জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাল্যবিয়ে এবং শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে। শিশুদের বোঝাতে হবে কোনটি ভালো আর কোনটি খারাপ। কোমলমতি শিশুদেরকে মৌলবাদ থেকে সুরক্ষা দিতে হবে। তারা যাতে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তাদের জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। কমিশন স্বতন্ত্র সংস্থা হিসেবে মানবাধিকার সুরক্ষা ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল ১১ টায় শিশুর প্রতি সকল ধরণের সহিংসতা বন্ধ করতে এবং বাল্য বিবাহ মুক্ত দেশ গড়তে শিশু কল্যাণে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এই সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠান নিম্নলিখিত বিষয়ে একযোগে কাজ করবে:-
১. দেশব্যাপী শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারের জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ২০১৮-২০৩০ এর ভিত্তিতে বাল্যবিবাহ মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ,
২. স্থানীয় পর্যায়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটিকে পূর্ণরূপে কার্যকর করা,
৩. বাল্য বিবাহপ্রবণ পরিবারের জন্য বিকল্প জীবিকার সুযোগ তৈরি করা,
৪. বাল্যবিবাহ মুক্ত গ্রাম, ইউনিয়ন, মহল্লা প্রতিষ্ঠা করা,
৫. শিশু আইন- ২০১৩ এর আলোকে অনতিবিলম্বে বিধিমালা প্রণয়ণ করা,
৬. বাল্যবিবাহ বন্ধে সরকারের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০৩০ এর কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, এবং
৭. শিশু অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে শিশুর জন্য আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানাবিধকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য রাখেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার। অনুষ্ঠানটিতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কান্ট্রি ডিরেক্টর সুরেশ বারলেট, সিনিয়র ডিরেক্টর- অপারেশন্স, চন্দন জেড গোমেজ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর (অ্যাডভোকেসি) নিশাত সুলতানা।
শিশু সহিংসতা বন্ধ মানবাধিকার কমিশন ওয়ার্ল্ড ভিশন চুক্তি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।