সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে এসেছেন দুই শতাধিক নেতাকর্মী। যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে এসে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধ মেনে বৃহস্পতিবার প্রচারণায় নামেননি জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। তবে দিনভর প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকালে যুক্তরাজ্য যুবলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মধু ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দেশে আসেন। ওসমানী বিমানবন্দরে তাদেরকে স্বাগত জানান সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আহমদ, মহানগরের সভাপতি আলম খান মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদারসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। গেল প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে যুক্তরাজ্য থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সিলেট আসা শুরু করেন। তারা সিলেটে এসে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় সেখানকার নেতাকর্মীরা দেশে এসে তার প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার কর আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় করেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। কর আইনজীবী সমিতির মেন্দিবাগস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশ নির্বাচনে যদি বিজয়ী হতে পারি তা হলে সিলেটকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। তিলোত্তমা সিলেটের নগরীর অংশীদার হবে সকল নগরবাসী, কেউ বঞ্চনার শিকার হবে না।’
তিনি বলেন, ‘সিলেট নগরীর ভাঙা রাস্তা, জলাবদ্ধতা ও মশার উপদ্রব চরম আকার ধারণ করেছে। আমি নির্বাচিত হলে এসব সমস্যার সমাধান হবে। নির্বাচিত হতে পারলে মাস্টারপ্ল্যান করে সিলেটক নতুনভাবে গড়ব।’
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার নগরীতে দিনভর প্রচারণা চালিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি নগরীর বিভিন্ন স্থানে আলেম-ওলামাদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নগরীর ২৫ ও ২৬নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। রাত ৯টায় তেররতন এলাকায় মহিলা তালিমে অংশ নেন তিনি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান দিনভর প্রচারণা চালালেও বিরত ছিলেন জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারণা চালানোর কারণে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম বাবুলকে শোকজ করেছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রচারণা চালিয়ে গেলেও বাবুল রয়েছেন বিরত। শুক্রবার প্রতীক পাওয়ার পর প্রচারণায় নামার কথা জানিয়েছেন বাবুল।
সিসিক নির্বাচন শতাধিক প্রবাসী আনোয়ারুজ্জামান প্রচারণা
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি সরকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মার্কিন ভিসা সরকারি কর্মকর্তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভিসা নীতি নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ভিসা নীতি গণমাধ্যম পিটার ডি হাস মার্কিন রাষ্ট্রদূত
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের নির্বাচন কানাডা ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কয়েকজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ এবং তৎপর। একের পর এক বিভিন্ন মার্কিন কূটনীতিক এবং প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসছেন। তারা সরকার এবং বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ক্রমশ প্রকাশ্য হচ্ছে। তবে এ সমস্ত চাপ এবং হুমকি স্বস্তেও বাংলাদেশ সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের কয়েকজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যারা অবাদ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে এরকম কয়েকজনের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ তদন্তের ভিত্তিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাদের ভিসা বাতিল করেছে সে সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ না করলেও এ ধরনের তথ্য সরকারের কাছে আছে বলেই সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের সঙ্গে কানাডার এখন বিরোধ প্রকাশ্যে। আর এই বিরোধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কানাডার পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু ভারত পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং অখন্ড ভারতের প্রশ্নে তারা কাউকেই ছাড় দেবে না। কানাডার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি প্রতিদিনই নিত্য নতুন মাত্রা নিচ্ছে। একই রকম ইস্যুতেও কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের হতে যাচ্ছে? কূটনীতি অঙ্গনে এই প্রশ্নটি এখন ক্রমশ বড় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গত ২২ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কয়েকজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেতে যাচ্ছে বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।