ইনসাইড বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র কি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করতে পারে?

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail যুক্তরাষ্ট্র কি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করতে পারে?

২০০৭ সাল। জাতিসংঘে বাংলাদেশস্থ আবাসিক প্রতিনিধি রেনাটা লক একটি চিঠি দেন। সেই চিঠিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই চিঠিটি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এবং এই চিঠির প্রেক্ষিতেই সেনাবাহিনীর তৎকালীন সময়ে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং নির্বাচন বিরোধী একটি শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে, যার প্রেক্ষাপটে এক-এগারো এসেছিল। 

পরবর্তীতে দেখা যায়, রেনাটা লক'র যে চিঠিটি প্রকাশিত হয়েছিল এবং যে চিঠি নিয়ে এক-এগারো’র সরকার আসার পথ তৈরি হয়েছিল, সেই চিঠিটি আসলে জাল করা এবং বিকৃত করা চিঠি। বান কি মুন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অব্যাহত রাখার পক্ষে এবং সংঘাত, সহিংসতা পরিহার করার জন্য একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠিতে সেনাবাহিনীর বিষয়টিকে জালিয়াতি করে উপস্থাপন করা হয়েছিল এবং যার ফলে এক-এগারো আনা হয়েছিল। বাংলাদেশে এখন যখন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা- তখন বাংলাদেশ একটি গুজবের ফ্যাক্টরিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে প্রতিদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা রকম গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ সমস্ত গুজব কেউ কেউ ইদানিং বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। এরকম একটি গুজব হচ্ছে যে, শেষ পর্যন্ত যদি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হয়- তাহলে যুক্তরাষ্ট্র শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করতে পারে। আর এই রকম গুজবটি নতুন ভিসা নীতির পর ডালপালা মেলতে শুরু করেছে।

কিন্তু এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রম এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলেছে, কথা বলে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। 

উল্লেখ্য যে, ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য শান্তি মিশন গঠন করেছিল। শান্তি মিশন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এখন সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী শান্তি মিশনের বিভিন্ন দেশে ৮১ হাজার ৮শ’ ২৪ জন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের সদস্য সংখ্যা ৭ হাজার ২শ’ ৩৭ জন। বিশ্বে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণকারী দেশ। আর ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ যে শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করছে, শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি সদস্যরা সবচেয়ে চৌকষ এবং ভালো কর্মী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে। এই জন্য বাংলাদেশ একাধিক পুরস্কারও পেয়েছে। 

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শান্তিরক্ষা মিশনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু জাতিসংঘের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শান্তিরক্ষা মিশনে কোনো দেশকে নিষিদ্ধ করতে পারে না। এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো নজির নেই। এমনকি যে নাইজেরিয়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র- এখন বাংলাদেশের মতো ভিসানীতি আরোপ করেছে, সেই নাইজেরিয়ার সেনা এবং অন্যান্য কর্মকর্তারাও শান্তিরক্ষা মিশনে আছে। 

শান্তিরক্ষা মিশনে কোন কোন দেশের সদস্যরা অংশগ্রহণ করতে পারে?

শান্তিরক্ষা মিশনের চার্টারে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত যে কোন দেশ এটিতে অংশগ্রহণ করতে পারে। আর এই শান্তিরক্ষা মিশনের কোন দেশে সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সাধারণ পরিষদে অথবা নিরাপত্তা পরিষদে। অনেক সময় সাধারণ পরিষদে যদি শান্তিরক্ষা মিশনের কোনো দেশে শান্তিরক্ষা মিশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সেটা নিরাপত্তা পরিষদে চূড়ান্তভাবে আলোচনা হয় এবং নিরাপত্তা পরিষদে যদি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়, তাহলে শান্তিরক্ষা মিশন সেখানে যায়। আবার কোন দেশ থেকে শান্তিরক্ষা মিশনের বাহিনী নেওয়া হবে, সেটিও নির্ধারিত হয় নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে। 

নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি দেশ স্থায়ী সদস্য। তাদের ভেটো পাওয়ার রয়েছে। তাদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও রাশিয়া এবং চীন অন্যতম। আর এখন পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে কোনো দেশের অংশগ্রহণ নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে কখনো আলোচনা হয়নি বা এ নিয়ে কখনোই কোন দেশের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি। বরং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি জাতিসংঘের প্রচলিত নীতির সঙ্গে সংঘর্ষিক। কারণ জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত একটি দেশকে শান্তিরক্ষা মিশনে অন্তর্ভুক্তি থেকে বারিত করে না, করতে পারে না। এটি জাতিসংঘের সার্বজনীন নীতির পরিপন্থী। তাই যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে শুধু বাংলাদেশ নয়, কোনো দেশেরই শান্তিরক্ষা মিশনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে না। এই এখতিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের নাই। এরকম যদি কোনো প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আনেও সেটি নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হতে হবে এবং নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে যদি গৃহীত হয়, তাহলেই সে রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

কিন্তু বৈশ্বিক বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনলে রাশিয়া এবং চীন যে চুপচাপ বসে থাকবে না বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি স্রেফ গুজব এবং আতঙ্ক ছড়ানোর অপকৌশল। এ রকম অনেক গুজবই এখন ছড়ানো হচ্ছে, যেন সরকারকে কোণঠাসা করা হয়। জনমনে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং আতঙ্ক তৈরি করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এর কোনো আইনগত বা নিয়মতান্ত্রিক ভিত্তি নেই। 


যুক্তরাষ্ট্র   শান্তিরক্ষা মিশন   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে কারখানায় আগুন

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের বায়েজিদে একটি জুতার সোল তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে বায়েজিদের একটি জুতা সোল তৈরি কারখানায় আগুনের সংবাদ পাই। এরপর ওই স্থানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। 

চট্টগ্রাম   কারখানায় আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রেনের টিকিট কিনতে এক ঘণ্টায় ২ কোটি হিট

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ দিনের মতো অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়। এদিন বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটে রেকর্ড ১ কোটি ৩০ লাখ বার টিকিট কাটার জন্য ওয়েবসাইটে চেষ্টা (হিট) চালানো হয়েছে। প্রথম ১ ঘণ্টায় ২ কোটির মতো হিট হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের জন্য) ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭ হাজার ১৯৪টি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। আধা ঘণ্টায় বিক্রি হয় ১২ হাজার ৭৮৩টি টিকিট। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নির্ধারিত প্রায় সব টিকিট শেষ হয়ে যায়।

বেলা ২টা থেকে রেলের পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের টিকিট বিক্রি হবে। এ অঞ্চলের জন্য টিকিট ছাড়া হবে ১৬ হাজার ৬৯৬টি।

রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, এদিন পূর্বাঞ্চলের টিকিটের চাহিদাও খুব বেশি থাকবে। আগামীকাল সর্বশেষ দিন ৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।

ট্রেনের টিকিট   অগ্রিম টিকিট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিএসএমএমইউ'র নবনিযুক্ত উপাচার্যের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন তিনি। মোনাজাত শেষে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য।

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডীন  অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক ও বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক দীন ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। তাকে ব্যান্ড বাজিয়ে, নেচেগেয়ে, ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক   বিএসএমএমইউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজার আমন্ত্রণে ভুটানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে ভুটান সফর করছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ভুটানের মহামহিম রাজার সফরসঙ্গী হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে ভুটান যান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

এদিন ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গেলেফু সিটিতে অবস্থান করেন ভুটানের রাজা ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। সেখানে অবস্থানকালে ভুটানের রাজা বেশকিছু সময় ধরে প্রতিমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গেলেফু সিটি ঘুরে দেখান এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত আইকনিক সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গেলেফু সিটি থেকে ভুটানের রাজার সঙ্গে বিমানযোগে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তথ্য প্রতিমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে স্বাগত জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়।

পরে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে যান ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। ভুটান সফর শেষে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

রাজার ভুটান   ভুটান   তথ্য প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লিবিয়ায় চার বাংলাদেশি জিম্মি, নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।       

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। 

অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে। 

‌স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


লিবিয়া   বাংলাদেশি   জিম্মি   নির্যাতন   ভিডিও   মুক্তিপণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন