনের নির্বাচন মোকাবিলা করার জন্য এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আর তাই বিএনপিকে আস্বস্ত করা হচ্ছে, তাদেরকে নির্বাচনে যেতে বলা হচ্ছে। নির্বাচনে গেলে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে এমন আশ্বাসও দেওয়া হচ্ছে।